অধ্যায় ৮ঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যা + বাংলাদেশের অর্থনীতি

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি (BCS) Preliminary Preparation 200 Marks সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের জনসংখ্যা

একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর সামনে যেসব সমস্যা সবচেয়ে প্রকট হয়ে দেখা দেবে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হলো জনসংখ্যা সমস্যা। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি ক্ষুদ্র, দরিদ্র অথচ জনবহুল দেশ। এখানে মাত্র ,৪৮,৪৬০ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি লোকের বসবাস ষষ্ঠ জনশুমারি গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। যা ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে ঘোষণা করা হয়েছিল তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। অবস্থায় বিশাল এই জনসংখ্যাকে এখন থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করতে না পারলে দেশবাসীর আগামী দিনগুলো ক্রমাগত দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা সমস্যা জাতীয় জনসংখ্যা নীতি প্রণীত হয় ১৯৭৬ সালে

 

বিভিন্ন সমীক্ষায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা

·        বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০২১জনসংখ্যা ১৬.৬৩ কোটি , গড় আয়ু [ পুরুষ ৭১ বছর এবং মহিলা ৭৫ বছর ] , জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .%

·        বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০২২জনসংখ্যা ১৬.৭৯ কোটি , গড় আয়ু [ পুরুষ ৭২ বছর এবং মহিলা ৭৫ বছর ] , জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .%  বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন ২০২২ অনুসারে জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের ৮ম দেশ

·        বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২১জনসংখ্যা ১৬.৮২ কোটি , গড় আয়ু ৭২. বছর , জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .৩৭% , জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গকিমি): ,১৪০ জন। ; সাক্ষরতার হার (+): ৭৫.%

·        বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২৩অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা- ১৭.৯৮ কোটি

·        জনসংখ্যা জনতাত্ত্বিক সূচক ২০২০জনসংখ্যা ১৬.৮২ কোটি , গড় আয়ু ৭২. বছর , জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .৩০%

·        পঞ্চম আদমশুমারি-১১জনসংখ্যা ১৪.৯৭ কোটি , গড় আয়ু -- বছর , জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .৩৭%

·        ষষ্ঠ আদমশুমারি- ২২জনসংখ্যা ১৬.৯৮ কোটি , গড় আয়ু [ পুরুষ ৭০. বছর এবং মহিলা ৭৪. বছর ] , জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .২২%

জনসংখ্যায়

বাংলাদেশের অবস্থান

জনসংখ্যায় বিশ্বে

৮ম

জনসংখ্যার ঘনত্বে বিশ্বে

৭ম

জনসংখ্যায় এশিয়া মহাদেশে

৫ম

জনসংখ্যায় মুসলিম বিশ্বে

৪র্থ

জনসংখ্যায় সার্কভুক্ত দেশে

৩য় (ঘনত্ব: ১২৩৮. জন)

বিশ্ব জনসংখ্যা রিপোর্ট ২০২১ [জাতিসংঘ জনসংখ্যা বিভাগ (UNFPA)]

আদমশুমারি (Census)

আদমশুমারি: একটি দেশের জনসংখ্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করার পদ্ধতিকে আদমশুমারি বলে। বর্তমানে আদমশুমারিকে বলা হয় জনশুমারি। বাংলাদেশে পর্যন্ত ৬টি আদমশুমারি হয়েছে যথাঃ

·        প্রথমঃ ১৯৭৪

·        দ্বিতীয়ঃ ১৯৮১

·        তৃতীয়ঃ ১৯৯১

·        চতুর্থঃ ২০০১

·        পঞ্চমঃ ২০১১

·        ষষ্ঠঃ ২০২২ [ বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল শুমারি ৬ষ্ঠ জনশুমারি গৃহগণনা ২০২২ ]

·        ভারতবর্ষে প্রথম আদমশুমারি হয়১৮৭২ সালে লর্ড মেয়োর শাসনামলে

·        সর্বশেষ আদমশুমারি হয়১৫ জুন থেকে ২১ জুন , ২০২২

·        পরবর্তী ৭ম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হবে২০৩১ সালে

·        বাংলাদেশে জনশুমারি গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়১০ বছর পর পর

·        আদমশুমারি পরিচালনা করেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো

উপাদান

তথ্য

শুমারির তারিখ

১৫-১৯ মার্চ, ২০১১

শুমারি রাত্রি

১৫ মার্চ ২০১১ রাত ১২ হতে ভোর ৬টা পর্যন্ত

গণনা পদ্ধতি

Modified Defacto

মোট জনসংখ্যা

১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ জন
পুরুষ ৪৭,৪৯,৮০,৩৮৬ জন (৫০.০৬%)
মহিলাঃ ,৪৭,৯১,৯৭৮ জন (৪৯.৯৪%)

পুরুষ-নারীর অনুপাত

১০০.: ১০০

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

.৩৭%

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক

৪টি জেলায়। যথা- খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, ঝালকাঠি

জনসংখ্যার ঘনত্ব

১০১৫ জন (প্রতি বর্গকিলোমিটারে)
২৫২৮ জন (প্রতি বর্গমাইলে)

ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা

মুসলিম (৯০.%) , হিন্দু (.%), বৌদ্ধ (.%), খ্রিস্টান (.%), অন্যান্য (.%)

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে Household প্রতি জন্যসংখ্যা

