বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বাংলাদেশ বিষয়াবলী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম পরিচয়ঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুরের গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর তীরে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার ডাকনাম ছিল রেনু।

 

শিক্ষা জীবনঃ

১৯২৭ সালে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের গিমাভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র জীবন শুরু করেন বছর বয়সে। পরবর্তীতে মাদারীপুর ইসলামীয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষে ১৯৪২ সালে কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ২৪ নং বেকার হোস্টেলে থাকতেন। স্মৃতি স্মরণার্থে বর্তমানে বেকার হোস্টেলের ২৩ নং রুমকে গ্রন্থাকার এবং ২৪নং রুমকে মিউজিয়াম বানানো হয়েছে। ১৯৪৭ সালে তিনি কলকাতা ইসলামীয়া কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইতিহাস বিভাগ থেকে বি. . পাশ করার পর একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এসময় তার বিশ্ববিদ্যালয়ে রোল নম্বর ছিল ১৬৫।

 

 

পারিবারিক জীবনঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ছয় ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয়। চাচাত বোন শেখ ফজিলাতুন্নেছা (ডাকনাম রেনু) কে বিবাহ করেন। তাদের পারিবারিক জীবনে সন্তান ছিল, তিন পুত্র দুই কন্যা।

 

 

শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের পর ১৯৪৫ সালে ইসলামীয়া কলেজ থেকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে পরিচিত।

 

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাঃ

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। ১৯৫৩ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যতম। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সর্ব কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে কৃষি-সমবায় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন।

 

মুসলিম শব্দ বাদঃ

১৯৫৫ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালেই তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।

 

দফা উত্থাপনঃ

১৯৬৬ সালের - ফেব্রুয়ারি লাহোরে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা হিসেবে খ্যাত দফা দাবী পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে ২৩ মার্চ ছয় দফা দাবী উপস্থাপন করেন।

 

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনঃ

১৯৭০ সালের জাতীয় প্রাদেশিক নির্বাচনে যথাক্রমে ১৬৭ ২৯৮ টি আসনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন। পাকিস্তানি সরকারের টালবাহানায় ১৯৭১ সালের মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক যুগান্তকারী মার্চের ভাষণ প্রদান করার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু করেন।

 

গ্রেফতার স্বাধীনতার ঘোষণাঃ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত বা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করার কিছু পরেই রাস্ত :১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের মিয়ানওয়ালী কারাগারে নিয়ে যায়। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে পাক হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধুকে অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।

 

কারাভোগঃ

বঙ্গবন্ধু তার ৫৬ বছরের জীবনে ২১ বারে ১৪ বছর কারা ভোগ করেন যা দিনের হিসেবে হাজার ৬৮২ দিন। উল্লেখ্য যে, তিনি পাকিস্তান আমলে হাজার ৬৭৫ দিন জেলে ছিলেন প্রথম কারা ভোগ করেন ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে দিন।

 

দেশ প্রত্যাবর্তনঃ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ইংল্যান্ড ভারত সফর করে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১০ জানুয়ারিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বলা হয়।

 

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণঃ

১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রধান মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ৭ই মার্চ স্বাধীন দেশের ১ম নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ১৯৩ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলে তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পুনরায় দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে। শপগ্রহণ করেন এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি ডিক্রী জারি করে বাকশাল গঠন করেন

 

বঙ্গবন্ধুর জাতির জনক উপাধিঃ

বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান করেন তোফায়েল আহমেদ - ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। পরবর্তীতে জাতির জনক উপাধি প্রদান করেন- .. আব্দুর রব মার্চ, ১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে। ১৯৭১ সালে এপ্রিল নিউজ উইক সপ্তাহিক ম্যাগ্যাজিন বঙ্গবন্ধুকে Poet of Politics বা রাজনীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে।

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি পদক কবে পান ?

১৯৭৩

 

#বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরঅসমাপ্ত আত্মজীবনীজাপানী ভাষায় অনুবাদকের নাম কি?

কাজুহিরো ওয়াতানাবে

হাইয়ামি ওয়াতানাবে

ইশকাওয়া ওয়াতানাবে

কুনেমিরো গুয়াতানাবে

 

#বাংলাদেশ সংবিধানের কোন তফসিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মার্চের ভাষ্ণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

চতুর্থ

পঞ্চম

ষষ্ঠ

সপ্তম

 

#কোন প্রতিষ্ঠানের জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন?

