ENGLISH
LITERATURE FOR
English Literature বা ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস খুব নিবিড়ভাবে ইংরেজ ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত। ইংরেজ জাতি গঠনের সাথে সাথেই এর সাহিত্যের ইতিহাসেরও সূচনা হয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় বা বিজ্ঞানের আবিষ্কারের উন্নয়ন, পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে ইংরেজি সাহিত্যেরও পরিবর্তন সাধিত হতে থাকে। তাই এই সাহিত্যযুগের নামকরণও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় প্রভাবের নামানুকরণ অথবা বিখ্যাত সাহিত্যিকের নামানুসারে সাহিত্যযুগের নামকরণ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই সাহিত্যযুগের বিভাগ বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের মতবাদের উপর নির্ভরশীল । তাই একই সাহিত্যযুগের বিভিন্ন সময় সামান্য সময়ের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজি সাহিত্য ইতিহাসের বড় বড় যুগখণ্ডকে আবার কখনো কখনো কিছু ছোট ছোট যুগেও ভাগ করা হয়ে থাকে । M. H. Abrams তাঁর বিখ্যাত ‘A Glossary of Literary
Terms' গ্রন্থে নিম্নলিখিতভাবে History of English
Literature এর বিভিন্ন Period বা যুগের বিভাজন দেখিয়েছেন-
Periods of English Literature
S. L. No. |
Period |
Duration |
1. |
The Old English
Period (প্রাচীন যুগ) |
450 - 1066 |
2 |
The Middle English
Period (মধ্যযুগ) |
1066-1500 |
The Anglo-Norman
Period (অ্যাংলো-নরমান যুগ) |
1066 - 1350 |
|
The Age of Chaucer (চসারের যুগ) |
1340 - 1400 |
|
The Barren Age (অন্ধকার যুগ) |
1400 - 1485 |
|
3 |
The Renaissance Period
(রেনেসাঁর যুগ) |
1500-1660 |
Preparation for
Renaissance (রেনেসাঁর প্রস্তুতি) |
1500 - 1558 |
|
The Elizabethan Age
(এলিজাবেথীয় যুগ) |
1558-1603 |
|
The Jacobean Age (জেকোবীয় যুগ) |
1603 - 1625 |
|
The Caroline Age (ক্যারোলীয় যুগ) |
1625 - 1649 |
|
The Commonwealth
Period (কমনওয়েল্থ যুগ) |
1649 - 1660 |
|
The Shakespearean
Age (শেক্সপিয়রীয় যুগ) |
1590-1616 |
|
The Puritan Period (পিউরিটান যুগ) |
1620-1660 |
|
4 |
The Neo-classical
Period ( নিওক্ল্যাসিক্যাল যুগ ) |
1660-1798 |
The Restoration
Period ( রেস্টোরেশনের যুগ ) |
1660-1700 |
|
The Augustan Period
(অগাস্টান যুগ) |
1700 - 1745 |
|
The Age of
Sensibility (ইন্দ্রিয়পরায়ণতার যুগ) |
1745 - 1798 |
|
5 |
The Romantic Period (রোমান্টিক যুগ) |
1798-1832 |
6 |
The Victorian Period (
ভিক্টোরীয় যুগ ) |
1832-1901 |
7 |
The Modern Period (আধুনিক যুগ) |
1901 - 1939 |
The Edwardian Period
( এডওয়ার্ডীয় যুগ ) |
1901 - 1910 |
|
The Georgian Period
(জর্জীয় যুগ) |
1910-1936 |
|
8 |
The Postmodern Period
(আধুনিকোত্তর যুগ) |
1939- |
The Old
English Period
The Old English Period (