. জন

খানার সংখ্যা

.২১,৭৩,৬৩০ জন (অনুমিত)

খানা প্রতি গড় সদস্য

. জন (অনুমিত)

প্রতিবন্ধী জনসংখ্যা

২০,১৬,৬১২ জন (মোট জনসংখ্যার .%)

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ

সিলেট বিভাগে (.২১%)
গাজীপুর জেলায় (.২১%)

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন

বরিশাল বিভাগে (.১৮%)
বাগেরহাট জেলায় (-.৪৭%)

সর্বাধিক জনবসতিপূর্ণ জেলা

ঢাকা (৮২২৯ জন/বর্গ কিমি বা ২১৩১৩ জন/বর্গ মাইলে)

সবচেয়ে কম লোক বাস করে

বান্দরবানে (৮৭ জন/বর্গ কিমি বা ২২৫ জন/বর্গ মাইলে)

পঞ্চম আদমশুমারি - ২০১১

 

উপাদান

তথ্য

শুমারির তারিখ

১৫- ২২ জুন, ২০২২ খ্রি.

স্লোগানঃ

জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন

গণনা পদ্ধতি

Modified Defacto

মোট জনসংখ্যা

২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন (৪৯.%) , মহিলা কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন (৫০%) এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন তবে ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন দেখানো হয়েছে

পুরুষ-নারীর অনুপাত

৯৯ : ১০০

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার

.২২%

জনসংখ্যার ঘনত্ব

,১১৯ জন জন (প্রতি বর্গকিলোমিটারে)
২৫২৮ জন (প্রতি বর্গমাইলে)

ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা

মোট জনসংখ্যার ৯১.০৪% মুসলমান, .৯৫% হিন্দু, .৬১% বৌদ্ধ, .৩০% খ্রিষ্টান এবং .১২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

২০২২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে Household প্রতি জন্যসংখ্যা

জন

খানার সংখ্যা

কোটি ১০ লাখ

খানা প্রতি গড় সদস্য

গড় সদস্য জন

প্রতিবন্ধী জনসংখ্যা

কোটি ৩৬ লাখ হাজার ৬০৪ জন (মোট জনসংখ্যার .৪৩%)

সাক্ষরতার হার

৭৪.৬৬ শতাংশ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ

ঢাকা বিভাগ (.৭৪ %)

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন

বরিশাল বিভাগ সর্বনিম্ন (.৭৯ %)

সবচেয়ে বেশি জনবসতিপূর্ণ বিভাগ

ঢাকা বিভাগ (২১৫৬ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)

সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ বিভাগ

বরিশাল বিভাগ (৬৮৮ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে)

সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯৩৫৩ জন)

সর্বনিম্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা

রংপুর সিটি কর্পোরেশন (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৪৪৪ জন)

সর্বোচ্চ জনসংখ্যা

ঢাকা বিভাগে কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন

সর্বনিম্ন জনসংখ্যা

বরিশাল বিভাগে ৯১ লাখ ১০২ জন

৬ষ্ঠ জনশুমারি গৃহগণনা ২০২২

জনসংখ্যা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য :

·        জাতিসংঘের তথ্যানুসারে বর্তমানে ঢাকা বিশ্বের ৯ম মেগাসিটি। সাধারণত যেসব মহানগর এলাকার জনসংখ্যা কোটি বা তার অধিক সেসব মহানগরকে মেগাসিটি বলা হয়

·        বর্তমানে বিশ্বে মেগাসিটি- ২৮টি এবং মেটাসিটি- ৭টি (টোকিও, নয়াদিল্লী, সাংহাই, মেক্সিকোসিটি, সাওপাওলো, মুম্বাই, ওসাকা) কোটির বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট মহানগরীকে মেটাসিটি বলা হয়।

·        বিশ্বের মেগাসিটির তালিকায় ঢাকা অন্তভূক্ত হয়- ১৯৮০ সালে।

·        জনসংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান - অষ্টম।

·        জনসংখ্যায় মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশ - চতুর্থ।

·        বাংলাদেশ আদমশুমারি হয়েছে - ছয়টি

·        জনসংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ - ইন্দোনেশিয়া।

বাংলাদেশের উপজাতি সংক্রান্ত বিষয়াদি

·        বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতি জনসংখ্যা২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার ১৫৯ জন ; সমগ্র জনগোষ্ঠির প্রায় এক শতাংশের মতো (.৯৯%)

·        বাংলাদেশে বসবাসকারী উপজাতির সংখ্যা৫০টি [ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ - ২৩ মার্চ ২০১৯ প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ] ; ৪৫টি [সূত্রঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ]

·        পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করেমোট ১১টি উপজাতি। এরা হচ্ছেন মারমা, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বোম, খেয়াং, চাক, পাংখো তংচংগ্যা।

·        বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজাতিচাকমা (প্রথম), সাঁওতাল (দ্বিতীয়)