ভয়েস অব আমেরিকা

ইউনেস্কো

টাইমস অফ ইন্ডিয়া

বিবিসি

 

#সম্প্রতি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়াশস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুশিল্পকর্মটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির আয়তন কত?

১২ লাক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট

১০ লাক্ষ ৯৩ হাজার বর্গফুট

লাক্ষ ৮০ হাজার বর্গফুট

লাক্ষ ৭০ হাজার বর্গফুট

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#The publishing year of Bangabandhu's Auto-Biography

2010

2012

2015

2018

 

#Which organization has recognised the 7th March Speech of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as part of world's documentary heritage?

INICEF

UNESCO

World Bank

ICAO

 

#বঙ্গবন্ধুকে 'Poet of Politices' বলে অভিহিত করে নিচের কোন পত্রিকা? (Which of the following daily entitled Bangabandhu as the 'Poet of Palities"?)

New York Times

Times of India

Dawn

Newsweek

 

#Bangabandhu was freed from Pakistan Jail-

8 January 1972

7 Junuary 1972

10 January 1972

9 January 1972

 

#Father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman was born on:

23 May 1921

17 March 1920.

17 September 1923

18 January 1920

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম পরিচয়:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুরের গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর তীরে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার ডাকনাম ছিল রেনু।

 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শিক্ষা জীবনঃ

১৯২৭ সালে বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জের গিমাভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র জীবন শুরু করেন বছর বয়সে। পরবর্তীতে মাদারীপুর ইসলামীয়া হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষে ১৯৪২ সালে কলকাতার ইসলামীয়া কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি ২৪ নং বেকার হোস্টেলে থাকতেন। স্মৃতি স্মরণার্থে বর্তমানে বেকার হোস্টেলের ২৩ নং রুমকে গ্রন্থাকার এবং ২৪নং রুমকে মিউজিয়াম বানানো হয়েছে। ১৯৪৭ সালে তিনি কলকাতা ইসলামীয়া কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইতিহাস বিভাগ থেকে বি. . পাশ করার পর একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এসময় তার বিশ্ববিদ্যালয়ে রোল নম্বর ছিল ১৬৫।

 

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জ মুসলিম ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের পর ১৯৪৫ সালে ইসলামীয়া কলেজ থেকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নামে পরিচিত।

 

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাঃ

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনে শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। ১৯৫৩ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যতম। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের সর্ব কনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসেবে কৃষি-সমবায় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন।

 

মুসলিম শব্দ বাদঃ

১৯৫৫ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালেই তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।

 

দফা উত্থাপনঃ

১৯৬৬ সালের - ফেব্রুয়ারি লাহোরে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা হিসেবে খ্যাত দফা দাবী পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে ২৩ মার্চ ছয় দফা দাবী উপস্থাপন করেন।

 

 

 

 

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনঃ

১৯৭০ সালের জাতীয় প্রাদেশিক নির্বাচনে যথাক্রমে ১৬৭ ২৯৮ টি আসনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন। পাকিস্তানি সরকারের টালবাহানায় ১৯৭১ সালের মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক যুগান্তকারী মার্চের ভাষণ প্রদান করার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু করেন।

 

গ্রেফতার স্বাধীনতার ঘোষণাঃ

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাত বা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করার কিছু পরেই রাস্ত :১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের মিয়ানওয়ালী কারাগারে নিয়ে যায়। ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে পাক হেফাজতে থাকা বঙ্গবন্ধুকে অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।

 

কারাভোগঃ

বঙ্গবন্ধু তার ৫৬ বছরের জীবনে ২১ বারে ১৪ বছর কারা ভোগ করেন যা দিনের হিসেবে হাজার ৬৮২ দিন। উল্লেখ্য যে, তিনি পাকিস্তান আমলে হাজার ৬৭৫ দিন জেলে ছিলেন প্রথম কারা ভোগ করেন ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশ শাসন আমলে দিন।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনঃ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ইংল্যান্ড ভারত সফর করে ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১০ জানুয়ারিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বলা হয়।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন কবে? (When did Bangabandhu return home?)

10th December 1972

8 January 1972

10th January 1972

16th December 1971

 

#When did Bangabandhu return Bangladesh? (বঙ্গবন্ধু কবে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন?)

10th January 1972

16 December 1972

07 March 1972

26 March 1972

#ব্ঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কোনটি?

