বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বাংলাদেশ বিষয়াবলী

বাংলায় ঔপনিবেশিক শাসন

ভারতবর্ষে বাণিজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে (১৬০০ সালে) The British East India Company ইংল্যান্ডে স্থাপিত হয়। Dutch East India Company ( ১৬০২ সালে)। ১৬১৬ সালে বাংলায় প্রবেশ করলেও ব্রিটিশদের সাথে টিকে থাকতে না পেরে কিছুকাল পরে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার দিকে চলে যায়। ফরাসিরা French East India Company প্রতিষ্ঠা করে (১৬৬৪ সালে) বাংলায় প্রবেশ করে তবে ইংরেজদের সাথে তিন দফা যুদ্ধে হেরে তারাও প্রায় একশ বছরের বাণিজ্য গুটিয়ে ইন্দোচীনের দিকে চলে যায়।

 

বাংলায় ইউরোপীয়দের আগমন

১৯৪৮ সালে ইউরোপের যুদ্ধরত বিভিন্ন দেশের মধ্যে ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি (Thirty Years War) সমাপ্তি ঘটে এই শান্তিচুক্তির মাধ্যমে। এটি সম্পাদিত হওয়ার পর শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে ইউরোপীয় বিভিন্ন জাতি নতুন উদ্যমে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। এদের অধিকাংশের লক্ষ্য ছিল প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ ভারতবর্ষ (জম্বুদ্বীপ)|

 

পর্তুগিজ

ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার (১৪৮৭ সালে) পর্তুগিজরা। ১৪৮৭ সালে বার্ণলোমিউ দিয়াজ উত্তমাশা অন্তরীপে পৌঁছান। ভাস্কো দা গামা আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত উত্তমাশা অন্তরীপ (Cape of Good hope) হয়ে ১৪৯৮ সালে ভারতবর্ষে আসেন ভাস্কো দা গামা। ভারতে আসতে ভাস্কো দা গামা আরব নাবিকদের সাহায্য নেন। তিনি কালিকট বন্দরে পৌঁছান। পর্তুগিজ জলদস্যুদের বলা হত- হার্মাদ। ভারতে পর্তুগিজদের প্রথম গভর্নর ছিলেন- আলবুকার্ক। ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরা প্রথম ভারতে আসে ও ঘাঁটি স্থাপন ১৫১৬ সালে। ভারতে পর্তুগিজ বা ইউরোপীয়দের প্রথম দুর্গ ছিল কোচিনা। তারা বাংলায় 'ফিরিঙ্গি' নামে পরিচিত ছিল।

 

ওলন্দাজ

ওলন্দাজরা বাংলায় আসে ১৬০২ সালে। নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ডের অধিবাসীদের বলা হয় ওলন্দাজ বা ডাচ। উপমহাদেশে তাদের বণিকদের মসলার শ্রেষ্ঠ ব্যবসা গড়ে তোলে। পরবর্তীতে তারা ইন্দোনেশিয়াতে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।

 

ইংরেজ

কলকাতা নগরীর প্রতিষ্ঠাতা জব চার্নক। ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করে ১৬০০ সালে। বাংলায় ইংরেজরা প্রথম কুঠি স্থাপন করেন ১৬০২ সালে পিপিলাই (উরিষ্যা)। ইংরেজরা কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণ করেন ১৭০০ সালে। ফররুখশিয়া কোম্পানিকে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার অধিকার দেন ১৭১৭ সালে। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানী লাভ করেন ১৭৬৫ সালে দ্বিতীয় শাহ আলমের সময়ে, মাত্র বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।

 

দিনেমার

ডেনমার্কের অধিবাসীদের বলা হয় ডেনিশ বা দিনেমার। ডেনিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করে ১৬১৬ সালে। দিনেমাররা তাদের বানিজ্যকুঠি বিক্রি করে দেন ইংরেজদের কাছে।

 

ফরাসি

ইউরোপীয়দের মধ্যে ফরাসিরা সবার শেষে আসে ১৬৬৮ সালে। ফরাসিরা সর্বপ্রথম ভারতে বাণিজ্য কুঠির স্থাপন করে- সুরাটে। ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৬৪ সালে । ফরাসিরা শ্রেষ্ঠ ফ্যাক্টরি/কুঠি নির্মাণ করে চন্দন নগরে। ইংরেজরা চন্দন নগর কুঠি দখল করে ১৭৫৭ সালে । পুণ্ডিচেরী নামক ফরাসি উপনিবেশটি স্থাপন করে ফ্রাঁসোয়া মার্টিন।

