কম্পিউটার সফটওয়্যার | Computer software
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার । কিন্তু সফটওয়্যার ছাড়া এ বিস্ময়কর আবিষ্কার অর্থহীন । কম্পিউটার সিস্টেমের দুটি পদ্ধতির মধ্যে একটি দৃশ্যমান ও স্পর্শনীয় ; আরেকটি অদৃশ্য ও স্পর্শহীন । দৃশ্যমান ও স্পর্শনীয় ভৌত যন্ত্রাংশগুলিই মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার । আর অদৃশ্য ও স্পর্শহীন নির্দেশনাসামগ্রীই হল কম্পিউটার সফটওয়্যার । কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সহজেই করা যায় শুধু এমনটি নয় । কম্পিউটারে সফটওয়্যার ছাড়া কোন কাজ করাই সম্ভব নয় এমনকি কম্পিউটার সচল করতে গেলে ও সফটওয়্যার প্রয়োজন । হার্ডওয়্যারের উন্নতির সাথে সাথে সফটওয়্যারের ও অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এর উন্নতি ক্রমবর্ধমান । সর্বশেষ আবিষ্কৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই টেকনোলজি কম্পিউটারের সফটওয়্যারের ক্রমবর্ধমান উন্নতিরই ফসল । ভবিষ্যতে হয়তো সফটওয়্যারের এসব উন্নতি মানুষের কাজের ক্ষেত্রকে আরো দখল করে নিবে ।
কম্পিউটার সফটওয়্যারের প্রকারভেদ
ব্যবহারিক বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
কম্পিউটার সফটওয়্যার কি
সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে লিখিত সুশৃঙ্খল কতকগুলো নির্দেশের সমষ্টিকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম রাখে, তাকে সফটওয়্যার বলে। সফটওয়্যার এক অদৃশ্য শক্তি। সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অর্থহীন। আরো বিস্তারিতভাবে বললে , গণকযন্ত্র কম্পিউটারের বিভিন্ন যত্রাংশকে কর্মক্ষম করা, পরিচালনা করা এবং কোনো বিশেষ ব্যবহারিক কাজ সম্পন্ন করার নিমিত্তে যে লিখিত সুশৃঙ্খল নির্দেশনাক্রম তথা প্রোগ্রাম এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য নির্দেশনাক্রম তথা রুটিন বা ফাংশন ব্যবহার করা হয় (যাদের মধ্যে কম্পিউটারের পরিচালনা করার অদৃশ্য সিস্টেম বা অপারেটিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত), সেইসব অদৃশ্য শক্তিগুলোকে একত্রে সাধারণভাবে কম্পিউটার সফটওয়্যার বা কম্পিউটার নির্দেশনাসামগ্রী বলা হয়।
কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রকারভেদ
কম্পিউটার সফটওয়্যার বা নির্দেশনাসামগ্রীকে প্রধানত দুইটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। একটি হল কম্পিউটারের পরিচালনা ব্যবস্থা (অপারেটিং সিস্টেম) নির্দেশনাসামগ্রী বা সিস্টেম সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারের হাডৃওয়্যারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশগুলির মধ্যে কার্যকলাপের সমন্বয় সাধন করে এগুলিকে কর্মক্ষম করে তুলে । যেমন- উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম , লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি।
দ্বিতীয়টি হল ব্যবহারিক নির্দেশনাসামগ্রী বা আ্যপ্লিকেশন সফটওয়্যার, যেগুলিকে বিশেষ ব্যবহারিক কাজের উদ্দেশ্যে রচনা করা হয় , এগুলোতে কম্পিউটারকে এমন সব নির্দেশনা দেওয়া হয় যা শুধু ঐ বিশেষ কাজ করতেই কম্পিউটার বাধ্য থাকে । যেমন - ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার যাতে লেখালেখির সকল কাজই সম্পাদনা করা যায় , হিসাবনিকাশের জন্য স্প্রেডশিট, ছবি সম্পাদনা করার জন্য ছবি সম্পাদনা সফটওয়্যার , ভিডিও সম্পাদনা করার জন্য ভিডিও সম্পাদনা সফটওয়্যার ইত্যাদি।
এছাড়াও তৃতীয় এক শ্রেণীর সফটওয়্যার আছে, যার নাম নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার, যেগুলি একটি জালসদৃশ ব্যবস্থা বা নেটওয়ার্ক গঠনকারী কম্পিউটারগুলির মধ্যকার যোগাযোগে সমন্বয় সাধন করে থাকে ।
আরও এক ধরনের সফটওয়্যার আছে যেগুলির কাজ হল মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম রচনা করতে সাহায্য করা। এগুলিকে সংক্ষেপে প্রোগ্রামিং টুল বলা হয়। অনেক সময় এগুলিকে একত্রে প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার নামেও ডাকা হয়।
বহনযোগ্য প্রোগ্রাম (Portable program): যে সফটওয়্যার install বা setup দিতে হয় না, তাকে Portable software বলে।
সিস্টেম সফটওয়্যার
সিস্টেম সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রক। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারিক প্রোগ্রামের মধ্যে যোগসূত্র রচনা ও রক্ষা করে। সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার অচল। তাই কম্পিউটারকে সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সকল প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি দরকার তাদেরকে সিস্টেম সফটওয়্যার বলে। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম চালনার জন্য কম্পিউটারকে তৈরি রাখে। আবার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে। DOS, Windows (XP, NT,
Vista, 95, 98, 2000, 7, 8, 10 etc), Linux, Unix, Mac OS, Solaries ইত্যাদি হলো সিস্টেম সফটওয়্যারের উদাহরণ। আবার Compiler, Interpretor,
Assembler প্রোগ্রামসমূহও সিস্টেম সফটওয়্যারের অন্তর্গত।
·