জানুয়ারি

জানুয়ারি

১০ জানুয়ারি

১১ জানুয়ারি

 

#বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস-

জানুয়ারি

জানুয়ারি

১০ জানুয়ারি

১১ জানুয়ারি

 

#বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কোনটি?

১০ ডিসেম্বর

১০ জানুয়ারি

১০মার্চ

১০ জুন

 

 

বঙ্গবন্ধুর জাতির জনক উপাধিঃ

বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান করেন তোফায়েল আহমেদ - ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। পরবর্তীতে জাতির জনক উপাধি প্রদান করেন- .. আব্দুর রব মার্চ, ১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে। ১৯৭১ সালে এপ্রিল নিউজ উইক সপ্তাহিক ম্যাগ্যাজিন বঙ্গবন্ধুকে Poet of Politics বা রাজনীতির কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে।

 

আমার দেখা নয়াচীন

১৯৫৪ সালে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে সরস বিশ্লেষণ করেন। তিনি তার এই লেখার নাম দেন 'নয়াচীন ভ্রমণ' তার লেখা ডায়েরিটিই 'আমার দেখা নয়াচীন' নামে বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করা হয়। শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারি ২০২০ বইটি প্রকাশ করে। মূলত, -১২ অক্টোবর ১৯৫২ গণচীনের পিকিংয়ে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রথম চীন সফরে চীনের অবিসংবাদিত নেতা মাও সে তুং-এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দেখা হয়। এসময় তিনি চীনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। চীন ভ্রমণের এসব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি একটি ডায়েরি লেখেন যেখানে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান চীনের রাজনৈতিক-আর্থসামাজিক অবস্থার তুলনা, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের চর্চা প্রভৃতি বিষয়াদি প্রাঞ্জলভাবে আলোচনা করেন।

গ্রন্থের নাম : আমার দেখা নয়াচীন।

ভূমিকা রচয়িতা : শেখ হাসিনা।

প্রচ্ছদ গ্রন্থ-নকশা : তারিক সুজাত।

প্রচ্ছদে ব্যবহৃত সম্মেলনের লোগো শান্তির কপোত: পাবলো পিকাসো

প্রকাশক : বাংলা একাডেমি, ফেব্রুয়ারি ২০২০ সাল।

গ্রন্থস্বত্ব : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

 

জেনে নিই

'আমার দেখা নয়াচীন' স্মৃতিনির্ভর ভ্রমণকাহিনি জাতীয়।

আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থে ১৯৫২ সালের ঘটনা আলোকপাত করা হয়েছে।

চীনে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের নাম- পিস কনফারেন্স অব দি এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স।

আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থের বর্ণনায় বার্মা (মিয়ানমার) নামক দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর্থ সামাজিক অবস্থার বিষয়গুললো আলোচিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয়বার কত সালে চীন সফর করেন ১৯৫৭ সালে।

বঙ্গবন্ধু চীনে কতদিন অবস্থান করেছিলেন ২৫ দিন।

দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের ছবিগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কে উপহার দেন সি জিন পিং

১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের ছবিগুলো কোথায় রাখা ছিল- বঙ্গবন্ধুর গ্রামের বাড়িতে।

'আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু চীনের বিষয়ে অভাবনীয় উন্নয়ন ভবিষ্যৎ ধারণা করেছিলেন।

'আমার দেখা নয়াচীন' ভ্রমণকাহিনির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন- . ফকরুল আলম।

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু রচিত আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থের ভূমিকা কবে রচনা করেন- ডিসেম্বর ২০১৯।

বঙ্গবন্ধু ব্রহ্মদেশ সফরের সময় উন সরকার ক্ষমতায় ছিল।

ক্যান্টন শহরে বঙ্গবন্ধুদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় 'দুনিয়ায় শান্তি কায়েম হউক, মাও সে তুং- জিন্দাবাদ, নয়াচীন জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল।

'আমার দেখা নয়াচীন' গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু কোন জাতির প্রশংসা করেছেন- ইংরেজ জাতির।

বঙ্গবন্ধুর মতে বিপদে পড়া বীরের জাত কারা- জাপানিরা।

শান্তি সম্মেলনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের মনোজ বসু।

বঙ্গবন্ধু পিকিং শহরের বাজার ঘুরেও কোন পণ্য খুঁজে পাননি- ব্লেড।

শান্তি সম্মেলন চলাকালে বঙ্গবন্ধু তাঁর সঙ্গীরা কোন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান- নানকিং বিশ্ববিদ্যালয়।

