যা যা থাকছে এই পর্বে
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম
আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সনদ সমূহ
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম | Name of intelligence agency
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল:
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম
দেশ |
গোয়েন্দা সংস্থার নাম |
যুক্তরাষ্ট্র |
● সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (Central Intelligence Agency)-C.I.A: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এর সদর দপ্তর অবস্থিত। |
যুক্তরাজ্য |
● সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস-Secret Intelligence
Service (SIS) বা, Military Intelligence, Section 6 (M16) |
রাশিয়া |
● ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (Foreign
Intelligence Service)- SVR, FSB |
ফ্রান্স |
● General
Directorate of External Security (DGSE) |
চীন |
● মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি (Ministry of State Security)- MSS |
জাপান |
● নাইচো (Naicho) |
মিশর |
● মুখবরাত (Mukhabarat) |
ইসরায়েল |
● মোসাদ (Mossad) |
ভারত |
● দ্য রিসার্চ এন্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW) |
পাকিস্তান |
● ইন্টার সার্ভিস ইন্টিলিজেন্স (Inter-Services Intelligence)- ISI |
ইরান |
● ভিভাক (VEVAK) |
কোন দেশের |
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা |
প্রতিষ্ঠিত হয় |
১৯০৮ সালে |
প্রতিষ্ঠাতা |
মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট |
বর্তমান পরিচালক |
ক্রিস্টোফার রে (২ আগস্ট ২০১৭ থেকে) |
☞ Central Bureau of
Investigation ভারতের একটি গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থা যা একযোগে দেশের প্রধানমন্ত্রী ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
ইন্টারপোল (Interpol)
পরিচিতি |
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা |
নামকরণ |
এটির নামকরণ করা হয়েছে International-এর Inter এবং Police-এর Pol নিয়ে |
অফিসিয়াল নাম |
International
Criminal Police Organization (ICPO) |
প্রতিষ্ঠাকাল |
১৯২৩ সালে |
সদর দপ্তর |
লিও, ফ্রান্স |
সদস্য |
১৯৪টি দেশ |
উইকিলিকস (Wikileaks)
পরিচিতি |
International
Journalistic organisation which publishes secret information |
প্রতিষ্ঠাতা |
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) [ ইকুয়েডর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। ] |
প্রতিষ্ঠাকাল |
৪ অক্টোবর ২০০৬ |
আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সনদ বলতে দুটি বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে লিখিত চুক্তিকে বোঝায় যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা স্থাপন করে। চুক্তি ও সনদের মূল উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধি । এগুলো বিভিন্ন রকম হতে পারে যেমন- দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি , তিন বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে বহুপাক্ষিক চুক্তি অথবা আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারা প্রণীত নীতিমালা বা সনদ সমূহ ।
ইউরোপের দেশগুলো ১৬১৮-১৬৪৮ সাল পর্যন্ত ৩০ বছর ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলো। এই যুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষ্যে ১৬৪৮ সালের ২৪ অক্টোবর জার্মানির ওয়েস্টফেলিয়া নামক স্থানে একটি চুক্তি স্বাক্ষরত হয়। এটিই ওয়েন্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮ নামে পরিচিত।
১৮৪২ সালে নানকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার ফলে হংকংকে ব্রিটিশ কলোনি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে ১লা জুলাই ১৯৯৭ তে চীনের অধীনে হস্তান্তর করা হয়।
১৭৮৩ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসানের জন্য যে সকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাদেরকে একত্রে ' পিস অব প্যারিস ' বলা হয়
ক) ৩ সেপ্টেম্বর ১৭৮৩ ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় জর্জের প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সাথে প্যারিসে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যা প্যারিস চুক্তি (১৭৮৩) নামে পরিচিত ।
খ) ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় জর্জের প্রতিনিধি ফ্রান্সের ভার্সাই এ ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই এর প্রতিনিধি এবং স্পেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রতিনিধির সাথে অন্য দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি দুটি একত্রে ভার্সাই চুক্তি নামে পরিচিত।
·
ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান হয়।
·
একে অনেকে ১ম ভার্সাই চুক্তি বলে কিন্তু ১ম ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৭৫৬ সালে ১লা মে অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের মাঝে।
·
প্যারিসের শান্তি ১৭৮৩ : আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান
·
প্যারিস প্যাক্ট ১৯২৮ : শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধকরণ
·
প্যারিস শান্তি চুক্তি, ১৯৭৩ : ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান
·
স্থান : প্যারিস, ফ্রান্স
·
স্বাক্ষরকাল : ২৭ আগস্ট, ১৯২৮
·
বিষয়বস্তু : আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধকরণ
·
স্থান : প্যারিস, ফ্রান্স
·
স্বাক্ষরকাল : ২৭ জানুয়ারি, ১৯৭৩
·
ফলাফল : ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান
এটি একটি ঐতিহাসিক চুক্তি যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তকারী চূড়ান্ত চুক্তি হিসেবে পরিচিত। ১৯২৩ সালের লুজান চুক্তিতে একদিকে অটোমান সাম্রাজ্যের উত্তরসূরি তুরস্কের প্রতিনিধিরা এবং অন্য দিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, পিস, রোমানিয়া এবং যুগোশ্লাভিয়ার প্রতিনিধিরা ছিলেন সাত মাসের সম্মেলনের পরে ১৯২৩ সালের ২৪ জুলাই সুইজারল্যান্ডের লুজানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মূলত লুজানে স্বাক্ষরিত হয় বলেই এর নাম লুজান চুক্তি তবে এ চুক্তিকে 'শতাব্দী চুক্তি' বলা যায়। (মেয়াদ শত বছর)
এই চুক্তিতে তুরস্কের আধুনিক রাষ্ট্রের সীমানার স্বীকৃতি দেয়া হয়। চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়,
"তুরস্ক তার আগের আরব প্রদেশগুলোর ওপর কোনো দাবি জানাবে না এবং সাইপ্রাসে ব্রিটিশদের দখল এবং ডডেকানিজের ওপর ইতালীয় অধিকারকে স্বীকৃতি দেবে। অন্য দিকে মিত্ররা তাদের তুরস্কের কুর্দিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি পরিত্যাগ করবে। সাথে সাথে তুরস্ক আর্মেনিয়ার স্বত্ব ত্যাগ করবে। আর তুরস্কের ওপর প্রভাব বিস্তার করার দাবি ত্যাগ করবে মিত্র শক্তি এবং তুরস্কের আর্থিক বা সশস্ত্র বাহিনীর ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ চাপাবে না। এজিয়ান সাগর এবং কৃষ্ণ সাগরের মধ্যে বসফরাস প্রণালীতে জাহাজ চলাচলে কোনো ফি নিতে পারবে না তুরস্ক।"
ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ নভেম্বর ১৯১৭ ব্রিটিশ ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বিশাল ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও ব্যাংক লর্ড লিওনেল ওয়াল্টার রথসচাইল্ডকে চিঠি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর। এটাই পরে 'বেলফোর' ঘোষণা হিসেবে অভিহিত হয়। মাত্র ৬৭ শব্দের এ ভয়ানক ঘোষণা আরব আধুষিত মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি। এর মাধ্যমেই আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সূচনা ঘটে। বেলফোর ঘোষণার ৩১ বছর পর ১৪ মে ১৯৪৮ যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পৃষ্ঠপোষকতায় ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে জবরদস্তিমূলকভাবে আত্মপ্রকাশ করে বিতর্কিত রাষ্ট্র ইসরাইল। বেলফোর ঘোষণা ছিল জবরদখলের এক লজ্জাজনক ও দুঃখজনক পদক্ষেপ এ ভয়ানক ঘোষণার কারণে যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে, তা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ।
·
স্থান : ফ্রান্সের ভার্সাই নগরী
·
স্বাক্ষরকাল : ২৮ জুন, ১৯১৯ (কার্যকর: ১০ জানু, ১৯২০)
·
পক্ষসমূহ : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান) এবং জার্মানি
·
