হেলাল হাফিজ, সেলিনা হোসেন ,নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল মান্নান সৈয়দ lec 3

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি (BCS) Preliminary Preparation 200 Marks বাংলা সাহিত্য

এই পর্বে যা যা থাকছে

হেলাল হাফিজ

সেলিনা হোসেন

নির্মলেন্দু গুণ

আবদুল মান্নান সৈয়দ

 

 

হেলাল হাফিজ

হেলাল হাফিজ (১৯৪৮-)

হেলাল হাফিজ বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারুণ্যকে উদ্দীপ্ত করার মূলমন্ত্রই তিনি তাঁর সাহিত্যে উপস্থাপন করেছেন।

হেলাল হাফিজের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান

সাহিত্যিক তথ্য

জন্ম

হেলাল হাফিজ অক্টোবর, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

সাহিত্য পাতা

তিনি ছাত্রজীবনেই দৈনিক পূর্বদেশপত্রিকার সাহিত্য পাতার সাথে সম্পৃক্ত হন

পুরস্কার

তিনি ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ পান

কাব্যগ্রন্থ

তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ:

যে জলে আগুন জ্বলে' (১৯৮৬): এটি প্রথম প্রকাশিত কাব্য। কাব্যে হেলেন নামে এক নারীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যিনি ছিলেন কবির প্রেমিকা তার সাথে বিচ্ছেদের পরে কবি প্রায় ২৫ বছর এক ধরণের স্বেচ্ছানির্বাসনে জীবন-যাপন করেন। গ্রন্থে মোট ৫৬টি কবিতা আছে। কাব্যের বিখ্যাত কবিতা নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়' কবিতাটি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে রচিত। কবিতার বিখ্যাত পঙ্ক্তি -

এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।'

কবিতা একাত্তর (২০১২)

 

সেলিনা হোসেন

সেলিনা হোসেন (১৯৪৭-)

সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নারী ঔপন্যাসিক। সমকালের সামাজিক রাজনৈতিক সংকটের সামগ্রিকতা তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয়। অবরুদ্ধ সমাজের মানুষের মুক্তিচিন্তা মুক্তির আকুতিকে তাঁর লেখনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন

সেলিনা হোসেনের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান

সাহিত্যিক তথ্য

জন্ম

সেলিনা হোসেন ১৪ জুন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে রাজশাহী শহরের সিরোইলে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রাম

প্রথম গল্প

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ঢাকারপূবালী' পত্রিকায় তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়।

কর্মজীবন

তিনি ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমির গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি বাংলা একাডেমির প্রথম মহিলা পরিচালক নিযুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান।

সম্পাদনা

বাংলা একাডেমির ধান শালিকের দেশ” পত্রিকাটি প্রায় ২০ বছর সম্পাদনা করেন।

পুরস্কার

তিনি ১৯৮০ সালেবাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার', চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৭) লাভ করেন।

প্রবন্ধ

তাঁর রচিত প্রবন্ধসমূহ:

স্বদেশে পরবাসী’ (১৯৮৫),
একাত্তরে ঢাকা(১৯৯০),
নির্ভয় করো হে’ (১৯৯৮),
মুক্ত করো ভয়’ (২০০২),
ঘর গেরস্থির রাজনীতি(২০০৭)

গল্পগ্রন্থ

তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থসমূহ:

উৎস থেকে নিরন্তর(১৯৬৯): এটি তাঁর প্রকাশিত প্রথম গল্পগ্রন্থ। ভাষা আন্দোলন, নারী-পুরুষের সমতা প্রত্যাশা, গ্রামীণ পারিবারিক পরিমণ্ডলের ভাঙ্গন ইত্যাদি বিষয় গল্পগ্রন্থের গল্পের বিষয়।

পরজন্ম’ (১৯৮৬),
মানুষটি (১৯৯৩),
মতিজানের মেয়েরা’ (১৯৯৫),
অনূঢ়া পূর্ণিমা(২০০০),
নারীর রূপকথা' (২০০৭)

উপন্যাস

তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ:

জলোচ্ছ্বাস(১৯৭২): দক্ষিণ বাংলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, আগুনমুখা, কাজল নদীর কূলে প্রতিকূল প্রকৃতি সামাজিক অপশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল মানুষের জীবনধারা উপন্যাসের আলেখ্য।

'
হাঙর নদী গ্রেনেড(১৯৭৬): এটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। ১৯৭২ সালে ঘটনা নিয়ে তিনি গল্প লেখেন। পরবর্তীতে এটি উপন্যাসে রূপান্তরিত করেন

যাপিত জীবন(১৯৮১): উপন্যাসে ১৯৪৭-৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের যাবতীয় ঘটনা কেন্দ্রীয় চরিত্র জাফর এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।

পোকামাকড়ের ঘরবসতি(১৯৮৬): উপন্যাস বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে নাফ নদীর তীরবর্তী শাহপরী দ্বীপ নামক এক ছোট দ্বীপের ধীবর শ্রেণির মানুষের জীবন সংগ্রাম এর বাস্তব রূপায়ণ চরিত্র: মালেক, সাফিয়া।

নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ (১৯৮৭): চল্লিশের দশকের পটভূমিতে রচিত।

কাঁটাতারে প্রজাপতি(১৯৮৯): নাচোলের তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত।

কাকতাড়ুয়া’ (১৯৯৬): এটি শিশুতোষ উপন্যাস। এটি বুধা নামে এক এতিম সাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধার কাহিনি

'
যুদ্ধ(১৯৯৮): ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত। উপন্যাসে ১১ নম্বর সেক্টরের নারী মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক তারামন বিবির প্রসঙ্গ এসেছে।

কাঠকয়লার ছবি(২০০১): এটি চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনযাত্রা নিয়ে রচিত।

মগ্ন চৈতন্যে শিস' (১৯৭৯),
'
নীল ময়ূরের যৌবন(১৯৮২),
'
চাঁদবেনে(১৯৮৪),
'
কালকেতু ফুল্লরা’ (১৯৯২),
'
ভালোবাসা প্রীতিলতা(১৯৯২),
পদশব্দ’ (১৯৯২),
'
টানাপোড়েন(১৯৯৪),
লারা(২০০০),
মোহিনীর বিয়ে(২০০২),
'
আণবিক আঁধার(২০০৩),
ঘুমকাতুরে ঈশ্বর(২০০৪),
মর্গের নীল পাখি' (২০০৫),
অপেক্ষা(২০০৭),
পূর্ণছবির মগ্নতা(২০০৮),
'
যমুনা নদীর মুশায়রা(২০০৯),
'
গেরিলা বীরাঙ্গনা(২০১৪)

ত্রয়ী উপন্যাস

ত্রয়ী উপন্যাসগায়ত্রী সন্ধ্যা' (১ম খণ্ড- ১৯৯৪, ২য় খণ্ড- ১৯৯৫, ৩য় খণ্ড- ১৯৯৬) উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ১৯৪৭-৭৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮ বছরের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক পটভূমিতে।

'হাঙর নদী গ্রেনেড

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে যশোরের কালীগঞ্জের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে সেলিনা হোসেন উপন্যাসটি রচনা করেন। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বুড়ি' অল্পবয়সে বিয়ে হয় বিপত্নীক চাচাত ভাই গফুরের সাথে। গফুরের আগের ঘরের দুই ছেলে সলীম কলীম এবং বুড়ির নিজের বাক্ শ্রুতি প্রতিবন্ধী ছেলে রইসকে নিয়ে তার সংসার। এরই মধ্যে মারা যায় গফুর। দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। সলীম যুদ্ধে যায়। কলীমকে পাকিস্তানী সৈন্য দোসররা সলীমের চোখের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এমন পরিস্থিতিতে একদিন হাফেজ কাদের দুই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় বুড়ির ঘরে। বুড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের প্রতিবন্ধি সন্তান রইসকে তুলে দেয় বন্দুকের নলের মুখে

 

নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু গুণ (১৯৪৫-)

বাংলাদেশের কবিদের কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারীপ্রেম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, শ্রেণি-সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয় তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু। সমাজকে তিনি তুলে এনেছেন সাহিত্যের আয়নায়।

নির্মলেন্দু গুণের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান

সাহিত্যিক তথ্য

জন্ম

নির্মলেন্দু গুণ ২১ জুন, ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম- রতন / রত্ন / রতু।

পুরস্কার

তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (২০০১) পান।

স্কুল প্রতিষ্ঠা

নিজ গ্রাম কাশবনেবিদ্যানিকেতন' নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রথম কবিতা