·        পিতৃপ্রধান উপজাতিমারমা, হাজংসহ অধিকাংশ উপজাতি।

·        মাতৃতান্ত্রিক উপজাতিগারো, খাসিয়া

·        খাগড়াছড়ির আদিবাসী রাজাবোমাং রাজা

·        ৫০ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীওরাওঁ, কোচ, কোল, কন্দ, কড়া, খারিয়া/খাড়িয়া, খারওয়ার/ খেড়োয়ার, খাসিয়া/খাসি, খিয়াং, খুমি, গারো, গঞ্জ, গড়াইত, গুর্খা, চাক, চাকমা, ডালু, তঞ্চঙ্গা, ত্রিপুরা, তেলী, তুরি, পাহাড়ী/ মালপাহাড়ী, পাংখোয়া/ পাংখো, পাত্র, বাগদী, বানাই, বড়াইক/ বাড়াইক, বেদিয়া, বম, বর্মণ, ভিল, ভূমিজ, ভুইমালী, মণিপুরী, মারমা, মুখ, ম্রো, মাহাতো/ কুর্মি মাহাতে/বেদিয়া মাহাতো, মালো/ ঘাসিমালো, মাহালী, মুসহর, রাখাইন, রাজোয়াড়, লোহার, লুসাই, শবর, সাঁওতাল, হুদি, হো, হাজং।

উপজাতি

বাংলাদেশে অবস্থান

চাকমা

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান কক্সবাজার

ত্রিপুরা (টিপরা)

খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙামাটি

লুসাই

খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙামাটি

মগ (মারমা + রাখাইন)

মারমা : বান্দরবানে চিম্বুক পাহাড়ের পাদদেশে
রাখাইন: কক্সবাজার পটুয়াখালী

বনজোগী (বম)

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান

তঞ্চঙ্গ্যা

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম কক্সবাজার

পাংখোয়া

বান্দরবান রাঙামাটি

মুরং (ম্রো)

বান্দরবান

চক

বান্দরবান

খুমি

বান্দরবান

খিয়াং

বান্দরবান

খাসিয়া

সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী জৈয়ন্তিকা পাহাড়ে

মণিপুরী

সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলার আসাম-পাহাড় অঞ্চলে

মুণ্ডা

সিলেট

হদি/ হাদুই

নেত্রকোনার বারহাট্টা, বিরিশিরি, শ্রীবদি

কুকি

রাঙামাটি

গারো

ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা (বিরিশিরি) টাঙ্গাইল

হাজং

ময়মনসিংহ নেত্রকোনা। এদের কিছু অংশ শেরপুর সিলেটে (সুনামগঞ্জ) বসবাস করে। [ সূত্র: বাংলাপেডিয়া]

সাঁওতাল

রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর

রাজবংশী

রংপুর

ওঁরাও

দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী বগুড়া

পাঙন

মৌলভীবাজার

হালাম

হবিগঞ্জ

বাওয়ালী মৌয়ালী

বাওয়ালীরা সুন্দরবনের গোলপাতা এবং মৌয়ালীরা সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে।

কোল বা মুন্ডা

খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া সাতক্ষীরা জেলায় এরা বসবাস করে। এছাড়া ভারতের। ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, ওডিশা পশ্চিমবঙ্গে এদের বাস।

বাংলাদেশের প্রধান উপজাতিদের অঞ্চলভিত্তিক অবস্থান

উপজাতিরা সবচেয়ে বেশি বাস করে পার্বত্য চট্টগ্রামে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট ১৩টি উপজাতি বসবাস করে। পার্বত্য তিনটি জেলায় উপজাতিরা দেশের মোট উপজাতির ৫০% বাংলাদেশে উপজাতি জনসংখ্যা প্রায় মিলিয়ন বা ২০ লাখের মতো। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতি হলো চাকমা। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চাকমা লোকসংখ্যা ,৪৪,৭৪৮ জন। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতি হলো মারমা। তাদের লোকসংখ্যা ,০২,৯৭৪ জন। উল্লেখ্য , ২০২২ সালের 'জনশুমারিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আসেনি

ধর্ম

উপজাতী

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী

উপজাতিদের অধিকাংশ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী (৪৩.%) চাকমা, চাক, মারমা, খিয়াং, খুমি, তঞ্চঙ্গ্যা, রাখাইন।

সনাতন ধর্মাবলম্বী

গারো, পাংখোয়া, নুনিয়া, পলিয়া, পাহান, ভূঁইমালী, মাহাতো, মুশহর, রবিদাস, রানা কর্মকার, লহরা, কুর্মি, কোচ, খাড়িয়া, নায়েক, পাত্র, বর্মণ, বীন, বোনাজ, শবর, হাজং, হালাম, ত্রিপুরা।

প্রকৃতি পূজারি

মুণ্ডা, রাজবংশী

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী

বম, লুসাই, মাহালী, খাসিয়া

ইসলাম ধর্মাবলম্বী

পাঙন

উপজাতীদের ধর্ম

 

উপজাতি

ভাষা

ত্রিপুরা

ককবরক

সাঁওতাল

সাঁওতালী

ওঁরাও

কুরখ

গারো

মান্দি/ আচিক/খুসিক

উপজাতিদের বর্ণমালা

চাকমা

অহমিয়া

রাখাইন

বর্নি/মনখেমর

উপজাতিদের ভাষা

·        নৃ-গোষ্ঠীর কথ্য ভাষা আছেঃ প্রায় সকল সব নৃগোষ্ঠীর।

·        সাঁওতাল নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব কথ্য ভাষা আছে কিন্তু নিজস্ব বর্ণমালা নেই।

·        চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাসের নাম -- ফেবো (২০০৪)

