বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী
জাতীয় বিষয় |
নাম |
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত |
আমার সোনার বাংলা |
বাংলাদেশের জাতীয় ভাষা |
বাংলা |
বাংলাদেশের জাতীয় ফল |
কাঁঠাল |
বাংলাদেশের জাতীয় ফুল |
শাপলা |
বাংলাদেশের জাতীয় পশু |
রয়েল বেঙ্গল টাইগার |
বাংলাদেশের জাতীয় পাখি |
দোয়েল |
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা |
কাবাডি |
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ |
ইলিশ |
বাংলাদেশের জাতীয় গাছ |
আম |
বাংলাদেশের জাতীয় কবি |
কাজী নজরুল ইসলাম |
বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব |
বাংলা নববর্ষ |
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা |
সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত |
বাংলাদেশের জাতীয় বন |
সুন্দরবন |
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা |
ঢাকা চিড়িয়াখানা |
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ |
সম্মিলিত প্রয়াস |
বাংলাদেশের জাতীয় লাইব্রেরী |
আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা |
বাংলাদেশের জাতীয় বিমানবন্দর |
হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর |
বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ |
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ |
বাংলাদেশের জাতীয় স্টেডিয়াম |
জাতীয় স্টেডিয়াম |
বাংলাদেশের জাতীয় পার্ক |
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান |
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর |
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা |
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#‘জয় বাংলা' বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছে-
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
হাইকোর্ট বিভাগ
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী
#কোনটি বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ওয়েব পোর্টাল?
www.bangladesh.gov.net
www.bangladesh.gov.bd
www.bangladesh.com
www.bikroy.com
#বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় শিক্ষানীতি কত সালে প্রণীত হয়েছে?
২০০৩
২০০৭
২০১০
২০১৩
#বাংলাদেশের জাতীয় মনোগ্রামের নকশাকার কে?
কামরুল হাসান
রফিকুন্নবী
এ এন এ সাহা
সৈয়দ মাইনুল হোসেন
#.বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতি সৌধের স্থপতি কে?
মোস্তফা মনোয়ার
হামিদুজ্জামান খান
নিতুনকুন্ডূ
সৈয়দ মইনুল হোসেন
জাতীয় পতাকা, প্রতীক, সীলমোহর
জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত ও সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে জাপানের জাতীয় পতাকা মিল রয়েছে, কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে সবুজের জায়গায় জাপানীরা সাদা ব্যবহার করে। এছাড়া বাংলাদেশের পতাকায় লাল বৃত্তটি একপাশে একটু চাপানো হয়েছে যেন পতাকা যখন উড়বে তখন বৃত্তটি পতাকার মাঝখানে দেখা যায়।
জেনে নিই
পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬ এবং দৈর্ঘ্য ও বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত ৫ : ১।
১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায় তৎকালীন ছাত্রনেতা ডাকসু ভিপি আ.স. ম. আবদুর রব প্রথম জাতীয় পতাকা (মানচিত্র খচিত) উত্তোলন করেন।
জাতীয় পতাকা দিবস পালিত হয়- ২রা মার্চ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত পতাকায় লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ মানচিত্র ছিল ।
মানচিত্র খচিত পতাকার ডিজাইনার শিব নারায়ণ দাশ।
১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা যা ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#What is the
Ratio of the 'National Flag o ? (বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত কত?
10:6
5:4
10:5
20:10
#জাতীয় পতাকা প্রথম তৈরি করেন কে? (Who first designed the National
Flag of Bangladesh?)
Kamrul Hasan
Shiv narayan
Das
ASM Abdur
Rob
Shahjahan
Siraj
#বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
শাহাবুদ্দীন
জসীম উদ্দীন
কামরুল হাসান
এদের কেউ নন
#বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিবস কোনটি ?
২ মার্চ
৩ মার্চ
১৬ মার্চ
২৬ মার্চ
#বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত কত?
১০:৫
৫ঃ৪
১০ঃ৭
১০ঃ৬
জাতীয় প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল ।
জাতীয় প্রতীকের ডিজাইনার পটুয়া কামরুল হাসান।
শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ।
চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা।
চারটি তারকা চিহ্ন দ্বারা বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতিকে নির্দেশ করা হয়েছে ।
পানি, ধান ও পাট প্রতীক দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি।
এ তিনটি উপাদানের উপর স্থাপিত জলজ প্রস্ফুটিত শাপলা হলো অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক ।
তারকাগুলো দ্বারা ব্যক্ত হয়েছে জাতির লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙক্ষা।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে কয়টি তারকা রয়েছে? (How many stars are there in the
National Emblem of Bangladesh?)
3
4
5
6
#বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে নিচের যেগুলো রয়েছে (The
followings
are in the national emblem of Bangladesh)
ধান, পান, শাপলা (paddy, betel leaf, water lily)
ধান, পাট, শাপলা (paddy, jute, water lily)
ধান, পান, পাট (paddy, betel leaf, jute)
পাট, পান, শাপলা (jute, betel leaf, water lily)
#জাতীয় সংসদের প্রতীক কি?
পাট
মসজিদ
ধানের শীর্ষ
নৌকা
শাপলা ফুল
#জাতীয় সংসদের প্রতীক কী?
শাপলা
পাট গাছ
চারদিকে ধান গাছ বেষ্টিত নৌকা
প্রতীক নেই
#যুক্তরাষ্ট্র এর জাতীয় প্রতীক কী?
ম্যাপল পাতা
লিলি
ক্যাঙ্গারু
ঈগল
সরকারের সীলমোহর
বাংলাদেশ সরকারের সিলমোহর মন্ত্রিপরিষদ এবং সরকার দাফতরিক কাজে ব্যবহার করে।
এ সিলমোহরের একটি সংস্করণ বাংলাদেশী পাসপোর্টগুলোর প্রচ্ছদ পৃষ্ঠায় ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকলীন সময়ে ব্যবহৃত পতাকার নকশার মত করে এই সিলটি তৈরী করা হয়েছে।
নকশার বাইরের সাদা অংশটির উপরে বাংলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং নিচে সরকার লেখা ।
দুইপাশে দুইটি করে মোট চারটি লাল ৫. কোণা বিশিষ্ট তারকা।
কেন্দ্রে একটি লাল বৃত্তের মধ্যে হলুদ রংয়ের বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা।
এটির নকশাকার হলেন এ. এন. এ. সাহা।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
সীলমোহর কোন সভ্যতার প্রাপ্ত আকর্ষনীয় নিদর্শন?
সিন্ধু সভ্যতা
পারস্য সভ্যতা
সুমেরীয় সভ্যতা
মিশরীয় সভ্যতা
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি স্মারক স্থাপনা।
এটি সাভারের নবীনগরে আবস্থিত।
এর স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন ।
সাতটি ত্রিভুজাকৃতি দেয়াল নিয়ে গঠিত সৌধটি।
সৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট বা ৪৬.৬ মিটার এবং সৌধ এলাকার ক্ষেত্রফল ১০৯ একর।
এখানে মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের দশটি গণকবর রয়েছে।
বিদেশি রাষ্ট্রনায়কগণ সরকারিভাবে বাংলাদেশ সফরে আসলে এই স্মৃতিসৌধে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রাচারের অন্তর্ভুক্ত।
স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা বা পর্যায় হিসেবে সাতটি ঘটনাকে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে।
ঘটনাগুলো হলঃ
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন
১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
১৯৫৬ এর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন
১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন
১৯৬৬ এর ছয় দফা
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং
১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭২ এর ১৬ই ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৮২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হোসেন মুহাম্মাদ এরশাদ এর উদ্বোধন করেন ।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
হামিদুর রহমান
নভেরা আহমেদ
সৈয়দ মাইনুল হোসেন
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ
#‘সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ' -এর স্থপতি কে?
সৈয়দ মাইনুল হোসেন
মাজহারুল ইসলাম
মৃনাল হক
আবদুর রাজ্জাক
#জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থাপতি কে?
নভেরা আহমেদ
লুই আই কান
মঈনুল হোসেন
হামিদুর রহমান
#জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
হামিদুর রহমান
তানভির কবির
মঈনুল হোসেন
মাযহারুল ইসলাম
হাশেম খান
#সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতির নাম কি?
লুই কান
এফ আর খান
তানভীর আহমেদ
সৈয়দ মঈনুল
হোসেন
জাতীয় সংগীত
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত "আমার সোনার বাংলা" এর রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
১৩১২ বঙ্গাব্দে 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্রনাথের 'গীতবিতান' গ্রন্থের স্বরবিতান অংশভুক্ত।
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রক্ষিতে গানটি রচিত হয়েছিল।
গানটিতে প্রধানত স্থান পেয়েছে বাংলার মনোরম প্রকৃতির কথা।
গগণ হরকরার 'আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে” বাউল গানটির সুরের অনুষঙ্গে গানটি রচিত।
চলচিত্রকার জহির রায়হান ১৯৭০ সালে তার বিখ্যাত "জীবন থেকে নেওয়া” সিনামাতে গানটির চিত্রায়ন করেন।
পল্টন ময়দানে ঘোষিত স্বাধীনতার ইসতেহারে (১৯৭১ সালের ৩ মার্চ) জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠকে এ গানটির প্রথম দশ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়।
সংবিধানের ৪ (১) অনুচ্ছেদে 'আমার সোনার বাংলা' গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রূপে ঘোষিত হয়েছে।
এটি মূলত ২৫ চরণ বিশিষ্ট একটি কবিতা। এ কবিতার প্রথম ১০ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।
তবে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রথম ৪ চরণ বাজানো হয়।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#Who
translate the 'National Anthem' of Bangladesh into English ? (বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদক কে?)
Bangla
Accademy
Rabindranath
tagore
Sayed Ali
Ahsan
Faqrul Alam
#বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদক কে?
কবীর চৌধুরী
সৈয়দ আলী আহসান
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সৈয়দ শামসুল হক
#উৎসব অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের কত চরণ বাজানো হয়?
৯ চরণ
৬ চরণ
৮ চরণ
৪ চরণ
#উৎসব অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের কত চরণ বাজানো হয়?
৬ চরণ
৯ চরণ
৮ চরণ
৪ চরণ
#বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে ফুটে উটেছে-
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
সাধারণ মানুষ
বিপ্লব
সাধারণ ইতিহাস
জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ জৈষ্ঠ ১৩০৬) পশ্চিমবঙ্গেরবর্ধমান জেলার আসানসোল মহাকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম 'দুখু মিয়া' ।
তিনি ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন।
১৯১৭ সালের শেষের দিকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
করাচি সেনানিবাসে তার সৈনিক জীবন কাটে।
১৯২০ সালে সৈনিক জীবন শেষ করে ফিরে আসেন।
তিনি 'নবযুগ' পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
তিনি ১৯২২ সালে 'ধুমকেতু' পত্রিকা প্রকাশ করেন।
ধূমকেতু সপ্তাহে দুইবার প্রকাশিত হত।
এর প্রথম পাতার শীর্ষে লেখা থাকত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশীর্বাদ করা লেখা কবিতার চরণ-
আয় চলে আয় ধুমকেতু, আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু
দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।'
১৯২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ধুমকেতুতে কাজী নজরুলের রাজনৈতিক কবিতা “আনন্দময়ীর আগমনে” প্রকাশিত হয়। ২৩ জানুয়ারি তার 'যুগবাণী' প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয় এবং ঐ দিনই তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বন্দী অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার 'বসন্ত' গীতিনাট্যটি নজরুলকে উৎসর্গ করেন। এর আনন্দে জেলে বসে নজরুল 'সৃষ্টি সুখের উল্লাসে' কবিতাটি রচনা করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের উপাধি ও পদক
কল্লোল যুগের বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।
জগত্তারিণী (উপাধি) ১৯৪৫ কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল ।
পদ্মভূষণ পদক ১৯৬০ ভারত সরকার।
ডক্টরেট ডিগ্রি ১৯৬৯ রবীন্দ্রভারতী।
ডক্টরেট ডিগ্রি ১৯৭৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
একুশে পদক ১৯৭৬ বাংলাদেশ সরকার ।
কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম ঢাকা আসেন ১৯২৬ সালের জুন মাসের শেষ সপ্তাহে।
১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ভারত থেকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে আনা হয়।
১৯৭৪ সালের এক সংবর্ধনায় তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী মসজিদ প্রঙ্গনে তার মাজার অবস্থিত।
তার ছদ্মনাম 'ধূমকেতু। তার ৫টি গ্রন্থ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা' কী জাতীয় গ্রন্থ?
উপন্যাস।
কাব্য।
নাটক
ছোটগল্প
প্রবন্ধ
#রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শেষের কবিতা' কোন জাতীয় পুস্তক?
উপন্যাস
নাটক
কবিতা
গল্প
#সম্প্রতি কোন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সৃষ্টিকর্মকে আবশ্যিক পাঠ্য হিসাবে অনর্ত্ভূক্ত করে?
আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ভারত
শান্তি নিকেতন ভারত
মেলবোর্ন ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া
মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া
#জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিভাগ চালু কোন শিক্ষাবর্ষে
২০০৬-২০০৭
২০০৭-০৮
২০০৮-০৯
২০০৫-০৫
#জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল-
২০০৫
২০০৬
২০০৭
২০০৮
ক্রীড়া
সঙ্গীত
বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীতের রচয়িতা- সেলিনা রহমান।
ক্রীড়া সঙ্গীতের সুরকার খন্দকার নূরুল আলম ।
বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীত-১০ চরণ বিশিষ্ট ।
বাংলাদেশের ক্রীড়া সঙ্গীতের প্রথম ৪ লাইন বাজানো হয়।
জাতীয় বন
বাংলাদেশের জাতীয় বনের নাম-সুন্দরবন (Ganges Delta)।
সুন্দরবন বিশ্ব ঐহিহ্যের তালিকায়- ৭৯৮ তম।
পৃথিবীর বৃহত্তম নদীভিত্তিক ব-দ্বীপ ম্যানগ্রোভ খ্যাত- সুন্দরবন।
ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে- ১৯৯৭ সালে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় টাইডাল স্রোতজের নাম- বন সুন্দরবন।
জাতীয় জীবনে পুরস্কার
বাংলাদেশে জাতীয় পর্যায়ে কয়েক ধরনের পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। ব্যক্তি বিশেষ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। উল্লখযোগ্য কিছু পুরস্কার নিম্নরূপ-
স্বাধীনতা পদক
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার। পুরস্কারটি প্রবর্তন করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। প্রথম স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে (২৬শে মার্চ) এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (সরকার কর্তৃক নির্ধারিত) গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ১০ জনকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
একুশে পদক
বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে ১৯৭৬ সাল থেকে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রবর্তন করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান । প্রথম একুশে পদক প্রদান করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।
বাংলা একাডেমী পুরস্কার
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার। এটি প্রবর্তন করা হয় ১৯৬০ সালে। বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ পুরস্কার শুধু ব্যক্তিবিশেষকে দেওয়া হয়। শিশু একাডেমী পুরস্কার শিশুসাহিত্যে সার্বিক অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বছরে একজন সাহিত্যিককে এ পুরস্কার প্রদান করে। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পুরস্কার চালু করা হয়। মরণোত্তর পুরস্কার হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়ার বিধান নেই।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার
চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সরকার ব্যক্তিবিশেষকে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্রকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এটি প্রবর্তন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়। এটি প্রবর্তন করা হয় ১৯৭৬ সালে।
রবীন্দ্র পুরস্কার
বাংলা একাডেমী ২০১০ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীতের চর্চা এবং রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তিবিশেষকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
নজরুল পুরস্কার
ইনস্টিটিউট ২০২২ সালে নজরুল পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। কবি নজরুল ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা এবং নজরুলগীতির বিকাশে অবদানের জন্য প্রতিবছর ব্যক্তিবিশেষকে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
অন্যান্য জাতীয় বিষয়
জাতীয় ফুল শাপলা
জাতীয় পাখি দোয়েল
জাতীয় ফল কাঠাল
জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার
জাতীয় মাছ ইলিশ
জাতীয় বৃক্ষ আম গাছ
জাতীয় বন সুন্দরবন
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম
জাতীয় স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, গুলিস্তান, ঢাকা
জাতীয় গ্রন্থাগার শেরে বাংলা নগর, ঢাকা
জাতীয় পার্ক ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্ক, গাজীপুর
জাতীয় জাদুঘর- শাহাবাগ, ঢাকা
জাতীয় খেলা কাবাডি
রণ সঙ্গীত
রণ সঙ্গীত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কত চরণ বাজানো হয় প্রথম ২১ লাইন (চল্ চল্ চল্)।
রণ সঙ্গীত প্রথম প্রকাশিত হয় করে ১৯২৮ সালে।
রণ সঙ্গীত প্রথম প্রকাশিত হয় শিখা পত্রিকায়।
রণ সঙ্গীত প্রথম প্রকাশিত হয় নতুনের গান শিরোনামে।
রণ সঙ্গীতের গীতিকার ও সুরকার কাজী নজরুল ইসলাম।
রণ সঙ্গীত নজরুলের সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থ থেকে ।
বাংলাদেশের রণসঙ্গীতটি গৃহীত হয় ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে
জাতীয় সংসদ
সংসদ ভবন বা জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্স ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ২১৫ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। ৯ তলা বিশিষ্ট ভবনটির মূল স্থপতি লুই কান। তিনি একজন প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি। বাংলাদেশের সংসদ ভবন উপমহাদেশের অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। এর স্থাপত্যশৈলী দ্বারা প্রকৃতির বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
জেনে নিই
ভবনটি স্থাপত্য উৎকর্ষের জন্য ১৯৮৯ সালে আগা গান পুরষ্কার পায়।
মূল সংসদ ভবন জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সের একটি অংশ।
সংসদ সংলগ্ন লেকটি ক্রিসেন্ট লেক নামে পরিচিত।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন।
কমপ্লেক্সের মধ্যে আরো আছে সুদৃশ্য বাগান, কৃত্রিম হ্রদ এবং সংসদ সদস্যদেও আবাসস্থল।
পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলার আইনসভা হিসাবে বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলটি ব্যবহৃত হত।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এক কক্ষ বিশিষ্ট এবং সংসদের প্রতীক শাপলা ফুল।
পকিস্তান আমলে পরিকল্পনা গ্রহণ ও নির্মানকাজ শুরু হলেও বর্তমান ভবনটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৮২ সালে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম ও দ্বিতীয় সংসদের অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হয় পুরনো সংসদ ভবনে যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
#জাতীয় সংসদের সভাপতি কে? (Who is the president of the
National Parliament?)
Prime
Minister
President
Speaker
Chief whip
#বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা কত?
৩০
৪০
৪৫
৫০
#পৃথিবীর প্রথম সংসদীয় গণতন্ত্র দেশ কোনটি ?
ডেনমার্ক
জার্মানি
ব্রিটেন
ভারত
#বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ইংরেজি নাম কী?
Parliament
of Bangladesh
House of the
Nation
National
Parliament
National
House
#বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নারী আসন কতটি?
৫০
৪০
৩০
৭০