 

ইংরেজ গভর্নরের পদবিন্যাস

গভর্নরঃ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীন শাসকদের বলা হতো গভর্নর। প্রথম গভর্নর লর্ড ক্লাইভ (১৭৬৫-১৭৭২)এবং সর্বশেষ গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭২-১৭৮৫)।

গভর্নর জেনারেলঃ ভারত শাসন সংক্রান্ত Regulating Act (১৭৭৩) এর মাধ্যমে কার্যকর হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসক তবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধীনস্ত ছিল। প্রথম গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস (১৭৭২-১৭৮৫)এবং সর্বশেষ গভর্নর ছিলেন লর্ড ক্যানিং (১৮৫৬-১৮৫৮)।

ভাইসরয়ঃ রাণী ভিক্টোরিয়ার অধীনস্ত শাসনকর্তাকে ভাইসরয় বা বড় লাট বলা হয়। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের ফলশ্রুতিতে কোম্পানির শাসন বিলুপ্ত করা হয় ১৯৫৮ সালে। ১৮৫৮ সালেই রাজপ্রতিনিধি হিসাবে ভাইনরা পন চালু করা হয়। প্রথম ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং (১৮৫৮-১৮৬২) এবং সর্বশেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন (মার্চ ১৯৪৭ - আগস্ট ১৯৪৭)।

 

ইংরেজদের কার্যক্রম পর্যালোচনা

 

রবার্ট ক্লাইভ

রবার্ট ক্লাইভ ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাপতি এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদী। তিনি ভারত উপমহাদেশে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা করেন। তার উপাধি ছিল পলাশীর প্রথম ব্যারন। পলাশীর যুদ্ধে তার নেতৃত্বে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাদল বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যদলকে পরাজিত করে।

 

কোম্পানির দেওয়ানি লাভ-১৭৬৫

রবার্ট ক্লাইভ উপমহাদেশের প্রথম ইংরেজ গভর্নর। ক্লাইভ দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের সাথে এলাহাবাদে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বাৎসরিক মাত্র ২৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেওয়ানি প্রদান করেন। এই চুক্তির ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে।

 

 

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা

দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের নিকট দেওয়ানি লাভের পর বাংলার নবাবী শাসন ধূলিসাৎ হয়।

নবাবকে বৃত্তিভোগীতে পরিণত করে রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন প্রবর্তন করেন ১৭৬৫ সালে।

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থায় বাংলার নবাবের উপর শাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

ক্লাইভ রাজস্ব আদায় ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব ন্যস্ত করেন কোম্পানির উপর।

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার মারাত্মক পরিণতি হল ছিয়াত্তরের মন্বস্তর।

 

 

 

লর্ড কারটিয়ার

ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন লর্ড কার্টিয়ার। 

ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের (১১৭৬ বঙ্গাব্দ) বা ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দঃ 

দ্বৈত শাসনের আওতায় রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব পেয়ে ইংরেজরা প্রজাদের উপর অতিরিক্ত কর আদারে অত্যাচার শুরু করে। অতিরিক্ত করের চাপে যখন জনগণ ও কৃষকের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা একই সময়ে তিন বছর অনাবৃষ্টির ফলে খরায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। নেমে আসে দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাস। দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ লোক অনাহারে মারা গেলেও কোম্পানি করের বোঝা কমানোর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এই দুর্ভিক্ষে বাংলার প্রায় এক তৃতীয়াংশ (এক কোটি) লোকের মৃত্যু হয়। ইতিহাসে এটি ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত।

 

রেগুলেটিং অ্যাক্ট, ১৭৭৩

দ্বৈত শাসন ব্যবস্থায় ইংরেজ কোম্পানির অত্যাচার নিপীড়নের বিভিন্ন দিক ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ইংল্যান্ডে দ্বৈত শাসনের বিরুদ্ধে তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এজন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সুপারিশক্রমে ভারত শাসন সংক্রান্ত রেগুলেটিং অ্যাক্ট, ১৭৭৩ কার্যকর করা হয়। এর ফলে কোম্পানির গভর্নরের পদ গভর্নর জেনারেল পদে উন্নীত হয় ।

 