·        মোট উপজাতীয় ভাষা - ৩২টি।

বাংলাদেশে ব্যবহৃত ৪১টি নৃ-তাত্ত্বিক ভাষা : বাংলা, চাটগাইয়া, মারমা, সিলেটি, বিহারি, গারো, মৈতি, রাখাইন, সাঁওতালি, চাকমা, চীন-বম, হাজং, ম্রো, রংপুরী, সাদরি-ওরাও, উশুই, বাংলা সাংকেতিক ভাষা, বিষ্ণুপুরী, চাক, চীন-আসসা, চীনখুমি, কোচ, কোদা, ককবরক, কোল, মাহালি, মেগাম, মুণ্ডারী, নার, তঞ্চৈঙ্গা, টিপরা, ওয়ার-জৈন্তিয়া, আটং, খাসি, কুরুক্স, মিজো, রোহিঙ্গা, লিংগাম, পাংখায়ো, রিয়াং এবং সাউরিয়া পাহাড়িয়া।

উপজাতীয়দের উৎসব : উপজাতীয়দের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে সামগ্রিকভাবে বৈসাবি বলে। (বৈসুক, সাংগ্রাই এবং বিঝুর সংক্ষিপ্ত রূপ) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান ৩টি আদিবাসী সমাজের বর্ষবরণ উৎসবকে একত্রে বলা হয় 'বৈসাবি উৎসব' ত্রিপুরা উপজাতিদের কাছে এটি বৈসুক, মারমাদের কাছে সাংগ্রাই এবং চাকমাদের কাছে এটি বিজু নামে পরিচিত। বিজু উৎসবটি পালিত হয় তিনদিন অর্থাৎ চৈত্রমাসের শেষ দুই দিন (ফুলবিজু মূলবিজয়) এবং বৈশাখ মাসের প্রথমদিন নুওবসর (নতুন বছর)

উপজাতি

উৎসব

ত্রিপুরা

বৈসুক (বর্ষবরণ)

মারমা

সাংগ্রাই (বর্ষবরণ)

চাকমা

বিঝু (বর্ষবরণ)

ফাল্গুনী

পূর্ণিমা (ধর্মীয়)

গারো

ওয়ানগালা (ধর্মীয়)

রাখাইন

সান্দ্রে

মুরং

ছিয়াছত

খিয়াং

সাংলান

সাঁওতাল

সোহরাই, বাহা, পাসকা পরব

উপজাতীয়দের উৎসব

প্রধান উপজাতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

চাকমা : চাকমা পুরুষরা ধুতি এবং মহিলারা পিনন পরিধান করে। চাকমারা গ্রামকে বলে আছাম। চাকমাদের গ্রামের প্রধান হলেন কারবারি। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় মৌজা, মৌজার প্রধান কারবারি।

সাঁওতাল : ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং নাচোলের কৃষক বিদ্রোহ ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয়। সাঁওতালদের আদি দেবতা সিংবোঙ্গা। এদের প্রধানকে বলে মাজি।

গারো : এদের ভাষার নাম মান্দি/গারো ভাষা। পাহাড়ি গারোরা অচ্ছিক এবং সমতলের গারোরা লামদানি নামে পরিচিত। প্রধান দেবতা তারারা, রাবুগা। এছাড়া আছে সালভার, ছোছম, মেন, নবাং ইত্যাদি। গারোদের ধর্মের নাম সংসারেক। দু চালা বাড়িগুলোকে বলে নকমান্দি।

খাসিয়া : মেয়েদের পোশাকের নাম কাজিম পিন। এরা প্রধানত পান চাষী বাড়িতে কোন অতিথি আসলে খাসিয়ারা পান, সুপারি চা দিয়ে তাদেরকে আপ্যায়ন করে।

মনিপুরী : রাধা-কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নাচ করা মনিপুরিদের সবচেয়ে প্রিয়। একে 'গোপী নাচ ' বলা হয়। বসন্তকালে তারা জাঁকজমকের সাথে হোলি উৎসব পালন করে। এরা ফাল্গুন মাস থেকে বছর গণনা শুরু করে। নববর্ষকে বরণ করতে তারা পালন করে ফাগুয়া 

·        জলকেলি উৎসব করে - রাখাইনরা।

·        উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির কথা উল্লেখ আছে সংবিধানের ২৩ () অনুচ্ছেদে।

·        বাংলাদেশের যে বিভাগে কোন উপজাতি নেই - খুলনা।

·        একমাত্র উপজাতি হিসেবে যাদের মধ্যে বিধবা বিবাহ বহু বিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ প্রচলিত আছে - হাজংদের মধ্যে।

প্রতিষ্ঠান

অবস্থান

. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমি
[
বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম উপজাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (প্রতিষ্ঠাকাল-১৬ আগস্ট, ১৯৭৭) ]

বিরিশিরি, দুর্গাপুর উপজেলা, নেত্রকোনা

. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট

রাঙামাটি

. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট

বান্দরবান

. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট

খাগড়াছড়ি

. কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

কক্সবাজার

. রাখাইন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

রামু, কক্সবাজার

. রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমি

রাজশাহী

. মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি

কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার

উপজাতীয়দের জন্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান - ৮টি

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাদুঘর: রাঙামাটি শহরের ভেদভেদি নামক স্থানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরে 'ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী জাদুঘর'টি অবস্থিত। এটি ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়। এই জাদুঘরে আদিবাসীদের লুপ্ত লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতির নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিচ্ছেদ, অলঙ্কারসহ ব্যবহৃত দুর্লভ সামগ্রী সংরক্ষণ করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়: পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৩টি জেলা (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন) নিয়ে গঠিত। পাহাড়িদের দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি' গঠিত হয় যা সত্তরের দশকে সরকারের সাথে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়। বিরাজমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে পাহাড়ি জনগণের পক্ষে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা 'পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ' নামে পরিচিত। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়।