450-1066 AD) যুগটি ইংরেজি সাহিত্যের ঊষাকাল (The dawn of English
Literature) হিসেবে বিবেচিত। এই যুগটিকে Anglo-Saxon Period ও বলে । অ্যাংলো-স্যাক্সন শব্দটি দুটি জার্মানিক উপজাতি থেকে এসেছে: অ্যাঙ্গেল এবং স্যাক্সন। পঞ্চম শতাব্দীতে জার্মানি থেকে এঙ্গেলস (Angles), স্যাক্সন (Saxons) ও জুট (Jute) নামে একদল জার্মান উপজাতি ব্রিটনদের (Britons) পরাজিত করে সেখানে তাদের নিজেদের আচার-আচরণ, রীতিনীতি, আইন-কানুন, সামাজিক প্রথা, ভাষা ও ধর্ম প্রবর্তিত করেছিল বলে ও যুগের নামকরণ করা হয় Anglo-Saxon Period। এই যুগের শেষ হয় 1066 সালে যখন উইলিয়ামের অধীনে নরম্যান ফ্রান্স ইংল্যান্ড জয় করে। এই যুগের প্রথমার্ধের বেশিরভাগ অংশে অন্তত সপ্তম শতাব্দীর আগ পর্যন্ত , মৌখিক সাহিত্য প্রচলিত ছিল। এ যুগের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম Beowulf যা ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন ও প্রথম মহাকাব্য বিবেচিত ।
এই যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ হল :
·
Heroic deeds (বীরত্বগাথাঁ)
·
Love of sea adventure (সমুদ্র অভিযানের প্রতি ভালোবাসা)
·
Savagery (বর্বরতা)
·
Intense love of glory (গৌরবের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা)
·
Strong belief in fate ( ভাগ্যের প্রতি অগাধ বিশ্বাস)
এই যুগের প্রধান সাহিত্যিক ও তাদের সাহিত্যকর্মসমূহ :
Writers |
Traits & Works |
Caedmon (কিডমন) |
সপ্তম শতকের কবি । এ্যাংলো-স্যাক্সন যুগের ‘মিল্টন' হিসেবে পরিচিত । |
Cynewulf (কেনেউল্ল্ফ) |
Juliana, Elene, The
Fates of the Apostles. |
Adam Bede (এডাম বেডে) |
প্রথম ইতিহাসবিদ (First historian)। |
King Alfred the
Great |
৮৭১-৯০১ খ্রি. পর্যন্ত তৎকালীন ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন। রচনা করেছেন | ইংরেজ জাতির ইতিহাস- ‘Anglo-Saxon Chronicle' যা ইতিহাস হিসেবে প্রথম এবং গদ্য হিসেবেও রচিত প্রথম গ্রন্থ । এজন্য তাঁকে ‘Founder / Father of English Prose' বলা হয়। |
অজ্ঞাত কবি (Anonymous Poet) |
Beowulf (বিউল্ফ), ইংরেজি সাহিত্যের আদি নিদর্শন ও প্রথম মহাকাব্য । |
Beowulf (বিউল্ফ) : দশম শতাব্দীতে ‘Beowulf” মহাকাব্যটি কোনো অপরিচিত মুনশী (মানুষের মুখে মুখে রচিত গানকে যারা লিখিত রূপ দিত তাদেরকে মুনশী বলা হয়।) কর্তৃক সংকলিত যা লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। এটি একটি Epic or Heroic poem । জার্মান সম্প্রদায়ের সর্বপ্রাচীন মহাকাব্য। প্রথম দীর্ঘতম ইংরেজি কবিতা। এটি ৩১৮২ লাইন বিশিষ্ট প্রাচীন ভাষায় রচিত মহাকাব্য ।
