চাকরির ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়। ভাইভার প্রস্তুতি নেবার জন্য কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। নিজের সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, এবং সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে প্রস্তুতি নিতে হবে। এছাড়াও, যে পদের জন্য আবেদন করেছেন সেই পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার। পোশাক এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ভাইভার জন্য প্রস্তুতি নেবার কয়েকটি বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. নিজের সম্পর্কে ধারণা:
·
ভাইভা বোর্ডে সাধারণত প্রথমে নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়। তাই, নিজের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, এবং আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো গুছিয়ে বলতে পারা উচিত।
·
সংক্ষেপে নিজের দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে ধরা ভালো, তবে সেগুলোকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
২. শিক্ষাগত যোগ্যতা:
·
যে সকল ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
·
যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, তার মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা আবশ্যক।
·
যদি কোনো একাডেমিক গবেষণাপত্র বা প্রকল্পের কাজ করে থাকেন, তবে তার বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
৩. কাজের অভিজ্ঞতা:
·
যদি পূর্বে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে, তবে সেই কাজের অভিজ্ঞতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
·
অতীতের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে কি শিখেছেন, এবং বর্তমান চাকরির ক্ষেত্রে তা কীভাবে কাজে লাগবে, তা বুঝিয়ে বলতে পারা উচিত।
৪. সাধারণ জ্ঞান:
·
সাম্প্রতিক সাধারণ ঘটনাপ্রবাহ, খেলাধুলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
·
যে প্রতিষ্ঠানে ভাইভা দিতে যাচ্ছেন, সেই প্রতিষ্ঠান এবং যে পদের জন্য আবেদন করেছেন, সেই পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা রাখতে হবে।
৫. অন্যান্য প্রস্তুতি:
·
পোশাক : মার্জিত ও রুচিশীল পোশাক পরিধান করা উচিত।
·
বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
: আত্মবিশ্বাসী এবং ইতিবাচক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বজায় রাখতে হবে।
·
কথা বলার ধরণ : স্পষ্টভাবে এবং গুছিয়ে কথা বলতে হবে।
·
সময় : সময়মতো উপস্থিত হওয়া উচিত এবং অপ্রয়োজনীয় কথা বলা পরিহার করা উচিত।
ভাইবা বোর্ডে যে প্রশ্নগুলোপ্রায় ই করা হয়-
·
১. আপনার নাম কি?-
·
·
২. আপনার নামের অর্থ কী?-
·
·
৩. এই নামের একজন বিখ্যাতব্যক্তির নাম বলুন?-
·
·
৪. আপনার জেলার নাম কী?-
·
·
৫. আপনার জেলাটি বিখ্যাত কেন?-
·
·
৬. আপনার জেলার একজন বিখ্যাতমুক্তিযোদ্ধার নাম বলুন?-
·
·
৭. আপনার জেলার একজন বিখ্যাতব্যক্তির নাম বলুন?-
·
·
৮. আপনার বয়স কত?-
·
·
৯. আজ কত তারিখ?-
·
·
১০. আজ বাংলা কত তারিখ?-
·
·
১১. আজ হিজরি তারিখ কত?-
·
·
১২. আপনি কি কোনো দৈনিকপত্রিকা পড়েন?-
·
·
১৩. পত্রিকাটির সম্পাদকের নামকি?-
·
·
১৪. আপনার নিজের সম্পর্কেইংরেজিতে বলুন?