ফলাফল : জার্মানি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয়। এটি ২য় ভার্সাই চুক্তি নামে পরিচিত।
·
মানবাধিকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল ম্যাগনাকার্টা। ম্যাগনাকার্টা ল্যাটিন শব্দ। এর অর্থ মহা সনদ
(Great Charter)।
·
ইংল্যান্ডের রাজা জন ১২১৫ সালের ১৫ জুন সামন্তদের চাপে পড়ে রাজার সংক্রান্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
·
একে 'স্বাধীনতার মহাসনদ' (Great Charter of Freedom) বলা হয়। একে ব্রিটিশ 'শাসনতন্ত্রের বাইবেল'ও বলা হয়। স্থান: রানিমেড, উননসর, ইংল্যান্ড।
·
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রচিত হয় ১৭৮৯ সালে এবং অনুমোদিত হয় ১৭৯১ সালে । রচনা করেন ইউএসএ চতুর্থ প্রেসিডেন্ট ও সংবিধানের জনক জেমস মেডিসন ।
·
এই সংবিধানের প্রথম দশটি সংশোধনীকে একত্রে United States bill of rights বলে।
১৬২৮ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত
Petition of Right' আইন পাস হয়
১৬৮৯ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত 'Bill
of Right' আইন পাস হয়। এটি English Bill of Right' নামেও পরিচিত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত দুটি আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং একটি ঘোষণাকে একত্রে
International Bill of Human Rights বলা হয়। যথা-
1. মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা
: ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা গৃহীত হয়। এতে মোট ৩০ টি ধারা আছে। ফ্রান্সের প্যারিসে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে মানুষের সহজাত মর্যাদা, সমতা ও সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১০ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
2. বেসামরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি
: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ২৩ মার্চ, ১৯৭৬ এই চুক্তি কার্যকর হয়।
3. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি
: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩ জানুয়ারি, ১৯৭৬ এই চুক্তি কার্যকর হয়।
·
স্থান : যুক্তরাষ্ট্র (নিউ হ্যাম্পশায়ার এর ব্রেটন উডস শহরে)
·
স্বাক্ষরকাল : ১-২২ জুলাই, ১৯৪৪ (কার্যকর: ২৭ ডিসে. ১৯৪৫)
·
অন্য নাম : ব্রিটন উডস সম্মেলন
·
বিষয়বস্তু : বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ প্রতিষ্ঠা হয়।
·
স্থান : জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
·
স্বাক্ষরকাল : ২৮ জুন, ১৯৪৯
·
অন্য নাম : চারটি রেডক্রস কনভেনশন
1. প্রথম জেনেভা কনভেনশন : যুদ্ধকালীন সময়ে স্থলভূমিতে আহত ও অসুস্থ সৈন্যদের জন্য রক্ষকবচ । কার্যকর: ১৮৬৪ ।
2. দ্বিতীয় জেনেভা কনভেনশন : যুদ্ধকালীন সময়ে জলভূমিতে আহত ও অসুস্থ সৈন্যদের জন্য রক্ষকবচ । কার্যকর: ১৯০৬
3. তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন : যুদ্ধবন্দীদের প্রতি আচরণ সম্পর্কিত। কার্যকর: ১৯৩১
4. চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন : যুদ্ধকালীন সময়ে বেসামরিক লোকদের জন্য রক্ষকরচ। (১৯৪৯) কার্যকর: ১৯৫০ সালে।
·
স্থান : তাসখন্দ, উজবেকিস্তান।
·
স্বাক্ষরকাল : ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৬ ।
·
পক্ষসমূহ : ভারত-পাকিস্তান
·
স্বাক্ষরকারী : ভারতের পক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের পক্ষে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ।
·
মধ্যস্থতাকারী : সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কোসিগান ।
·
ফলাফল : ১৯৬৫ সালে সংঘটিত পাক-ভারত যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি।
·
স্থান : সিমলা, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
·
স্বাক্ষরকাল : ২ জুলাই, ১৯৭২
·
পক্ষসমূহ : ভারত-পাকিস্তান
·
স্বাক্ষরকারী : ভারতের পক্ষে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের পক্ষে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো ।
·
বিষয়বস্তু :
• দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিরোধপূর্ণ বিষয়াবলি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান।
• স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে Line of Control কে দুই দেশের সীমানা হিসাবে নির্ধারণ।।
·