মহাকাব্যটি সীল্যান্ড দ্বীপ (Seeland Island) এবং দক্ষিণ সুইডেনে বসবাসকারী গেয়াট নামীয় এক প্রাচীন সম্প্রদায়ের জীবন সম্পর্কিত। মহাকাব্যটিতে রূপকথার মত রাক্ষসের সাথে মানুষের যুদ্ধের বর্ণনা পাওয়া যায় । ডেনমার্কের রাজা হোথগার (Hrothgar) হিয়োরট (Heorot) নামে এক প্রাসাদ নির্মাণ করেন কিন্তু তিনি সেখানে আরাম-আয়েশে বসবাস করতে পারেননি কারণ রাক্ষস গ্রেন্ডেল (Grendel) প্রতি রাতে প্রাসাদে হানা দিয়ে মানুষ খেত। রাক্ষস গ্রেন্ডেলকে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। প্রতিবেশী রাজ্যের রাজপুত্র বিউল্ফ স্ব ইচ্ছায় এগিয়ে এলো রাক্ষসকে বধ করতে। বিউল্ফ ও রাক্ষসের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হলো। যুদ্ধে রাক্ষস নিহত হল। কিন্তু রাক্ষস গ্রেন্ডেল এর মা পুত্রের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে হোথগারের এক সভাসদকে হত্যা করে । বিউফের সাথে যুদ্ধে না পেরে রাক্ষসী পাতালে প্রবেশ করে । পাতালে গিয়ে বিউল্ফ রাক্ষসীকে ঐন্দ্রজালিক তরবারির মাধ্যমে হত্যা করে।
মহাকাব্যের দ্বিতীয় অংশে রয়েছে বৃদ্ধ বিউফের সাথে এক ভয়ংকর ড্রাগনের লড়াই । তার রাজ্যে হানা দিল এক ভয়ংকর দানব যার একাধিক মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে এবং যে কাছে যায় সেই পুড়ে যায় । বৃদ্ধ বিউল্ফ সেই দানবকে হত্যা করলেন এবং নিজেই তার আগুনে পুড়ে মরলেন ।
The Middle English Period
নরম্যান ডিউক (Norman Duke) উইলিয়াম দ্য কনকয়ার (William the Conqueror ১০৬৬ সালে ইংল্যান্ড দখল করেন। তাঁর এ বিজয়ের মাধ্যমে ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগের সূচনা হয় । ১০৬৬ থেকে ১৫০০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কালকে মধ্যযুগ (The Middle Ages) বলা হয়। প্রাচীন যুগের মতো , ইংরেজি সাহিত্যের মধ্যযুগে ও ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । তবে এ যুগে ইংল্যান্ডের ভাষা, সংস্কৃতি এবং জীবনধারায় একটি বিশাল পরিবর্তন দেখতে পাই । যার ফলস্বরুপ আমরা বর্তমান আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পরিণত রুপ দেখতে পাই । তবে এ যুগের প্রথম ভাগের সাহিত্যে ধর্মের প্রভাব থাকলে ও 1350 সালের পর থেকে ধর্মনিরপেক্ষ সাহিত্যের উত্থান শুরু হয়েছিল । ইংরেজি সাহিত্যের মধ্যযুগকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়-
·
(1) The Anglo-Norman Period
·
(2) The Age of Chaucer
·
(3) The Barren Age/ Dark Age
এই যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ হল :
·
Love (প্রেম)
·
Religion (ধর্ম); Church কেন্দ্রিক রচনা।
·
Chivalry (বীরত্ব)
The Anglo-Norman Period
ইংরেজি সাহিত্যের মধ্যযুগের শুরু থেকে খ্যাতিমান কবি Geoffrey Chaucer এর জন্মের পূর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ ১০৬৬ থেকে ১৩৫০ পর্যন্ত সময়কালকে Anglo-Norman Period বলা হয় উইলিয়াম দ্য কনকয়ার ১০৬৬ সালে English Channel অতিক্রম করে এসে হেস্টিংসের (Hastings) যুদ্ধে জয় লাভ করে ইংল্যান্ড দখল করেন। অ্যাংলো-স্যাক্সনদের (Anglo-Saxon) সর্বশেষ রাজা হ্যারল্ডকে (Harold) পরাজিত করে তিনি ইংল্যান্ডের শাসন ক্ষমতা করায়ত্ত করে ইংল্যান্ডে নরম্যানদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি অ্যাংলো-স্যাক্সন অভিজাতদের সমস্ত ভূসম্পত্তি নরম্যান ব্যারনদের দিয়ে দেন। Anglo-Saxon অভিজাতদের বলা হতো আর্ল (Earl) এবং নাইট (Knight) কিন্তু Norman অভিজাতদের বলা হতো ডিউক (Duke) ও ব্যারন (Barron)। এ যুগে সাহিত্যকর্ম প্রধানত ইংল্যান্ডের নব্য শাসকদের মৌখিক ভাষা The Anglo-Norman এ রচিত হয়। এ যুগের কিছু সাহিত্যিক ও তাদের রচিত সাহিত্যকর্মের তালিকা-
Writer |
Work |
Type |
Geoffrey Gaimar |
Estorie des Angles |
History |
Thomas of Britain |
Tristan |
Poem |
The Age of Chaucer
ইংরেজি সাহিত্যের বিকাশে জিওফ্রে চসার (Geoffrey Chaucer) একটি স্মরণীয় নাম। প্রাচীন যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত চলে আসা ইংরেজি সাহিত্যের ক্রমাগত বিকাশ সাধন চসারের যুগে উৎকৃষ্টের শিখরে আরোহণ করে । চসারের অনবদ্য অবদানের কারণেই তার সময়কে অর্থাৎ ১৩৪০ থেকে ১৪০০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কালকে ‘The Age of Chaucer' বা 'চসারের কাল' বলে অভিহিত করা হয়।
Geoffrey Chaucer (১৩৪০ - ১৪০০ খ্রি.)
মধ্যযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি জিওফ্রে চসার লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে ইংরেজি সাহিত্য এবং আধুনিক ইংরেজি কবিতার জনক (Father of English
literature & modern English poetry) হয়। তিনি ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রথম জাতীয় কবি (First National Poet of
England) । তিনি তৃতীয় এডওয়ার্ডের সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। চসার প্রথমে ফরাসি রোমান্টিক কাব্যের অনুকরণে কাব্য রচনা করেন। ইংল্যান্ডের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে তাঁর সমাধি অবস্থিত। তাঁর বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Poetry |
The Canterbury Tales |
The Legend of Good
Women |
The Book of the
Duchess |
The Parlement of
Fowls |
|
The House of Fame |
Troilus and Criseyde |
|
Poems |
The Complaint of
Mans |
The Complaint unto
Pity |
The Complaint of
Venus |
||
|
|
·
The Canterbury Tales চসারের সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা। এই কাব্যে প্রায় ১৭ হাজার লাইন ও মোট ৩২টি চরিত্র রয়েছে। এই বত্রিশ জন তীর্থযাত্রীর পেশা বিভিন্ন ধরনের এবং এরা নানা শ্রেণির । এই বত্রিশ জন চরিত্রের মধ্যে ছিলেন ট্যাবার্ড সরাইখানার (Tabard Inn) মালিক হ্যারি বেইলী ও কবি স্বয়ং। হ্যারি বেইলী প্রস্তাব করেছিলেন প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে যাওয়ার পথে দু'টি ও ফেরার | পথে দু'টি মোট চারটি করে গল্প বলতে হবে এবং যার গল্প শ্রোতাদের মুগ্ধ করবে তাকে সকলে | মিলে সরাইখানায় একটি ভোজ দিবে। সকলেই এ প্রস্তাবে সম্মত হলো। হ্যারি বেইলী হবেন গল্পের সমালোচক ও বিচারক । তীর্থযাত্রায় গ্রুপটি ছিল ত্রিশজনের। সে হিসেবে ১২০টি গল্প বলার কথা কিন্তু তীর্থযাত্রীরা কেবল ২১টি সম্পূর্ণ গল্প বলতে পেরেছিল এবং ৩টি ছিল অসম্পূর্ণ। কোনো তীর্থযাত্রী একটির বেশি গল্প বলতে পারেনি। এই রকম গল্প নিয়ে ক্যান্টারবেরি কাহিনিটি রচিত । প্রায় ৬০০ বছর আগে রচিত ক্যান্টারবেরি কাহিনিটি আজো তেমনি জীবন্ত (alive) ও আকর্ষণীয় (appealing)।