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি

 

 

কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কৃষি থেকে উৎপাদনমুখী শিল্পে পরিবর্তনশীল অর্থনীতি। বাংলাদেশের মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি হলে ক্রমান্বয়ে তা পরিবর্তিত হয়ে অধিকতর শিল্পমুখী হচ্ছে এর ফলস্বরুপ বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় একটি অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স তৈরি পোশাক শিল্প। বিশ্বে চার ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে পুজিবাদী অর্থব্যবস্থা, সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা, মিশ্র অর্থব্যবস্থা এবং ইসলামী অর্থব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা, ব্যক্তিগত উদ্যোগের অভাব, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখা দেয়। ব্যবস্থায় স্বয়ংক্রিয় মূল্যব্যবস্থা থাকে না। অন্যদিকে, পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় সম্পদের ব্যক্তিগত মালিকানা, স্বয়ংক্রিয় মূল্য বাবস্থা, বেসরকারি উদ্যোগ, ভোক্তার স্বাধীনতা, অবাধ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। বাংলাদেশের অর্থনীতির ধরন হল মিশ্র অর্থনীতি। মিশ্র অর্থনীতিতে সম্পত্তির ব্যক্তিগত রাষ্ট্রীয় মালিকানা থাকে। বর্তমানে এদেশের অর্থনীতির প্রকৃতি মুক্তবাজার অর্থনীতি। ব্যবস্থা চালু হয় ১৯৯১ সালের জুলাই বাংলাদেশ একটি নিম্ন-মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল দেশ।

অর্থনীতি সংক্রান্ত কতিপয় বিষয়

মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP): কোন নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর ) দেশে যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী সেবাকর্ম উৎপাদিত হয় তার পরিমাণকে মোট জাতীয় উৎপাদন (Gross National Product) বলে। এতে দেশজ প্রবাসী আয় সন্নিবেশ করা হয়। তবে হিসাব করার সময় মধ্যবর্তী দ্রব্য সেবা বাদ দিয়ে কেবল চূড়ান্ত দ্রব্য সেবাকর্ম হিসাব করা হয়।

নীট জাতীয় উৎপাদন (NNP) : উৎপাদনকালীন যন্ত্রপাতি ক্ষয়, সময় শক্তি ক্ষয় প্রভৃতি অবচয়জনিত ক্ষয়ক্ষতিগুলো মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে বাদ দিলে নীট জাতীয় উৎপাদন (Net National Product) পাওয়া যায়। থেকে একটি দেশের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা জানা যায়। সুতরাং, নীট জাতীয় উৎপাদন = মোট জাতীয় উৎপাদন ক্ষয়ক্ষতিজনিত অবচয়।

মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) : কোন নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত সকল চূড়ান্ত দ্রব্য সেবার আর্থিক মূল্যমানকে মোট দেশজ উৎপাদন (Gross Domestic Product) বলে। এতে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশী বিনিয়োগ থেকে উৎপন্ন দ্রব্য হিসাব করা হয় কিন্তু প্রবাসীদের সৃষ্ট উৎপাদন হিসেব করা হয় না।

মাথাপিছু আয় : মোট জাতীয় উৎপাদনকে দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। এটি একটি দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান নির্দেশ করে

প্রবৃদ্ধির হার : গত বছরের আয়ের তুলনায় বর্তমান বছরের আয়ের যে বৃদ্ধি হয় সেই বৃদ্ধির শতকরা হারকে প্রবৃদ্ধির হার বলে।

মুদ্রাস্ফীতি : বাজারের একটি অবস্থা। বাজারে অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দ্রব্য সামগ্রীর দাম যদি বেড়ে যায় এবং অর্থের মূল্য যদি কমে যায় সেই অবস্থাকে মুদ্রাস্ফীতি বলে।

Devaluation : ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্যমান কমিয়ে দেওয়াকে বলা হয় Devaluation. এর মাধ্যমে রপ্তানিকে উৎসাহিত করা এবং আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত পঞ্চবার্ষিকী

উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রবর্তক সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্ট্যালিন। বাংলাদেশে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান পরিকল্পনামন্ত্রী। বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়কাল: ২০২১-২০৪১ সাল। যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) কর্তৃক "রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ণ: বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১- ২০৪১" দলিলটি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০- অনুমোদন করা হয়েছে।

উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো : বাংলাদেশে পরিকল্পনা প্রণয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত শীর্ষ সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন। এটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন। উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দেশে চার ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো কাজ করে থাকে। এগুলো হলো :

1.   পরিকল্পনা কমিশন

2.   জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (NEC)

3.   জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (ECNEC)

4.   মন্ত্রণালয়/বিভাগের পরিকল্পনা উইং

. পরিকল্পনা কমিশন : সরকার প্রধান চেয়ারম্যান, পরিকল্পনামন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান, একজন ডেপুটি চেয়াম্যান, কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সমন্বয়ে পরিকল্পনা কমিশন গঠিত। উন্নয়ন পরিকল্পনায় কমিশনের ভূমিকা হল :