বাংলা প্রেসিডেন্সি গভর্নর জেনারেলের শাসন

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#অবিভক্ত বাংলার সর্বশেষ গভর্নর ছিলেন-

স্যার জন হার্বাট

এন্ডারসন

আর জি কেসি

স্যার এফ ব্যারােজ

 

ওয়ারেন হেস্টিংস(১৭৭২-১৭৮৫)

ওয়ারেন হেস্টিংস ছিলেন প্রথম গভর্নর জেনারেল।

১৭৭২ সালে সর্বপ্রথম রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন এবং দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।

তিনি ১৭৭০ সালে পাঁচশালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন এবং ১৭৮০ সালে কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি মুর্শিদাবাদ থেকে রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তর করেন।

ওয়ারেন হেস্টিংস আইন-ই-আকবরী গ্রন্থটি ইংরেজিতে অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এন্ডমন্ড বার্ক ওয়ারেন হেস্টিংসকে মানবজাতির শত্রু বলে উল্লেখ করেন।

 

লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৮৫-১৭৯৮)

লর্ড কর্নওয়ালিস সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রথম বিধি বিধান চালু করেন।

পরবর্তীকালে, গর্ত ক্যানিং এর সময়ে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস নামে প্রচলিত হয়।

তিনি ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় দশ শালা বন্দোবস্ত চালু করেন।

১৭৯৩ সালে তিনি দশ শালা বন্দোবস্তকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলে ঘোষণা দেন।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে জমির মালিক হয় জমিদারগণ।

সূর্যাপ্ত আইনের কারণে নির্দিষ্ট দিনে রাজস্ব প্রদানে ব্যর্থ হলে জমিদারি নিলামে তোলা হত।

 

লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮-১৮০৫)

সাম্রাজ্য বিস্তারে লর্ড ওয়েলেসলি কর্তৃক গৃহীত নীতির নাম অধীনতামূলক মিত্রতা।

টিপু সুলতানের সাথে লর্ড ওয়েলেসলির যুদ্ধ হয় ১৭৯৯ সালে।

তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা (১৮০০ খ্রিস্টাব্দে) ।

ভারতে ওয়েলেসলির শাসনামলে সম-সাময়িক ইউরোপের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (ফ্রান্স)।

 

ডেভিড হেস্টিংস (১৮১৩-১৮২৩)

ডেভিড হেস্টিংস ১৮১৭ সালে কলকাতা হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন

 

 

ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয়ের শাসন

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক (১৮৩৩-১৮৩৫)

১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সতীদাহ প্রথা বাতিল করেন।

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক রাজা রামমোহন রায়ের সহযোগিতা লাভ করেন জঘন্য সতীদাহ প্রথা সংস্কারে।

১৮৩৫ সালে ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে সর্বপ্রথম ম্যাকলে শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন বেন্টিঙ্ক।

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সরকারি অফিস আদালতে ফারসি ভাষার বদলে ইংরেজি ভাষা চালু করেন।

 

লর্ড ডালহৌসি(১৮৪৮-১৮৫৬)

সাম্রাজ্যবাদী লর্ড ডালহৌসি "স্বত্ব বিলোপ নীতি' প্রবর্তন করেন।

১৮৫০ সালে প্রথম কলকাতায় টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন করেন।

১৮৫৩ সালে তিনি উপমহাদেশে প্রথম রেলপথ ব্যবস্থা চালু করেন (হাওরা-হুগলি)।

বাংলাদেশে প্রথম রেলপথ স্থাপন করেন ১৯৬২ সালে (দর্শনা-কুষ্টিয়া)।

বিশ্বের প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয় লন্ডনে ১৮২৫ সালে।

১৮৫৬ সালে (The Hindu Widows Re-marriage Act) পাস করে ।

হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন পাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

ক্যানিং (১৮৫৮-১৮৬২)

উপমহাদেশের সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল ক্যানিং ।

ক্যানিং উপমহাদেশের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন।

তিনি উপমহাদেশে কাগজের মুদ্রা চালু করেন- ১৮৫৭ সালে।

ক্যানিং এর আমলে ১৮৫৭ সালে উপমহাদেশে সিপাহি বিদ্রোহ হয়।

১৮৬১ সালে লর্ড ক্যানিং উপমহাদেশে পুলিশ সার্ভিস ও ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস চালু করেন।