স্বাক্ষরকাল : ১৩ জুন, ১৯৭৫
·
পক্ষসমূহ : ইরাক-ইরান
·
বিষয়বস্তু :শাত-ইল-আরবসহ বিরোধপূর্ণ সীমানা নিয়ে ইরাক-ইরান চুক্তি
·
স্থান : শেনজেন, লুক্সেমবার্গ
·
স্বাক্ষরকাল : ১৪ জুন, ১৯৮৫
·
পক্ষসমূহ : বেলজিয়াম, ফ্রান্স, সাবেক পশ্চিম জার্মানী, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ড ।
·
ফলাফল :
• এটি ইউরোপে জল, স্থল ও আকাশপথে এক ভিসায় বা ভিসা ব্যতীত অবাধ চলাচল সংক্রান্ত চুক্তি। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৯৫ সালের ১৬ মার্চ ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা শুরু হয় (২৬টি দেশের মধ্যে)।
• যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস শেনজেনভুক্ত নয়।
·
স্থান : যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট অবকাশ যাপন কেন্দ্র ক্যাম্প ডেভিডে
·
স্বাক্ষরকাল : ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮
·
পক্ষসমূহ : মিশর ও ইসরাইল
·
স্বাক্ষরকারী ও মধ্যস্থতাকারী : মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত , ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন এবং মধ্যস্থতাকারী তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমিকার্টার
·
বিষয়বস্তু : মধ্যপ্রাচ্য শান্তিপ্রক্রিয়ার রূপরেখা প্রণয়ণ এবং শান্তিস্থাপন
·
নামকরণ : ১৯৯৩ সালের ২০ আগস্ট নরওয়ের রাজধানী অসলোতে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে পি.এল.ও এবং ইসরাইল এই চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
·
পক্ষসমূহ : ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইজ্যাক রবিন , বিল ক্লিনটন এবং ইয়াসির আরাফাত ।
·
ফলাফল : পিএলও-ইসরাইল পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়। ফিলিস্তিনিদের স্বায়ত্তশাসনের রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়।
·
স্থান : উই রিভার, মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র
·
স্বাক্ষরকাল : ২৩ অক্টোবর ১৯৯৮
·
পক্ষসমূহ : পিএলও এবং ইসরাইল
·
স্থান : ম্যাসট্রিচট, নেদারল্যান্ড
·
স্বাক্ষরকাল : ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২
·
কার্যকর হয় : ১ নভেম্বর, ১৯৯৩
ফলাফল :
• এ চুক্তির ফলে 'ইউরোপীয় ইউনিয়ন' এবং ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহের একক মুদ্রা 'ইউরো' চালু হয়।
• ২০০৭ সালের ১৩ ডিগো লিসবনে EU পুনর্গঠন চুক্তি হয়।
• কার্যকর: ১লা ডিসেম্বর ২০০৯
·
স্বাক্ষরকাল : ১৯৯৪
·
স্বাক্ষরকারী :জর্ডানের বাদশা হোসেন ও ইসরাইলের আইজ্যাক রবিন
·
ফলাফল : ৪৬ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান।
·
অন্য নাম : প্যারিস প্রোটোকল, ডেটন-প্যারিস চুক্তি
·
স্থান : প্যারিস, ফ্রান্স
·
নামকরণ : নভেম্বর ১৯৯৫ যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের ডেটনে এ চুক্তির ব্যাপারে মতৈক্য হয় কিন্তু চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয় ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫।
·
মধ্যস্থতাকারী : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন
·
ফলাফল : বসনিয়া সঙ্কট নিরসনের পথ সুগম হয়।
·
স্থান : বেলফাস্ট, নেদারল্যান্ড
·
স্বাক্ষরকাল : ১০ এপ্রিল, ১৯৯৮
·
পক্ষসমূহ : ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড
·
ফলাফল : উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তির জন্য অন্যতম মাইলফলক।
·
পুরো নাম : Convention
on the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women (CEDAW)
·
গৃহীত হয় : ১৯৭৯
·
সনদটি কার্যকর হয় : ১৯৮১ সালে
·
ধারা : ৩০টি ধারা ৬টি ভাগে বিভক্ত।
·
অন্য নাম : সনদটিকে নারীদের আন্তর্জাতিক
"বিল অব রাইটস" বলা হয় ।
আফগানিস্থানে ২০০১-২০২০ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে চলা যুদ্ধ ও সহিংসতা বন্ধে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান। দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্থান থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো।
·
স্বাক্ষরকাল : ২৭ জানুয়ারি, ১৯৬৭
·
কার্যকর হয় : ১০ অক্টোবর, ১৯৬৭
·
বিষয়বস্তু : পৃথিবীর কক্ষপথে, চাঁদ সহ মহাশূন্যের কোন স্থানে পারমাণবিক অস্ত্র বা অন্য কোন গণবিধ্বংসী অস্ত্র স্থাপন করা যাবে না।