·        সরকারের আর্থ-সামাজিক উদ্দেশ্যাবলীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয়, বার্ষিক, মধ্যমেয়াদী, পঞ্চবার্ষিক, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন।

·        উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক অবকাঠামো সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান।

·        জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে প্রেরণের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী চূড়ান্তকরণ।

. জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (NEC) : চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীগণ সদস্য। সহায়তাদানকারী কর্মকর্তাগণ হচ্ছেন :

·        মন্ত্রীপরিষদ সচিব

·        পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ

·        সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব

·        বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর

উন্নয়ন পরিকল্পনায় NEC-এর কার্যপরিধি: মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা, ADP এবং অর্থনৈতিক কর্মপন্থা (policy) নিরূপণের প্রাথমিক পর্যায়ে সামগ্রিক দিক নির্দেশনা প্রদান। পরিকল্পনা কর্মসূচী এবং কর্মপন্থার চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান। উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত বাবস্থা গ্রহণ।। দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোন কমিটি গঠন।

. একনেক : একনেকের চেয়ারপারসন হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এবং বিকল্প চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী। সদস্যগণ হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীগণ। উন্নয়ন পরিকল্পনায় একনেক এর কার্যপরিধি হল :

·        সকল বিনিয়োগ প্রকল্পের সারপত্র বিবেচনা অনুমোদন।

·        উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা।

·        অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিক্ষণ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণী বিষয়সমূহ পর্যালোচনা।

·        বৈদেশিক সাহায্য, বাণিজ্য সম্প্রসারণ জনশক্তি রপ্তানী বিষয়ে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনা অনুমোদন এবং উক্ত লক্ষ্যমাত্রা সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা।

. পরিকল্পনা উইং (planning wing): বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে অবস্থিত পরিকল্পনা উইং উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। উইং এর কর্ম পরিধি:

·        প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ

·        প্রকল্পের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন রিভিউ

·        বিভিন্ন সমীক্ষা গ্রহণ

·        বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রণয়ন

·        দাতাদেশ / সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা

·        পরিকল্পনা কমিশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয়ে ফলাবর্তন প্রদান।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যপরিধিতে এই চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, অনুমোদন, ব্যস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ মূল্যাবনের জাভিয়ানিক কাঠামোগত কার্যক্রম অনুসৃদ্ধ সম্পন্ন হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা কৌশলসমূহ

বাংলাদেশে পর্যন্ত মোট ১১ টি উন্নয়ন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এব মধ্যে ৮টি পঞ্চবার্ষিকী টি দ্বিবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ২টি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (PRSP) রয়েছে। নিচে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহ উপস্থাপিত হল।

. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( ১৯৭৩ - ৭৮ ): যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশে প্রথম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হয়। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩ সালের জুলাই শুরু হয়ে ১৯৭৮ সালের ৩০ জুন শেষ হয়। পরিকলপনার প্রধান লক্ষ্য-ছিল : জনগণের দারিদ্র্য লাঘব করা। মোট জাতীয় উৎপাদন বার্ষিক .% হারে বৃদ্ধি করা

. দ্বি-বার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৮-৮০) : ১৯৭৮ - ৮০ সালের জন্য একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এটি ছিল একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে দেশের জন্য কোন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের অবস্থা তখন ছিল না। পরিকল্পনায় প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। পরিকল্পনাটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কিছুটা গতি সঞ্চার করে।

. দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৮০ - ৮৫ ) : ১৯৮৩ সালের জুলাই দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল :

·        জনগণের মৌলিক প্রয়োজনীয় দ্রবাগুলোয় যোগান বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন।

·        বার্ষিক জাতীয় উৎপাদন .% হারে বৃদ্ধি।

·        কৃষি শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে % .% অর্জন।

·        খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন

·        জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার .% থেকে .% নামিয়ে আনা।

·        মাথাপিছু বার্ষিক আয় .% বৃদ্ধি করা

·        নিরক্ষরতা দূরীকরণ।

·        পল্লী এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।

·        বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস।

. তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( ১৯৮৫ - ৯০ ) : ১৯৮৫ সালের জুলাই হতে ১৯৯০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পরিকল্পনার মেয়াদ ছিল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করা। কৃষি শিল্প ঘাতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য লাঘব করা। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা মানবসম্পদের উন্নয়ন প্রভৃতি লক্ষ্য ছিল।

. চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( ১৯৯০ - ৯৫ ) : চতুর্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ পরিকল্পনার অধীনে যমুনা বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতসমূহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল সুস্থ মহিলা পুরুষদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং উৎপাদন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে দরিদ্র অসহায় শ্রেণীর অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করা

. পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( ১৯৯৭ - ২০০২ ) : পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল শহর-গ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন, দৈহিক, মানসিক পঙ্গু প্রতিবন্ধীদের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম, এতিম-অনাথ শিশুদের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম, মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম, ভিক্ষুক, ভবঘুরে দুঃস্থ কল্যাণ কার্যক্রম, সামাজিক নিরাপত্তা প্রভৃতি পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল

. ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( ২০১১ - ২০১৫ ) : সাতটি অগ্রাধিকার খাত অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিল চূড়ান্ত হওয়ার পর ২২ জুন ২০১১ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (ECNEC) বৈঠকে তা অনুমোদিত হয়। পরিকল্পনার মেয়াদকাল ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সালের জুন। পর্যন্ত। তবে এটি কার্যকর হচ্ছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দারিদ্র্য বিমোচন বৈষম্য হ্রাসের টেকসই কর্মসূচি নেই।

. সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ( ২০১৫ - ২০২০ ) :

·        উদ্দেশ্যপ্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়ন।

·        গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি.%

·        মাথাপিছু আয়২০০৯ মার্কিন ডলার

·        গড় আয়ু৭২ বছর

·        মুদ্রাস্ফীতি. শতাংশ (গড়)

·        বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ৪৯০০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

·        দারিদ্রের হার১৮.৬০%

·        ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা৩২ লাখ কোটি টাকা (প্রায়)

·        প্রাধান্য পাবেস্বাস্থ্যখাত

. অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ( ২০২০ - ২০২৫ ) :

·        মেয়াদজুলাই, ২০২০ থেকে জুন, ২০২৫

·        একনেকে অনুমোদন২৯ ডিসেম্বর, ২০২০

·        উদ্দেশ্যদক্ষতার উন্নয়ন

·        বাজেট৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা

·        লক্ষ্যমাত্রা: ↓

·        কর্মসংস্থান কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার
দেশে - ৮০ লাখ ৫০ হাজার
বিদেশে - ৩২ লাখ ৫০ হাজার

·        মুদ্রাস্ফীতি. শতাংশ (গড়)

·        বিনিয়োগ৩৭.%

·        প্রত্যাশিত গড় আয়ু৭৪ বছর

·        বিদ্যুৎ উৎপাদন৩০ হাজার মেগাওয়াট

·        দারিদ্রের হার১৫.%

·        অতি দারিদ্রের হার.%

দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র (PRSP)- এর মেয়াদ ছিল জুলাই, ২০০৫ থেকে জুন,২০০৮  দারিদ্র বিমোচন কৌশলপত্র (PRSP)- এর মেয়াদ ছিল জুলাই, ২০০৮ থেকে জুন,২০১১ (ব্যয়-,৮১,৪৮১কোটি টাকা) PRSP এর পূর্ণরূপ Poverty Reduction Strategy Papers IPRSP এর পূর্ণরূপ Intertim Poverty Reduction Strategy Papers বাংলাদেশের সরকার এক বছরের কর্মসূচি হিসেবে ADP(Annual Development Programme) ঘোষণা করেন।

বাজেট বাজেট প্রণয়ন

Budget অর্থ Bag বা থলে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গৃহীত আর্থিক পরিকল্পনা। Oxford Dictionary অনুযায়ী বাজেট হচ্ছে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের হিসাব। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকারের আয় ব্যয়ের যে পরিকল্পনা আইন পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয় তাই বাজেট। সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয় ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। সংবিধান অনুযায়ী বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব সরকারের প্রধান নির্বাহীর Rules of Business অনুযায়ী Budget প্রণয়নের দায়িত্ব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের

বাজেটকে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা যায় যথাঃ ) অসম বাজেট বা সমতাহীন বাজেট (Imbalanced Budget) ) সুষম বাজেট বা সমতাপ্রাপ্ত বাজেট (Balanced Budget) অসম বাজেট আবার দুই প্রকার। যথা-
) উদ্বৃত্ত বাজেট (Surplus Budget): সম্ভাব্য আয় সম্ভাব্য ব্যয় অপেক্ষা বেশি হলে, তাকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলে।
) ঘাটতি বাজেট (Deficit Budget): সম্ভাব্য আয় অপেক্ষা সম্ভাব্য ব্যয় বেশি হলে, তাকে ঘাটতি বাজেট বলে।
আয়ব্যয়ের প্রকৃতির উপর ভিত্তিতে বাজেটের দুটি অংশ থাকে। যথা-
) রাজস্ব বাজেট (Revenue Budget): দেশের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য যে বাজেট গৃহীত হয়, তাকে রাজস্ব বাজেট বলে।
) মূলধনী বাজেট (Capital Budget): দেশের উন্নয়ন কাজের জন্য যে বাজেট গৃহীত হয়, তাকে মূলধনী বাজেট বলে।

·        উপমহাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন লর্ড ক্যানিং (১৮৬১ সালে)

·        বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন তাজউদ্দিন আহম্মেদ (৩০ জুন, ১৯৭২ সালে)

·        পর্যন্ত বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বাজেট ঘোষণা করেন সাইফুর রহমান এবং আবুল মাল আবদুল মুহিত (১২টি)

·        বাংলাদেশে বাজেটের ধরণ ঘাটতি বাজেট।

সরকারের আয় ঋণ গ্রহণ

·        সরকারের আয়ের উৎসবাণিজ্য শুল্ক, আবগারী শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, আয়কর, ভূমি রাজস্ব, স্ট্যাম্প, রেজিস্ট্রেশন, সরকারী ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প, সুদ, বিভিন্ন ধরনের কর ইত্যাদি।

·        বাংলাদেশ সরকার কোন খাত থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেভ্যাট হতে

·        VAT (মূসক)-এর পূর্ণরূপValue Added Tax (মূল্য সংযোজন কর)

