ENGLISH
LITERATURE FOR
The Victorian Period
বিস্তারিত
আলোচনা
The Victorian
Period
The
Victorian Period (1832-1901) মহারানী ভিক্টোরিয়া ১৮৩৭ খ্রি. হতে ১৯০১ খ্রি. পর্যন্ত দীর্ঘ ষাট বছরের অধিক সময় ইংল্যান্ডের সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর নামানুসারে এই যুগের নামকরণ করা হয়েছে ‘ভিক্টোরিয়ান যুগ' । কিন্তু সাহিত্যিক এবং ঐতিহাসিকগণ ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ, অর্থাৎ যে বছর স্যার ওয়াল্টার স্কট (Sir Walter Scott) মৃত্যুবরণ করেন, সেই বছর থেকেই ভিক্টোরীয় যুগের সূচনা হয় বলে মনে করেন। এই যুগকে অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির যুগ বলা হয়। ১৮৩৩ সালে দাসদের মুক্ত করে দেয়া হয়। ১৮৮৩ সালে ক্ষমতা, ধনসম্পদ এবং সুযোগের সমতার ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে ‘The Fabian Society' গঠিত হয়। G. B. Shaw এ সোসাইটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। এ যুগে শিল্প বিপ্লবের কারণে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থার পতন হয় ।
The Pre-Raphaelites (প্রাক-রাফায়েলীয়) (১৮৪৮ - ১৮৬০ খ্রি.) এ সময় Dante Gabriel Rossetti, W. H. Hunt, J.
Millais এবং অন্যান্য ইংরেজ চিত্রকরেরা (Painters) 'Pre-Raphaelites' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন ।
The Aestheticism &
Decadence (নান্দনিক সৌন্দর্য এবং অবক্ষয়) (১৮৮০ - ১৯০১ খ্রি.) এ সময় ভিক্টোরিয়ান যুগের মনন এবং মানের পতন হয় ।
Main features (প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ)
Pre-Raphaelites |
The
Aestheticism and Decadence |
Medievalism
(মধ্যযুগীয়
কাজ-কারবার) |
Artificiality
(কৃত্রিমতা) |
Symbolism
(প্রতীকবাদ) |
Sensationalism
(চাঞ্চল্যকরত্ব) |
Truthfulness
(সত্যবাদিতা) |
Egoism (অহমিকা) |
Simplicity
(সরলতা) |
Strangeness
(দৃষ্টি বা ব্যবহারে এমন বিস্ময়কর যা চেনা বা প্রচলিত রীতির বাহিরে ) |
Sensuousness
(ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা) |
Thomas Carlyle (১৭৯৫ - ১৮৮১ খ্রি.)
টমাস কার্লাইল ছিলেন একজন স্কটিশ, দার্শনিক, প্রাবন্ধিক, ব্যাঙ্গাত্মক লেখক ও ইতিহাসবেত্তা । তিনি তাঁর সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন যার ফলশ্রুতিতে তিনি রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ- On Heroes, Hero - Worship, and The
Heroic in History (1841) যেখানে তিনি বর্ণনা করেছেন- ‘ইতিহাস কিছুই না বরং মহৎ ব্যক্তির জীবনী'। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Historical
treatise |
Novel |
The French
Revolution: A History (1837) |
Sartor
Resartus (1836) |
Elizabeth Barrett Browning (১৮০৬ - ১৮৬১ খ্রি.)
ভিক্টোরিয়ান
যুগের অন্যতম প্রধান নারী সাহিত্যিক। মাত্র ছয় বছর বয়সে তাঁর কাব্য রচনা শুরু এবং Wordsworth এর মৃত্যুর পর তাঁর রচনা শৈলীর উচ্চমাত্রার বৈশিষ্ট্য গুণেই তিনি ছিলেন Poet Laureate পদে Tennyson এর প্রতিদ্বন্দ্বী। Robert Browning এর সাথে বিবাহ হওয়ার পূর্বেই এলিজাবেথ ব্যারেট কবি হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ব্রাউনিং, এলিজাবেথ এর কাব্য পাঠ করেই তার প্রতি আকৃষ্ট হন । ব্রাউনিং এর সাথে তার প্রেম ও বিবাহের কাহিনি সাহিত্যের ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয়ভাবে স্থান পেয়েছে। তিনি যে ব্রাউনিংকে গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন তার প্রকাশ পায় তাঁর ‘সনেটস ফ্রম দ্য পর্তুগিজ (Sonnets from the Portuguese) এ। ব্রাউনিং আদর করে স্ত্রীকে ‘Portuguese’ বলে ডাকতেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Anthology |
Prometheus
Bound (1833) |
Poetic
Novel |
Aurora
Leigh (1856) |
Poetry |
Sonnets
from the Portuguese (1850) |
Alfred Tennyson
(১৮০৯ - ১৮৯২ খ্রি.)
আলফ্রেড লর্ড টেনিসন তাঁর কাব্যের সুরেলা ভাষার জন্য ( known for his melodious Language) বিখ্যাত । তিনি লিংকনশায়ারের অন্তর্গত সোমার্সবি রেক্টরিতে জন্মগ্রহণ করেন। টেনিসন ১৮৫০ সালে রাজকবি (Poet Laureate) পদে অভিষিক্ত হয়েছিলেন এবং এই বছরেই তাঁর বিখ্যাত কাব্য ‘ইন মেমোরিয়াম' (In Memoriam) প্রকাশিত হয়েছিল । ১৮৫৫ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ডক্টর অব ল' সম্মানে ভূষিত করে। ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে (Westminster Abbey) তাঁকে সমাহিত করা হয় ।তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Poetry |
Poem |
Timbuctoo
(টিমবাকটু) |
Locksley
Hall (লকসলে হল) |
In Memoriam ইংরেজি সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ শোকগীতি (Elegy)। কাব্যে কবি চিন্তা এবং আবেগের সমন্বয় সাধন করে যুগের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এবং আশা আকাঙ্ক্ষার একটি নিখুঁত ছবি এঁকেছেন । জীবন, মৃত্যু ও মরণোত্তর মহাজীবনের রহস্য কবি অপরূপ ছন্দে প্রকাশ করেছেন। কবি বন্ধু হ্যালামের (Arthur Henry Hallam) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোকগীতিটি রচনা করেছেন ।
The Lotos-Eaters কবিতায় কবি ট্রয় যুদ্ধ ফেরত একদল অসহায় নাবিকের অসহায়ত্বের নিকট তাদের সান্ত্বনা খোঁজার দিকটি পরম নিষ্ঠার সাথে মেলে ধরেছেন। ট্রয় যুদ্ধ শেষে ইউলিসিস দেশে ফেরার পথে জাহাজসহ নাবিকদের নিয়ে নানা বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হন এবং তারা বিভিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। এ কবিতায় কবি সেই সব আটকে পড়া হতাশ নাবিকদের মনের আর্তি প্রকাশ করেছেন। The Lotos-Eaters কবিতায় প্রকৃতি অধিবাসীদের মতোই ধীর, স্থির, অলস ও শ্লথগতি। প্রকৃতির স্বতন্ত্র কোনো অস্তিত্ব নেই। মানুষের মন আর জীবনের ছবি প্রকৃতির মধ্যে রূপায়িত হয়েছে।
The Locksley Hall কবিতায় কবি একজন ব্যর্থ প্রেমিক যুবার অন্তরের মর্মবেদনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এ কবিতায় প্রেমিক তারই মামাতো বোনের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল। শেষে প্রেমিকা তার প্রেমিককে প্রত্যাখ্যান করে । প্রত্যাখ্যাত এই প্রেমিক ছিল তার মামার Locksley Hall এ আশ্রিত। টেনিসন তাঁর The Locksley Hall কবিতার মাধ্যমে জগতের লাঞ্ছিত, ব্যথিত প্রেমিকজনদের হৃদয়ের আর্তি তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন।
Ulysses কবিতায় কবি ‘ইলিয়াড’ এর কাহিনী অনুযায়ী ট্রয় যুদ্ধের বীর ইউলিসিস এর মনবেদনা আর অজানাকে জানার আকুলতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন । তিনি জীবনকে উপভোগ করতে চান। তাইতো তিনি বলেন, I will drink life to the lees'. মানবাত্মা যেন বদ্ধ গৃহে আবদ্ধ থাকতে চায় না। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, শেষ অধ্যায় দেখা অবধি তারা এগিয়ে যাবেন । তারা কখনও হার মানবে না যদিও সময় ও ভাগ্য তাদেরকে করেছে দূর্বল। তাইতো ইউলিসিস বলেন -
"Made weak by time and fate, but strong in will
To strive, to seek, to find, and not to yield.”
Morte d' Arthur লর্ড আলফ্রেড টেনিসন টমাস ম্যালরির (Thomas Malory) ‘মর্টে ডি আর্থার (Morte d' Arthur)' কে অবলম্বন করে কাব্যটি রচনা করেন। টেনিসন বহু বছর ধরে এই কবিতাটি রচনা করেছেন। প্রথম দিকের কবিতায় রয়েছে মধ্যযুগীয় সুর ও প্রেমের অভিব্যক্তি কিন্তু পরবর্তীতে কবিতাটিতে ভিক্টোরীয় যুগের আত্মতৃপ্তি আর নীতিবাক্য প্রকট হয়ে ওঠে। ইন্দ্রিয়ের সাথে আত্মার বিরোধ এই হলো কবিতাটির মূলমন্ত্র । কবিতায় কবি এক অমোঘ সত্যও তুলে ধরেছেন যে পরিবর্তন প্রকৃতির একটি আইন। পরিবর্তন বৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন। পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা এবং পরিবর্তনের প্রবাহে কাজ করা । কবির ভাষায়-
“The old
order changeth, yielding place to new,
And God fulfils Himself in many ways,"
The Charge of the Light
Brigade ছিল ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ১৮৫৪ সালের ২৫ অক্টোবর Battle of Balaclava এর ব্রিটিশ সৈন্য Lord Cardigan এর নেতৃত্বে রাশিয়ান সৈন্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযান। কবি এই অভিযানে অংশগ্রহণকারী ৬০০ জন ব্রিটিশ সৈন্যের অসীম বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে মহিমান্বিত করে কবিতাটি রচনা করেন। কবির ভাষায়-
Half a league, half a league,
Half a league onward,
All in the valley of Death
Rode the six hundred.
“Forward,
the Light Brigade !
Charge for the guns!” he said.
Into the valley of Death
Rode the six hundred.”
এই কবিতায় সেনাবাহিনীর মধ্যে জাতীয়তাবাদের আগুনকে জ্বলতে দেখেছিলেন, দেখেছিলেন জাতীয়তা মন্ত্রে দীক্ষিত সেনাবাহিনীর মধ্যে কঠিন নিয়মানুবর্তিতা ও দুর্জয় সাহসিকতা। এই কবিতার কয়েকটি ছত্রে ঘনীভূত আবেগের প্রকাশ ঘটেছে। যেমন-
“Theirs not
to make reply,
Theirs not to reason why,
Theirs but to do and die."
Edward FitzGerald (১৮০৯ - ১৮৮৩ খ্রি.)
ফিজজেরাল্ড ছিলেন আলফ্রেড টেনিসন এর বন্ধু। তিনি অনুবাদের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য জীবন শুরু করেন। কিন্তু তাঁর খ্যাতি পারস্যদেশীয় কবি ওমর খৈয়ামের (Omar Khayyam) The Rubaiyat অনুবাদের জন্য। পারস্যের সংগীত ও সৌরভ এবং প্রাচ্যের স্বপ্নের জড়িমা কবিতাটিকে সুখপাঠ্য করেছে। তাঁর আরেকটি নীতিবাক্যমূলক কাব্য ‘পোলোনিয়াস’ (Polonius)। এছাড়াও তিনি ইসকাইলাস এর অ্যাগামেমনন এবং সফোক্লিস এর ঈডিপাস নাটকের অনুবাদ করেন।
Elizabeth Cleghorn Gaskell (১৮১০ - ১৮৬৫ খ্রি.)
Mrs Gaskell নামে পরিচিত এই ইংরেজ সাহিত্যিক একজন ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তাঁর উপন্যাসে ভিক্টোরিয়ান যুগের সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চিত্র চিত্রিত হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Novel |
Wives and
Daughters (1865) |
Cranford
(1851-53) |
|
North and
South (1855) |
|
Biography |
The Life
of Charlotte Bronte (1857) |
William Makepeace Thackeray (১৮১১ - ১৮৬৩ খ্রি.)
উইলিয়াম মেকপিস থ্যাকারে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে জেলার কালেক্টার। লেখাপড়ার চাইতে ছবি আঁকার প্রতিই থ্যাকারের ঝোঁক ছিল বেশি। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Novel |
Vanity
Fair, 1848 (ভ্যানিটি ফেয়ার) |
Pendennis,
1848 -1850 (পেনডেন্নিস) |
|
The
Newcomes, 1855 (দ্য নিউকামস্) |
|
The
Virginians, 1859 (দ্য ভার্জিনিয়ানস্) |
Vanity Fair উইলিয়াম মেকপিচ থ্যাকারের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাসে নায়ক-নায়িকা অনুপস্থিত। উপন্যাসে বেকি শার্প (Becky Sharp) বিবেকবর্জিত এক তরুণী। সে স্বামী শিকারে ব্যস্ত । সে একই সাথে বাবা এবং ছেলের সাথে প্রেমের অভিনয় করে যাচ্ছে। ফলে ছেলে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হলো । শান্ত ভদ্র অ্যামিলিয়া সেডলি (Emmy Sedley) নিজের বহু বাধাবিপত্তির মাঝে তার প্রেমিককে নিয়ে ঘর বাঁধল। কিন্তু স্বামী যুদ্ধে নিহত হল। অ্যামিলিয়া স্বামীর স্মৃতিটুকু পাথেয় করে বেঁচে রইল । কিন্তু বেকি শার্প অ্যামিলিয়ার স্বামীকেও ব্যাভিচারে লিপ্ত করেছিল এই সংবাদ পেয়ে অ্যামিলিয়া ভেঙ্গে পড়ল । তারপর সে নীরব প্রেমিককে বিবাহ করে আবার ঘর সংসার শুরু করেছিল।
Charles Dickens (১৮১২ - ১৮৭০ খ্রি.)
চার্লস্ ডিকেন্স, ছদ্মনাম Boz, ভিক্টোরীয় যুগের একজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক (great novelist)। জন্ম হ্যাম্পশায়ারের অন্তর্গত ল্যান্ডপোর্টে। তাদের সংসারের আর্থিক অবস্থা আদৌ ভালো ছিল না। এগারো বছর বয়সে ডিকেন্সকে পড়াশুনা ছেড়ে পথে পথে গান গেয়ে টাকা উপার্জন করতে হয়েছিল। তিনি 'মর্নিং ক্রনিকেল' পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Novel |
The
Pickwick Papers, 1836 (দ্য পিকউইক পেপারস) |
A Tale of Two Cities উপন্যাসটি London ও Paris শহরের গল্প নিয়ে রচিত। উপন্যাসটিতে অষ্টাদশ শতকের লন্ডন ও প্যারিস শহরের তথা ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সামাজিক, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শৈল্পিকভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। এখানে French Revolution এর নেতিবাচক দিকও চমৎকার ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করা হয়েছে। উপন্যাসটি ঐতিহাসিক ও রোমান্টিক উপাদানের সংমিশ্রণে চিত্রিত। প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- Dr. Alexandre Manette, Lucie, Charles
Darnay, Sydney Carton, Ernest Defarge, Madame Defarge, etc.
David Coperfield এর পুরো শিরোনাম “The Personal History, Adventures,
Experience and Observation of David Copperfield the Younger of Blunderstone
Rookery”। এটি চার্লস ডিকেন্সের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস (Autobiographical novel)। এই উপন্যাসে ডেভিড এর বাবা ছেলের জন্মের পূর্বেই মারা যান। তার মা এডওয়ার্ড মার্ডস্টোন (Edward Murdstone) নামে এক দুর্বৃত্তকে বিয়ে করে। মার্ডস্টোনের অত্যাচারে ডেভিড দিশেহারা। অল্প বয়সেই ডেভিড এক ফ্যাক্টরিতে কাজ করে আর সেখানে তার অসমবয়সি মিকবারের সাথে বন্ধুত্ব হয়। ফ্যাক্টরির পরিশ্রম আর সহ্য করতে না পেরে সে তার বাবার পিসিমা কুমারী বেসি ট্রাটউড (Betsey Trotwood) এর আশ্রয় নেয় । ডেভিড আবার নতুন করে লেখাপড়া শুরু করে। যার বাড়িতে থেকে সে লেখাপড়া শুরু করেছিল তার মেয়ে অ্যাগনিস উইকফিল্ড (Agnes Wickfield) তাকে ভালোবেসেছিল। তার ভালোবাসা উপেক্ষা করে ডেভিড ডোরা স্পেনলোকে (Dora Spenlow) বিয়ে করেছিল। ডোরার মৃত্যুর পর ডেভিড অ্যাগনিসকে বিবাহ করে আর উপন্যাসের মধুর সমাপ্তি হয়।
Great Expectations উপন্যাসের দরিদ্র নায়ক পিপ (Philip Pirrip - Pip)। একমাত্র বোন ছাড়া এই জগতে তার আর কেউ নেই। সে বোনের পরিবারেই আশ্রিত। তার বোন ছিল মুখরা স্বভাবের। পিপের প্রতি তার নির্যাতন ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পিপের ভগ্নীপতি ছিল খুব ভালোমানুষ। একদিন পিপ এস্টেলা (Estella) নামে এক তরুণীকে বিয়ে করার জন্য অর্থোপার্জনে মনোনিবেশ করে। একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে সাহায্য করেছিল। এবার তার বড় হবার আশা জেগে উঠল । কিন্তু যখন সে শুনল যে একজন দস্যু গোপনে তাকে এতদিন সাহায্য করেছে তখন তার আশা ভঙ্গ হলো । ভদ্রলোক হবার নেশায় পিপ তার দরিদ্র ভগ্নীপতি জো গার্গারিকে (Joe Gargery) ত্যাগ করেছিল । এবার তাদের আবার মিলন হলো। আর এস্টেলাকে সে স্ত্রীরূপে পেয়ে ধন্য হলো।
Hard Times উপন্যাসের নায়ক মি. গ্রাডগ্রিন্ড (Mr. Gradgrind) লাভ-ক্ষতি, টানাটানি, অতি ক্ষুদ্র ভগ্ন অংশ ভাগ এই হিসাব করেই দিন কাটাচ্ছে । তার ছেলে টম (Tom) এবং মেয়ে লুইসার (Louisa) সূক্ষ্ম কোমল মনোবৃত্তি ও কল্পনা প্রবৃত্তিকে সে টুটি টিপে মেরে ফেলেছে । লুইসার বিয়ে হয় হৃদয়হীন শিল্পপতি মি. বাউন্ডারবির (Mr. Bounderby) সাথে। শেষ পর্যন্ত গ্রাডগ্রিন্ড তার মেয়েকে স্বামীর হাত থেকে রক্ষা করে। ছেলে টমের দুর্গতির শেষ নেই। মনিবের অর্থ আত্মসাৎ এর অপরাধে তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত হতে হয়।
Oliver Twist উপন্যাসে আছে এক অজ্ঞাতকুলশীল দুর্ভাগা বালকের কথা। অলিভার টুইস্ট অনাথ আশ্রমে মানুষ। অনাথ আশ্রমের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একদিন সে লন্ডনে পালিয়ে গেল। আশ্রয় পেল একদল চোর এবং পকেটমারের কাছে। মি. ব্রাউনলো (Mr. Brownlow) তাকে উদ্ধার করল। চোরেরা তাকে আবার ধরে নিয়ে গেল। বাধ্য হয়ে চুরি করার সময় সে আহত হয়। রোজ মেইলি (Rose Maylie) নামে একটি মেয়ে তাকে আশ্রয় দেয়। কিন্তু চোরেরা তাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না। কারণ মঙ্কস (Monks) নামে একজন দুর্বৃত্ত তাদের এইসব দুষ্কার্যে প্ররোচিত করে । পরে দেখা গেল মঙ্কস অলিভারের বৈমাত্রেয় ভাই । তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য এইসব দুষ্কৃতি সে করে। রোজ অলিভারের নিজের মাসিমা। অলিভার শেষ পর্যন্ত ব্রাউন এর কাছে আবার আশ্রয় পায় ।
Bleak House উপন্যাসে ডিকেন্স আইন আদালতের হৃদয়হীনতার ওপর কঠোর আক্রমণ করেছেন। রিচার্ড কার্নস্টোন (Richard Carstone) ও তার সম্পর্কিত বোন অ্যাডা ক্লেয়ার (Ada Clare) উকিল ও আদালতের অভিভাবকত্বে মানুষ হচ্ছিল। তাদের সম্পত্তির বিলিব্যবস্থার নাম করে উকিলেরা বছরের পর বছর প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করে । রিচার্ড গোপনে আড্ডাকে বিবাহ করে । রিচার্ডের মৃত্যুর পর জানা গেল যে, তাদের দুজনের সম্পত্তিই উকিলদের সিন্দুকে ঢুকেছে।
A Christmas Carol: A Christmas Carol in Prose, Being a
Ghost Story of Christmas' চার্লস ডিকেন্স
(Charles Dickens) রচিত একটি বিখ্যাত ছোট উপন্যাস (novella/short novel)। চার্লস ডিকেন্স এখানে Ebenezer Scrooge নামক একজন বৃদ্ধ কৃপণ ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটির কাহিনি বর্ণনা করেছেন। উপন্যাসটির মূল বিষয় হচ্ছে বড়দিন (Christmas Day) উৎসবের মহত্ত্ব বর্ণনা করা। উপন্যাসটিতে দেখা যায় যে, বড়দিনের এক সন্ধ্যায় Ebenezer Scrooge (যিনি বড়দিনের উৎসব কে ঘৃণা করেন) তার business partner ‘Jacob Marley’ (যিনি নিজেও Ebenezer Scrooge এর মতো লোভী ও স্বার্থপর ছিলেন) এর মৃত্যুর ৭ বছর পরে তার (Jacob Marley) প্রেতাত্মার (ghost) মুখোমুখি হয়। প্রেতাত্মাটিকে একটি বাক্সসহ শেকল পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। প্রেতাত্মাটি Scrooge কে বলেন যে কৃতকর্মের জন্য তারও (Scrooge) এমন অবস্থা অপেক্ষা করছে এবং তা থেকে রক্ষার জন্য ভবিষ্যতে আগত তিনজন প্রেতাত্মা কে অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। উল্লেখিত ৩ জন প্রেতাত্মার প্রথম জন The Ghost of Christmas Past, Scrooge কে তার অতীত স্মৃতির কথা স্বরণ করিয়ে দেয়, যখন কিনা Scrooge তার আদরের ছোটবোন Fan ও প্রথম নিয়োগদাতা Mr. Fezziwig এর সাথে সুন্দর দিন কাটিয়েছিলেন। এ সময় Scrooge তার বাগদত্তা (fiancée) Belle কেও ব্যথাভরে স্বরণ করেন।
দ্বিতীয় প্রেতাত্মা The Ghost of Christmas Present, Scrooge
কে কিছু লোকের প্রতি ইঙ্গিত করেন যারা কিনা Christmas dinner উদযাপনের জন্য কেনাকাটায় ব্যস্ত। এ সময় প্রেতাত্মাটি Scrooge কে তার underpaid clerk, Bob Cratchit এর ছোট ছেলে Tiny Tim এর মারাত্মক অসুস্থতার কথা স্বরণ করিয়ে দেয় এবং তার সাথে যে Scrooge অন্যায় করেছেন তা উল্লেখ করে তাকে সতর্ক করেন।
তৃতীয় প্রেতাত্মা The Ghost of Christmas Yet to Come, ভবিষ্যতে কীভাবে Christmas Day উদ্যাপিত হবে তার বর্ণনা প্রদান করেন । এখানে প্রেতাত্মাটি একজন অপছন্দনীয় (disliked) ব্যক্তির মৃত্যু এবং তদানুযায়ী তার ফলাফল বর্ণনা করেন। গল্পের শেষে Scrooge কে পুরোপুরি একজন দয়ালু ও সদয় ব্যক্তি হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়, যে কিনা বড়দিনের আলোয় আলোকিত হয়ে একজন আদর্শ খ্রিষ্টান হিসেবে পরিণত হয়। বস্তুত উপন্যাসটির মাধ্যমে Charles Dickens, Christmas Day এর গুণকীর্তন করেছেন।
Robert Browning (১৮১২ - ১৮৮৯ খ্রি.)
Victorian
Age এর প্রখ্যাত কবি রবার্ট ব্রাউনিং তাঁর ‘Dramatic Monologue' এর জন্য অমর হয়ে আছেন । জন্ম লন্ডনের কেমবারওয়েল এ। ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে (Westminster Abbey) তাঁকে সমাহিত করা হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Poetry |
Poem |
Pauline,
1833 ( পলিন ) |
The Patriot |
A Grammarian's Funeral কবিতায় রবার্ট ব্রাউনিং একজন মহান পণ্ডিত এর শবদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া এবং শববাহকদের এই পণ্ডিতজনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিকটি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন । এখানে এই সুধীজনের নানাবিধ গুনাবলি এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের আচার-আচরণ, তাঁর জ্ঞান সাধনা ও তাঁর জ্ঞান তৃষ্ণা সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে। তাঁকে মানবের বিবেক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। হীনতর মানুষেরা আজীবন কাটায় লোভ লালসার মাঝে, জ্ঞানের দুয়ার তাদের জন্য রুদ্ধ থাকে। কিন্তু এই পণ্ডিত সর্বদা খুলে রেখেছেন তাঁর জ্ঞানের দুয়ার আর মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেও তিনি জ্ঞানান্বেষণে ব্যস্ত ছিলেন। কবির ভাষায়-
“That low
man seeks a little thing to do,
Sees it and does it:
This high man, with a great thing to pursue,
Dies ere he knows it.”
Andrea del Sarto কবিতাটি ইতালির বিখ্যাত চিত্রকর 'আন্দ্রেয়া ডেল সার্তো' এর জীবন কাহিনি অবলম্বনে রচিত। এই বিখ্যাত চিত্রকর রাফায়েল ও মাইকেল এঞ্জেলোর সাথে কাজ করেছেন। সার্টো লুক্রেজিয়া নামক এক রুপসী রমনীকে বিবাহ করে তার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু লুক্রেজিয়া তাকে মোটেও ভালোবাসতো না। সে শুধু তার ধন-সম্পদকে ভালোবাসতো। তবুও সার্টো তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল, তুমি তোমার প্রেমিকের কাছে যাও আমার আপত্তি নেই, তুমি শুধু আমার পানে তাকিয়ে মধুর হাসি হাসিও। এত বেদনাদায়ক ঘটনার পরও সার্টো তার স্ত্রীর হাসির মর্যাদা দিয়েছেন। এটা একজন শিল্পীর পক্ষেই সম্ভব। কবি বলেন-
"For Leonard, Rafael, Agnolo and me
To cover the three first without a wife,
While I have mine! So still they overcome
Because there's still Lucrezia,-
, as I choose."
Fra Lippo Lippi কবিতায় রবার্ট ব্রাউনিং মঠের সাধু হিসেবে পরিচিত একজন বিখ্যাত চিত্র শিল্পীর শহরের নৈশ প্রহরীর হাতে ধরা পড়ার চিত্র তুলে ধরেছেন। চিত্রকর শহরের বারবনিতার পাল্লায় পড়ে নৈশ প্রহরীর হাতে ধরা পড়ে। প্রহরীর হাতে ধরা পড়ার পর সে প্রহরীকে তার জীবনের করুণ কাহিনি শোনায়। তার শৈশব কেটেছে অযত্নে আর অবহেলায়। তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করার পরও সমাজের তথাকথিত উঁচু স্তরে সে পৌঁছতে পারেনি। এখানে কবি লিপ্পোর মর্ম বেদনার রূপকে অবহেলিত সৎ মানুষের যাতনা হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবি বলেন-
“Your hand,
sir, and good-bye: no lights, no lights!
The street's hushed, and I know my own way back,
Don't fear me! There's the grey beginning. Zooks!"
The Patriot কবিতায় একজন দেশপ্রেমিক তার অতীত গৌরব ও সম্মানের কথা স্বরণ করছেন। তিনি ভাবছেন একদিন এমন ছিল যেদিন তার আগমনে পুরো শহর মাতিয়ে উঠত, সবাই তাকে একনজর দেখার জন্য অস্থির হয়ে উঠত। কবির ভাষায়-
“The air
broke into a mist with bells,
The old walls rocked with the crowd and cries.
Had I said, “Good folk, mere noise repels--
But give me your sun from yonder skies!"
They had answered, "And afterward, what else?"
কিন্তু আজ সে স্মৃতি মলিন । আজ তাকে তার কৃতকর্মের বিচারের জন্য গণমঞ্চে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবাই তার অতীত জানলেও সবাই তাকে আজ তিরস্কার করছে, তাই তিনি ভাবছেন এই মানুষগুলোর জন্যই তিনি তার সারাজীবন কাটিয়েছেন ! এই দুঃখ গাথার মাঝেও কবি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। দেশপ্রেমিক ভাবছেন তার জীবনে তিনি পুরস্কার না পেলেও মৃত্যুর পর তিনি ঠিকই ঈশ্বরের কাছে নিরাপদে থাকবেন । কবি তার আশাবাদ দর্শন প্রকাশে বলেছেন- “God is in His heaven and all is well
with the world."
Brontes (ব্রন্টি ভগ্নিত্রয়)
আইরিশ পাদরি প্যাট্রিক ব্রন্টির পাঁচ কন্যা ও এক ছেলে ছিল। তাদের মধ্যে শার্লট ব্রন্টি (Charlotte Bronte), এমিলি ব্রন্টি (Emily Bronte) এবং অ্যানি ব্রন্টি (Anne Bronte) এই তিন জন লেখালেখির সাথে জড়িত। তিন বোন অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলেন। তিন বোন ছদ্মনামে একসাথে কাব্যসংগ্রহ প্রকাশ করেন। শার্লট এর নাম কারার বেল (Currer Bell), এমিলির নাম এলিস বেল (Allis Bell) ও অ্যানি এর নাম অ্যাক্টন বেল (Acton Bell)। এই ছদ্মনাম নিয়ে তারা উপন্যাসও লেখেন ।
Charlotte Bronte (১৮১৬ - ১৮৫৫ খ্রি.)
শার্লট ব্রন্টি (Charlotte Bronte) ছিলেন আঞ্চলিক ঔপন্যাসিক। তার উপন্যাসের পটভূমিকায় রয়েছে অতি পরিচিত অঞ্চলগুলো। তার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তার উপন্যাসের জন্ম। তার সু- পরিচিত লোকেরাই তার উপন্যাসের চরিত্র। শার্লট কিছুদিন শিক্ষয়িত্রী এবং কিছুদিন গৃহশিক্ষিকার কাজ করেছিলেন। তার ছাত্রীজীবন ও শিক্ষিকার জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে ‘জেন আয়ার’ (Jane Eyre) উপন্যাসে । শার্লট এমিলির সাথে ভাষা শিক্ষার জন্য ব্রাসেল যান । যে অধ্যাপকের কাছে পড়েছিলেন তার সাথে তার ভালোবাসা হয় । সেই ব্যর্থতার কাহিনি লিপিবদ্ধ আছে ‘প্রফেসর' (Professor) উপন্যাসে । শার্লটির উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Novel |
Jane Eyre,
1847 (জেন আয়ার) |
Emily Bronte (১৮১৮ - ১৮৪৮ খ্রি.)
এমিলি ব্রন্টি (Emily Bronte) ছিলেন চতুর্থ কন্যা। তাঁর তিরিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের একমাত্র শ্রেষ্ঠ উপন্যাস Wuthering Heights (উইদারিং হাইটস্, 1847)। উপন্যাসটি ইয়র্কশায়ার অঞ্চলের পর্বত আর জলাভূমির পটভূমিকায় রচিত। এত আবেগময় উপন্যাস এর আগে আর রচিত হয়নি। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো হিথক্লিফ (Heathcliff) । হিথক্লিফ একজন কৃষ্ণাঙ্গ, অসংযত, অসামাজিক, কঠোর মনের মানুষ যাকে মি. আর্নশ ছোটবেলায় কুড়িয়ে পেয়েছিলেন এবং ছেলের মত মানুষ করেছিলেন। হিথক্লিফ কৈশরে ক্যাথরিন আর্নশের (Catherine Earnshaw) প্রেমে পরে এবং ক্যাথরিনের যখন এডগার লিনটনের (Edgar Linton) সাথে বিবাহ হয়ে যায় তখন সে ক্ষোভের তাড়নায় সবকিছু লন্ডভন্ড করে ফেলে । হিথক্লিফ শুধু আবেগাপ্লুত প্ৰেমিকই নয় বরং প্রতিশোধ পরায়ণও । হিথক্লিফ একসময় সফলভাবে লিনটন ও আর্নশের সম্পত্তি করায়ত্ত করে কিন্তু তারপরেও সে শান্তি পায় না । ক্যাথরিন আর্নশের মৃত্যুর পর সে তার নিজের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে ক্যাথরিনের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য। এমিলি ব্রন্টি কয়েকটি ছোট গীতিকবিতার জন্য প্রসিদ্ধ। তার মধ্যে রয়েছে- 'Riches I Hold in Light Esteem'; 'No
Coward Soul is Mine', etc.
Anne Bronte (১৮২০ - ১৮৪৯ খ্রি.)
অ্যানি ব্রোন্টিও ছিলেন তার বোনদের মতো অর্ন্তমুখী । কিন্তু তার কল্পনা ও আবেগের তীব্রতা ততটা ছিল না। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- অ্যাগনিস গ্রে (Agnes Grey) এবং দ্য টেন্যান্ট অব ওয়াইল্ডফেল হল (The Tenant of Wildfell Hall)।
George Eliot (১৮১৯ - ১৮৮০ খ্রি.)
জর্জ এলিয়ট (George Eliot) এর আসল নাম মেরি অ্যান ইভান্স (Mary Anne Evans)। ছদ্মনামেই (Pen name) তিনি অধিক পরিচিত। এ ছদ্মনাম যে কোনো নারীর হতে পারে তা অনেকেই ভাবতে পারেনি। তাঁর জন্ম ওয়ারউইকশায়ারের অন্তর্গত আরবেরি ফার্মে। তিনি ‘ওয়েস্টমিনিস্টার রিভিউ' (The Westminster Review) পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Novel |
Adam Bede,
1859 (এ্যাডাম বেড়ে ) |
Sir Richard
Francis Burton (১৮২১- ১৮৯০ খ্রি.)
স্যার রিচার্ড ফ্রানসিস বার্টন ছিলেন একজন বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী ইংরেজ অনুবাদক। ২৯টি ভাষায় দক্ষতা অর্জনকারী এই ইংরেজ, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Poem |
Folk Tales |
The
Kasidah |
One
Thousand and One Nights/The Arabian Nights |
Matthew Arnold (১৮২২ - ১৮৮৮ খ্রি.)
