যা যা থাকছে এই পর্বে
বিভিন্ন দেশের গেরিলা সংগঠন
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট
বিভিন্ন দেশের গেরিলা সংগঠন
গেরিলা সংগঠন হলো এক ধরণের সশস্ত্র সংগঠন যারা অনিয়মিত যুদ্ধের কৌশল ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে অথবা একদল সশস্ত্র সংঘবদ্ধ জনগোষ্ঠী যারা নিজেদের স্বাধীনতা বা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এমনভাবে লিপ্ত থাকে যাতে করে প্রতিপক্ষের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে অনিয়মিত কেীশলী পন্থা অবলম্বন করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা । বিশ্বে এরকম অনেক গেরিলা সংগঠন রয়েছে ।
গেরিলা সংগঠনের নাম |
Key Notes |
পি.এল.ও (PLO) |
● প্যালেস্টাইনের বিখ্যাত গেরিলা সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল। |
ফাতাহ (Fatah) |
● ফাতাহ শব্দের অর্থ বিজয়। |
ব্লাক সেপ্টেম্বর (Black September) |
● প্যালেস্টাইনের একটি গেরিলা সংগঠন। |
হামাস (Hamas) |
● প্যালেস্টাইনের একটি গেরিলা সংগঠন। |
ফোর্স-১৭ (Force 17) |
● প্যালেস্টাইনের একটি গেরিলা সংগঠন। |
হিজবুল্লাহ (Hezbollah) |
● লেবাননের একটি গেরিলা সংগঠন । |
জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (JKLF) |
● ভারতের জম্মু কাশ্মীরের গেরিলা সংগঠন |
উলফা (ULFA) |
● ভারতের আসামের গেরিলা সংগঠন। |
এন.এল.এফ.টি (NLFT) |
● ভারতের ত্রিপুরার গেরিলা সংগঠন। |
এল.টি.টি.ই (LTTE) |
● শ্রীলঙ্কায় স্বাধীন তামিল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামরত গেরিলা সংগঠন। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ভিলুপিল্লাই প্রভাকরণ ১৮ মে, ২০০৯ শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। |
লস্কর-ই-তৈয়িবা (Lashkar-e-Toiba) |
● পাকিস্তানের গেরিলা সংগঠন । |
তালেবান (Taliban) |
● আফগানিস্তানের গেরিলা সংগঠন |
আল কায়েদা (Al Queda) |
● ইসলামপন্থী একটি গেরিলা সংগঠন।। সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। এই সংগঠনটিকে ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার জন্য দায়ী করা হয়। |
ইউনিটা (UNITA) |
● অ্যাঙ্গোলার গেরিলা সংগঠন। |
আবু সায়েফ (Abu Sayyaf) |
● ফিলিপাইনের মিন্দানাও অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনরত গেরিলা সংগঠন। |
মরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (MNLF) |
● ফিলিপাইনের সুলু, পালাওয়ান এবং মিন্দানাও অংশ নিয়ে স্বাধীন মুসলিম দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামরত একটি গ্রুপ। |
কুর্দীস্তান শ্রমিক দল (PKK) |
● তুরস্কের কুর্দিদের সংগঠন- স্বাধীন কুর্দিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামরত। |
সাইনিং পাথ (Shining Path) |
● পেরুর মাওবাদী গেরিলা গ্রুপ। |
টুপাক আমারু (MRTA) |
● পেরুর বামপন্থী গেরিলা সংগঠন। |
ফার্ক (FARC) |
● কলম্বিয়ার মার্কসবাদী গেরিলা সংগঠন। Revolutionary Armed Forces of Colombia নামে রাজনৈতিক দল পরিচালনা করছে। |
গডস আর্মি (God's Army) |
● মিয়ানমারের গেরিলা সংগঠন। |
M-19 |
● কলম্বিয়ার গেরিলা সংগঠন। |
কন্ট্রা (Contras) |
● নিকারাগুয়ার বিদ্রোহী সংগঠন। |
Nasaka |
● মিয়ানমারের বিদ্রোহী সামরিক বাহিনী |
FMLN |
● এল সালভেদের ভিত্তিক গেরিলা সংগঠন। প্রতিষ্ঠিত হয়: ১০ অক্টোবর, ১৯৮০ |
ফ্যালাগা |
● ফ্যালাগা নামক ঐতিহাসিক গেরিলা সংগঠনটি ১৯৩৫ সালে পোল্যান্ডে গড়ে উঠেছিল। |
আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট হলো একাধিক দেশের মধ্যে গঠিত একটি চুক্তি যার মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এই জোটগুলো সাধারণত একই ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে তৈরি হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানের বাইরেও জোট গঠিত হতে পারে।
SAARC এর পূর্ণরুপ South
Asian Association for Regional Co-operation. বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের নিকটবর্তী দেশসমূহ নিয়ে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গঠনের চিন্তা করেন। এই লক্ষো ১৯৮০ সালের নভেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রস্তাব সম্বলিত একটি সুপারিশ প্রণয়ন করে। ১৯৮১ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ- এ সাতটি দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়। কলম্বো বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গঠনে ঐক্যমত্য প্রকাশ করা হয় এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করা হয়। ১৯৮৫ সালের ৭ ও ৮ ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ৭টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন। ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর সার্ক সনদ স্বাক্ষরিত হয়। সার্ক সনদে ৮টি লক্ষ্য স্থির করা হয়। এভাবে জন্ম নেয় সার্ক। সার্কের প্রথম সেক্রেটারী জেনারেল নিযুক্ত হন বাংলাদেশের আবুল আহসান (৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫-১৯৮৯ সাল)। সার্কের সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। সার্কের প্রথম নারী মহাসচিব ফাতিমা দিয়ানা (মালদ্বীপ) [২০১১-২০১২] । ১৩তম মহাসচিব আমজাদ হোসেন সিয়াল (পাকিস্তান) ০১.০৩.২০১৭-বর্তমান।
এ পর্যন্ত ঢাকায় তিনবার সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যথা- প্রথম শীর্ষ সম্মেলন (১৯৮৫), সপ্তম শীর্ষ সম্মেলন (১৯৯৩) এবং ত্রয়োদশ শীর্ষ সম্মেলন (২০০৫)। সার্কভুক্ত ৭ টি দেশ হচ্ছে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। ২০০৭ সালের মার্চে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সার্কের সভায় আফগানিস্তানকে অষ্টম দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় । সার্কের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে ৮টি দেশকে যথাঃ চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, মরিশাস, মায়ানমার, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সার্কের মূলনীতি :
ক) এ সংস্থার যে কোন সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হবে।
খ) দ্বিপক্ষীয় বিরোধ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো এ সংস্থার সভায় তোলা যাবে না।
সার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ : সার্কভুক্ত দেশসমূহের সহযোগিতার ক্ষেত্র ১৩টি। ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- কৃষি, পল্লী উন্নয়ন, আবহাওয়া, টেলিযোগাযোগ, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সংক্রান্ত কর্মতৎপরতা, পরিবহণ, ডাক সার্ভিস এবং ক্রীড়া শিল্প ও সংস্কৃতি।
সাপটা
(SAPTA): SAPTA এর পূর্ণরূপ হলো SAARC
Preferential Trade Aggrement। ১৯৯৩ সালের ১১ এপ্রিল সার্ক নেতৃবৃন্দ সাপটা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস সাপটার প্রধান লক্ষ্য। ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর সাপটা চুক্তি কার্যকর হয়।
সাফটা
(SAFTA): SAFTA এর পূর্ণরূপ South
Asian Free Trade Area। দক্ষি এশিয়ার দেশগুলোর অবাধ বাণিজ্যের লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি সাফটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৬ সালের ১ জুলাই সাফটা চুক্তি কার্যকর হয় ।
২ জানুয়ারি ১৯৯৫ ঢাকায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র। কিন্তু খরচ কমাতে ২২ নভেম্বর ২০১৪ সার্কের ৪৯তম প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠকে ৪টি কেন্দ্র একীভূত করে নতুন একটি কেন্দ্র গঠন এবং ৩টি কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করা হয়। এ সুপারশের প্রেক্ষিতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় সার্কের ৪টি কেন্দ্র সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র
(SMRC), সার্ক দুর্যোগ মোকাবিলা কেন্দ্র (SDMC), সার্ক উপকূল ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র
SCZMC) ও সার্ক বনায়ন কেন্দ্র (SEC)। বন্ধ হয়ে যাওয়া এ ৪টি কেন্দ্রের কার্যাবলি সমন্বয় করে আত্মপ্রকাশ করবে সার্ক পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র
(SAARC Environment and Disaster Management Centre, SEDMC)। এর সদর দপ্তর হবে নয়াদিল্লি, ভারত।
·
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েকটি দেশকে নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট।
·
২০ বছর পূর্তি হয় - ২০১৭ সালে
·
বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পঞ্চদশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় - নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে; ১১ আগস্ট ২০১৭
·
সংস্থাটির দ্বিতীয় মহাসচিব। বাংলাদেশের কূটনীতিক এম শহীদুল ইসলাম (তিন বছরের জন্য)। ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা এম শহীদুল ইসলাম শ্রীলংকার সুমিত নাকনিডালার স্থলাভিষিক্ত হন।
·
সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মাইথ্রিপালি সিরিসেনা (শ্রীলংকা)।
·
সর্বশেষ (৪র্থ) শীর্ষ সম্মেলন: ২৪-৩১ আগস্ট ২০১৮ – কাঠমান্ডু, নেপাল।