অপারেটিং সিস্টেম (Operating System সংক্ষেপে OS) হলো এমন কতকগুলো প্রোগ্রামের সমষ্টি যেগুলোর সাহায্যে কম্পিউটারের সকল হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ (Controls), তত্ত্বাবধান (Supervise) এবং সফটওয়্যারগুলোর পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও কার্যকরী (Execute) করতে সমর্থন ও সাহায্য করে। অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীর সাথে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের যোগাযোগ স্থাপন করে। প্রাথমিক অবস্থায় অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল মেইনফ্রেম কম্পিউটারের জন্য ১৯৫১ সালে। অপারেটিং সিস্টেমটি যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মটর রিসার্চ ল্যাবরেটরী কর্তৃক আইবিএম কর্পোরেশনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পিসিতে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হতে থাকে ১৯৭১ সাল থেকে। এ অপারেটিং সিস্টেমের নাম ছিল CP/M ।
·
ডিভাইস ড্রাইভার বা সফটওয়্যার ড্রাইভার (Device Driver or Software Driver) হলো এক ধরনের হাইলেভেল কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কোন হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সাথে উভমুখী যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে পরিচালনা করে এবং তার সামর্থ্যকে কাজে লাগায়। উদাহরণস্বরূপ- বাজার থেকে নতুন কেনা কোন প্রিন্টার কম্পিউটারে লাগিয়ে প্রিন্ট করতে হলে ঐ প্রিন্টারের ডিভাইস ড্রাইভার বা সফটওয়্যার ড্রাইভার ইন্সটল করতে হবে।
·
ইউটিলিটি প্রোগ্রাম (Utility Program): System Tools-এর সাথে কিছু ইউটিলিটি প্রোগ্রাম সংযোজন করা থাকে। সিস্টেম সংক্রান্ত বিভিন্ন ত্রুটি শনাক্তকরণ এবং তা সংশোধন, ভাইরাস চেক করা, ডিস্ক পার্টিশন ইত্যাদি করার জন্য এসব ইউটিলিটি প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয়। Disk Defragmenter, Scan
Disk, Drive Converter, Compression, System Monitor, Antivirus ইত্যাদি ইউটিলিটি প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত। এ সমস্ত সফটওয়্যারকে মেইনটেন্যান্স টুলসও বলা হয়। ডিস্ক ডিফ্রেগমেন্টার হার্ডডিস্কের ডেটাসমূহ বা তথ্যসমূহ সাজিয়ে রাখে। ফলে প্রক্রিয়াকরণের সময় কম্পিউটার তাড়াতাড়ি প্রয়োজনীয় ডেটাসমূহ খুঁজে পায়। এতে প্রোগ্রাম লোড হতে কম সময় লাগে এবং প্রোগ্রাম দ্রুত রান হয় বিধায় কম্পিউটারের স্পিড ঠিক থাকে।
ব্যবহারিক বা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে ব্যবহারিক বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বলা হয়।
ক) অ্যাপ্লিকেশন সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম বা কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম (Customized Software): ব্যবহারকারী নিজে সাধারণত তার এক বা একাধিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্য নিয়ে যে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকেন, তাকে কাস্টমাইজড বা ব্যবহারকারী লিখিত প্রোগ্রাম বলে। যেমন: কোন একটি পাবলিকেশন্স তার সকল হিসাব নিকাশ করার জন্য একজন দক্ষ প্রোগ্রামার দিয়ে একটি একাউন্টিং সফটওয়্যার তৈরি করলো। এ একাউন্টিং সফটওয়্যারটি ঐ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কাস্টমাইজড একাউন্টিং সফটওয়্যার। ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সফটওয়্যার, ইলেকট্রনিস কমার্স, পেরোল সিস্টেম ইত্যাদি হলো কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম। কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম মূলত ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
খ) সাধারণ ব্যবহারিক প্রোগ্রাম বা প্যাকেজ প্রোগ্রাম (Package Software): বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারিক কাজের জন্য তৈরি করা যেসব প্রোগ্রাম বাজারে কিনতে পাওয়া যায়, তাকে প্যাকেজ প্রোগ্রাম বলা হয়। বাণিজ্যিকভাবে সফলতা লাভের জন্য বড় বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে প্যাকেজ প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকে। ব্যবহারকারী এ সকল প্রেগ্রামের কোনরূপ পরিবর্তন, সংযোজন বা সংকোচন করতে পারেন না। যেমন-
·
ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার: MS Word, Note Pad ইত্যাদি।
·
স্প্রেডসিট অ্যানালাইসিস সফটওয়্যার: MS Excel, LOTUS ইত্যাদি।
·
মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার: MS Power Point, Windows
media player, VLC player ইত্যাদি।
·
ওয়েব ব্রাউজার: ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, গুগল ক্রোম, সাফারি, মজিলা ফায়ারফক্স ইত্যাদি।
·
গ্রাফিক্স সফটওয়্যার: Adobe Photoshop, Adobe
Illustrator, MS Paint ইত্যাদি।
·
ডেটাবেজ সফটওয়্যার: ওরাকল, মাইক্রোসফট অ্যাকসেস ইত্যাদি।
·
ফাইল কমপ্রেশন সফটওয়্যার: WinZip, WinRAR ইত্যাদি।
মালিকানা ভিত্তিক সফটওয়্যার
·
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (Open Source Software) এর সোর্স কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত। এই সকল সফটওয়্যার বিনা মূল্যে সংগ্রহ করা যায় এবং যে কেউ এই সকল কোড তার খুশীমত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন ইত্যাদি করে নিজে ব্যবহার ও অন্যকে ব্যবহারের জন্য বিতরণ করতে পারে। যেমন- Firefox, Google Chrome,
Opera, Drupal, Java, MySQL, Linux, Ubuntu, wordpress, python, php, VLC Media
player ইত্যাদি।
·
ক্লোজড সোর্স বা প্রোপাইটরি সফটওয়্যার (Closed Source Software) এর সোর্স কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে না, যে কেউ চাইলেই তা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করতে পারে না। এ সকল সফটওয়্যারর স্বত্ত্ব বা মালিকানা আইনগতভাবে নির্দিষ্ট করা থাকে। যেমন- Microsoft Windows, MS
Office, Photoshop, Matlab, Oracle, Microsoft Access, Microsoft SQL Server,
Visual Foxpro, COBOL, FORTAN, C, C++ ইত্যাদি।
কম্পিউটার পদ্ধতির দুইটি অংশ যথাঃ হার্ডওয়্য্যর ও সফটওয়্যার । হার্ডওয়্য্যর ছাড়া সফটওয়্যারের যেমন কোন মূল্য নেই তেমনি সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্য্যরের কোন মূল্য নেই । এই সফটওয়্যার আবার দুভাগে বিভক্ত যথাঃ সিস্টেম সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার । অপারেটিং সিস্টেমকেই সাধারণত সিস্টেম সফটওয়্যার বলা হয় । এই অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটারের অন্যান্য এপ্লিকেশন কার্যোপোযোগী হয় না । তাই এই অপারেটিং সফটওয়্যার কম্পিউটার পদ্ধতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আজকে আমরা মূলত অপারেটিং সিস্টেম কি , অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ , বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানব ।
·
অপারেটিং সিস্টেম কি ও উদাহরণ
·
অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ
·
বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম
·
Booting
অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের কার্যাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। আরো সহজভাবে বললে অপারেটিং সিস্টেম হল এমন এক ধরনের সফটওয়্যার যা কম্পিউটার হার্ডওয়ার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে। এটি পুরো কম্পিউটার সিস্টেমকে পরিচালনা করে । এই জন্য অপারেটিং সিস্টেম কে কম্পিউটারের আত্মা বলা হয় । এটি জব শিডিউলিং (টাস্ক ম্যানেজমেন্ট), রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইনপুট-আউটপুট ডিভাইসগুলোর কন্ট্রোল এবং সমন্বয়।, ইউজার ইন্টারফেস (ব্যবহারকারীর সাথে সফটওয়্যারের সংযোগ ও সমন্বয় সাধন), ফাইল ম্যানেজমেন্ট (যেমন ফাইল তৈরি, ডিলিট, অ্যাকসেস, কপি, মুভ, সংরক্ষণ ইত্যাদি), ডেটা ম্যানেজমেন্ট ও সিকিউরিটি, নেটওয়ার্কিং এবং ইউটিলিটিস (যেমন- ফাইল ডিফ্রাগমেন্টেশন, ডেটা কম্প্রেশন, ব্যাক আপ, ডেটা রিকোভারি প্রভৃতি) প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। অপারেটিং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলি সচল করার জন্য পরিবেশ তৈরি করে। ব্যবহারকারীর কাছে অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে দৃশ্যমান রূপ হল কম্পিউটারের ব্যবহারকারী ইন্টারফেস। নিচে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের উদাহরণ দেয়া হল ।
·
এমএস ডস (MS DOS)
·
পিসি ডস (PC DOS)
·
এমএস উইন্ডোজ (MS Windows)
·
লিনাক্স (Linux)
·
এমএস উইন্ডোজ এনটি (MS Windows NT)
·
ইউনিক্স (Unix)
·
ম্যাক ওএস (Mac OS)
·
ওএস/২ (OS/2)
·
সান সোলারিস (Sun Solaries)
·
জেনিক্স (XENIX)
·
ফায়ারফক্স ওএস (Firefox OS) বা B2G
·
এআইএক্স (AIX)
·
এন্ড্রয়েড (Android)
·
সিম্বিয়ান (Symbian)
ইউনিক্স (UNIX) : সর্বাপেক্ষা পুরাতন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ইউনিক্স পরিচিত। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বেল ল্যাবরেটরিতে কিন টমসন এবং
Dennis Ritchie প্রথম ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম রচনা করেন ।
·
১. সুপার কম্পিউটার থেকে শুরু করে পিসি পর্যন্ত সকল কম্পিউটারেই ইউনিক্স ব্যবহার করা যায়।
·
২. মাল্টিটাস্কিং এবং মাল্টিইউজার এপ্লিকেশনের জন্য এটি খুবই উপযোগী।
·
৩. ইউনিক্স একটি সিঙ্গেল সিপিইউ এর সাথে একাধিক কী-বোর্ড এবং মনিটর সংযোগ করে অনেক ব্যবহারকারীকে একত্রে কাজ করার সুযোগ করে দেয়।
ডস (DOS = Disk Operating System) : DOS ছিল 16 বিটের জনপ্রিয় দু'টি অপারেটিং সিস্টেম। ৭০ এর দশকে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন তৈরি করে এমএস ডস (MS
DOS) এবং আইবিএম (IBM) কোম্পানি তৈরি করে পিসি ডস (PC DOS)
·
১. ডস একটি বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম বলে কী-বোর্ড দিয়ে কমান্ড লিখে কাজ করতে হয়।
·
২. এক সাথে একাধিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করা যায় না।
·
৩. কেবলমাত্র একক ইউজার এবং একক প্রসেসর সমর্থন করে।
ওএস/২ (OS/2) : ওএস/২ অপারেটিং সিস্টেমটি আইবিএম এবং মাইক্রোসফটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়। প্রথম সংস্করণ অবমুক্ত হয় ১৯৮৭ সালে।
উইন্ডোজ (Windows) : উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে। যথা-
Windows 95, 98, NT (New Technology), Server 2000, XP (eXPerience), Vista, 7, 8,
10, 11। সর্বাধিক জনপ্রিয় সংস্করণ XP। উইন্ডোজ পরিবারের সর্বশেষ ভার্সন Windows 11। এটি মাইক্রোসফট এর
Windows NT অপারেটিং সিস্টেমের একটি সংস্করণ যা ৫ অক্টোবর, ২০২১ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
·
32 বিটের অপারেটিং সিস্টেম Windows 95, 98।
·
32 এবং 64 বিটের উভয় ধরনের ভার্সন রয়েছে Windows XP, Vista, 7, 8, 10
ম্যাকিনটোশ অপারেটিং সিস্টেম বা ম্যাক ওএস
(MAC OS) : এটি অ্যাপল কোম্পানির তৈরী মেকিনটোশ কম্পিউটার পরিচালনাকারী অপারেটিং সিস্টেম। এজন্য সংক্ষেপে একে ম্যাক ওএস বলা হয়।
·
১. এটি কেবল অ্যাপল কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়।
·
২. চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হওয়ায় এর ব্যবহার খুব সহজ।
·
৩. ম্যাক ওএস এ গ্রাফিক্স ও রঙের ব্যবহার অত্যন্ত চমৎকার।