ম্যাথু আরনল্ড বেশ পরিচিত তাঁর 'Melancholic Attitude' এর জন্য। ১৮৫৭ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কাব্যের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। তাঁর সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Poetry |
The
Strayed Reveller and Other Poems, 1849 |
Empido
Cliss Etna, 1852 (এমপিডো ক্লিস এটনা) |
|
Poems,
1855 (পোয়েমস্) |
|
New Poems,
1867 (নিউ পোয়েমস্) |
|
Poem |
Dover
Beach |
The
Scholar Gipsy |
|
Thyrsis |
|
Shakespeare
(sonnet) |
|
Essay |
Culture
and Anarchy, 1867 (কালচার অ্যান্ড এনার্কি) |
Essays in
Criticism, 1888 (এসেজ ইন ক্রিটিসিজম) |
|
The Study
of Poetry (দ্য স্টাডি অব পয়েট্রি ) |
Thyrsis কবিতাটি কবি তাঁর অকাল প্রয়াত বন্ধু ও সহপাঠী আর্থার হাফ্ ক্লাফ (Arthur Hugh Clough) এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে রচনা করেছেন। আর্থার ক্লাফ ছিলেন তাঁর অক্সফোর্ডের সহপাঠী। সে সময়ে অক্সফোর্ডের আশে পাশে ছিল গ্রামীণ পরিবেশ। কবি তাঁর বন্ধুকে নিয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে ঘুরে সেসব গ্রামীণ পরিবেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করেছেন। তাঁর বন্ধুর স্মৃতিগুলো আজও ঘিরে রেখেছে ঐ স্থানগুলো যদিও নগরায়ণের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য অনেক আগেই হারিয়ে গেছে ।
Dover Beach কবিতায় কবি সমুদ্রের শান্ত নির্মল পরিবেশকে ফুটিয়ে তুলেছেন। কঠিন বাস্তবতার কারণে তিনি সমুদ্রের অসাধারণ সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে পুরোপুরি মেশাতে পারেননি। কবি মনে করেন, কোথাও নির্মল আনন্দ নেই, কোথাও তিনি আশার বাণী শুনতে পান না । ‘ডোভার বীচ' কবিতায় সৌন্দর্যের মাঝেও হতাশার সুর ধ্বনিত হয়। কবির ভাষায়-
"To lie before us like a land of dreams,
So various, so beautiful, so new,
Hath really neither joy, nor love, nor light,
Nor certitude, nor peace, nor help for pain;"
The Scholar Gipsy কবিতায় কবি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থীর হঠাৎ করেই যাযাবর জিসিদের দলে ভিড়ে যাওয়ার দিকটি তুলে ধরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলিত শিক্ষা থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির কাছে শিক্ষা গ্রহণের জন্য সে যাযাবর জিসিদের দলে যোগ দিয়েছে। সে আধুনিক জীবনযাত্রা হতে সরে গিয়ে মুক্ত জীবনযাপন করতে চেয়েছে প্রকৃতির কোলে কারণ আধুনিকতার জ্ঞান তাকে মুক্তি না দিয়ে জড়িয়েছে বিশৃঙ্খলায়। প্রকৃতির কাছে শিক্ষার মাধ্যমে কবি স্বাধীন চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কবির ভাষায়-
“O born in
days when wits were fresh and clear,
And life ran gaily as the sparkling Thames;
Before this strange disease of modern life,
With its sick hurry, its divided aims."
George Meredith (১৮২৮ - ১৯০৯ খ্রি.)
ভিক্টোরিয়ান
যুগের এই ইংরেজ সাহিত্যিক একাধারে ছিলেন ঔপন্যাসিক ও কবি। মেরিডিথ এর উপন্যাসগুলো কমেডি (Comedy) নির্ভর। ইংরেজি সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন সময় সাত বার তিনি নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Novel |
The Ordeal
of Richard Feverel (1859) |
Evan
Harrington (1861) |
|
The Egoist
(1879) |
|
Diana of
the Crossways (1885) |
|
Poetry |
Modern
Love (1862) |
The Lark
Ascending (1881) |
|
Essay |
Essay on
Comedy (1877) |
Richard Doddridge Blackmore (১৮২৫ - ১৯০০ খ্রি.)
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের অন্যতম প্রধান এই ঔপন্যাসিক R.D Blackmore নামে পরিচিত। অহংকারী, লাজুক, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মকেন্দ্রিক চরিত্রের অধিকারী এই লেখককে ভিক্টোরিয়ান যুগের সর্বশেষ কবি বলা হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Novel |
Lorna
Doone (1869) |
The Maid
of Sker (1872) |
|
Alice
Lorraine (1875) |
|
Dariel
(1897) |
Lewis Carroll (১৮৩২ - ১৮৯৮ খ্রি.)
প্রকৃত নাম Charles Lutwidge Dodgson, তবে ছদ্ম নামেই বেশি পরিচিত। ইংরেজ এই সাহিত্যিক একাধারে গণিতজ্ঞ, যুক্তিবাদী এবং আলোকচিত্রগ্রাহক । তিনি তাঁর কিশোর সাহিত্যকর্ম (Juvenile literature) Alice in
Wonderland' এর জন্য শিশুকিশোরদের কাছে অধিক পরিচিত। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Novel |
Alice's
Adventures in Wonderland (1865) |
Poem |
The
Hunting of the Shark (1876) |
Journal |
What the
Tortoise Said to Achilles (1895) |
Thomas Hardy (১৮৪০ - ১৯২৮ খ্রি.)
টমাস হার্ডি একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও কবি (Famous Novelist and Poet)। তিনি হার্ডি ডরচেস্টারের সন্নিকটে আপার বোকহ্যাম্পটনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইংল্যান্ডের ডরচেস্টারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম নিম্নরূপ-
Novel |
Tess of
the D'Urbervilles, 1891 |
The
Woodlanders, 1887 (দ্য উডল্যান্ডার্স) |
|
The Mayor
of Casterbridge, 1886 |
|
Under the
Greenwood Tree (আন্ডার দ্য গ্রিনউড ট্রি) |
|
Far From
the Madding Crowd (ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড) |
|
The Return
of the Native (দ্য রিটার্ন অব দ্য নেটিভ) |
Tess of the D'Urbervilles উপন্যাসটিতে লেখক টেস (Tess) নামক এক সরল মেয়ের করুণ পরিণতির কাহিনি বর্ণনা করেছেন। টেস অ্যালেস ডারবারভিলস (Alec D'Urbervilles) এর লালসার শিকার হয়ে সন্তান সম্ভবা হয়ে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। সন্তানটির মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পর টেস অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার নামক এক যুবককে বিবাহ করে । কিন্তু অ্যাঞ্জেল (Angel) টেসের অতীত জানতে পেরে তাকে ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়। এদিকে টেস আবার অ্যালেসের খপ্পরে পড়ে। অন্যদিকে অ্যাঞ্জেল তার ভুল বুঝতে পারে এবং টেসকে গ্রহণ করতে চায়। টেস অ্যালেসকে হত্যা করে অ্যাঞ্জেল এর সাথে পুনর্মিলিত হয় । কিন্তু আইনের চোখে অপরাধী হওয়ায় টেসকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
Gerard Manley Hopkins (১৮৪৪-১৮৮৯ খ্রি.)
