কয়েকটি হৃদরোগ ও প্রতিকার |
Heart disease
হৃদরোগ বলতে এমন কিছু অবস্থাকে বোঝায় , যেখানে হৃৎপিণ্ড এবং রক্তবাহিকাগুলোর (ধমনী, শিরা ও কৈশিক জালিকা) বিরুপ প্রভাব সম্পর্কিত রোগ নিয়ে আলোচনা করে। প্রধানত রক্তসংবহন তন্ত্র, মস্তিষ্ক, বৃক্ক ও প্রান্তিক ধমনী সম্পর্কিত রোগকে হৃদ রোগ বলে। হৃদরোগের অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রধান। পাশাপাশি, বয়সের সাথে সাথে হৃৎপিণ্ডের গঠনগত ও শারীরিক পরিবর্তন হৃদরোগের জন্য অনেকাংশে দায়ী, যা স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিরও হতে পারে।
Table of
Content
·
অ্যাটাক
·
লসিকা
হার্ট অ্যাটাক
যখন কারও হৃদ্যন্ত্রের কোনো অংশে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় কিংবা বাধাগ্রস্ত হয়, তখন হৃৎপিণ্ডের কোষ কিংবা হৃৎপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে মায়োকারডিয়াল ইনফ্রাকশন, করোনারি থ্রোমবসিস ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হয়, যেগুলোকে একনামে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। বাংলাদেশে হৃদরোগ, বিশেষ করে করোনরি (coronary) হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। হৃৎপিণ্ড রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন এবং খাবারের সারবস্তু অর্থাৎ পুষ্টিকর পদার্থ রক্তনালির মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। নিজের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য অর্থাৎ তার হৃৎপেশির অক্সিজেন এবং পুষ্টি অর্জনের জন্য হৃৎপিণ্ডের তিনটি প্রধান রক্তনালি আছে। এগুলোর মধ্যে অনেক সময় চর্বি জমে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ফলে প্রাণঘাতী রোগ হার্ট অ্যাটাক হয়। বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাকে শুধু 40-60 বছর বয়সী লোকেরাই আক্রান্ত হচ্ছে না, অনেক সময়ে তরুণরাও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
অনিয়ন্ত্রিত থাকলে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন অধিক তেলযুক্ত খাবার (বিরিয়ানি, তেহারি ইত্যাদি), ফাস্টফুড (বার্গার, বিফ বা চিকেন প্যাটিস ইত্যাদি) খাওয়া, অলস জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে এই রোগ দেখা যায়। এ ছাড়াও সব সময় হতাশা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বিমর্ষ থাকলে যেকোনো বয়সে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
রোগের লক্ষণসমূহ: হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয় যা, প্রাথমিকভাবে অ্যান্টাসিড ঔষধ খেলেও কমে না। ব্যথা বাম দিকে বা সারা বুকে ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথা অনেক সময় গলা এবং বাম হাতে ছড়িয়ে যায়। রোগী প্রচণ্ডভাবে ঘামতে থাকে এবং বুকে ভারি চাপ অনুভব করছে বলে মত প্রকাশ করে। রোগীর যদি আগে থেকে ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তার বুকে কোনো ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই রোগী কিছু বুঝে ওঠার আগেই সর্বনাশ হয়ে যায়। এজন্য ডায়াবেটিস রোগী কোনো অসুবিধা বোধ না করলেও নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপ করাতে হবে।
প্রতিকার: এমন অবস্থা দেখা দিলে অবহেলা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইসিজি করিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। করোনারি হৃদরোগ এক মারাত্মক হৃদরোগ। এ রোগ থেকে বাঁচতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার, যাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন: ধূমপান না করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা বা হাঁটা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা, কাঁচা ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া। চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়া, ভাজা খাবার, মশলাযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড না খাওয়া ইত্যাদি।