বঙ্গবন্ধু চীনে প্রথম সফরে যে শহর ঘুরেছিলেন- পিকিং, তিয়ানজিং, নানকিং, ক্যান্টন হ্যাংচো শহর।

বঙ্গবন্ধুর খাবার টেবিলে চীনের কোন প্রদেশের গভর্নর বসেছিলেন- সিং কিয়াং।

'নয়াচীনের স্বাধীনতা দিবস দেখার সময় বঙ্গবন্ধুর মনে পড়েছিল- ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান দিবসের কথা

নানকিং শহরে পৌছে বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্যরা প্রথমেই কী দেখতে বের হয়েছিলেন- চীনের জাতীয়তাবাদী নেতা সান ইয়াং সেনের কবর

বঙ্গবন্ধু চীন সফরে যতগুলো উপহার পেয়েছিলেন তার মধ্যে কোন উপহারটি সবচেয়ে মূল্যবান বলে মনে করেন- চীনা শ্রমিক দম্পতিদের দেওয়া 'লিবারেশন পেন' নামক কলমটিকে।

 

অসমাপ্ত আত্মজীবনী

লেখকের নাম- শেখ মুজিবুর রহমান

রচনাকাল ১৯৬৬-১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দ।

প্রথম প্রকাশ: জুন, ২০১২

প্রকাশক : ইউপিএল

পৃষ্ঠা: ৩২৯

অসমাপ্ত আত্মজীবনী' প্রথম প্রকাশিত হয় জুন, ২০১২ সালে।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটির ভূমিকা লেখেন- শেখ হাসিনা।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থটির প্রচ্ছদ শিল্পী সমর মজুমদার।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটি সম্পাদনার কাজ করেন- শামসুজ্জামান খান

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদক প্রফেসর ফকরুল আলম।

 

জেনে নিই

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে থাকাকালীন আত্মজীবনী লেখা আরম্ভ করেন- ১৯৬৭ সালে

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী লেখার সময়কাল ছিল- ১৯৬৬-৬৯ সাল অবধি

বঙ্গবন্ধু আত্মজীবনীটি কাউকেই উৎসর্গ করেননি।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে পূর্ব বাংলার রাজনীতি আলোচিত হয়েছে- ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত।

বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাবাস করেন- ১৯৩৮ সালে।

বঙ্গবন্ধুর সাথে শেরে বাংলা কে ফজলুল হকের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল- ১৯৩৮ সালে।

বঙ্গবন্ধু প্রথম কারাবাসের সময়কালের স্থায়িত্ব ছিল- সাতদিন।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' তে উল্লিখিত আন্দামান হলো ইংরেজ আমলের জেলখানা।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে উল্লেখ আছে দেশভাগের পর পাকিস্তানের রাজধানী হয়- করাচিতে।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থের শেষ বাক্য- আমাদের হয়ে গেল।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' প্রথম লাইন- বন্ধুবান্ধবরা বলে জীবনী লেখ।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' পাণ্ডুলিপি আকারে পাওয়া যায় চার খণ্ডে।

'অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থে পূর্ব বাংলার রাজনীতি চিত্রায়িত হয়েছে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত।

শেখ বংশের গোড়াপত্তন করেছিলেন- শেখ আউয়াল

বঙ্গবন্ধু মুজিবের পিতা পেশায় ছিলেন- সেরেস্তাদার।

বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান বিবাহ করেন- ১২-১৩ বয়সে।

শেখ মুজিবুর রহমান বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন-৭ম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে।

বঙ্গবন্ধু হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীকে সম্বোধন করতেন- স্যার বলে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কোন পত্রিকায় কাজ করতেন- ইত্তেহাদ।

বঙ্গবন্ধু তাজমহল সফর করেন- ১৯৪৬ সালে।

বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান দ্বিতীয়বার জেলে যান- ১৯৪৮ সালে

বঙ্গবন্ধু শেখ রহমানের একমাত্র ছোট ভাইয়ের নাম- শেখ নাসের।

সাপ্তাহিক পত্রিকা মিল্লাত প্রকাশ করেন- মোহাম্মদ ইদ্রিস, আবুল হাশিম, মুজিবুর রহমান

