এই
পর্বে যা যা থাকছে
হেলাল হাফিজ
সেলিনা হোসেন
নির্মলেন্দু গুণ
আবদুল মান্নান সৈয়দ
হেলাল হাফিজ
হেলাল হাফিজ (১৯৪৮-)
হেলাল হাফিজ বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারুণ্যকে উদ্দীপ্ত করার মূলমন্ত্রই তিনি তাঁর সাহিত্যে উপস্থাপন করেছেন।
হেলাল হাফিজের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান |
সাহিত্যিক তথ্য |
জন্ম |
হেলাল হাফিজ ৭ অক্টোবর, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। |
সাহিত্য পাতা |
তিনি ছাত্রজীবনেই ‘দৈনিক পূর্বদেশ' পত্রিকার সাহিত্য পাতার সাথে সম্পৃক্ত হন । |
পুরস্কার |
তিনি ২০১৩ সালে ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ পান । |
কাব্যগ্রন্থ |
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ: |
সেলিনা হোসেন
সেলিনা হোসেন (১৯৪৭-)
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নারী ঔপন্যাসিক। সমকালের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটের সামগ্রিকতা তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয়। অবরুদ্ধ সমাজের মানুষের মুক্তিচিন্তা ও মুক্তির আকুতিকে তাঁর লেখনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
সেলিনা হোসেনের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান |
সাহিত্যিক তথ্য |
জন্ম |
সেলিনা হোসেন ১৪ জুন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী শহরের সিরোইলে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রাম । |
প্রথম গল্প |
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঢাকার ‘পূবালী' পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। |
কর্মজীবন |
তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক নিযুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান। |
সম্পাদনা |
বাংলা একাডেমির ‘ধান শালিকের দেশ” পত্রিকাটি প্রায় ২০ বছর সম্পাদনা করেন। |
পুরস্কার |
তিনি ১৯৮০ সালে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার', চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৭) লাভ করেন। |
প্রবন্ধ |
তাঁর রচিত প্রবন্ধসমূহ: |
গল্পগ্রন্থ |
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থসমূহ: |
উপন্যাস |
তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ: |
ত্রয়ী উপন্যাস |
ত্রয়ী উপন্যাস: ‘গায়ত্রী সন্ধ্যা' (১ম খণ্ড- ১৯৯৪, ২য় খণ্ড- ১৯৯৫, ৩য় খণ্ড- ১৯৯৬)। এ উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ১৯৪৭-৭৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছরের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক পটভূমিতে। |
'হাঙর নদী গ্রেনেড’ |
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে যশোরের কালীগঞ্জের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে সেলিনা হোসেন এ উপন্যাসটি রচনা করেন। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বুড়ি'র অল্পবয়সে বিয়ে হয় বিপত্নীক চাচাত ভাই গফুরের সাথে। গফুরের আগের ঘরের দুই ছেলে সলীম ও কলীম এবং বুড়ির নিজের বাক্ ও শ্রুতি প্রতিবন্ধী ছেলে রইসকে নিয়ে তার সংসার। এরই মধ্যে মারা যায় গফুর। দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। সলীম যুদ্ধে যায়। কলীমকে পাকিস্তানী সৈন্য ও দোসররা সলীমের চোখের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এমন পরিস্থিতিতে একদিন হাফেজ ও কাদের দুই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় বুড়ির ঘরে। বুড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের প্রতিবন্ধি সন্তান রইসকে তুলে দেয় বন্দুকের নলের মুখে । |
নির্মলেন্দু গুণ
নির্মলেন্দু গুণ (১৯৪৫-)
বাংলাদেশের কবিদের কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারীপ্রেম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, শ্রেণি-সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয় তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু। সমাজকে তিনি তুলে এনেছেন সাহিত্যের আয়নায়।
নির্মলেন্দু গুণের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান |
সাহিত্যিক তথ্য |
জন্ম |
নির্মলেন্দু গুণ ২১ জুন, ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম- রতন / রত্ন / রতু। |
পুরস্কার |
তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (২০০১) পান। |
স্কুল প্রতিষ্ঠা |
নিজ গ্রাম কাশবনে ‘বিদ্যানিকেতন' নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। |
প্রথম কবিতা |
মেট্রিক পাশের আগেই তার প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’ নেত্রকোনার `উত্তর আকাশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। |
কবিদের কবি |
নির্মলেন্দু গুণকে কবিদের কবি নামে ডাকা হয়। নির্মলেন্দু গুণ গত শতাব্দীর ষাটের দশকে কবিতা রচনা শুরু করেন। পরের দশকেই তাঁর কবিতা এতটাই প্রভাববিস্তারী হয়ে ওঠে যে, তরুণরা তাঁর কবিতা পড়েই কবি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বোধ করেন। বাংলাদেশে আর কোনো কবি অনুজ কবিদের ওপর এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। সত্তর দশকের অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি নির্মলেন্দু গুণ এর প্রভাবেই কবি হয়েছেন। তাই তাঁকে কবিদের কবি বলা হয় । |
কাব্যগ্রন্থ |
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ: |
অন্যান্য রচনাবলি |
তাঁর অন্যান্য রচনাবলি: |
আবদুল মান্নান সৈয়দ
আবদুল মান্নান সৈয়দ (১৯৪৩-২০১০)
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, জগন্নাথ কলেজের সাবেক অধ্যাপক আবদুল মান্নান সৈয়দ ছিলেন বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, গবেষক ও সাহিত্য সম্পাদক। রবীন্দ্রোত্তরকালে বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দেশের প্রধান কবিদের সবাই যখন ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ' গঠন করে এরশাদের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেন, তখন তিনি এরশাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘এশীয় কবিতা উৎসব'- এ একাধিকবার যোগদান করেন। জনশ্রুতি আছে, এরশাদ ঐ সময় যে কবিতাগুলি নিজের নামে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করতেন সেগুলোর রচয়িতা ছিলেন আবদুল মান্নান সৈয়দ ।
আবদুল মান্নান সৈয়দের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান |
সাহিত্যিক তথ্য |
জন্ম |
আবদুল মান্নান সৈয়দ ৩ আগস্ট, ১৯৪৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার ইছামতি নদীর তীরে জালালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর ঢাকার কুলি রোডে (বর্তমান গ্রীন রোড) স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। |
ছদ্মনাম ও পরিচিতি |
তিনি ‘অশোক সৈয়দ' ছদ্মনামে লিখতেন এবং ‘পরাবাস্তব কবি' হিসেবে খ্যাত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ‘পোয়েট ইন রেসিডেন্ট' । তিনি কবি জীবনানন্দ দাশ ও কাজী নজরুল ইসলামের উপর গবেষণার প্রবাদ পুরুষ হিসেবে খ্যাত। |
প্রথম লেখা |
১৯৫৯ সালে ইত্তেফাক পত্রিকার সাহিত্য বিভাগে ‘সোনার হরিণ' কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে কবিতার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। |
পুরস্কার |
তিনি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৮১), ‘নজরুল পুরস্কার' (১৯৯৮), 'নজরুল পদক' (২০০১) ও একুশে পদক পান। |
সাহিত্যকর্ম |
তাঁর রচিত সাহিত্যকর্মসমূহ: |
মৃত্যু |
তিনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে মারা যান। |