জেরার্ড ম্যানলি হপকিন্স জন্মেছিলেন ভিক্টোরীয় যুগের প্রথম ভাগে, কিন্তু তাঁর বন্ধু ড. রবার্ট ব্রিজেস (Dr. Robert Bridges) এর আনুকূল্যে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯১৮ খ্রি.। তাই হপকিন্সকে আধুনিক কবিদের পথিকৃৎ বলা চলে। তিনি কাব্যে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তিনি স্প্রাং রিদম (Sprung Rhythm) ছন্দের প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি কথ্য ভাষার অনেক শব্দ বিনা দ্বিধায় প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি কাব্যে ব্যাকরণের নিয়মকানুন বিশেষ মানতেন না ।
Spring and Fall কবিতায় বালিকা মার্গারেট হলো বসন্তের প্রতীক। সে Fall বা হেমন্তের ঝরাপাতা দেখে কেঁদে উঠে। কবি এখানে পাতা ঝরার প্রতীকে মানুষের ফুরিয়ে যাওয়া, পৃথিবী হতে জীবন ঝরে যাওয়ার চিত্রটি তুলে ধরেছেন। কবি মার্গারেটকে এই বলে সান্ত্বনা দেন যে, শুধু পাতা নয় সব মানুষের শেষ পরিণতিটা এমনই হবে। কবি বলেন-
“It is the
blight man was born for,
It is Margaret you mourn for."
The Windhover কবিতায় কবি বাজপাখির গতিবেগের সাথে মহান ক্রিস্টের অলৌকিক আলোকধারার তুলনা করার প্রয়াস পেয়েছেন। উইন্ডহোভার একপ্রকার পাখি। কবিতাটি যিশুখ্রিষ্টের চরণে নিবেদিত। এখানে কবির ধর্মাত্মক চিন্তার পরম সুন্দর প্রকাশ পেয়েছে। পাখিটি আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে আর তারই মধ্যে ঈশ্বরের আবির্ভাব। পাখিটি প্রভাতের প্রিয়, যিশুর স্নেহভাজন।
Felix Randal কবিতায় কবি একজন ঘোড়ার নাল প্রস্তুতকারী কামারের শারীরিক অবনতির কথা উল্লেখ করেছেন । কবি বলেন, শোক তাপ, দুঃখ বেদনা হতে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায় মহান ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করা। একমাত্র মহান ঈশ্বরই পারে মানুষের সকল সমস্যা দূর করে দিতে।
Pied Beauty কবিতায় কবি সমস্ত চিত্রবিচিত্র জিনিসের প্রতি তার অনুরাগ প্রকাশ করেছেন। তারপর তিনি চিত্রবিচিত্র জিনিসের সাথে ঈশ্বরের তুলনা করেছেন। চিত্রবিচিত্র জিনিসের পরিবর্তন হবে। কিন্তু ঈশ্বরের পরিবর্তন নেই। তিনি অনাদি, অনন্ত আর শাশ্বত।
“All things
counter, original, spare,
strange; Whatever is fickle, freckled (who knows how?)
With swift, slow; sweet, sour; adazzle, dim;
He fathers-forth whose beauty is past change: Praise him."
R. L. Stevenson (১৮৫০ - ১৮৯৪ খ্রি.)
পুরো নাম Robert Louis Balfour Stevenson, একজন স্কটিশ ঔপন্যাসিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও ভ্রমণকাহিনি রচয়িতা। তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের জন্য সমান উপভোগ্য উপন্যাস রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁকে ইংরেজি সাহিত্যের নব্য রোমন্টিসিজমের প্রতিনিধিত্বকারী সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবদ্দশাতেই ভূয়সী প্রশংসাপ্রাপ্ত এই সাহিত্যিক বিশ্বের প্রথম ২৮ জন সর্বাধিক অনুদিত লেখকদের একজন । তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Novel |
Treasure
Island (1883) |
Kidnapped
(1886) |
|
Strange
Case of Dr Jekyll and Mr Hyde (1886) |
|
Weir of
Hermiston (1896) |
|
Poetry |
A Child's
Garden of Verses (1885) |
Short
Stories |
New
Arabian Nights (1882) |
George Robert Gissing (১৮৫৭ - ১৯০৩ খ্রি.)
সারাজীবন শিক্ষকতা পেশায় কাটিয়ে দেওয়া একজন ইংরেজ সাহিত্যিক। ১৮৮০ থেকে ১৯০৩ সালের মধ্যে তাঁর প্রকাশিত মোট উপন্যাসের সংখ্যা ২৩টি। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস 'Workers in the Dawn'। তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম-
Novel |
Workers in
the Dawn (1880) |
The Nether
World (1889 ) |
|
A Life's
Morning (1888) |
|
The Odd
Women (1893) |
|
The Paying
Guest (1895) |
|
The
Whirlpool (1897) |
Conan Doyle (১৮৫৯ - ১৯৩০ খ্রি.)
পূর্ণ নাম Sir Arthur Ignatius Conan Doyle বহুমাত্রিক ও রোমাঞ্চপূর্ণ জীবনের অধিকারী এই স্কটিশ সাহিত্যিক একাধারে লেখক, চিকিৎসক, ইতিহাসজ্ঞ, যুদ্ধ সাংবাদিক এবং আত্মিকবাদী। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার কল্পিত গোয়েন্দাকাহিনি Sherlock Holmes এর গল্পসমূহের জন্য। বোয়ের যুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকান এক মাঠ-চিকিৎসাকেন্দ্রে অবদান রাখার জন্য তাকে ১৯০২ সালে নাইট উপাধি প্রদান করা হয় ৷