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ আছে শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দীর শিষ্যরূপে ছিলেন প্রায় ১২ বছর।

বঙ্গবন্ধু বি. পাশ করেন- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে

Minorities can not be allowed impede the progress of majorities." উক্তিটি- ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলির।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৃতীয় বারের মতো জেলে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর অধিকার আন্দোলনে সম্পৃক্ততার কারনে।

১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বহিষ্কার হওয়া একমাত্র নারী শিক্ষার্থী ছিলেন- লুলু বিলকিস বানু।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে থাকার সময় তৎকালীন প্রভোস্ট ছিলেন- . ওসমান গণি।

বঙ্গবন্ধু প্রথম দেশের বাইরে যান- ১৯৪৩ সালে।

অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ভাষ্যমতেদাওয়ালবলা হত দিনমজুরদের।

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উল্লেখ পূর্বক বজরা- বিশেষ ধরনের নৌকা।

ঢাকা জেলের ভেতর ফুলের বাগান করা শুরু করেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক ছিলেন- তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া।

জেলে শেখ মুজিবুর রহমানের অনশন ভাঙিয়ে দিয়েছিলেন- মহিউদ্দীন।

বঙ্গবন্ধুকে আত্মজীবনী লেখার জন্য কিছু খাতা কিনে জেলগেটে দিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন- ১৯৬৬ সালে।

যে বছরের প্রথম তিন মাসে বঙ্গবন্ধু আটবার গ্রেফতার হন- ১৯৬৬ সালে।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর অবস্থিত- ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন ১৫ আগস্ট ছিল- শুক্রবার।

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উক্তি

 

আমি নিজে কমিউনিস্ট নই। তবে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে বিশ্বাস করি না।

আমি মন্ত্রিত্ব চাই না। পার্টির অনেক কাজ আছে, বহু প্রার্থী আছে দেখে শুনে তাদের করে দেন।

যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে

"বাঙালির মধ্যে দুইটা দিক আছে একটা আমরা মুসলমান, আর অন্যটা হলো বাঙালি।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করনের (English Version) নাম

The Incomplete Autobiography

The Incomplete Life History

The Unfinished Memoirs

The Unfinished Chronicle

 

#’অসমাপ্ত আত্মজীবনীগ্রন্থের লেখক কে?

হুমায়ুন আহমেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মওলানা ভাসানী

শহীদ সোহরাওয়ার্দী

সাধারণ জ্ঞান অসমাপ্ত আত্মজীবনী

#.’অসমাপ্ত আত্মজীবনীগ্রন্থের রচয়িতা-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

মাওলানা ভাসানী

জওওহরলাল নেহেরু

মহাত্মা গান্ধী

 

#বঙ্গবন্ধুরঅসমাপ্ত আত্মজীবনী' ইংরেজি অনুবাদ করেন-

জমিলুর রেজা চৌধুরী

ফকরুল আলম

খন্দকার আশরাফ

. আনিসুজ্জামান

 

#.‘অসমাপ্ত আত্মজীবনীগ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর কত সাল পর্যন্ত ঘটনাবলী স্থান পেয়েছে?

১৯৫৫

১৯৫৭

১৯৬৫

১৯৬৭

 

কারাগারের রোজনামোচা

কারাগারের রোজনামোচা প্রকাশ করে- বাংলা একাডেমি থেকে ২০১৭ সালে।

বইটির ভূমিকা লেখেন- শেখ হাসিনা।

যে মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রকাশিত হয়- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গ্রন্থস্বত্ব বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

ইংরেজিতে অনুবাদ করেন- . ফকরুল আলম

 

জেনে নিই

বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন শুরু করেন- ১৯৪৮ সালে।

ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়েছিলেন- ১১ মার্চ, ১৯৪৮ সালে।

বঙ্গবন্ধু প্রায় আড়াই বছর জেল খেটেছিলেন ভুখামিছিল বের করার জন্যে- ১৯৪৯ সালে।

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়- বঙ্গবন্ধুর পরামর্শক্রমে।

বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন- মার্চ, ১৯৭১ সালে।

কারাগারের রোজনামচা বইটি শুরু যে লাইন দিয়ে জেলে যারা যায় নাই'

পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব খানের বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন- মোনায়েম খান।

"রাজনৈতিক মঞ্চবইটির লেখক- তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া।

দফা দাবির বিরুদ্ধে ছিলেন- মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা সর্ম্পকে সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিনজয়ের সাধ্য নাই, ফেরারও পথ পাইতেছে না।