হার্ট ফেইলিউর বা হার্ট ফেল
হৃৎপিণ্ডের অকৃতকার্যতা, যা ইংরেজিতে হার্ট ফেইলিউর বা হার্ট ফেল নামে পরিচিত। হৃদপিন্ডের এট্রিয়াম বা ভেন্ট্রিকল বা উভয়ের সংকোচন ক্ষমতা লোপ পাওয়াকে হার্ট ফেইলিউর বলে। এটি হলো এমন একটি অবস্থা যখন হৃৎপিণ্ড, বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত দেহকোষে সরবরাহ করতে পারে না। হৃৎপিণ্ডের অকৃতকার্যতার লক্ষণগুলির মধ্যে সাধারণত শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং পা ফোলা অন্তর্ভুক্ত । সাধারণত ব্যায়ামের সময় বা শুয়ে থাকার সময় শ্বাসকষ্ট আরও খারাপ হয় এবং রাতে ব্যক্তিকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে পারে । ব্যায়াম করার ক্ষমতা কমে যাওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ। উল্লেখ্য হৃৎপিণ্ডের অকৃতকার্যতার কারণে হৃৎশূল এবং বুকের ব্যথা সাধারণত ঘটে না।
হৃৎপিণ্ডের অকৃতকার্যতা এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃদপিণ্ড শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং ফুসফুসের জন্য রক্তের চাহিদা মেটাতে ব্যার্থ হয়। "কনজেসটিভ হৃৎপিণ্ডের অকৃতকার্যতা" শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয় এমন সব ক্ষেত্রে যার সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল রক্তজমা, বা কোনও ব্যক্তির টিস্যু এবং ফুসফুস বা শরীরের অন্যান্য অংশের শিরাগুলিতে তরল তৈরি হওয়া। এক্ষেত্রে শরীরের অংশবিশেষে বা পুরো শরীরে শোথরোগ দেখা দেয়। পাশাপাশি ফুসফুসের শোথরোগ (শ্বাসকষ্টের কারণে) এবং অ্যাসাইটিস হতে পারে।
বাতজ্বর (Rheumatic Fever)
স্ট্রেপটোকক্কাস
(Streptococcus) অণুজীবের সংক্রমণে সৃষ্ট শ্বাসনালির প্রদাহ, ফুসকুড়িযুক্ত সংক্রামক জ্বর, টনসিলের প্রদাহ অথবা মধ্যকর্ণের সংক্রামক রোগ বাতজ্বরের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ। সাধারণত শিশুকালেই এ রোগের আক্রমণ শুরু হয় এবং দেহের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, বিশেষ করে হৃৎপিণ্ড আক্রান্ত হয়। হৃৎপিণ্ড যদি এ রোগে পূর্ণভাবে আক্রান্ত নাও হয়, হৃৎপেশি এবং হৃৎপিণ্ডের কপাটিকা বা ভালভ অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে হৃৎপিণ্ড যথাযথভাবে রক্ত পাম্প করতে সক্ষম হয় না এবং দেহে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমে যায়।
শুরুতেই রোগটি নির্ণীত না হলে বা সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগের প্রকোপ বেড়ে যায় এবং ওজন হ্রাস, রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি, ক্ষুধামান্দ্য, চেহারায় ফ্যাকাশে ভাব ইত্যাদি দেখা দেয়। তখন রোগের উপস্থিতি অগ্রাহ্য করার আর উপায় থাকে না। পরবর্তী সময়ে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং ত্বকে লালচে রঙ দেখা দেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে পেনিসিলিন জাতীয় ঔষধ যথাযথভাবে প্রয়োগে এ রোগের সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত ছেলেমেয়েদের প্রাপ্ত বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত নিয়মিতভাবে পেনিসিলিন খাবার পরামর্শ দেন।
করোনারী থ্রম্বসিস
এটি হৃদপিণ্ডের একটি রোগ। করোনারী ধমনী বন্ধ হয়ে গেলে হৃদপেশীতে রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, একে করোনারী থ্রম্বসিস বলে। আধুনিক যুগে এ রোগ মৃত্যুর অন্যতম কারণ।
করোনারী বাইপাস : হৃদপিণ্ডে শিরা থেকে আসা রক্ত বিরামহীনভাবে পাম্প শেষে ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। যে রক্তবাহিকাগুলো হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করে তাদের করোনারী আর্টারী বলে। করোনারী আর্টারীগুলোর গাত্রে অতিরিক্ত চর্বি জমে এবং অভ্যন্তরভাগ উঁচু-নিচু-অমসৃণ ও সরু হলে রক্তপ্রবাহ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে রক্ত চলাচলের বাধা দূর করার জন্য অপারেশনের মাধ্যমে যে চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাই করোনারী বাইপাস। এ পদ্ধতিতে শরীরের অন্য কোন স্থান হতে শিরা কেটে এনে রক্তবাহী নালিকাগুলোর বাধাপ্রাপ্ত স্থানের উপর-নিচে জোড়া লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এনজিওপ্লাস্টি : হৃদপিণ্ড হতে পাম্পকৃত রক্ত তিনটি বৃহৎ ধমনীর মধ্য দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। ধমনী দ্বারা রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে এর চিকিৎসায় এনজিওপ্লাস্টি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিতে বিশেষ ধরনের যন্ত্রের দ্বারা সমস্যাযুক্ত ধমনীর সংকুচিত স্থান বিশেষ ধরনের বেলুন দ্বারা প্রসারিত হয়। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখার উপায়
মানুষ পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে থেকেই তার হৃৎপিণ্ড কাজ করা শুরু করে এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে। মানুষের বাঁচা-মরায় হৃদযন্ত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য সঠিক জীবনধারা (lifestyle) এবং খাদ্য নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। নানা ধরনের তেল বা চর্বিজাতীয় খাদ্য হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। রক্তের কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে থাকে। মাদক সেবন ও নেশা করলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া ও হৃৎস্পন্দন সাধারণ মান থেকে বৃদ্ধি পায়। ফলে মাদকসেবী কিছুটা মানসিক আনন্দ এবং প্রশান্তি পেলেও তার হৃদযন্ত্রের অনেক ক্ষতি হয়। সিগারেটের তামাক অথবা জর্দার নিকোটিনের বিষক্রিয়া শরীরের অন্য অংশের মতো হৃৎপেশির ক্ষতি করে। সঠিক খাদ্য নির্বাচনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখা যায়। মেদ সৃষ্টিকারী খাদ্য যেমন তেল, চর্বি, অতিরিক্ত শর্করা পরিহার এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ, প্রতিদিন পরিমিত ব্যায়াম এবং হাঁটা-চলার মাধ্যমে সুস্থ জীবন লাভ করা যায়।
তথ্যকণিকা
·
রক্তশূন্য হলে চুপসে যায় শিরা। ধমনী চুপসে যায় না Elastic Fibre থাকার কারণে।
·
লিম্ফোসাইট তৈরি হয় লসিকা গ্রন্থিতে।
·
রক্ত সঞ্চালন ৫ মিনিট বন্ধ থাকলে মানুষের মৃত্যু ঘটে।
·
মানবদেহের PH নির্দিষ্ট মাত্রা বজায় রাখার যে সিস্টেম কাকে বলে বাফার সিস্টেম।
·
অনৈচ্ছিক পেশী- রক্তনালী।
·
হৃদপিন্ডের করোনারি রক্তনালীকায় রক্ত জমাট বাঁধলে তাকে বলে- করোনারি থ্রম্বোসিস।
·
মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধলে তাকে বলে- সেরেব্রাল থ্রম্বোসিস।
·
রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে- এল ডি এল (LDL) এর পরিমাণ বেড়ে যায়, এইচ ডি এন (HDL) এর পরিমাণ কমে যায়।
·
LDL এর পূর্ণরূপ - Low Density
Lipoprotei[N] একে খারাপ কোলেস্টেরল বলে আমাদের রক্তে থাকে ৭০% LD [L] LDL এর মান ১০০ অপেক্ষা কম হলে তা স্বাস্থ্যকর।
·
এইচ ডি এল (HDL) এর পূর্ণরূপ — High Density Lipoprotein
(হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন). একে ভালো কোলেস্টেরল বলে। রক্তের কোলেস্টেরলের প্রায় - 1/3 অংশ বহন করে High-Density
Lipo-Protein বা HDL . এগুলো ভালো কোলেস্টেরল।
·