লিনাক্স (LINUX) : ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করার সময় ফিনল্যান্ডের যুবক লিনাস টারভোন্ডাস লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম উদ্ভাবন করেন। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সাধারণ পিসি দিয়ে সার্ভার পিসির কাজ করা যায়।
সর্বাধিক প্রচলিত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমসমূহ হলো অ্যাপলের আইওএস
(iOS), গুগলের অ্যান্ড্রয়েড, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ, নকিয়ার সিম্বিয়ান, রিসার্চ ইন মোশনের ব্লাকবেরি, স্যামসাংয়ের বাডা উল্লেখযোগ্য।
অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। এটি লিনাক্স কার্নেল এবং একাধিক ওপেন সোর্স লাইব্রেরির ওপর ভিত্তি করে তৈরি। একজন অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার এই প্ল্যাটফর্মের ওপর তৈরি ফোনের সোর্স কোডে প্রবেশাধিকার রাখে। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স হিসেবে থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং জনপ্রিয়তা বাড়ছে। গুগল ইনকর্পোরেটেড প্রাথমিক ডেভেলপারদের (অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেট) কিনে নেয় ২০০৫ সালে। বর্তমানে প্রচুর টেলিকম কোম্পানি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নির্ভর মোবাইল ফোন তৈরিতে আগ্রহী হয়েছে। এনড্রয়েড বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ বিক্রিত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। এনড্রয়েড এর সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে এনড্রয়েড ১২ (অবমুক্ত হয় ৪ অক্টোবর, ২০২১)।
ইউজার ইন্টারফেস, ব্যবহারকারীর সংখ্যা, ব্যবহৃত প্রসেসরের সংখ্যা, প্রোগ্রামের মালিকানা প্রভৃতি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অপারেটিং সিস্টেমকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়।
·
(ক)
Character User Interface (CUI) Operating System: বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কী-বোর্ডের সাহায্যে বিভিন্ন বর্ণ টাইপ করে এবং কী-বোর্ডের বিভিন্ন বোতাম ব্যবহার করে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা হয়। টেক্সটভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে কাজ করতে গেলে ব্যবহারকারীকে আগে থেকে কমান্ড জানা থাকতে হয়। একে বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম (Text
Based OS) বা কমান্ড বেজড অপারেটিং সিস্টেম (Command Based Operating System) ও বলা হয়। উদাহরণ: MS-DOS,
PC-DOS, UNIX, LINUX (Text Version) ইত্যাদি।
·
(খ )
Graphical User Interface (GUI) Operating System: গ্রাফিক্সের বা চিত্রের মাধ্যমে কমান্ড প্রয়োগ করে কম্পিউটার পরিচালনা করা গেলে তাকে চিত্রভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেম বলে। চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন কাজের জন্য নির্দেশের গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনা
(Icon) এবং পুলডাউন মেনু থাকে। মাউস বা কী-বোর্ড ব্যবহার করে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। এতে টেক্সটভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের মতো কমান্ড মুখস্থ করতে হয় না। মনিটরে প্রদর্শিত নির্দিষ্ট আইকনে ক্লিক করে কমান্ড প্রয়োগ করা যায়। যার ফলে ব্যবহারকারী কী-বোর্ড ব্যবহার না করে শুধু মাউস ব্যবহার করেও কম্পিউটার পরিচালনা করতে পারে। উদাহরণ:
WINDOWS (95/98/XP/Vista/7), Mac OS ইত্যাদি।
·
(ক) একক ব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম
(Single User Operating System): একই সময়ে অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারীর সংখ্যা একজন হয়ে থাকলে তাকে সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলে। একে অনেক সময় সিঙ্গেল টাস্কিং
(Single Tasking) অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। উদাহরণ: CP/M, Android Symbian OS, Palm OS, MS- DOS, PC-DOS, Windows
95/98 ইত্যাদি।
·
(খ) বহুব্যবহারকারী অপারেটিং সিস্টেম
(Multi User Operating System): একাধিক ব্যবহারকারী যুগপৎ বা একই সময়ে যখন কোন কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে সেই কম্পিউটারে ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমকে মাল্টি-ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলে। উদাহরণ:
Windows NT Server, Windows 2003/2008 Server, UNIX, LINUX ইত্যাদি। সার্ভার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম মাল্টি-ইউজার অপারেটিং সিস্টেম।
·
(ক) একক প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম
(Single Processing Operating System): কোনো কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে একই সময় একটি মাত্র সাধারণ কাজের প্রসেসর ঐ সিস্টেম ব্যবহারকারীর দেওয়া নির্দেশ নির্বাহ করে প্রোগ্রাম পরিচালনা করলে তাকে একক প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। উদাহরণ:
MS-DOS, PC-DOS, Windows 95/98/ XP/Vista, CP/M, Palm OS, Android Symbian OS প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
·
(খ) মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম
(Multi Processing Operating System): কোন কম্পিউটার সিস্টেমে একাধিক প্রসেসরের সাহায্যে প্রোগ্রাম প্রসেস করা হলে তাকে মাল্টিপ্রসেসিং এবং ঐ কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমটিকে বলা হয় মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম। উদাহরণ:
LINUX, UNIX, Windows NT/2000/2008 server প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
·
(ক) ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম
(Open Source Operating System): যে সকল অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড সবার জন্য উন্মুক্ত, যা বিনা মূল্যে সংগ্রহ করা যায় এবং যে কেউ এই সকল কোড তার খুশীমত পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন ইত্যাদি করে নিজে ব্যবহার ও অন্যকে ব্যবহারের জন্য বিতরণ করতে পারে, তাকে ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। উদাহরণ:
Linux (Ubuntu, Debian, Redhat, Fedora, SUSE etc.), OpenSolaris, FreeBSD,
NetBSD, OpenBSD, ReactOS, Haiku, GNU HURD, eCos, Darwin, Oberon, Plan 9 ইত্যাদি।
·
(খ) ক্লোজড সোর্স বা প্রোপাইটরি অপারেটিং সিস্টেম
(Closed Source or Proprietory Operating System): যে সমস্ত অপারেটিং সিস্টেমের সফটওয়্যারের সোর্স কোড বন্ধ থাকে অর্থাৎ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে না, যে কেউ চাইলেই তা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করতে পারে না, যার স্বত্ত্ব বা মালিকানা আইনগতভাবে নির্দিষ্ট করা থাকে, তাকে ক্লোজড সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বলে।
অপারেটিং সিস্টেম (OS) |
স্বত্ত্বাধিকারী (Proprietor) |
Windows
95/98/XP/Vista/7/8/10/11 |
Microsoft
Corporation |
MAC
OS X |
Apple
Computer |
AIX-UNIX |
IBS |
HP-UNIX |
Hewlett-Packard
(HP) |
Solaris |
Sun
Microsystem |
(ক) মাল্টিপ্রোগ্রামিং বা মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম ; মাল্টিপ্রোগ্রামিং বা মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম একটি কম্পিউটার এক সঙ্গে একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে পারে অথবা ডেটা প্রসেসিং করতে পারে। একটি কম্পিউটারে একাধিক প্রসেসিং বা প্রোগ্রাম চালানোকে মাল্টিপ্রোগ্রামিং বা মাল্টিটাস্কিং বলা হয়। উদাহরণ:
IBM/VM, Windows XP, Windows Vista, Windows NT, Windows 2000, IBM's OS/390,
MacOS, Linux, UNIX ইত্যাদি।
মাল্টিপ্রোগ্রামিং কার্যকরি করতে জব শিডিউলিং (Job
Scheduling) এর প্রয়োজন হয়। জব শিডিউলিংয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের ইনপুট (I), প্রসেসিং এবং আউটপুট (০) এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণ করা হয় যাতে CPU বা ইনপুট-আউটপুট চ্যানেল যতদূর সম্ভব যেন কম অলস থাকে এবং কোন কাজ যেন অত্যাধিক কম সময়ে শেষ হয়। জব শিডিউলিং-এর ব্যবস্থা করে কার্যনির্বাহী প্রোগ্রাম। RAM-এ অবস্থিত একটি কার্যনির্বাহী প্রোগ্রাম
(Executive Program- যা মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেমেরই একটি অংশ) ঠিক করে কোন সময় কোন প্রোগ্রামে প্রসেস বা I/O কার্য শুরু বা শেষ হবে। প্রথমে বিভিন্ন প্রোগ্রাম হার্ডডিস্ক বা কোন প্রত্যক্ষ সঞ্চয় মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকে। প্রয়োজনের সময় কার্যনির্বাহী প্রোগ্রাম ঐ নির্দিষ্ট যে কোন একটি প্রোগ্রামকে প্রত্যক্ষ সঞ্চয় মাধ্যম থেকে প্রধান মেমরি বা র্যাম (RAM)
এ নিয়ে আসে। প্রয়োজনের সময় র্যাম এ রক্ষিত প্রোগ্রামের মধ্যে একটিকে প্রসেসিং-এর জন্য CPU -তে নিয়ে আসে। আবার প্রয়োজনের সময় কার্য নির্বাহী প্রোগ্রাম প্রধান মেমরি (RAM)
থেকে একটি প্রোগ্রামের (বা প্রসেসিং-এর) আউটপুট বা রেজাল্ট হার্ড ডিস্কে বা অন্য কোন প্রত্যক্ষ সঞ্চয় মাধ্যমে নিয়ে আসে। সুতরাং অন্য কথায় বলা যায়, সব সময় প্রত্যক্ষ সঞ্চয় মাধ্যমে অথবা প্রধান মেমরিতে (RAM-এ) এক বা একাধিক প্রোগ্রাম I/O অপারেশন বা প্রসেসিং-এর জন্য কিউতে
(Queue-তে) অপেক্ষা করে। কোন প্রোগ্রাম বা আংশিক প্রোগ্রামকে কোন প্রত্যক্ষ সঞ্চয় মাধ্যম থেকে RAM অথবা প্রসেসিং শেষে বা প্রোগ্রামের ফলাফল RAM থেকে প্রত্যক্ষ সঞ্চয় মাধ্যমে নিয়ে যাওয়াকে বলা হয় সোয়াপিং
(Swapping) ।
(১) ম্যাক্রোস্কোপিক শিডিউলিং
(Macroscopic Scheduling): প্রত্যক্ষ সঞ্চয় ব্যবস্থায় কিউতে অপেক্ষমান কাজকে ইনপুট করার সময় শিডিউল করা করা হয়।
·
আগে এলে আগে কাজ (First Come First Served : FCFS) এর অসুবিধা হলো যে কাজ খুব তাড়াতাড়ি করা প্রয়োজন তাও কোন অগ্রাধিকার পায় না।
·
সবচেয়ে কম কার্যসময় আগে কাজ (Shortest Execution Time First: SEXTF) যে কাজ প্রসেস করাতে সবচেয়ে কম সময় লাগে তা অগ্রাধিকার পায়। এতে যে কাজ করতে বেশি সময় লাগে তাকে অনন্তকাল অপেক্ষা
(Starvation) করতে হতে পারে।
(২) মাইক্রোস্কোপিক শিডিউলিং
(Microscopic Scheduling): প্রধান মেমরিতে অপেক্ষারত কাজকে CPU -তে প্রসেসিং-এ আনার সময় শিডিউল করা হয়। এতে FCFS,
SEXTF ছাড়াও আরও দুটি প্রণালি অবলম্বন করা হয়। যথা-
·
সর্বনিম্ন সময় সবার আগে (Least Completed First Served-LCFS): যে কাজ সবচেয়ে কম সময় ধরে প্রসেস হয়েছে, তা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়। সুতরাং, যে প্রোগ্রাম এইমাত্র প্রধান মেমরিতে এসেছে তার অগ্রাধিকার সবচেয়ে বেশি।
·
রাউন্ড রবিন (Round Robin RR): প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম প্রধান মেমোরিতে আসার পর একবার করে প্রসেস হয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে যে প্রোগ্রামটি বেশি সময় ধরে প্রসেস বন্ধ আছে ঐ প্রাগ্রামটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। কোন প্রোগ্রামই প্রসেস করার বেশি সময় না লাগলে এই প্রণালি অধিক কার্যকরী। কারণ তাহলে স্বল্প কয়েক রাউন্ডেই সব প্রোগ্রাম প্রসেস শেষ হয়। রাউন্ড-রবিন জব শিডিউলিংকে
Starvation free বলা হয় কারণ এতে কোন প্রোগ্রামকে প্রসেসিং এর জন্য অনন্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না।
(খ) ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম
(Batch Processing Operating System) : ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমে একটি প্রোগ্রাম নির্বাহের কাজ শেষ হওয়ার পর অন্য আরেকটি প্রোগ্রাম নির্বাহের কাজ শুরু হয়। ব্যাচ প্রসেসিংকে একক প্রসেসিং
(Single Processing) অপারেটিং সিস্টেমও বলা হয়। ব্যাচ প্রসেসিং পদ্ধতিকে Sequential processing. Serial processing, Off Line processing,
Stock job processing বলা হয়।
(গ) টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম
(Time Sharing Operating System) : যে অপারেটিং সিস্টেমে প্রসেসিং সময়কে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে দেয়, তাকে টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম বলে । এই পদ্ধতিতে একাধিক ব্যবহারকারী এক সঙ্গে নিজ নিজ টার্মিনালের সাহায্যে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে কাজ করতে পারে। এতে প্রতিটি ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় দেয়া হয়। এই নির্ধারিত সময়কে টাইম স্লাইস (Time
Slice) বলে। নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রসেসর পর্যায়ক্রমে একটির পর একটি প্রত্যেক ব্যবহারকারীর প্রোগ্রাম প্রসেস করার পর আবার প্রথম ব্যবহারকারী থেকে প্রসেস শুরু করে। এই পদ্ধতিতে রাউন্ড রবিন শিডিউলিং এলগরিদম সবচেয়ে কার্যকর। UNIX,
LINUX, Windows NT, IBM/VM প্রভৃতি টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম।
(ঘ) রিয়েল টাইম (Real-Time) অপারেটিং সিস্টেম : রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীর প্রোগ্রাম নির্বাহের নির্দেশ পাওয়া মাত্র প্রোগ্রাম নির্বাহের কাজ আরম্ভ করে। এতে সুনির্দিষ্ট সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে প্রসেসিং এর কাজ সমাধান করে ফলাফল বা আউটপুট দিতে হয়। এটি এক প্রকারের অন লাইন
(On-line) প্রসেসিং। এতে প্রোগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রোগ্রাম নির্বাহ করা হয়। ফলে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামকে অনেক সময় বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। খাদ্য, গ্যাস, পেট্রোলিয়াম প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং প্লেনের টিকিট সপ্তাহের জন্য বিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। UNIX,
Windows NT প্রভৃতি বিয়েল টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম।
(ঙ) ভার্চুয়াল স্টোরেজ অথবা ভার্চুয়াল মেশিন অপারেটিং সিস্টেম
(Virtual Machine/Virtual Storage Operating System: VSOS) মাল্টিপ্রোগ্রামিং ও মাল্টিপ্রসেসিং সিস্টেমে একাধিক প্রোগ্রামকে প্রধান মেমরিতে রেখে প্রসেসিং করা হয়। তাই প্রধান মেমরি খুব বড় হওয়া প্রয়োজন। বিশেষত বড় প্রোগ্রামের বেলায় এই মেমরির সীমাবদ্ধতা দেখা দেয়। প্রধান মেমরির স্বল্পতা বা সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং সহায়তার জন্য ভার্চুয়াল স্টোরেজ অথবা ভার্চুয়াল মেশিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার হয়। ভার্চুয়াল অপারেটিং সিস্টেমে সহায়ক মেমোরি (যেমন- হার্ড ডিস্ক) কিছু অংশকে প্রধান মেমোরির অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এজন্য সহায়ক মেমরি (সেকেন্ডারি স্টোরেজের) ঐ অংশটুকু প্রধান মেমরির (প্রাইমারি স্টোরেজের) বর্ধিত অংশ ধরা হয়। এক্ষেত্রে সিপিইউ এর সাথে সংযুক্ত প্রধান মেমরিকে রিয়েল স্টোরেজ (Real
Storage) এবং সহায়ক মেমরিকে ভার্চুয়াল স্টোরেজ বলে। ভার্চুয়াল স্টোরেজের জন্য ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হলো VAZ/VMS, IBM/VM DOS-VM, WANG/VM ইত্যাদি।
অনেক সময় বড় প্রোগ্রামকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রোগ্রাম নির্বাহ করা হয়। প্রোগ্রামের অংশগুলোকে সেগমেন্ট
(Segment) বলা হয়। প্রোগ্রাম নির্বাহের সময় কোন সেগমেন্ট (প্রোগ্রামের অংশ) রিয়েল স্টোরেজে থাকা অবস্থায় কাজ সম্পন্ন করার পর ঐ প্রোগ্রাম সেগমেন্টকে ভার্চুয়াল স্টোরেজে স্থানান্তরিত করে এবং অপর একটি প্রোগ্রাম সেগমেন্টকে ভার্চুয়াল স্টোরেজ হতে রিয়েল স্টোরেজে নিয়ে আসে। এই স্থানান্তর প্রক্রিয়াকে সোয়াপিং
(Swaping) বলে।
(চ) ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম
(Distributed Operating System) : একটি সার্ভার বা কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাহায্যে একাধিক কম্পিউটারের সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম্পিউটারের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমকে ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম বলে। সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটারকে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলে। এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম মূলত টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেমেরই একটি সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ:
LOCUS, MICROS, IRIX, AIX, Solaris, OSF/1, Linux (Apache Server), Mach/OS,
Ubuntu, Windows Server 2003, 2008, 2012 ইত্যাদি।
অপারেটিং সিস্টেম ফাইল তৈরি, অ্যাক্সেস, কপি, ডিলিট ইত্যাদি করে থাকে। অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন ধরনের ফাইল সিস্টেম অবলম্বন করে। যথা-
FAT File System (FAT): অপারেটিং সিস্টেম কর্তৃক তৈরিকৃত একটি টেবিল বা নিয়মতান্ত্রিক তালিকা বিশেষ। মাইক্রোসফট ১৯৭৭ সালে প্রথম FAT ডেপ্লয় করে। FAT সিস্টেম তিন ধরনের হতে পারে। যথা-
·
FAT12 : FAT এর প্রথম ভার্সন। সর্বোচ্চ ডেটা সংরক্ষণ ক্ষমতা 32MB ।
·
FAT16 : Windows
95, OS/2, Windows NT অপারেটিং সিস্টেম চালানো যায়। এই পার্টিশনের সাহায্যে সর্বোচ্চ ডেটা সংরক্ষণ ক্ষমতা 2GB।
·
FAT32 : Windows
95 OSR2, Windows 98, XP, Vista, Windows 7, 8, and 10 অপারেটিং সিস্টেম চালানো যায়। এই পার্টিশনের সাহায্যে সর্বোচ্চ ডেটা সংরক্ষণ ক্ষমতা 4TB।
High Performance File System (HPFS): এটি শুধুমাত্র OS/2 অপারেটিং সিস্টেমের জন্য প্রযোজ্য।
The New Technology File system (NTFS): Windows
2000, NT, XP, Vista, 7, 8, 10 অপারেটিং সিস্টেম চালানো যায়। এই পার্টিশনের সাহায্যে সর্বোচ্চ ডেটা সংরক্ষণ ক্ষমতা ৪ পেটাবাইট। NTFS এর রয়েছে FAT16
এবং FAT32 এর সব ফিচার। NTFS এর সুবিধা হলো এটি একটি রিকভারযোগ্য ফাইল সিস্টেম কারণ এই সিস্টেম প্রতিটি ফাইলের প্রতিটি
transaction কে track রাখে। এতে File encryption, Compression করা যায়।
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চালু করার সাথে বিভিন্ন ছবি, আইকন, ফোল্ডার, ফাইল সম্বলিত যে স্ক্রিন মনিটরে দেখা যায়, তাকে ডেস্কটপ
(Desktop) বলে। ডেস্কটপের উল্লেখযোগ্য আইটেমের বর্ণনা নিচে দেয়া হলো-
My Computer (নতুন ভার্সনে
This PC): বিভিন্ন ধরনের ফাইল, ফোল্ডার, বিভিন্ন ড্রাইভ, অর্থাৎ কম্পিউটার মেমরিতে যে সকল বিষয় সংরক্ষিত তা সবই My
Computer এ জমা থাকে। My Computer আইকনে ক্লিক করলে বিভিন্ন ড্রাইভ প্রদর্শিত হয়। হার্ড ডিস্ককে C ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভকে A, ডিভিডি ড্রাইভকে I দ্বারা নির্দেশ করা হয়। মাই কম্পিউটার, মাই ডকুমেন্ট, রিসাইকেল বিন প্রভৃতি আইটেম হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (C) তে থাকে। হার্ডডিস্ক (C) কেও কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া যায়। একটি হার্ডডিস্ককে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়াকে কম্পিউটারের ভাষায় বলা হয় পার্টিশন। পার্টিশনগুলো C:\,
D:\, E:\, F:\ ইত্যাদি নামে চিহ্নিত করা হয়। হার্ডডিস্কটি নতুন অবস্থায় ফরমেট করা থাকে। ডিস্ককে তথ্য ধারণের উপযোগী করাকে ফরমেট বলে। ডিস্ককে ফরমেট করায় তাতে সূক্ষ্ম ট্র্যাক তৈরি হয়। এ ট্র্যাকে ডিস্ক তথ্য ধারণ করে। ফরমেট করা কোন ডিস্কের মধ্যে প্রোগ্রাম বা ডেটা রাখার পর আবার ডিস্ক ফরমেট করা হলে ঐ ডিস্কের আগের সব তথ্য হারিয়ে যায়।
My Document এর সাবফোল্ডার সমূহ নিম্নরূপ-
·
Downloads: ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোড করলে এ ফোল্ডারে সংরক্ষিত হয়।
·
My Picture: ডিজিটাল ক্যামেরা বা স্ক্যানার থেকে কোন ছবি ইনপুট করা হলে তা ডিফল্ট সেটিং অনুসারে এ ফোল্ডারে সংরক্ষিত হয়।
·
My Video
·
My Music
রিসাইকেল বিন
(Recycle Bin): কম্পিউটারে কোন ফাইল, ফোল্ডার
Delete কমান্ড দিয়ে মুছে ফেললে তা সরাসরি না মুছে Recycle Bin -এ থেকে যায়। প্রয়োজনে রিসাইকেল বিন থেকে পুনরায় ফাইল বা ফোল্ডার ফিরে আনা
(Restore) করা যায়। Recycle Bin থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেললে তবেই শুধু ফাইল বা ফোল্ডার স্থায়ীভাবে মুছে যায়। কোন ফাইল, ফোল্ডার Shift
+ Delete কমান্ড দিয়ে মুছে ফেললে তা Recycle Bin এ জমা না হয়ে স্থায়ীভাবে মুছে যায়।
Start Button/ menu: উইন্ডোজ ৯৫ তে সর্বপ্রথম Start
menu ব্যবহার করা হয়। Start menu তে Search অপশন থাকে যার মাধ্যমে যে কোনো ফাইল বা ফোল্ডার দ্রুত খুঁজে বের করা যায়। যেমন- N আদ্যক্ষরযুক্ত কোন ফাইল খুঁজে বের করতে হলে নিম্নলিখিত ক্রম অনুসরণ করতে হয়:
Start Menu > Search Programs and files > N*.doc |
Start menu এর গুরুত্বপূর্ণ অপশন
Control Panel। কন্ট্রোল প্যানেলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপশন থাকে। যেমন-
·
Add Hardware
·
Add or Remove Programs: কোন প্রোগ্রাম ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে চাইলে তা কম্পিউটারে যুক্ত করতে হয়। Add করার এ পদ্ধতিকে বলা হয় Install। কোন প্রোগ্রাম ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে না চাইলে তা অপসারণ করতে পারেন।
Remove করার এ পদ্ধতিকে বলা হয় Uninstall।
·
User Accounts
·
Fonts
·
Clock, Language and Region: ডেস্কটপে প্রদর্শিত তারিখ ও সময় সম্পাদনা করা যায়।
কম্পিউটার তৈরি করার সময় উহার মেমোরিতে যে সকল প্রোগ্রামসমূহ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে দেওয়া হয়, উহাকে ফার্মওয়্যার বলে। এ সকল প্রোগ্রামের কোন পরিবর্তন করা যায় না। কম্পিউটারে স্থায়ীভাবে রাখা দরকার সেইসব নির্দেশের তালিকা এবং ডেটাগুলোকে কম্পিউটার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার তৈরির সময় কম্পিউটারের সেমিকন্ডাক্টর রমে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করেন। এই অত্যাবশ্যকীয় ডেটাগুলো এবং কার্যনির্দেশের তালিকাগুলো কম্পিউটার চালু করা মাত্রই কার্যকরী হয়। উদাহরণস্বরূপ- ROM
BIOS এর মধ্যে যে ডেটা এবং নির্দেশগুলো থাকে তা ফার্মওয়্যার। অবশ্য অনেক কম্পিউটার বিজ্ঞানী ফার্মওয়্যার বলতে শুধু অত্যাবশ্যকীয় ডেটাগুলো এবং কার্যনির্দেশের তালিকা বোঝাতে চান না। তাঁদের মতে, 'ডেটা ও কার্যনির্দেশাবলী এবং হার্ডওয়্যারের মিলিত নামকে ফার্মওয়্যার বলা হয়।
কম্পিউটার চালু করার প্রক্রিয়াকে বুটিং (Booting)
বলে। বুটিং একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া, যা সম্পন্ন হওয়ার পরেই কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায়। বুটিং
(Booting) হলো bootstrap বা bootstrap load এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বুটিং এর ক্রমিক ধাপসমূহ নিম্নরূপ-
·
১. BIOS and Setup Program: কম্পিউটার
Booting এর সময় প্রথম যে Software টি রান হয়, সেটি হলো BIOS (Basic Input/Output System)। মাদারবোর্ডের ROM চিপের ভিতরে থাকা কতগুলো ক্রমিক কাজের নির্দেশাবলীর সমষ্টিই হলো বায়োস। এটি
System BIOS, ROM BIOS, PC BIOS হিসেবেও পরিচিত।
·
২. The Power-On-Self-Test (POST): বায়োস কম্পিউটারের সবগুলো হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বা একটার সাথে আরেকটার সমন্বয় হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে। একে POST বলা হয়।
·
৩. The Operating System (OS) Loads: হার্ডওয়্যারে কোনো সমস্যা না পেলে বায়োস অপারেটিং সিস্টেম খোঁজ করে। সিপিইউ অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ড ডিস্ক থেকে র্যামের মধ্যে তুলে দেয় এবং কম্পিউটারকে ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে।
·
8. Transfer Control: বায়োস অপারেটিং সিস্টেমকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে নিজে দায়িত্ব মুক্ত হয়।
সেফ মোড (Safe Mode) : উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বাভাবিকভাবে চালু হতে না পারলে অনেক সময় Safe
Mode এ চালু হয়। Safe Mode হলো বিশেষ এক ধরনের অবস্থা যখন এটি একেবারে প্রয়োজনীয় ফাইল এবং ড্রাইভারসমূহ নিয়ে লোড হয়। বলা যেতে পারে 'বিপদকালীন' অবস্থা যখন ন্যূনতম রসদ নিয়ে প্রাণে বেঁচে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। Safe
mode এ Floppy disk drives, CD-ROM drives, DVD-ROM drives, hard disk
drives, Keyboards, Mouce & VGA display cards চালু হয়। তবে উইন্ডোজ এই মোডে বাড়তি কোনো কিছুই যেমন; সাউন্ড, প্রিন্টার, হাই কালার ডিসপ্লে ইত্যাদি কাজ করবে না। কোন ফাইল সিস্টেমে সমস্যা থাকলে Safe
Mode তা সনাক্ত করে দিতে সাহায্যে করে। এজন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে Safe Mode কে ডায়াগনস্টিক মোড বলা হয়। উইন্ডোজ চালু হওয়ার সময় F8 চাপলে যে মেনু আসে সেখান থেকে Safe
Mode চালু করা যেতে পারে।
রিপেয়ার মোড
(Repair Mode): প্রতিটি অপারেটিং সিস্টেম বুট হওয়ার জন্য প্রয়োজন সেই অপারেটিং সিস্টেমের বুট ম্যানেজার। বুট ম্যানেজার হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম ফাইলের সমন্বয়। কোন কারণে এই বুট ম্যানেজারের সমস্যা হলে সিস্টেম আর বুট হয় না। এই বুট ম্যানেজারের সমস্যা দূর করার জন্য যে মোড ব্যবহার করা হয় তা হল রিপেয়ার মোড। এই মোডের সাহায্যে বুটের সমস্যা সমাধান করে উইন্ডোজকে কার্যকর করা যায়। ফলে উইন্ডোজে সব ধরনের ডেটা ও সেটিংস সুরক্ষিত থাকে।
অনুশীলন অধ্যায়
১. ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রগুলো কিসের দ্বারা পরিচালিত হয় ? [সম্মিলিত বোর্ড (মাধ্যমিক): ১৮ ]
·
সফটওয়্যার
·
বিদ্যুৎ
·
হার্ডওয়্যার
·
ডাটা
২. কম্পিউটারের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে সম্পাদনের অনুক্রমে সাজানো নির্দেশাবলিকে বলা হয়- [ সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর :
১২/ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা: ১২]
·
সফটওয়্যার
·
প্রোগ্রাম
·
অপারেটিং সিস্টেম
·
হার্ডওয়্যার
৩. কম্পিউটারকে নির্দেশনা দেয়ার প্রক্রিয়া হলো- / The set of
instructions that tells the computer what to do is [বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ডাটা এন্ট্রি অপারেটর: ২১ / Sonali Bank Ltd. Officer
(Freedom Fighter): 19 ]
·
প্রোগ্রামিং
·
হার্ডওয়্যার
· সফটওয়্যার
·
অপারেটিং সিস্টেম
৪. .......... are software
which is used to do particular task. [Probashi Kallyan Bank Senior Officer: 18]
·
Operating system
·
Data
·
Software
·
Program
৫. কম্পিউটারের সফটওয়্যার বলতে বোঝানো হয়- [১১তম বিসিএস ]
·
যে সব অংশ মুদ্রায়িত অবস্থায় থাকে
·
এর প্রোগ্রাম বা কর্ম পরিকল্পনার কৌশল
·
তথ্য দেয়া ও তথ্য নেয়ার অংশ বিশেষ
·
কম্পিউটার তৈরির নকশা
৬ . সফটওয়্যার কি ? [কর্মসংস্থান ব্যাংক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর: ১১ ]
·
কম্পিউটারে ব্যবহৃত নরম তার
·
কম্পিউটারের যান্ত্রিক অংশ
·
কম্পিউটার অপারেশনের জন্য প্রোগ্রাম
·
কম্পিউটারের ইলেক্ট্রনিক অংশ
৭. কম্পিউটার সফটওয়্যার বলতে কি বোঝানো হয় ? [সমবায় অধিদপ্তরের মাঠ সহকারী: ১৮ ]
·
প্রোগ্রাম
·
মডেম
·
কী-বোর্ড
·
র্যাম
৮. Which one of the
following is the most important part of a computer system ?/ কম্পিউটার সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনটি ? [DBBL MTO : 12 ]
·
Hardware
·
Software
·
Data
·
User
·
None of these
৯. অদৃশ্য শক্তি কোনটি ? [রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (ফিন্যান্স): ০৭-০৮ ]
·
কী বোর্ড
· সফটওয়্যার
·
হার্ডওয়্যার
·
কোনোটিই নয়
১০. কম্পিউটারের প্রাণশক্তি কোনটি ? [ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর: ২১]
·
হার্ডওয়ার
·
সি.পি.ইউ
· সফটওয়্যার
·
মাইক্রোপ্রসেসর