১৯৬৬ সালের দি বেঙ্গল প্রিন্টিং প্রেসের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল- কালো ব্যাজ ছাপানোর জন্য।

১৯৬৬ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন- লিন্ডন বি জনসন।

মোগল আমলের পূর্বে বাংলার স্বাধীন রাজা ছিল- দাউদ কাররানী।

আওয়ামী লীগ এর Whole time worker বলতে বঙ্গবন্ধু বুঝিয়েছিলেন- সুলতানকে

১৯৬৬ সালে চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই আইয়ুব খানের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন রাওয়ালপিণ্ডিতে।

কারাগারে মাসে একবার করে কয়েদীদের ভয় দেখানোর জন্য যে ফাকা গুলি করা হয় তাকে বলে- মাস কাবারী।

যে পত্রিকাকে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, “যখন যেমন তখন তেমন, হায় হোসেন হায় হোসেনের দলে" পাকিস্তান অবজারভার।

১৯৬৬ সালে কারাগারে একাকী বন্দি থাকার সময় বঙ্গবন্ধু একমাত্র বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন- ফুলের বাগানকে।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন- ফরিদপুর জেলে।

১৯৬৭ সালে পূর্ব বাংলায় জনসংখ্যার যে পরিমাণ ছিল বলে কারাগারের রোজনামচাতে উল্লেখ আছে- প্রায় কোটি।

রক্ত কপোৎ নামে একটি বই লেখার জন্য কারাবরণ করেছিলেন- নূরে আলম সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলায় সেনানিবাসে আটক থাকাকালে কর্নেল শের আলিবাজ ব্যবহারে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বিতীয়বার যে দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন- শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ভিলেজ এইড।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামে একটি গোপন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৬০ সালে

কারাগারের রোজনামচা তে উল্লিখিত তেরেসা রেকুইন (Therese Raquin) বইয়ের লেখক এমিল জোলা।

বঙ্গবন্ধুর জেলে Solitary Confinement বলতে যে অবস্থা বুঝিয়েছেন- একাকী বাস করতে বাধ্য করা।

কারাগারের রোজনামচাতে বঙ্গবন্ধুর উল্লেখযোগ্য উক্তি

 

শোষকদের কোন জাত নাই, ধর্ম নাই

মানুষ যখন অমানুষ হয় তখন হিংস্র জন্তুর চেয়েও হিংস্র হয়ে থাকে।

যেখানে বিচার নাই, ইনসাফ নাই, সেখানে কারাগারে বাস করাই শ্রেয়।

নিজেও আমি ভয়ানক প্রকৃতির লোক, মানে ভয়-ডর একটু কম।

শান্তি চেয়ে আনা যায় না, আদায় করে নিতে হয়।

রাজনীতি করতে হলে নীতি থাকতে হয়, সত্য কথা বলার সাহস থাকতে হয়, বুকে আর মুখে আলাদা না হওয়াই উচিত। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে, গণতান্ত্রিক পথেই মোকাবিলা করা উচিত

সত্য খবর বন্ধ হলে অনেক আজগুবি খবর ছড়াইয়া পড়ে, এতে সরকারের অপকার ছাড়া উপকার হয় না।

মানুষ অনেক সময় বন্ধুদের সাথে বেঈমানি করে পশু কখনো বেঈমানি করে না।

মানুষকে জেলে নিতে পারে কিন্তু নীতিকে জেলে নিতে পারে না।

ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ, কিন্তু জালেমকে ক্ষমা করা দুর্বলতারই লক্ষণ।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#কারাগারের রোজনামচা প্রকাশ করে -

ইউপিএল

বাংলা একাডেমি

হাক্কানী পাবলিশার্স

মাওলা ব্রাদার্স

 

#বঙ্গবন্ধু 'কারাগারের রোজনামচা' গ্রন্থে কোন সময়ে লিপিবদ্ধ করেছেন?

১৯৬৯-১৯৭১

১৯৭০-১৯৭১

১৯৬৬-১৯৬৮

১৯৬২-১৯৬৮

 

#'কারাগারের রোজনামচা' রচনাটির নামকরণ করেন?

বঙবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

শেখ হাসিনা

শেখ রেহানা

 

 

#কারাগারের রোজনামচা বইটির লেখক কে?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

এম মনসুর আলী

তাজউদ্দীন আহমেদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম