বাংলাদেশের শিল্প ও বানিজ্য
বর্তমানে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মূলত শিল্পের উপর নির্ভরশীল । বাংলাদেশ শিল্পে অনগ্রসর হলেও ক্রমান্বয়ে শিল্পের বিকাশ ঘটছে । বাংলাদেশের পোশাক শিল্প তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । বাংলাদেশের শিল্পায়নে পোশাক শিল্প নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে । সাথে সাথে অন্যান্য শিল্প ও ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে । যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে । তাছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ও বাংলাদেশ যথেষ্ট ভাল করছে । বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে ১ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে । বাংলাদেশ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
১৭ জুন , ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরে আদমজীনগরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম পাটকল 'আদমজী জুট মিলা। এটি ছিল বিশ্বের বৃহত্তম পাটকল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের ২৬ মার্চ প্রেসিডেন্টের আদেশে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং মিল পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের হাতে। এর পর থেকে মিলাট ক্রমাগত লোকসান দিতে থাকে। অব্যাহত লোকসান এবং বিদ্যামান পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক ২৫ জুন, ২০০২ পাটমন্ত্রী মিলটি বন্ধ করার সরকারি ঘোষণা দেয়। ৩০ জুন, ২০০২ দিবাগত রাত ১০ টায় মিলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে পাবনা ও রাজবাড়ী।
·
পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ : ২য় এবং পাট রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রথম।
·
প্রধান পাট শিল্প কেন্দ্র হল : নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা।
·
পাট মিশ্রিত সুতা জুটন আবিষ্কার করেন : ডঃ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লা।
·
জাতীয় পাট দিবস : ৬ মার্চ
·
পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করেন : ডঃ মাকসুদুল আলম।
·
জাতীয় পাট নীতি : ২০১১ সালে ঘোষণা করা হয়।
·
পাট থেকে পলিথিন উদ্ভাবন করেন : ডঃ মোবারক আহমেদ খান।
১৯৪০ সালে সুনামগঞ্জের ছাতকে স্থাপিত ছাতক সিমেন্ট কো. লি. বাংলাদেশের প্রথম সিমেন্ট কারখানা। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ টি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৫ টি । দেশে চাহিদার তুলনায় এখন অধিক সিমেন্ট উৎপাদিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সিমেন্ট কারখানা লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, ছাতক, সুনামগঞ্জ। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিমেন্ট কারখানা হলো-
·
ছাতক সিমেন্ট কারখানা : ছাতক , সুনামগঞ্জ
·
লাফার্জ সিমেন্ট কারখানা : ছাতক , সুনামগঞ্জ
·
জয়পুরহাট সিমেন্ট কারখানা , জয়পুরহাট
·
চট্টগ্রাম সিমেন্ট কারখানা , চট্টগ্রাম
·
মলা সিমেন্ট কারখানা , বাগেরহাট
·
শাহ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ , চট্টগ্রাম
·
ইস্টার্ন সিমেন্ট কারখানা , নারায়ণগঞ্জ
·
কনফিডেন্স সিমেন্ট কারখানা , চট্টগ্রাম
·
সেনাকল্যাণ সিমেন্ট কারখানা , বাগেরহাট
·
হোলসিম সিমেন্ট কারখানা , নারায়ণগঞ্জ
·
মেঘনা সিমেন্ট কারখানা , নারায়ণগঞ্জ
·
বাংলাদেশের প্রথম চিনিকল নর্থবেঙ্গল চিনিকল, গোপালপুর, নাটোর।
·
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল কেরু এন্ড কোং, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা।
·
বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫ টি চিনিকল আছে।
·
BSFIC = Bangladesh Sugar And Food Industries Corporation (স্বায়ত্তশাসিত) । এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন। ১৯৭৬ সালে ১লা জুলাই গঠিত হয়। এর অধীন চিনিকল ১৫টি এবং বি এস এফ আই সি এর সদর দপ্তর দিলকুশা ঢাকা।