মেট্রিক পাশের আগেই তার প্রথম কবিতা নতুন কাণ্ডারী নেত্রকোনার `উত্তর আকাশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

কবিদের কবি

নির্মলেন্দু গুণকে কবিদের কবি নামে ডাকা হয়। নির্মলেন্দু গুণ গত শতাব্দীর ষাটের দশকে কবিতা রচনা শুরু করেন। পরের দশকেই তাঁর কবিতা এতটাই প্রভাববিস্তারী হয়ে ওঠে যে, তরুণরা তাঁর কবিতা পড়েই কবি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বোধ করেন। বাংলাদেশে আর কোনো কবি অনুজ কবিদের ওপর এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। সত্তর দশকের অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি নির্মলেন্দু গুণ এর প্রভাবেই কবি হয়েছেন। তাই তাঁকে কবিদের কবি বলা হয়

কাব্যগ্রন্থ

তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ:

প্রেমাংশুর রক্ত চাই(১৯৭০): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ

ইসক্রা' (১৯৮৪): কাব্যে তাঁর রাজনৈতিক কবিতাগুলো স্থান পেয়েছে।

'
না প্রেমিক না বিপ্লবী(১৯৭২),
'
কবিতা অমীমাংসিত রমণী’ (১৯৭৩),
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী(১৯৭৪),
চৈত্রের ভালবাসা' (১৯৭৫),
বন্ধু আমার(১৯৭৫),
আনন্দ কুসুম(১৯৭৬),
বাংলার মাটি বাংলার জল(১৯৭৮),
তাঁর আগে চাই সমাজতন্ত্র(১৯৭৯),
চাষাভূষার কাব্য’ (১৯৮১),
পৃথিবীজোড়া গান(১৯৮২),
অচল পদাবলী(১৯৮২),
'
দূর দুঃশাসন(১৯৮৩),
'
মুজিব-লেনিন- ইন্দিরা’ (১৯৮৪),
শান্তির ডিক্রি(১৯৮৪),
প্রথম দিনের সূর্য’ (১৯৮৪),
নেই কেন সেই পাখি(১৯৮৫),
নিরঞ্জনের পৃথিবী(১৯৮৬),
চিরকালের বাঁশী’ (১৯৮৬),
দুঃখ কোরো না, বাঁচো' (১৯৮৭),
ধাবমান হরিণের দ্যুতি(১৯৯২),
অনন্ত বরফবীথি’ (১৯৯৩),
আনন্দ উদ্যান’ (১৯৯৫),
শিয়রে বাংলাদেশ(১৯৯৮),
ইয়াহিয়াকাল’ (১৯৯৮),
মুঠোফোনের কাব্য(২০০৩),
চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা’ (২০০৫),
নিশিকাব্য(২০০৬),
কামকানন' (২০০৭)

অন্যান্য রচনাবলি

তাঁর অন্যান্য রচনাবলি:

ছোটগল্প :

আপনদলের মানুষ' (১৯৭৬),
অন্তর্জাল' (২০০৫)

কিশোর উপন্যাস:

কালো মেঘ' (১৯৮২),
বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন' (১৯৯৭)

আত্মজীবনী :

আমার ছেলেবেলা' (১৯৮৮),
আত্মকথা ১৯৭১ (২০০৮),
রক্তঝরা নভেম্বর' (১৯৭৫),
আমার কণ্ঠস্বর

ভ্রমণকাহিনি:

ভলগার তীরে' (১৯৮৫),
গীনসবার্গের সঙ্গে' (১৯৯৪),
আমেরিকায় জুয়াখেলার স্মৃতি' (১৯৯৬),
ভ্ৰমি দেশে দেশে' (২০০৪)

কবিতা :

হুলিয়া’,
স্বাধীনতা-এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো'

অনুবাদ কবিতা:

রক্ত আর ফুলগুলি' (১৯৮৩),
'
রাজনৈতিক কবিতা' (১৯৮৬)

 

আবদুল মান্নান সৈয়দ

আবদুল মান্নান সৈয়দ (১৯৪৩-২০১০)