·
Troilus and Criseyde চসারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ রচনা (First Complete Work)। এতে রয়েছে আট হাজারের বেশি লাইন যা Rhyme Royal Stanza অনুসারে রচিত। কাহিনিতে ট্রয়ের রাজা প্রায়ামের (Priam) পুত্র Troilus নারীদের অপছন্দ করেন, কিন্তু ঘটনাক্রমে সুন্দরী ক্রিসিডার (Criseyde) প্রেমে পড়ে যান এবং ক্রিসিডাও তাকে ভালবাসে। কিন্তু পরবর্তীতে ক্রিসিডা তার কথা রাখতে ব্যর্থ হয় এবং অন্যজনকে বিবাহ করেন। এই বিশ্বাসঘাতকতার গুরুত্বপূর্ণ কাজে রয়েছে ক্রিসিডার ভাই প্যান্তরাস যাকে চসার ক্রিসিডার খুড়ো হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কাহিনিতে চসার প্রেমের গুরুগম্ভীর রাজত্বে কৌতুকরসের অবতারণা করে গল্পটিকে করেছেন জীবন্ত ও বিস্তৃত।
·
The Parlement of Foules চসারের একটি রূপকাশ্রয়ী কবিতা যেখানে কবি দ্বিতীয় George's English
Literature রিচার্ড কর্তৃক বোহেমিয়াবাসিনী অ্যানীকে বিবাহ করার জন্য বাগদান বিষয়টি বর্ণনা করেছেন । এবং এর মাধ্যমে কবি তদানীন্তন লোকসভার প্রতি তীক্ষ্ণ বিদ্রুপ করেছেন। কবিতাটি স্বপ্নদর্শনের আলেখ্যরূপে রচিত। গ্রিক কবি সিসেরোর (Cicero) ‘সোমনিয়াম সিপিয়োনিছ'
(Somnium Scipionis গ্রন্থটি পাঠ করে কবি ঘুমিয়ে চলে গেলেন স্বপ্নের জগতে। কবি সিপিয়োর মাধ্যমে চলে গেলেন সুরম কাননে দেবী ভেনাসের মন্দিরে। সেখানে কবি দেখা পেলেন কিউপিড ও ভেনাসের । তিনি ভ্যালেন্টাই দিবসে দেখলেন সমস্ত অলৌকিক বস্তুকে এবং সবশেষে দেখলেন মহিয়সী দেবী স্বয়ং প্রকৃতিকে । প্রকৃতি দেবী করস্থিত ঈগল পাখির ভালোবাসার পাত্রী নির্বাচিত করার জন্য পক্ষীকুল প্রধানদের একটি সভা আহবান করেছেন। প্রকৃতি দেবী বিহঙ্গকুলের জন্য লোকসভার একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশ ডেকেছেন এবং এই প্রেমের অধিবেশনে বিহঙ্গরা একে একে প্রেমের ব্যাকুলতার সুরকে হৃদয়ের বীণায় ধ্বনিত করে প্রকাশ করলেন। এ এক অপূর্ব আরণ্যক নাটক। পাখিদের তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে জেনটাইলস (Gentiles) ও চিয়ারলেসের (Cherles) মধ্যে বিরোধের রূপটি । তর্কবিতর্কের মধ্যে প্রয়োগ হয়েছে ব্যঙ্গবিদ্রুপের আকারে গালাগালি। কৌতুকরসে জীবন্ত হয়ে উঠেছে সামাজি নাটক, প্রেমের বিচিত্র প্রকাশ ।
·
The House of Fame চসারের একটি স্বপ্নদর্শন বিষয়ক কাব্য যেখানে কবিকে ভেনাসের মন্দির থেকে স্বর্ণ ঈগল বয়ে নিয়ে এলো যশের প্রাসাদে। কবি এখানে লক্ষ করলেন যে কীভাবে দেব অদ্ভুত কৌশলে তার প্রার্থনা নিবেদন করেন । এরপর কবি গুজবের ঘরে গিয়ে দেখলেন গুজব কীভাবে সৃষ্টি হয় । এই কাব্যে দান্তের (Dante) ‘Divine Comedy' এর ছায়া পড়েছে, তবে কবি দান্তের মত মাটির পৃথিবী ত্যাগ করে অতীন্দ্রিয় জগতে বিহার করতে চাননি।
Geoffrey Chaucer এর বিখ্যাত উক্তিসমূহ :
·
Time and tide wait for no man.