অধিক মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে -মাখন, চিংড়ি, ঝিনুক, গবাদি পশুর যকৃত, ডিম (বিশেষ করে কুসুমে) ইত্যাদিতে।
·
গর্ভবতী মায়ের উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগকে বলে একলামশিয়া।
·
হার্টের সংকোচন-প্রসারণ যে যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিমভাবে করানো হয় তাকে বলে পেসমেকার। এর সাহায্যে হৃদযন্ত্রের ধীর গতিকে স্বাভাবিক গতিতে আনা যায়।
·
প্লাস্টিক সার্জারি প্রথম শুরু হয় ভারতে পঞ্চম শতকে।
·
কৃত্রিম হৃদপিণ্ড তৈরীর উপাদান—পলিইউরিমেন
·
হৃদস্পন্দন শ্বাসকার্য প্রভৃতির গতির হার নির্দেশক যন্ত্রের নাম - কাইমোগ্রাফ।
·
Coronary bypass: হৃদরোগের চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে করোনারী ধমনীর সরু অংশে ইনটারনাল ম্যামারী ধমনী বা সেপনাস শিরার দ্বারা bypass পথ তৈরি করা হয় যাতে হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
·
E.T.T এর পূর্ণরূপ হল Exercise tolerance test। এ পরীক্ষার দ্বারা হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা পরিমাপ করা যায়।
·
Echo-Cardiography: শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে হৃদপিন্ডের পরীক্ষা করার পদ্ধতি।
·
Coronary angiography: এই পরীক্ষার সাহায্যে করোনারী ধমনীতে কোন সরু অংশ আছে কিনা তা সরাসরি নির্ণয় করা যায়।
·
Coronary angioplasty: হৃদরোগের চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে করোনারী ধমনীর সরু অংশ বেলুনের সাহায্যে ফুলিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। ফলে হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়
লসিকা
লসিকা: লসিকা এক ধরনের ঈষৎ ক্ষারধর্মী স্বচ্ছ কলারস যা লসিকা বাহিকার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দেহের প্রতিটি কোষকে সিক্ত রাখে।
লসিকার বৈশিষ্ট্য:
·
[ক] ঈষৎ ক্ষারীয়।
·
[খ] লোহিত রক্তকণিকা ও অনুচক্রিকা অনুপস্থিত কিন্তু প্রচুর পরিমাণে শ্বেত কণিকা বিদ্যমান।
লসিকার কাজ:
·
[ক] স্নেহ পদার্থ অন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে লসিকার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়।
·
[খ] যে সকল কলাকোষে রক্ত পৌছাতে পারেনা সেখানে লসিকা অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে।
লসিকা রক্ততন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করে কিভাবে: লসিকা নালীর মাধ্যমে।
হৃৎপিণ্ডের গঠন | Structure of heart
হৃৎপিণ্ড বক্ষ গহ্বরের বাম দিকে দুই ফুসফুসের মাঝখানে অবস্থিত একটি ত্রিকোণাকার ফাঁপা অঙ্গ। এটি হৃৎপেশি নামক এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে গঠিত। হৃৎপিণ্ড পেরিকার্ডিয়াম নামক পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে। হৃৎপিণ্ড-প্রাচীরে থাকে তিনটি স্তর, বহিঃস্তর বা এপিকার্ডিয়াম, মধ্যস্তর বা মায়োকার্ডিয়াম এবং অন্তঃস্তর বা এন্ডোকার্ডিয়াম।
বহিঃস্তর (Epicardium): এটি মূলত যোজক কলা নিয়ে গঠিত। এই স্তরটিতে বিক্ষিপ্তভাবে চর্বি থাকে এবং এটি আবরণী কলা দিয়ে আবৃত।
মধ্যস্তর (Myocardium): এটি বহিঃস্তর এবং অন্তঃস্তরের মাঝখানে অবস্থান করে। দৃঢ় অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে এ স্তর গঠিত।
অন্তঃস্তর (Endocardium): এটি সবচেয়ে ভিতরের স্তর। হৃৎপিণ্ডের প্রকোষ্ঠগুলো অন্তঃস্তর দিয়ে আবৃত। এই স্তরটি হৃৎপিণ্ডের কপাটিকাগুলোকেও আবৃত করে রাখে। হৃৎপিণ্ডের ভিতরের স্তর ফাঁপা এবং চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। উপরের প্রকোষ্ঠ দুটি নিচের দুটির চেয়ে আকারে ছোট। উপরের প্রকোষ্ঠ দুটিকে ডান এবং বাম অলিন্দ (right & left
atrium) বলে এবং নিচের প্রকোষ্ঠ দুটিকে ডান এবং বাম নিলয় (right & left
ventricle) বলে। অলিন্দ দুটির প্রাচীর তুলনামূলকভাবে পাতলা, আর নিলয়ের প্রাচীর পুরু। অলিন্দ এবং নিলয় যথাক্রমে আন্তঃঅলিন্দ পর্দা এবং আন্তঃনিলয় পর্দা দিয়ে পরস্পর পৃথক থাকে।
হৃৎপিন্ডের উভয় অলিন্দ এবং নিলয়ের মাঝে যে ছিদ্রপথ আছে, তা খোলা বা বন্ধ করার জন্য ভালভ (valve) বা কপাটিকা থাকে। ডান অলিন্দ এবং ডান নিলয়ের মধ্যবর্তী ছিদ্রপথ তিন পাল্লাবিশিষ্ট ট্রাইকাসপিড ভালভ দিয়ে সুরক্ষিত। একইভাবে বাম অলিন্দ এবং বাম নিলয় দুই পাল্লাবিশিষ্ট বাইকাসপিড ভালভ (মাইট্রাল ভালভ নামেও পরিচিত) দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। মহাধমনি ও ফুসফুসীয় ধমনির মুখে অর্ধচন্দ্রাকার কপাটিকা থাকে। এদের অকস্থানের ফলে পাম্প করা রক্ত একই দিকে চলে এবং এক ফোঁটা রক্তও উল্টো দিকে ফিরে আসতে পারে না।
·
কোন প্রাণীর তিনটি হৃৎপিণ্ড রয়েছে: ক্যাটল ফিস, অক্টোপাস ইত্যাদি।
·
মানুষের হৃদপিন্ডের ওজন: ৩০০ গ্রাম।
·
পেরিকার্ডিয়াম : হৃদপিন্ড দ্বিস্তরবিশিষ্ট ঝিল্লী দ্বারা আবৃত; একে পেরিকার্ডিয়াম বলে।
·
ব্যাঙের হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠ কয়টি: তিনটি। যথাঃ দুটি অলিন্দ (ডান ও বাম অলিন্দ) এবং একটি নিলয়।
·
কুমিরের হৃদপিন্ড কত প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট: ৪।
·
আরশোলার হৃদপিন্ড কত প্রকোষ্ঠবিশিষ্ট: ১৩।
হৃদপেশী: এর অবস্থান শুধুমাত্র হৃদপিন্ডের প্রাচীরে। এটি অনৈচ্ছিক পেশী। হৃদপেশীর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য - এতে ইন্টারক্যালেটেড ডিক্স থাকে।
·
হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহ করে কোন ধমনী - করোনারী ধমনী (Coronary artery)।
·
হার্ট থেকে রক্ত বাইরে নিয়ে যায় আর্টারি বা ধমনি।
·
হৃদচক্র : হৃদপিন্ডের প্রতিটি স্পন্দনে হৃদপিন্ডের পরিবর্তনগুলোর যে চক্রাকার পরিবর্তন ঘটে, তাকে কার্ডিয়াক চক্র বা হৃদচক্র বলে।
·
একটি হৃদচক্রের গড় স্থিতিকাল: ০.৮ সেকেন্ড।
·
সিস্টোল: হৃদপিন্ডের সংকোচন।
·
সিস্টোলিক চাপ: হৃদপিন্ডের সংকোচন চাপ।
·
ডায়াস্টোল: হৃদপিন্ডের প্রসারণ।
·
ডায়াস্টোলিক চাপ : হৃদপিন্ডের প্রসারণজনিত চাপ।
·
হার্ট সাউন্ড কত ধরনের : চার ধরনের।
হৃদপিন্ডের জন্মগত ত্রুটি কোনটি: Ventricular Septal Defect (VSD) হার্টের একটি জন্মগত ত্রুটি। মূলত হৃৎপিন্ডের অভ্যন্তরে নিচের অংশে সৃষ্ট একটি hole (গর্তে) যা বাম পাশ থেকে ডান পাশে রক্ত প্রবাহিত হতে সাহায্য করে এ ত্রুটির উৎস।
উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক হিসেবে গণ্য করা হয়। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে 2025 সালের মধ্যে স্ট্রোক ও করোনারি ধমনির রোগ হবে বিশ্বের এক নম্বর মরণব্যাধি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়বে মহামারী আকারে। হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ।
উচ্চ রক্তচাপ কী? রক্ত চলাচলের সময় রক্তনালিগাত্রে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তচাপকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত সিস্টোলিক চাপ ১২০ মিলিমিটার পারদের নিচে এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মিলিমিটার পারদের নিচের মাত্রাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রা হিসেবে ধরা হয়। আর এই রক্তচাপ যখন মাত্রাতিরিক্ত হয় তখনই আমরা তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকি।
উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকির কারণ: বাবা বা মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তার সন্তানদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও যারা স্নায়ুবিক চাপে
(Tension) বেশি ভোগেন অথবা ধূমপানের অভ্যাস আছে, তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। দেহের ওজন বেশি বেড়ে গেলে কিংবা লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাদ্য বেশি খেলে এমনকি পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের পূর্ব ইতিহাস থাকলে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। সন্তান প্রসবের সময় খিঁচুনি রোগের
(Eclampsia) কারণে মায়ের রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ: মাথাব্যথা, বিশেষ করে মাথার পেছন দিকে ব্যথা করা উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়া রোগীর মাখা ঘোরা, ঘাড় ব্যথা করা, বুক ধড়ফড় করা ও দুর্বল বোধ করাও উচ্চরক্তচাপের লক্ষণ। অনেক সময় রোগীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। উচ্চ রন্তচাপের রোগীর ভালো ঘুম হয় না এবং অল্প পরিশ্রমে তারা হাঁপিয়ে ওঠে। ভয়ের ব্যাপার হলো, প্রায় 50% ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ হলে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তখন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই।
রক্তচাপ নির্ণয় করা: রক্তচাপ মাপক যন্ত্র বা বিপি যন্ত্র দিয়ে রন্তচাপ মাপা হয়। রক্তচাপ মাপার শুরুতে রোগীকে কয়েক মিনিট নিরিবিলি পরিবেশে শান্তভাবে সোজা হয়ে শুয়ে থাকতে হবে। কমপক্ষে 15 থেকে 20 মিনিটের ব্যবধান রেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা ভালো।
উচ্চ রক্তচাপের প্রতিকার: উচ্চ রক্তচাপের প্রতিকারে টাটকা ফল এবং শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শারীরিক পরিশ্রম করা বা ব্যায়াম করা প্রয়োজন। চর্বিজাতীয় খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকা ছাড়াও খাবারের সময় অতিরিক্ত লবণ (কাঁচা লবণ) খাওয়া উচিত নয়। ধূমপান ত্যাগ করা জরুরি। উচ্চ রপ্তচাপ নিয়ঘণে না থাকলে মস্তিক্ষে রন্তক্ষরণ ঘটতে পারে, যা স্ট্রোক নামে পরিচিত। কর্মতৎপরতা, স্বাস্থ্য, বয়স এবং রোগের কারণে মানুষের রন্তচাপের মাত্রা কমবেশি হতে পারে। মোটা লোকদের ওজন কমানো, চর্বিজাতীয় খাদ্য কম খাওয়া, খাবারে কম লবণ দেওয়া ইত্যাদি নিয়ম মেনে চললে উচ্চ রক্তচাপ এড়ানো যায়। রক্তচাপ খুব বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন করা উচিত।
রক্তচাপ | Blood Pressure
রক্তচাপ (Blood Pressure) : রক্তপ্রবাহের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। হৃৎপিন্ডের সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সর্বাধিক থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) বলে। হৃৎপিন্ডের (প্রকৃতপক্ষে নিলয়ের) প্রসারণ বা ডায়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) বলে।
আদর্শ রক্তচাপ : চিকিৎসকদের মতে, পরিণত বয়সে একজন মানুষের আদর্শ রক্তচাপ (Blood pressure) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি। রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়। প্রথমটি উচ্চমান এবং দ্বিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে। নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক (Diastolic) চাপ বলে। এই চাপটির আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটারের নিচে। এই চাপটি হৃৎপিণ্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনালিতে সৃষ্টি হয়। দুধরনের রক্তচাপের পার্থক্যকে ধমনিঘাত বা নাড়িঘাত চাপ (Pulse pressure) বলা হয়। সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পালস রেট বের করা যায়। স্ফিগমোম্যানোমিটার
(Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।
·
সাধারণত রোগীর pulsepalpate পরীক্ষা করার জন্য কোন ধমনী দরকার: Radial artery.