জেনে নিন "ইরান" সম্পর্কে
◆ এশিয়া মহাদেশের দেশ – ইরান
◆ রাষ্ট্রীয় নামঃ The Islamic Republic
of Iran
◆ ইরানের পূর্ব নাম- পারস্য
◆ পারস্য নাম পরিবর্তন করে ইরান করা হয় -১৯৩৫ সালে
◆ ভাষা- ফার্সি
◆ইরানের প্রদেশ- ৩১ টি
◆ রাজধানী – তেহরান
◆ মুদ্রা - বর্তমান-তুমান (২০০৯) [পূর্বে -রিয়াল]
◆ জাতীয় সংসদ – মজলিস
◆ সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা - আয়াতুল্লাহ আল খামেনি
◆ ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দ্বীপ- (আবু মুসা)।
◆ ইরাক-ইরান যুদ্ধে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর সংক্ষিপ্ত নাম- UNIIMOG (১৯৮৮)
◆ফ্রিডম মুভমেন্ট যে দেশের সংগঠন- ইরানের।
◆ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা অবস্থিত- ইস্পাহানে ।
◆ইরান যে উপসাগরের তীরে অবস্থিত- পারস্য উপসাগর।
◆ইরানে ইসলামী বিপ্লব ঘটে- ১৯৭৯ সালে।
◆দত্ত-ই-লুত ইরানের একটি - মরুভূমির নাম।
◆ বাম- নগরী ইরানে অবস্থিত।
◆ বিশ্বের বৃহত্তম তেল শোধনাগার অবস্থিত- ইরানের আবাদান নগরীতে।
◆ইরানের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা- ভিভাক, সাভাক ।
◆ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র - বুশাহর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট
v সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েলের হামলার সাংকেতিক নাম---
অপারেশন রাইজিং লায়ন।
সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলার সাংকেতিক নাম---
অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযানের নাম---
অপারেশন মিডনাইট হ্যামার।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানে পরিচালিত সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়---
২২ জুন, ২০২৫ (শনিবার রাতে)।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক অভিযান পরিচালিত হয়, স্থাপনাগুলোর নাম---
ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
ইসরাইল দেশ
ইসরাইলের ইতিহাস বলতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দক্ষিণে এমন একটি এলাকার কথা বুঝানো হয়, যা কেনান, ফিলিস্তিন অথবা পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত এবং যেখানে আধুনিক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ভৌগলিকভাবে অবস্থিত। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে সংকটপূর্ণ পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় করিডোরের অংশ হিসেবে এই এলাকাটি প্রাচীন মানুষের আফ্রিকা থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পরা ঘটনার সাক্ষী হয়েছে, আনুমানিক ১০ হাজার খ্রিষ্ঠপূর্বে নটিফীয় সংস্কৃতির উদ্ভবকে দেখেছে। আনুমানিক ২০০০ খ্রিষ্ঠপূর্বে ক্যানানীয় সভ্যতার উত্থানের মাধ্যমে এই এলাকাটি ব্রোঞ্জ যুগে প্রবেশ করে, পরবর্তীতে ব্রোঞ্জ যুগের শেষে মিশর এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। লৌহ যুগে ইসরায়েল এবং যিহূদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইহুদী এবং শমরীয় জাতির উদ্ভব ও ইব্রাহিমীয় ধর্মীয় মুল্যবোধের বিকাশে ভূমিকা পালন করে।[১][২][৩][৪][৫][৬] এই ভূমি ইহুদী ধর্ম, শমরীয় ধর্ম, খ্রিষ্টান, ইসলাম, দ্রুজ, বাহাই ধর্ম,এবং আরো অন্যান্য ধর্মের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের ইতিহাসের পুরো সময়জুড়েই ইসরায়েলের ভূমি বিভিন্ন জাতির নিয়ন্ত্রণ ও দখলের মধ্যে ছিল। ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন জাতিসত্তার আবাসভূমি হয়ে উঠেছিল এই এলাকা।
পরবর্তী শতক জুড়ে কখনো আসিরীয়,
কখনো ব্যাবিলনীয়,