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, জগন্নাথ কলেজের সাবেক অধ্যাপক আবদুল মান্নান সৈয়দ ছিলেন বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, গবেষক সাহিত্য সম্পাদক। রবীন্দ্রোত্তরকালে বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে দেশের প্রধান কবিদের সবাই যখন জাতীয় কবিতা পরিষদ' গঠন করে এরশাদের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করেন, তখন তিনি এরশাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এশীয় কবিতা উৎসব'- একাধিকবার যোগদান করেন। জনশ্রুতি আছে, এরশাদ সময় যে কবিতাগুলি নিজের নামে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করতেন সেগুলোর রচয়িতা ছিলেন আবদুল মান্নান সৈয়দ

আবদুল মান্নান সৈয়দের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান

সাহিত্যিক তথ্য

জন্ম

আবদুল মান্নান সৈয়দ আগস্ট, ১৯৪৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণার ইছামতি নদীর তীরে জালালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর ঢাকার কুলি রোডে (বর্তমান গ্রীন রোড) স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

ছদ্মনাম পরিচিতি

তিনি অশোক সৈয়দ' ছদ্মনামে লিখতেন এবং পরাবাস্তব কবিহিসেবে খ্যাত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম পোয়েট ইন রেসিডেন্ট তিনি কবি জীবনানন্দ দাশ কাজী নজরুল ইসলামের উপর গবেষণার প্রবাদ পুরুষ হিসেবে খ্যাত।

প্রথম লেখা

১৯৫৯ সালে ইত্তেফাক পত্রিকার সাহিত্য বিভাগে সোনার হরিণকবিতা প্রকাশের মাধ্যমে কবিতার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন।

পুরস্কার

তিনি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৮১), ‘নজরুল পুরস্কার' (১৯৯৮), 'নজরুল পদক' (২০০১) একুশে পদক পান।

সাহিত্যকর্ম

তাঁর রচিত সাহিত্যকর্মসমূহ:

কাব্য:

জন্মান্ধ কবিতাগুচ্ছ' (১৯৬৭),
'
জ্যোৎস্না রৌদ্রের চিকিৎসা' (১৯৬৯),
'
সংবেদন জলতরঙ্গ' (১৯৭৪),
কবিতা কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড' (১৯৮২),
পার্ক স্ট্রিটে এক রাত্রি' (১৯৮৩),
পরাবাস্তব কবিতা' (১৯৮৪),
'
মাছ সিরিজ' (১৯৮৪),
সকল প্রশংসা তাঁর' (১৯৯৩),
'
নীরবতা গভীরতা দুই বোন বলে কথা' (১৯৯৭)

উপন্যাস:

পরিপ্রেক্ষিতের দাসদাসী' (১৯৭৪),
কলকাতা’ (১৯৮০),
-তে অজগর' (১৯৮২),
পোড়ামাটির কাজ’ (১৯৮২),
গভীর গভীরতর অসুখ' (১৯৮২),
ক্ষুধা প্রেম আগুন' (১৯৯৪),
শ্রাবন্তীর দিনরাত্রি' (১৯৯৮),
হে সংসার হে লতা'

গল্পগ্রন্থ:

একরাত্রি': এক কাজ পাগল কেরানীর নিষ্ঠাময় চাকরী জীবনের গল্প
মার্চ’: পরাবাস্তব চেতনা ভিত্তিক গল্প
সত্যের মত বদমাশ' (১৯৬৮),
'
চলো যাই পরোক্ষে (১৯৭৩),
মৃত্যুর অধিক লাল ক্ষুধা' (১৯৭৭),
নেকড়ে হায়েনা তিন পরী' (১৯৯৭),
অমরতার জন্য মৃত্যু'

কাব্যনাট্য:

চাকা' (১৯৮৫),
কবি অন্যরা' (১৯৯৬)

প্রবন্ধ:

দশ দিগন্তের দ্রষ্টা’,
করতলে মহাদেশ’,
আমার বিশ্বাস’,
ছন্দ

স্মৃতিকথা :

আমার বিশ্বাস' (১৯৮৮),
স্মৃতির নোটবুক' (২০০১),
ভেসেছিলাম ভাঙা ভেলায়' (২০০৯),
'
মিটিলনা সাধ ভালবাসিয়া তোমায়' (২০১২)

প্রবন্ধ গবেষণা:

শুদ্ধতম কবি' (১৯৭২),
নজরুল ইসলাম : কবি কবিতা' (১৯৭৭),
নজরুল : কালজ কালোত্তর' (১৯৮৭),
আধুনিক সাম্প্রতিক' (২০০১)

মৃত্যু

তিনি সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে মারা যান।