জমিদারদের থেকে রায়তদের রক্ষার্থে (Tenancy Act 1885) পাশ করেন।

 

 

লর্ড মেয়ো (১৮৬৯-১৮৭২)

ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম আদমশুমারি পরিচালিত হয় লর্ড মেয়ো এর সময় ।

প্রথম আদমতমারি পরিচালিত হয় ১৮৭২ সালে।

লর্ড মেয়ো একমাত্র ভাইসরয় যিনি খুন হন।

 

লর্ড লিটন (১৮৭৬-১৮৮০)

লর্ড লিটন ১৮৭৮ সালে অস্ত্র আইন (The Arms Act) পাস করেন।

তিনি ১৮৭৮ সালে সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act) করে কথা বলার অধিকার হরণ করে।

 

লর্ড রিপন (১৮৮০-১৮৮৪)

লর্ড রিপন ১৮৮১ সালে শ্রমিক কল্যাণের জন্য ফ্যাক্টরি আইন চালু করে।

১৮৮২ সালে উইলিয়াম হান্টারকে চেয়ারম্যান করে প্রথম ভারতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন লর্ড রিপন।

সংবাদপত্র আইন রহিত করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রদান করেন।

ভারতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তক লর্ড রিপন।

তিনি ইলবার্ট বিল পাস করেন।

Judge me by my acts and not by my words -লর্ড রিপন

 

স্যার জন লরেন্স (১৮৮৪-১৮৮৮)

স্যার জন লরেন্স ১৮৬৪ সালের ১লা আগস্ট ঢাকা পৌরসভা গঠন করেন।

 

লর্ড কার্জন (১৮৯৯-১৯০৫)

ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ বলা হয় লর্ড কার্জন এর সময়কালকে ।

১৯০৪ সালে তিনি কার্জন হল প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করে লর্ড কার্জন।

ভারতের বৃহত্তম লাইব্রেরি ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরি (কলকাতা )প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

লর্ড হার্ডিঞ্জ (১৯১০-১৯১৬)

বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ।

১৯১১ সালে ১২ ডিসেম্বর রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লিতে আগমন উপলক্ষে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়।

তিনি ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করেন।

১৯১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নাথান কমিশন (১৩) গঠন করেন।

১৯১২ সালে সারদা পুলিশ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন লর্ড হার্ডিঞ্জ।

১৯১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ (রেলসেতু) নির্মাণ করেন।

 

চেমস (১৯১৬-১৯২১)

মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন (১৯১৯) প্রণীত হয় যা ভারত শাসন আইন নামে পরিচিত।

এই আইন মোতাবেক, কেন্দ্রীয় আইনসভা ছিল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট।

দ্বৈতশাসন নীতি কার্যকর থাকলেও গভর্নরের হাতে ছিল প্রকৃত ক্ষমতা।

এজন্য জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবী পূরণ হয়নি।

 

লর্ড রিডিং (১৯২১-১৯২৬)

লর্ড রিডিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ১৯২১ সালে।

 

লর্ড আরউইন (১৯২৬-১৯৩১)

লর্ড আরউইন সাইমন কমিশন প্রতিষ্ঠা করেন ১৯২৭ সালে।

তিনি প্রথম গোল টেবিল বৈঠক আয়োজন করেন ১৯৩০ সালে।

 

উইলিংডন (১৯৩১-১৯৩৬)

উইলিংডন ভারত শাসন আইন (১৯৩৫) প্রণয়ণ করেন।

 

লর্ড লিনলিথগো (১৯৩৬-১৯৪৩)

লর্ড লিনলিথগো প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন প্রদান করেন ১৯৩৭ সালে ।

লর্ড লিনলিথগো উপমহাদেশে ক্রিপস মিশন (১৯৪২) প্রেরণ করে।

 

লর্ড ওয়াভেল (১৯৪৩-১৯৪৭)

তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ(১৯৪৩)/পঞ্চাশের মন্বন্তর(১৩৫০) এর সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। ১৯৪০ সালের ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ১৯৪২ সালে বার্মা (মায়ানমার) দখল করলে চাল আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যায়।

 

সমসাময়ীক গ্রন্থঃ মধুশ্রী মুখোপাধ্যায়ের Churchill's Secret War, বিভূতিভূণের উপন্যাসঃ "অসনি সংকেত'। চলচিত্রঃ সত্যজিৎ রায়ের 'অসনি সংকেত' (১৯৭৩), মৃণাল সেনের 'আকালের সন্ধানে' (১৯৭০)। চিত্রকর্মঃ জয়নুল আবেদীনের 'ম্যাডোনা-৪৩'