এবং কখনো হাখমানেশি সাম্রাজ্য এই এলাকা দখল করে নেয়। এরপর টলেমী এবং সেলেউসিড সাম্রাজ্য হেলেনিস্টিক যুগে এই অঞ্চল দখলের প্রতিযোগিতা চালিয়ে যায়। যাইহোক, হাসমোনীয় বংশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থানীয় ইহুদীরা শতবছর ধরে নিজেদের স্বাধীন রাখতে সক্ষম হয়, যা রোমান প্রজাতন্ত্রের অধীনে পতন ঘটে।[৭] ১ম এবং ২য় শতাব্দীতে ইহুদী-রোমান যুদ্ধে অনেক ইহুদী নিহত হয়, তাদের উচ্ছেদ করা হয় অথবা দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়।[৮][৯][১০][১১] রোমান সাম্রাজ্যের প্রভাবে খ্রিষ্ঠান ধর্মের প্রভাব বাড়তে থাকায় ইহুদীরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে, ফলে চতুর্থ শতকের পূর্বেই খ্রিষ্টানরাই এই এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যায়। যাইহোক, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মুহম্মদের অধীনে আরব উপদ্বীপ জুড়ে ইসলাম ছড়িয়ে পরে। ইসরায়েলের ভূমির উপর বাইজেন্টাইন খ্রিষ্টানদের যে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল, ৭ম শতকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল আরবদের বিজয়ের পর সেই নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে যায়। ১১ থেকে ১৩ শতক জুড়ে ক্রুসেডের অংশ হিসেবে অঞ্চলটি খ্রিস্টান ও মুসলিম আর্মির মধ্যে বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ১৩ শতকে ইসরায়েলের ভূমি মঙ্গোলীয় আক্রমণ এবং দখলের শিকার হয়, যদিও স্থানীয়ভাবেই বিশেষত মামলুক সালতানাত রাজ্যের কারণে মঙ্গোলীয়রা পরাজিত হয়। ১৬ শতাব্দী অবধি এই ভূমি মামলুক রাজ্যের অধীন ছিল। পরিশেষে অটোম্যান সাম্রাজ্যের কাছে মামলুক রাজ্যের পতন হয় এবং এই এলাকাটি ২০ শতক অবধি অটোমান প্রদেশের অংশ ছিল।
ইহুদি জাতীয়তাবাদ আন্দোলন জায়নবাদ উনিশ শতকের শেষভাগে (আংশিকভাবে ক্রমবর্ধমান ইহুদি-বিদ্বেষের প্রতিক্রিয়া হিসাবে) আবির্ভূত হয়, যার অংশ হিসাবে আলিয়াহ (ধর্মীয় ও আইনিভাবে ইসরাইলের প্রতিশ্রুত ভূমিতে প্রবাস থেকে ইহুদিদের ফিরে আসার প্রক্রিয়া) বৃদ্ধি পায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির সাথে অটোমান সাম্রাজ্যের সিনাই এবং ফিলিস্তিনের মাঝে একটি স্থানে সংঘর্ষ এবং যুদ্ধ চলে। যেখানে অটোমান সাম্রাজ্যের হেরে যাওয়ার পরিণতি হিসেবে অটোমান সাম্রাজ্যকে বিভক্ত করে ফেলা হয়। ব্রিটিশ সরকার লিগ অব নেশনস থেকে ফিলিস্তিন শাসন করার ম্যান্ডেট (ম্যান্ডেটঃ লীগ অব নেশন থেকে কোনো অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা) অর্জন করে, যা ম্যান্ডাটরী ফিলিস্তিন হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ সরকার প্রকাশ্যে একটি ইহুদিদের জাতীয় বাসস্থান তৈরি করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। আরব জাতীয়তাবাদীরা পূর্বের অটোমান অঞ্চলসমূহের অধিকার দাবি করে এবং ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অভিবাসন রোধ করার চেষ্টা করে, ফলে আরব-ইহুদি উত্তেজনা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর আরব ইসরায়েল যুদ্ধের সূচনা হয়, যার ফলে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিদের তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয় এবং এর পরে আরব ও মুসলিম দেশসমূহ থেকে ইহুদিদের ইসরায়েলে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্বের সমগ্র ইহুদিদের প্রায় ৪৩% আজ ইসরায়েলে বসবাস করে, যা বিশ্বের বৃহত্তম ইহুদি সম্প্রদায়। ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৭৯ সালে মিশর–ইসরায়েল শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইসরায়েল ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার সাথে ১৯৯৩ সালে ওসলো আই চুক্তি স্বাক্ষর করে, তারপরে ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল-জর্ডান শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এই সংঘাত ইসরায়েলি এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
গ্রামীণ ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংক হলো বাংলাদেশের একটি আধা-সরকারি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী বিশেষায়িত সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক।[৫][৬] এটি দারিদ্র্য পীড়িত মানুষের কাছে জামানত ছাড়াই ক্ষুদ্রঋণ (যা মাইক্রোক্রেডিট বা "গ্রামীণক্রেডিট" নামে পরিচিত) প্রদান করে।[৭]
গ্রামীণ ব্যাংক একটি আইন দ্বারা পরিচালিত পাবলিক অথরিটি। এর সূচনা ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর একটি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে, যা গ্রামের গরিবদের ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য একটি ঋণ সরবরাহ ব্যবস্থা পরিকল্পনা করার জন্য পরিচালিত হয়। ১৯৮৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় আইন দ্বারা গ্রামীণ ব্যাংককে একটি স্বাধীন ব্যাংক হিসেবে গতচগুতা
কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ মডেল অনুসরন করা সত্বেও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ অনুযায়ী এটি 'ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান' না হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংক মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি স্বতন্ত্র আইন- গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ, ১৯৮৩-এর (বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক আইন, ২০১৩) অধীনে পরিচালিত হয়।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ব্যাংকটি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করে। জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় লক্ষ, যার ৯৬.৮১% নারী।[৮] ১৯৯৮ সালে ব্যাংকের "নিম্ন ব্যয়ের আবাসন কর্মসূচি" 'ওয়ার্ল্ড হ্যাবিটেট অ্যাওয়ার্ড' লাভ করে। ২০০৬ সালে ব্যাংক এবং এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।[৯]
ব্যাংকের সাফল্য বিশ্বব্যাপী ৬৪টিরও বেশি দেশে অনুরূপ প্রকল্পের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে, যার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের গ্রামীণ ধরনের ঋণ ব্যবস্থা অর্থায়নের উদ্যোগও রয়েছে।[১০]
গ্রামীণ ব্যাংকের ইতিহাস
[সম্পাদনা]
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ চলাকালীন ৪২টি পরিবারের একটি দলকে ২৭ মার্কিন ডলার ব্যক্তিগত ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। এই ঋণটি তাদেরকে বিক্রয়ের জন্য পণ্য তৈরি করতে সহায়তা করেছিল, যাতে তারা শোষণমূলক ঋণের উচ্চ সুদের বোঝা থেকে মুক্ত থাকে।[১১] ইউনূস বিশ্বাস করতেন যে এই ধরনের ঋণ বৃহত্তর জনগণের জন্য উপলব্ধ হলে ব্যবসাকে উৎসাহিত করতে পারে এবং বাংলাদেশের ব্যাপক গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাস করতে পারে।
মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
ইউনূস তার গবেষণা ও অভিজ্ঞতা থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের নীতি তৈরি করেছিলেন।[১২] তিনি একটি গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছিলেন, যা একটি জাতীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে মিলিত হয়ে গ্রামীণ দরিদ্রদের জন্য ক্রেডিট এবং ব্যাংকিং সেবা প্রদান পদ্ধতি পরীক্ষা করার জন্য মাইক্রোক্রেডিট বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে। ১৯৭৬ সালে জোবরা গ্রাম প্রথম এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেবা পায়। পরবর্তী দুই বছরে প্রকল্পটি এলাকার অন্যান্য গ্রামে বিস্তৃত হয়।[১৩] এই প্রকল্পটি, বাংলাদেশ ব্যাংক এর সহায়তায়, ১৯৭৯ সালে টাঙ্গাইল জেলা তে (রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরে) বিস্তৃত হয়। পরবর্তী কয়েক বছরে, প্রকল্পের সেবা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় বিস্তৃত হয়।[১৩]
পরিচালনা পদ্ধতি
[সম্পাদনা]
এটি বাংলাদেশ ব্যাংক এর তালিকাভুক্ত নয়। এটি বাংলাদেশের ৫টি অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের একটি।
অর্জন ও পুরস্কার
[সম্পাদনা]
২০০৬ সালে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখায় গ্রামীণ ব্যাংক এবং মুহাম্মদ ইউনুস যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
1. আগাখান স্থাপত্য পুরস্কার: ১৯ ৮৯ (সুইজারল্যান্ড)
2. কাজী মাহবুবউল্লাহ পুরস্কার: ১৯৯২ (বাংলাদেশ)
3. রাজা বোঁদওয়া আন্তর্জাতিক উন্নয়ন পুরস্কার : ১৯৯৩ (বেলজিয়াম)
4. তুন আবদুল রাজাক পুরস্কার: ১৯৯৪ (মালয়েশিয়া)
5. স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার: ১৯৯৪ (বাংলাদেশ)
6. বিশ্ব বসতি পুরস্কার: ১৯৯৭ (যুক্তরাজ্য)
7. গান্ধী শান্তি পুরস্কার: ২০০০ (ভারত)
8. পিটার্সবার্গ পুরস্কার: ২০০৪ (যুক্তরাষ্ট্র)
9. নোবেল শান্তি পুরস্কার: ২০০৬ (নরওয়ে)
10.
এম সি সি আই ঢাকা এর শতবর্ষ পদক পুরস্কার:২০১৪ (বাংলাদেশ)
11.
ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন এর "বেস্ট কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সেবল ব্যাংক পুরস্কার :২০১৪ (যুক্তরাজ্য
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
মুহাম্মদ ইউনূস (জন্ম: ২৮ জুন ১৯৪০) একজন বাংলাদেশী সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। তিনি ২০২৪ সালের ৮ ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[১] তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।[২] তিনি ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।[৩] তিনি সেই সাতজন ব্যক্তির একজন যারা নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।[৪]
২০১২ সালে, তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[৫][৬] এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।[৭] তিনি তার অর্থকর্ম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি গ্রামীণ আমেরিকা এবং গ্রামীণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বোর্ড সদস্য, যা ক্ষুদ্রঋণকে সহায়তা করে থাকে।[৮] তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন।[৯] ২০২২ সালে তিনি ইলেকট্রনিক স্পোর্টস (ইস্পোর্টস) এর উন্নয়নে উন্নয়নের জন্য ইস্পোর্টস আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্লোবাল ইস্পোর্টস ফেডারেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করেছিলেন।[১০]
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলন এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন[১১] এবং ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করার পরে শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করেছিলেন।[১] রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে দেখা শ্রম কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে পরের দিন আপিলে তার খালাস তাকে দেশে ফিরে আসতে এবং নিয়োগকে সহজতর করেছিল।[১২] তিনি ২০২৪ সালের ৮ই আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[১] এছাড়া তিনি ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১৩] ২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম তালিকায় তাঁর নাম উঠে আসে।[১৪][১৫] ২০২৫ সালে, টাইম ম্যাগাজিন তার নাম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০
জন ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[১৬]
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের[১৭] বাথুয়া গ্রামে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১৮][১৯] তিনি নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।[২০] তাঁর পিতা দুলা মিঞা সওদাগর ছিলেন একজন জহুরি ও চট্টগ্রামের নেতৃস্থানীয় সুফীদের মুরীদ ছিলেন।[১৮][২১][২২] এবং তাঁর মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তার শৈশব কাটে গ্রামে। ১৯৪৪ সালে তার পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে এবং তিনি তার গ্রামের স্কুল থেকে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যান।[১৮][২২] ১৯৪৯ সালের দিকে তার মা মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার ছাত্রের মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন।[২২]
১৯৫৩ সাল ইউনূস বয় স্কাউট হিসেবে
বিদ্যালয় জীবনে তিনি একজন সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে, যখন ইউনুস চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করছিলেন, তখন তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং নাটকের জন্য পুরস্কার জিতেন।[২২] ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬০ সালে বিএ এবং ১৯৬১ সালে এমএ সম্পন্ন করেন।
ইউনূস ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শন করছেন
স্নাতক শেষ করার পর তিনি নুরুল ইসলাম এবং রেহমান সোবহানের অর্থনৈতিক গবেষণায় গবেষণা সহকারী হিসেবে অর্থনীতি ব্যুরোতে যোগ দেন।[২২] পরবর্তীতে তিনি ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান।[২২] একই সময়ে তিনি পাশাপাশি একটি লাভজনক প্যাকেজিং কারখানা স্থাপন করেন।[১৯] ১৯৬৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।[২৩][২৪] ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত, ইউনূস মার্ফ্রিসবোরোতে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি একটি নাগরিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অন্যান্য বাংলাদেশিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন।[২২] তিনি ন্যাশভিলের তার বাড়ি থেকে 'বাংলাদেশ নিউজলেটারও' প্রকাশ করতেন। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে নিযুক্ত হন। তবে কাজটি তার কাছে একঘেয়ে লাগায় তিনি সেখানে ইস্তফা দিয়ে[২৫] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।[২৬]
ইউনূস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।[২২] প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করতে ইউনুস এবং তার সহযোগীরা 'গ্রাম সরকার' কর্মসূচি প্রস্তাব করেন।[২৭] যেটি ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেন। এই কর্মসূচির অধীনে সরকার ২০০৩ সালে ৪০,৩৯২টি গ্রাম সরকার গঠিত হয়, যা চতুর্থ স্তরের সরকার হিসাবে কাজ করত। তবে ২০০৫ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কর্তৃক দায়ের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গ্রাম সরকারকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।[২৮]
বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে উদ্ভাবকদের সহায়তার জন্য ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণ ধারণা 'ইনফো লেডি সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ' প্রোগ্রামের মতো কর্মসূচিকে অনুপ্রাণিত করে।[২৯][৩০][৩১]