·
Patience is a conquering virtue.
·
People can die of mere imagination
John Wycliffe (১৩২০ – ১৩৮৪ খ্রি.)
জন উইক্লিফ ছিলেন একজন গরীব ধর্মযাজক। তিনিই প্রথম ‘The Holy Bible’কে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। উইক্লিফ সাধারণ মানুষকে অলৌকিক ধারণার দুষ্ট ব্যাধি থেকে মুক্ত করার জন্য সাধারণ মানুষের বোধগম্য করে অনুবাদ করেন ‘The New Testament' । এজন্য তাঁকেই প্রথম গদ্যের জনক (Father of English
Prose) বলা হয়। শুধু তাই নয় সেই যুগে পুরোহিতদের মধ্যে যে অনাচার দেখা দিয়েছিল তার বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছিলেন আর তাই তাকে রিফরমেশন আন্দোলনের ‘The Morning Star' বলা হয় ।
William Langland (১৩৩২ - ১৩৮৬ খ্রি.)
উইলিয়াম ল্যাংল্যান্ড ছিলেন তাঁর যুগের বিদ্রোহী কবি। তিনি সহ্য করতে পারেননি ধর্মযাজকদের ভণ্ডামি এবং মানুষের প্রতি তাদের অবজ্ঞা ও অবহেলাকে তিনি কেবলমাত্র কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি লেখনীর সাহায্যে রচনা করেছিলেন ‘দি ভিসন অব উইলিয়াম কনসার্নিং পীয়ার্স দি প্লাউম্যান' (The Vission of William
Concerning Piers the Plowman) বা আজ পিয়ার্স প্লাউম্যান' (Piers Plowman, a
satirical poem) নামে পরিচিত যা ১৩৬২ সালে রচিত হয়েছিল।
Piers Plowman গ্রন্থটি উইলিয়াম ল্যাংল্যান্ডকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। কবিতাটি ১৩৬২ সালে রচিত হয় এবং কবি এই গ্রন্থের মাধ্যমে সে যুগের সাধারণ মানুষকে স্বাধিকার রক্ষার আন্দোলনে যুগিয়েছেন প্রেরণা। কবিতাটিতে দেখা যায়, কবি মে মাসের কোনো একদিন গেছেন ম্যালভার্ন পর্বত ভ্রমণ করতে। এক সময় কবি ক্লান্ত হয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন এবং তিনি স্বপ্নে দেখলেন উন্মুক্ত প্রান্তরে বসেছে জমিদার, কৃষক, ব্যবসায়ী, পাদ্রী, শ্রমিক এর মেলা। সবাই যাবে তীর্থদর্শনে কিন্তু কে দেবে তাদের নেতৃত্ব? একমাত্র সেই পারে নেতৃত্ব দিতে যে চিরদিন করেছে সত্যরক্ষা। সেই সময় Piers নামে এক চাষী তীর্থযাত্রীদের এক শর্তে সত্যের মন্দিরে নিয়ে যেতে চাইলেন। শর্তটি হলো- প্রত্যেককেই তার দেড় বিঘা জমি চাষ করে দিতে হবে। তাতে বিশেষ কেউ রাজি হলো না, কেউ বা কাজের ভয়ে পালিয়ে গেল। তারপর কবি যারা সৎ কাজ করেন তাদের অন্বেষণে বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু তিনি পুরোহিতকুলের মধ্যে এরকম সৎ লোক একেবারেই পেলেন না। কবিতার শেষের দিকে যিশুখ্রিস্টের অলৌকিক কাহিনির অবতারণা করা হয়েছে। উপসংহারে কবি দেখিয়েছেন | যে Piers Plowman ও যিশুখ্রিস্ট একই ব্যক্তি ।
মধ্যযুগের আরও কিছু কবি সাহিত্যিক ও তাঁদের সাহিত্যকর্ম-
Writer |
Works |
John Gower
(1330-1408) |
Confessio Amantis |
Thomas Malory (1415
- 1471 ) |
Morte d' Arthur (the
first romance in prose) |
John Lydgate
(1370-1451) |
Troy Book; Siege of
Thebes |
William Dunber
(1460-1530) |
The Dance of the
Seven Deadly Sins |
The Barren Age/Dark Age
ইংরেজি সাহিত্যে ১৪০০ থেকে ১৪৮৫ খ্রি. পর্যন্ত সময়কাল অন্ধকার যুগ (The Dark Age / The
Barren Age) হিসেবে বিবেচিত । কারণ এ সময় নরম্যানদের শাসনামলে ইংরেজি সাহিত্যের তেমন কোনো বিকাশ হয়নি।
The Renaissance Period (1500 - 1660 )
Renaissance (রেনেসাঁস) একটি ফরাসি শব্দ যার অর্থ Rebirth or Revival or
Regeneration (পুনর্জন্ম/নবজীবন) of learning। রেনেসাঁস ইউরোপের একটি ঐতিহাসিক যুগ যার ব্যাপ্তিকাল ছিল চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত। রেনেসাঁ হলো- শিল্প আন্দোলনের নাম তবে, এটি ছিল জ্ঞান অর্জনের পুনর্জাগরণ (Revival of learning)। এ সময় ইউরোপের শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্য ও বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধিত হয়। ইউরোপে রেনেসাঁস শুরু হয়েছিল চতুর্দশ শতাব্দীতে ইতালির ফ্লোরেন্সে (Florence, Italy)। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং মাইকেল অ্যাঞ্জেলোকে Renaissance man বলা হয় । সম্প্রতি, সমালোচক এবং সাহিত্যিক ইতিহাসবিদরা এটিকে " আধুনিক যুগের প্রাথমিক পর্যায় " বলে চিহ্নিত করতে শুরু করেছেন, কিন্তু এখানে আমরা ঐতিহাসিকভাবে পরিচিত শব্দটি "রেনেসাঁ" ধরেই আলোচনা করছি । মোটা দাগে এই যুগটিকে ও কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয় যেমন- রেনেসাঁ যুগের প্রস্তুতি ( 1500- 1558 ) , এলিজাবেথান যুগ (1558-1603), জ্যাকোবিয়ান যুগ (1603-1625), ক্যারোলিন যুগ (1625-1649), এবং কমনওয়েলথ সময়কাল (1649-1660) ইত্যাদি ।
এই যুগের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ হল :
·
Passion for new knowledge and learning (শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ)
·
Desire for unlimited wealth and power (অপরিসীম সম্পদ ও ক্ষমতা প্রতি মোহ)
·
Love of adventures (অভিযানের প্রতি মোহ)
·
Love of own country (স্বদেশপ্রেম)
·
Love of beauty (সৌন্দর্যের প্রতি মোহ)
·
Love of humanism (মানবতাবাদ)
·
Love for the past (স্মৃতিকাতরতা)