 

 

লর্ড মাউন্টব্যাটেন (মারচ-আগস্ট, ১৯৪৭)

১৯৪৭ সালের ৩ জুন মাউন্টব্যাটেন ভারতবর্ষকে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র করার পরিকল্পনা করেন, যা 'মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা' নামে পরিচিত।

তিনি সাইরিল ব্র্যাডক্লিফকে দুটি সীমানা কমিশনের চেয়ারম্যান করেন ।

১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ‘ভারত স্বাধীনতা আইন’ পাশ হয়।

 

বঙ্গভঙ্গ

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#বঙ্গভঙ্গ কর্যকর হয় কোন সালে?

১৯০৫

১৯০৬

১৯০৪

১৯০৭

 

 

#বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন জানায়-

চিত্তরঞ্জন দাস

নবাব সলিমুল্লাহ

এ কে ফজলুল হক

মৌলভি আবদুল রসুল

সাধারণ জ্ঞান বঙ্গভঙ্গ

 

#বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?

১৯০৫

১৯১৬

১৯২৩

১৯১১

 

#বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?

লর্ড কার্জন

লর্ড মাউন্টব্যাটেন

লর্ড বেন্টিংক

লর্ড ক্যানিং

 

#বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কত সালে?

১৯০৫

১৯১১

১৯০৬

১৯১৩

 

 

 

পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ

১৯০৩ সালের ব্রিটিশ সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ আইন কার্যকর হয়। বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি রাজাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ ।

 

পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশঃ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও বৃহত্তর আসাম নিয়ে গঠিত। এর রাজধানী করা হয় ঢাকাকে। প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন- বামফিল্ড ফুলার।

পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশঃ পশ্চিম বাংলা, বিহার, উরিষ্যা নিয়ে গঠিত হয়। পশ্চিম বঙ্গ প্রদেশের রাজধানী ছিল- কলকাতা।

১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লির দরবারে আগমন উপলক্ষে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।

১৯১২ সালের ১লা জানুয়ারি দুই বাংলাকে আবার যুক্ত করে নাম দেওয়া হয় বেঙ্গল বিভাগ।

 

পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গ রদের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মুসলিম সমাজের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ায় ১৯১২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। ভাইসরয়ের সাথে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, এ. কে. ফজলুল হক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ অঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯১২ সালের ২৭শে মে গঠিত হয় ব্যারিস্টার রবার্ট নাথানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা ইউনিভার্সিটি কমিটি যেটি পরিচিতি পায় নাথান কমিশন' নামে। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট । ১৯২১ সালের ১লা জুলাই কলা, বিজ্ঞান ও আইন এই ৩ অনুষদ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করে লর্ড রিডিং এর আমলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন স্যার জে. হার্টজ।

 

#কুসুম্বা মসজিদ অলংকরণের মাধ্যম –

পোড়ামাটির ফলক

স্টাকো

ফ্রেসকো

পাথর খোদাই

সবগুলো বিষয় একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

 

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি কে? (Who is the architect of Dhaka University?)

Konstantinos Doxiadis

Mazharul Islam

Nawab Salimullah

Lila Nag

 

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ভাইস চ্যান্সেলর কে ছিলেন?

এম আর খান

মুহাম্মদ আবদুল হাই

স্যার হাসান আবদুল করিম

স্যার এফ রহমান

 

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত

লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৯৩ সালে (২৩ মার্চ) বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রর্বতন করা হয় কোন সালে?

১৭৫৭ সালে

১৭৭০ সালে

১৭৯৩ সালে

১৮৫৭ সালে

#চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ প্রবর্তন করেন কে?

ওয়ারেন হেস্টিংস

লর্ড ক্লাইভ

লর্ড কর্নওয়ালিশ

লর্ভ ডালহৌসি

#কত সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অবসান হয়?

১৯০৫

১৯৫০

১৯৭২

১৯৪৭

#বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয় কোন সালে?

১৭০০

১৭৫৭

১৭৬৫

১৭৯৩

#কার সময় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়?

লর্ড ক্লাইভ

লর্ড কর্ণওয়ালিস

লর্ড মেয়ার

ওয়ারেন হেস্টিংস