·
সাধারণ
Pulse দেখা হয় কোন ধমনীতে: রেডিয়াল আর্টারির ওপর থ্রি-ফিঙ্গার পদ্ধতি ব্যবহার করে সাধারণত pulse দেখা হয় Radial ধমনীতে।
·
কত'র নিচে হৃদয়স্পন্দন হলে Bradycardia বলে: কোনো ব্যক্তির হৃদস্পন প্রতি মিনিটে ৬০-এর নিচে হলে সে অবস্থাকে ব্রায়োকার্ডিয়া বলে। প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে সাধারণত ৭২ বার হয়ে থাকে।
·
কত'র নিচে হৃদয়স্পন্দন হলে Tachycardia বলে: কোনো ব্যক্তির হৃদস্পন প্রতি মিনিটে ৯০-এর বেশি হলে সে অবস্থাকে Tachycardia বলে।
·
সাধারণ রোগীর Pulse দেখা হয় কোথায়: আমাদের হাতে রেডিয়াল আর্টারির (Radial artery) মধ্যদিয়ে ফুসফুসতাড়িত অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত বাহিত হয় থ্রি ফিঙ্গার পালপেশন প্রক্রিয়ায় । তাই রেডিয়াল আর্টারি থেকে রোগীর পালস্ পরীক্ষা করা হয়।
অনুশীলন অধ্যায়
১. হার্ট থেকে রক্ত বাইরে নিয়ে যায় যে রক্তনালী— [৪১তম বিসিএস ]
·
ভেইন
·
আর্টারি
·
ক্যাপিলারি
·
নার্ভ
২. হৃদপিন্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত ? [৩৫তম বি.সি.এস ]
·
ঐচ্ছিক
·
অনৈচ্ছিক
·
বিশেষ ধরনের ঐচ্ছিক
·
বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
৩. মানুষের হৃৎপিন্ডে কতটি প্রকোষ্ঠ থাকে ? [২৭তম বিসিএস/ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ২০১৯/ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের টেষ্টাইল ইনস্টিটিউট ও টেষ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইনস্ট্রাক্টর (ডিটিআই) ২০১৮/ পরিবার পরিকল্পনা সহকারী/ পরিদর্শক এবং সহকারী-২০১১ ]
·
দুটি
·
চারটি
·
ছয়টি
·
আটটি
৪. ‘কার্ডিওলজি’ কোন রোগের সাথে সম্পৃক্ত ? [প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (চতুর্থ ধাপ) ২০১৯ ]
·
হার্ট
·
চোখ
·
কিডনি
·
ফুসফুস
৫. অক্টোপাসের কয়টি হৃৎপিন্ড আছে ? [সমবায় অধিদপ্তর (মাঠ সহকারি) পরীক্ষা ২০১৮ ]
·
১
·
২
·
৩
·
৪
৬. যে প্রাণীর তিনটি হৃৎপিন্ড রয়েছে— [বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (সাধারণ) ২০১৮/প্রাক-প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৩/প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১২/অর্থমন্ত্রণালয়ের ক্লাস্টার আইটি অ্যাসিসটেন্ট/ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ২০১২ ]
·
হাঙ্গর
·
কাটল ফিস
·
কস্তুরী মৃগ
·
বানর
৭. Heart প্রকোষ্ঠ কয়টি ? [নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ নার্স ২০১৮ ]
·
চারটি
·
তিনটি
·
পাঁচটি
·
ছয়টি
৮. হৃদপিন্ডের জন্মগত ত্রুটি কোনটি ? [স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র স্টাফ নার্স (বাতিলকৃত) ২০১৭ ]
·
Acromegaly
·
Hepatitis
·
Ventricular Septal Defect
·
Appendicitis
৯. হৃদপিন্ডের আবরণকারী পদার্থের নাম ? [মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকঃ ০৪ ]
·
পেরিটোনিয়াম
·
পেরিকার্ডিয়াম
·
প্লুরা
·
যকৃত
১০. কোন বাক্যটি সঠিক – [মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক ও জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারঃ ০৩ ]
·
হৃৎপিন্ডে অলিন্দের অবস্থান উপরে
·
হৃৎপিন্ডে নিলয়ের অবস্থান
·
হৃৎপিন্ডে ২টি করে অলিন্দ ও নিলয় আছে
·
উপরের সবগুলো নিচে