·
বাংলাদেশের কাগজকলগুলোর মধ্যে প্রথম ও বৃহত্তম- কর্ণফুলী কাগজকল। ১৯৫৩ সালে এটি স্থাপিত হয়।
·
বাংলাদেশে বর্তমানে ৭ টি কাগজকল এবং ৪ টি হার্ডবোর্ড মিল আছে।
·
বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজের কল ছিল খুলনার নিউজপ্রিন্ট মিল। ৩০ নভেম্বর, ২০০২ এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মিলে সুন্দরবনের গেওয়া কাঠ কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হত।
·
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সবুজ পাট ব্যবহার করে কাগজের মণ্ড তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়।
·
সবুজ পাট হতে জিপসাম বোর্ড ১৯৯৪ থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
অন্যান্য :
·
বাংলাদেশের তেল শোধনাগার : ইস্টার্ন রিফাইনারী (পতেঙ্গা চট্টগ্রাম)
·
বাংলাদেশের রেয়ন মিল : কর্ণফুলী রেয়ন মিল (চন্দ্রঘোনা, রাঙামাটি)
·
বাংলাদেশের মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী অবস্থিত : গাজীপুরে
·
বাংলাদেশের অস্ত্র কারখানা অবস্থিত : গাজীপুরে
·
বাংলাদেশের বৃহত্তম লৌহ ও ইস্পাত কারখানা : চট্টগ্রাম স্টীল মিল (চট্টগ্রাম)
·
বাংলাদেশের মোটর সাইকেলের সংযোগ কারখানা : এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড (টঙ্গী, গাজীপুর)
·
বাংলাদেশের টেলিফোন শিল্প সংস্থা অবস্থিত : টঙ্গী ও খুলনায়
·
বাংলাদেশে প্রথম ট্যানারি স্থাপন করা হয় : নারায়ণগঞ্জে (১৯৫০ সালে)
·
বাংলাদেশের প্রথম কয়লা শোধনাগার : বিরামপুর হার্ড কোক লি (দিনাজপুর)
·
BSEC
: বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (১৯৭৬) এর সদর দপ্তর ঢাকা। এর অধীনে বর্তমানে নয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
·
ঔষধ শিল্প: ঔষধ তৈরি, আমদানি ও মান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ - ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। দেশে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব রয়েছে। ঔষধ রপ্তানি করে ১৫০ টির বেশি দেশে।
·
ঔষধ পার্ক: গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ।
বাংলাদেশের আমদানি পণ্য: চাল, গম, ডাল, তৈলবীজ, তুলা, অপরিশোধিত পেট্রোল ও পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য, ভোজ্যতেল, সার, কৃষি ও শিল্প যন্ত্রপাতি, সুতা ইত্যাদি।
যেসব দেশ থেকে আমদানি করা হয় : চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রে, সিঙ্গাপুর, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় :
·
২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়: ৩৩,৬৭৪.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
·
২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
·
২০১৯-২০ অর্থবছরে শীর্ষ রপ্তানি খাত : তৈরি পোশাক (২৭,৯৪৯.১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
·
বর্তমানে বাংলাদেশ ৭৫০টি পণ্য রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০-২১ অনুযায়ী :
·
মোট রপ্তানী আয়: ৩৫,১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
·
রপ্তানীপণ্য:
ক) প্রাথমিক পণ্য: হিমায়িত খাদ্য ও জীবন্ত মাছ, কৃষিজাত পণ্য ।
খ) শিল্পজাত পণ্য: তৈরি পোষাক, নীটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়া পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, রাসায়নিক দ্রব্য, প্রকৌশল সামগ্রী ও অন্যান্য শিল্প পণ্য।
·
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় তৈরি পোষাক থেকে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানী আয়ে রেডিমেট গার্মেন্টস এর অংশ ৩৭.৫২%। নিটওয়্যার থেকে আসে প্রায় ৪৩.৬৭%।
·
রপ্তানী আয়ের মধ্যে চামড়ার অবস্থান ৭ম।
·
২০২০-২১ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী রপ্তানী করে - যুক্তরাষ্ট্রে ও জার্মানিতে।
মূলত ১৯৭৬ সাল থেকে পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধিত হতে থাকে। ১৯৮৩ সালে এ শিল্পের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০টির মতো। ২০০১ সালের শেষ নাগাদ ওভেন, নিট, সোয়েটারসহ সর্বমোট তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানার সংখ্যা ছিল ৩,০৬৭টি এবং কর্মজীবী মহিলাসহ শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ লাখের মতো। ১৯৮৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ শিল্পে কর্মসংস্থানের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৬ লাখে পৌঁছেছে যা উৎপাদন খাতে নিয়োজিত মোট শ্রমিকের ১৫ শতাংশের অধিক। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) গবেষণার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে পোশাক খাতে কাজ করছেন ৩২ লাখ শ্রমিক। ২০১৬ নাগাদ বাংলাদেশে রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্পের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। সদ্যসমাপ্ত ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৭.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ।
·
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প তৈরি পোশাক।
·
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি করে ১৩,১৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে; যা মোট রপ্তানির ৩৭.৫২%।
·
নীটওয়্যার থেকে ১৫,৩৬২ মিলিয়ন ইউএস ডলার (৪৩.৬৭%) রপ্তানি আয়।
·
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডে রপ্তানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
·
বর্তমানে রপ্তানিতে বাংলাদেশ ৩য় অবস্থানে রয়েছে (১ম চীন এবং ২য় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)। বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় এবং শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন । আর বস্ত্র আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ।
·
তৈরি পোশাক শিল্প কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশ করে : ১ জানুয়ারি, ২০০৫ সাল
·
GSP
এর পূর্ণরূপ- Generalized Scheme of Preferences
·
GSP
সুবিধা- এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে ১২.৫% হারে শুল্ক সুবিধা পায়।
·
বর্তমানে বাংলাদেশ কতটি দেশে GSP সুবিধা পাচ্ছে : ৩৮টি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (EU) ২৭টি দেশ এবং যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও চিলি। (সূত্র: সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী; ২০ জুন ২০১৯।]
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (Bangladesh Development Forum) : ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ এইড গ্রুপ (Bangladesh Aid Group)। একই বছর ২৯ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ এইড গ্রুপের প্রথম বৈঠক। এ বৈঠকের নেতৃত্ব দেয় বিশ্বব্যাংক। ১৯৯৭ সালে 'বাংলাদেশ এইড গ্রুপ' এর নতুন নামকরণ করা হয় 'প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ' (Paris Consortium Group)। ২০০২ সালে 'প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ' এর নাম পরিবর্তন করে 'বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম' করা হয় এবং ঘোষণা করা হয় পরবর্তী সকল বৈঠক প্যারিসের পরিবর্তে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৩ সালে ঢাকায় বিডিএফ এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৫ সালে 'পিআরএস বাস্তবায়ন ফোরাম' নামে বিডিএফ এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালে জানুয়ারি ঢাকায় এর বৈঠক হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সংখ্যা ২০টি । ৪টি দাতা সংস্থা এবং ১৬টি দেশ । এই ফোরামে অন্তর্ভূক্ত না থেকে ও বাংলাদেশকে সাহায্য প্রদান করে- চীন , ভারত , কুয়েত , পাকিস্তান , সৌদি আরব , সংযুক্ত আরব-আমিরাত , দক্ষিণ কোরিয়া , স্পেন , IDB ও OPEC .
·
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সাহায্য দেয় : IDA
·
IDA
ঋণ প্রদানের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত : Soft Loan window নামে
·
IDA
থেকে ঋণগ্রহণে বাংলাদেশের অবস্থান : ২য়
·
বাংলাদেশের জন্য সর্ববৃহৎ দ্বিপাক্ষিক দাতা দেশ : জাপান
·
জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা : জাইকা (JICA) Japan International Co - operation Agency. এটি ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে।
·
বাংলাদেশের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ : ২৯২ মার্কিন ডলার বা ২৪,৮৯০ টাকা
·
২০২০ সালে বাংলাদেশে বিনিয়োগে শীর্ষ দেশ : যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন-২০১৯ (World Investment Report-2019) :
·
প্রকাশক : জাতিসংঘের শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা (UNCTAD)
·
শীর্ষ বিনিয়োগকৃত খাত : বিদ্যুৎ
·
বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগে শীর্ষদেশ : UK
·
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান : ইয়ংওয়ান (দক্ষিণ কোরিয়া)
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বা, মুক্ত বাণিজ্য এলাকা হচ্ছে এমন একটি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা যেখানে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কোনরূপ হস্তক্ষেপ ছাড়াই পণ্য অবতরণ, বহন, উৎপাদন বা পুন:সংযোজন ও পুন:রপ্তানি করা যায়। এই অঞ্চলগুলো সাধারণত বাণিজ্যের জন্য ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক স্থান, যেমন: সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, জাতীয় সীমান্ত - প্রভৃতি এলাকায় গড়ে তোলা হয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২১ অনুসারে , ইপিজেড-এ চালু শিল্পের মধ্যে তৈরি পোষাক শিল্পে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ রয়েছে । বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি ৮টি EPZ রয়েছে। EPZ প্রধানমন্ত্রির কার্যালয় অধীন। ইপিজেড নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নাম BEPZA . BEPZA চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রি । BEPZA আইন পাশ ১৯৮০ সালে পাশ হয় (বেসরকারি EPZ আইন ২০০১)। বেজা ( BEZA ) সারাদেশে ৮৮টি অর্থনৈতিক জোন স্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। যার মধ্যে ৫৯ টি সরকারি এবং ২৯টি বেসরকারি। BEZA প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীন। BEZA (Bangladesh Economic
Zone authority) ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা। [ সর্ববৃহৎ মিরসরাই, চট্টগ্রাম ] এগুলো চার রকম হবে:
·
সরকারি
·
বেসরকারি
·
PPP ভিত্তিতে
·
বিদেশি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর : চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুন্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ৩০,০০০ একর জমিতে স্থাপিত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল (EZ) 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর'। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ১০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ শিল্পনগরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সমুদ্রবন্দর, কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানি শোধনাগার, আবাসিক এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ এ শিল্পনগরে প্রথম কারখানা হিসেবে আরমান ডেনিমের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়।
·
চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল আনোয়ারা, চট্টগ্রাম
·
জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চল শ্রীপুর, গাজীপুর
·
সবচেয়ে বেশি ঔষধ রপ্তানি হয় ব্রাজিলে
·
১৫০টির বেশি দেশে ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে
·
দেশে ওষুধের আমদানি-রপ্তানি তৈরি পরিবেশন ও বিক্রয়-নিয়ন্ত্রক সরকার আইন প্রণয়ন করা হয় ১৯৪০ সালে
·
ঔষধ অধ্যাদেশ জারি করা হয় ১৯৮২ সালে
·
ঢাকায় ড্রাগ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে
·
বাংলাদেশ পোষাক রপ্তানীতে বিশ্বে ২য়
·
বাংলাদেশ বস্ত্র আমদানিতে বিশ্বে ৪র্থ
BIDA ( বিনিয়োগ ) : বাংলাদেশে বিনিয়োগ বোর্ড গঠিত হয় ১৯৮৯ সালে । এটি প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ের অধীন । বর্তমান নাম BIDA ( Bangladesh Investment
Development Authority ) । বাংলাদেশে PPP ( Public Private Partnership ) চালু হয় ১৫ মার্চ ২০১২ সালে ।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের (বিটিসি) : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে । পুনর্গঠিত করা হয় ২৮ জুলাই ১৯৭৩ তারিখে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের (বিটিসি) নামকরণ করা হয় নভেম্বর ১৯৯২। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ অনুযায়ী এটা এখন অসম প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় শিল্পের রক্ষা করার জন্য কাজ করে।
ব্যাংক সঞ্চয়ী এবং বিনিয়োগকারীর মাঝে সম্পদ সঞ্চালনে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা যত দক্ষতার সাথে পালন করতে পারবে ততই বাড়তে থাকবে বিনিয়োগ। একটি দক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থা বিনিয়োগে গতিপ্রবাহ আনার মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পদ বণ্টনে সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহকে মূলত দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে; তালিকাভুক্ত বা তফসিলি ও অ-তালিকাভুক্ত বা অ-তফসিলি ব্যাংক।
·
বাংলাদেশে মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা - ৬১টি
·
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে - ৩৪ টি
·
রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংক- ৬টি
·
বৈদেশিক ব্যাংক- ৯টি
·
বিশেষায়িত ব্যাংক- ৩টি
·
অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক - ৫টি
·
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক-৪৩টি
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম 'বাংলাদেশ ব্যাংক'। এর সদর দপ্তর মতিঝিল, ঢাকা । বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কর্মকর্তার পদবি গভর্নর । গভর্নরের মেয়াদকাল ৪ বছর । বাংলাদেশে IMF এর কার্যালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ম তলায় অবস্থিত । বাংলাদেশে টাকার জাদুঘর অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমী, মিরপুর । এই ব্যাংককে কেন্দ্র করে অন্যান্য ব্যাংকগুলি পরিচালিত হয় এবং সরকারি মুদ্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের অন্যান্য ব্যাংকের শীর্ষে অবস্থান করে সেই দেশের আর্থিক বাজারকে নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। এটি সরকারের ব্যাংকার হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে নতুন নোট চালু করার ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। এ ব্যাংক আমানত গ্রহণ ও ঋণ প্রদান করে না। ১৯৭২ এর আদেশ বলে বাংলাদেশে অবস্থিত সাবেক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের সব দায়-দায়িত্ব নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর '৭১ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত হয়। প্রধান কার্যালয় ছাড়া এর ১০টি শাখা আছে যথাঃ ঢাকার মতিঝিল ও সদরঘাট, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর এবং ময়মনসিংহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ একজন চেয়ারম্যান , একজন সদস্য সচিব , তিনজন পরিচালকসহ ১০ জনের সমন্বয়ে গঠিত হয় ।
ব্যাংক হার হচ্ছে একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার। এ সুদ হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিয়ে থাকে। এক দেশের মুদ্রার সাথে অন্য দেশের মুদ্রা যে মূল্য হারে বিনিময় হয়, তার নাম বিনিময় রেট।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার । ২০২২ সালের ১২ জুলাই দ্বাদশ গভর্নর হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর এ এন এম হামিদুল্লাহ।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী পরিচালক অধ্যাপিকা হান্নানা বেগম।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডঃ আতিউর রহমান কে গ্রিন গভর্নর বলা হয় ।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থপতি শফিউল কাদের।
·
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বনাম State Bank of Pakistan
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ: ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকার কাগুজে নোট ব্যতীত সকল কাগুজে নোট মুদ্রণ ও প্রচলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক । এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং দেশের ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ সংরক্ষণ করে থাকে । দেশের ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে । কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ ঋণদাতা হিসেবে কাজ করে। এটি বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার নির্ধারণ করে। এছাড়া এটি সরকারের কোষাগারের দায়িত্বও পালন করে থাকে।
মুদ্রানীতি: যে নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থের সরবরাহ ও যোগান নিয়ন্ত্রণ করে তাকে আর্থিক নীতি বা মুদ্রানীতি বলে। বাংলাদেশে মুদ্রানীতি পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি অর্থ-বছরে দু'দফায় মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। প্রথমে বাজেট প্রণয়নের পর জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ডিসেম্বরের পর মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যালোচনা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ঘোষিত মুদ্রানীতি প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন করে । মুদ্রানীতির অন্যতম কাজগুলো হলো মুদ্রানীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, ঋণের প্রক্ষেপনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ঋণের যোগান ধার্য করা এবং মুদ্রার প্রচলন নিয়ন্ত্রণ করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যায় দুই কোটি ডলার এবং ফিলিপাইনে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ১০ জনুয়ারি ২০১৯ ফিলিপাইনের আদালত ম্যানিলার রিজার্ভ কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের আরেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতার কারাদন্ড ও জরিমানা হয়।
২০০৩ সালে ৮ নভেম্বর ব্যাংক রেট ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। আবার, দীর্ঘ ১৭ বছর পর জুলাই, ২০২০ সালে ব্যাংক রেট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়।
৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি সরকারি বিশেষায়িত ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৫টি। [৬১তম তফসিলি ব্যাংক - পিপলস ব্যাংক লিমিটেড] বেসরকারি তফসিলি ব্যাংক ৫২টি। তফসিলি ব্যাংক চার ধরনের-
1.
সরকারী বা রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক - ০৬ টি
2.
সরকারী মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক - ০৩ টি
3.
স্থানীয় বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক - ৪৩ টি
4.
বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংক - ০৯ টি
1.
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড (১৯৭২) : বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক।
2.
জনতা ব্যাংক লিমিটেড (১৯৭২) : বাংলাদেশে প্রথম রেডিক্যাশ চালু করে।
3.
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড (১৯৭২)
4.
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ( ১৯৭২): ব্যাংকটি সরকারী ও বেসরকারী যৌথ মালিকানাভূক্ত।
5.
বেসিক ব্যাংক লিমিটেড (১৯৮৯)
6.
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (BDBL) (২০১০)
1.
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক : ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
2.
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক : ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
3.
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক :
1.
এবি ব্যাংক লিমিটেড (১৯৮২) : বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী ব্যাংক। ব্যাংকটির পূর্ব নাম আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিমিটেড।
2.
পূবালী ব্যাংক (১৯৭২)
3.
উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড (১৯৭২) : বাংলাদেশের প্রথম বিরাষ্ট্রীয়করণকৃত ব্যাংক।
4.
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (১৯৮৩)
5.
দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড (১৯৮৩)
6.
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (১৯৮৩) : বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী শরীয়াহভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংক। বাংলাদেশের প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে।
7.
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (IFIC) (১৯৮৩): ব্যাংকটি দীর্ঘদিন মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে কাজ করে।
8.
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (UCB Bank) (১৯৮৩)
9.
আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (১৯৮৭)
10.
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯২)
11.
ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লি (১৯৯৩)
12.
প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৫)
13.
সাউথ-ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৫)
14.
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৫)
15.
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৫)
16.
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৫)
17.
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
18.
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৬) : বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।
19.
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
20.
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
21.
এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
22.
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
23.
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
24.
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
25.
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
26.
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড (১৯৯৯)
27.
দি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (১৯৯৯)
28.
শাহজালাল ব্যাংক লিমিটেড (২০০১)
29.
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড (২০০১)
30.
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড (২০০১)
31.
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
32.
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
33.
ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
34.
মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
35.
মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
36.
দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
37.
এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
38.
মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড (২০১৩)
39.
এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংক (২০১৩): বাংলাদেশের সর্বশেষ তফসিলভুক্ত ব্যাংক।
40.
সীমান্ত ব্যাংক (২০১৬)
41.
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (২০১৯) : বাংলাদেশের একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক এর যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট এই ব্যাংকটি পরিচালনা করে। তাদের পরিচালনা পর্ষদে র্যাব সদস্যরাও আছে। বর্তমানে ব্যাংকটি ৬৭ টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় পুলিশ প্লাজা কনকর্ড, গুলশান ১, ঢাকায় অবস্থিত। এর মাধ্যমে সারা দেশের পুলিশ সদস্যের বেতন দেওয়া হবে।
42.
বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক (২০২১)
43.
পিপলস ব্যাংক লিমিটেড : ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং তার মা শিরিন আক্তার ব্যাংকটির পরিচালক পদে আছেন।
1.
স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড (১৯০৫): বাংলাদেশে প্রথম বিদেশী ব্যাংক। বাংলাদেশে প্রথম মাস্টার কার্ড ও টেলি-ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে।
2.
হাবিব ব্যাংক (১৯৭৬)
3.
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (১৯৭৫)
4.
কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলোন লিমিটেড (২০০৩)
5.
ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান লিমিটেড (১৯৯৩)
6.
সিটি ব্যাংক এন.এ (১৯৯৫)
7.
উরি ব্যাংক (১৯৯৬)
8.
হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেড (HSBC) (১৯৯৬)
9.
ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড (২০০৫)
1.
আনসার ভিডিপি ব্যাংক (১৯৯৬)
2.
কর্মসংস্থান ব্যাংক (১৯৯৮): ১৯৯৮ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কর্মসংস্থান ব্যাংক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঋণ দেয়।
3.
জুবিলী ব্যাংক
4.
গ্রামীণ ব্যাংক
5.
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক
সীমান্ত ব্যাংক : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড (Shimanto Bank Limited) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। ব্যাংকটির মালিক রাইফেলস কল্যাণ সংস্থা। পদাধিকার বলে ব্যাংকটির প্রধান। বিজিবি'র মহাপরিচালক।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক : ২২ জুন ২০১৬ একযোগে দেশব্যাপী বিশেষায়িত এ ব্যাংকের ১০০ শাখায় কার্যক্রম শুরু হয়। ৩০ জুন ২০১৬ একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প শেষ হওয়ার পর পুরো প্রকল্পটি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়। বিলুপ্ত প্রকল্পের অনিষ্পন্ন কাজ ব্যাংক বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের সদস্য রয়েছে ২৪ লাখ। প্রকল্পের সমিতি ও সদস্যদের নির্ধারিত মেয়াদ এবং শর্তসাপেক্ষে জামানতসহ বা ছাড়া ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।
এজেন্ট ব্যাংকিং: যেখানে ব্যাংকের কোনো শাখা নেই বা শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা অধিক ব্যয়বহুল ও অলাভজনক, এ রকম দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌছে দিতে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য নতুন করে আরো দুটি ব্যাংককে লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক দুটি প্রাইম ব্যাংক এবং NRB গ্লোবাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮টি। তবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ২৪টি ব্যাংক।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক : বিদেশগামী কর্মী ও প্রত্যাগত কর্মীদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান এবং সহজে দেশে রেমিট্যান্স আনয়নের লক্ষ্যে ২০ এপ্রিল ২০১১ চালু হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিদেশ গমনেচ্ছুদের জন্য অভিবাসন ঋণ এবং বিদেশ ফেরতদের জন্য পুনর্বাসন ঋণ দিয়ে আসছিল। ব্যাংকটির মূল ঋণ প্রোডাক্টই এ দুটি তফসিলভুক্ত না হওয়ায় এ ব্যাংকটি গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো আমানত সংগ্রহ করতে পারেনি। তবে এবার তফসিলভুক্ত হওয়ায় ব্যাংকটি প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ এবং সব শ্রেণির গ্রাহক থেকে আমানত সংগ্রহ করে প্রবাসীদের মাঝে বিতরণের সুযাগে পাবেন। ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসার উদ্যোগ শুরু করে ব্যাংকটি।
ডিজিটাল ব্যাংক: নতুন প্রজন্মের আর্থিক চাহিদা পূরণে 'ডিজিটাল ব্যাংক' চালুর উদ্যোগ নেয় বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার জন্য নতুন একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এটি হবে ব্যাংক এশিয়ার একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, যার ৫১% শেয়ারের অংশীদার হবে। ব্যাংকটি বাকি শেয়ারের অংশীদার বিদেশি প্রযুক্তিবিদ, প্রতিষ্ঠান ও লেনদেন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক এশিয়া নতুন ধারার এ ব্যাংক চালু করবে।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ : বাংলাদেশ পুলিশের নতুন বাণিজ্যিক ব্যাংক 'কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ'। কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড একটি তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৫৯ তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে এটি যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় পুলিশ প্লাজা কনকর্ড, গুলশান ১, ঢাকায় অবিস্থত। বর্তমানে ব্যাংকটি ৬৭টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দিচেছ। পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রচলিত অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতোই এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সব ধরনের গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে এ ব্যাংকে। তবে পুলিশ সদস্যরা স্বল্পসুদে ঋণ নেয়ার সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকটির শহরে ৫০% ও মফস্বলে ৫০% শাখা হবে।
·
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (Non-Bank Financial Institution): বাংলাদেশে বর্তমানে লাইসেন্স প্রাপ্ত অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৪টি।
·
ডাচ বাংলা ব্যাংক ৩১ মার্চ ২০১১ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে। উল্লেখ, DBBL ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো Rocket. Brac ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো Bkash. UCBL ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হলো Ucash.
·
বর্তমানে দেশে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক ১১টি।
·
১ জানুয়ারি ২০২১ পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লি.।
·
১৬ নভেম্বর ২০২০ কোন রাষ্ট্রীয় ও মালিকানাধীন ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি চালু করে: রূপালী ব্যাংক লিমিটেড।
গ্রামীণ ব্যাংক (Grameen Bank):
·
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
·
পরীক্ষামূলক যাত্রা: ১৯৭৬ সালে ক্ষুদ্র ও কৃষি ঋণদানের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে চালুকৃত প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয় চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে।
·
ব্যাংক হিসেবে যাত্রা: ১৯৮৩ সালের ২ অক্টোবর।
·
উদ্দেশ্য: গ্রামের দরিদ্র, ভূমিহীন পুরুষ ও মহিলাদের জামানত ছাড়া ঋণ (ক্ষুদ্রঋণ) সুবিধা প্রদান করা।
·
২০০৬ সালে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখায় গ্রামীন ব্যাংক এবং ড. মুহাম্মদ ইউনুস যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
·
বাংলাদেশের বাইরে গ্রামীণ ব্যাংক তার কার্যক্রম চালায় মালয়শিয়ায়।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন : সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সাধারণ বা নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতক্ষ্য নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এটি ১৯৭৩ সালের ১৪ মে বীমা কর্পোরেশন আইন ১৯৭৩ এর অধীনে গঠিত হয়।
ঋণ গ্রহণ : নিম্ন আয়, মধ্যম আয় এবং উচ্চ আয় প্রতিবছর এই তিন ধরনের দেশের তালিকা করে বিশ্বব্যাংক। মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে নিম্ন মধ্যম আয় ও উচ্চ মধ্যম আয় এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (IDA) কাছ থেকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো সহজ শর্তে ঋণ পায়। বাংলাদেশ IDA তহবিলের সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা।
·
'বীমা কর্পোরেশন বিল ২০১৯' জাতীয় সংসদে পাস হয় ৩০ এপ্রিল ২০১৯।
·
বর্তমানে দেশে মোট বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৮১টি।
·
অগ্নি বীমার জনক- নিকোলাস বারবন।
·
IDRA
( Insurance Development and Regulatory Authority ) : Insurance Development and Regulatory Authority বা বাংলাদেশের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হল ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারী সংস্থা ।