·        বাংলাদেশের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রথম প্রবর্তিত হয় জুলাই, ১৯৯১

·        বাংলাদেশে ভ্যাটের হার১৫% (স্তর- ৫টি)

·        কর দুই প্রকার) প্রত্যক্ষ কর ) পরোক্ষ কর

·        বাণিজ্য শুল্ক (Custom Duty) : আমদানি বা রপ্তানিকৃত দ্রব্যের উপর আরোপিত কর।

·        আবগারি শুল্ক (Excise Duty) : দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত, বিক্রিত ব্যবহৃত দ্রব্যের উপর সরকার কর্তৃক আরোপিত কর

·        কর আদায়ের দায়িত্বঅর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)
National Board of Revenue

·        ট্যাক্স হলিডে (Tax Holiday) : সাধারণত শিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য সাময়িকভাবে ট্যাক্স মওকুফ করা।

·        আয়কর রিটার্ন (Income tax return) : করদাতা তাঁর যাবতীয় উৎস থেকে অর্জিত আয় এবং উক্ত আয়ের উপর তার করের পরিমাণ উল্লেখ করে আয়কর বিভাগে নির্দিষ্ট ছকে যে বিবরণী দাখিল করেন, তাকে আয়কর রিটার্ন বলে।

·        সরকারের ঋণ গ্রহণের মাধ্যমট্রেজারি বিল (Treasury Bill)
প্রতিরক্ষা সঞ্চয়পত্র (Defense Saving Certificate)
কর্মণ্যেপজীবী অঙ্গীকারপত্র (Wage Earners Bond)

·        প্রত্যক্ষ কর (Direct Tax) : প্রত্যক্ষ কর শুধু সেই ব্যক্তিকে প্রদান করতে হয় যে আইনগতভাবে উক্ত কর প্রদানে বাধ্য। যেমন- আয়কর, ভূমিকর।

·        পরোক্ষ কর (Indirect Tax) : পরোক্ষ কর একজনের উপর ধার্য হলেও তা আংশিক বা পূর্ণভাবে অন্য কোন ব্যক্তি প্রদান করতে পারে। যেমন-মূল্য সংযোজন কর, আবগারি শুল্ক।

·        রেমিট্যান্সবাংলাদেশে রেমিট্যান্সগুলি অভিবাসীদের প্রবাহ এবং স্বল্পমেয়াদী কর্মচারীদের আয়ের স্থানান্তরকে বোঝায়। বিদেশে বাংলাদেশী নাগরিকের রেমিট্যান্স এবং পোশাক রফতানির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার মূল উৎস। সৌদি আরব রেমিটেন্সের বৃহত্তম উৎস। এরপরে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, লিবিয়া, ইরাক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।

·        বাংলাদেশের জন্য সর্ববৃহৎ দাতা দেশজাপান।

দারিদ্র্য বিমোচন

·        দারিদ্র্য দুই প্রকার) আয় দরিদ্র , ) মানব দরিদ্র

·        বাংলাদেশে দারিদ্র্য পরিমাপে ব্যবহৃত হয়খাদ্যশক্তি গ্রহণ পদ্ধতি
প্রত্যক্ষ ক্যালরি গ্রহণ পদ্ধতি

·        দারিদ্রদ্র্য বিমোচনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যক্রমপল্লীসমাজসেবা কার্যক্রম (RSS)
শহর সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম (UCD)

·        'মঙ্গা' দেখা দেয়ভাদ্র-আশ্বিন-কার্তিক মাসে রংপুর অঞ্চলে

·        বাংলাদেশে কবে থেকে বয়স্ক ভাতা চালু৩১মে, ১৯৯৮ সালে

·        জাতিসংঘে 'International Organization for South South Co-operation' (IOSSC) থেকে বাংলাদেশকে দারিদ্রদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ 'সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড' প্রদান : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

·        অনপেক্ষ দারিদ্র্যজনপ্রতি প্রতিদিন ২১২২ কিলোক্যালরি বা তার নীচে খাদ্যগ্রহণকারী জনগোষ্ঠী

·        চরম দারিদ্র্যজনপ্রতি প্রতিদিন ১৮০৫ কিলোক্যালরি বা তার নীচে খাদ্যগ্রহণকারী জনগোষ্ঠী

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ:

1.   আমার বাড়ি আমার খামার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক: "একটি বাড়ি একটি খামার" প্রকল্প ১৯৯৮ সাল থেকে চালু হয়।

2.   আশ্রয়ণ প্রকল্প

3.   ডিজিটাল বাংলাদশে

4.   শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি

5.   নারীর ক্ষমতায়ন

6.   ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ

7.   কমিউনিটি ক্লিনিক মানসিক স্বাস্থ্য

8.   সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

9.   বিনিয়োগ বিকাশ

10.                  পরিবেশ সুরক্ষা

বাংলাদেশের এনজিও

NGO এর পূর্ণরূপ Non-Government Organisation বাংলাদেশের প্রধান NGO গুলো হল ব্রাক, আশা, প্রশিকা, কেয়ার শক্তি ফাউন্ডেশন, টি.এম.এস.এস (ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ), এস.এস.এস (সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিসেস), স্বনির্ভর বাংলাদেশ ইত্যাদি।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরো [NGO Affairs Bureau] : বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওদের কার্যক্রম তদারকির জন্য ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন।

Bangladesh Rural Advancement Committee (BRAC)
বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্রাক) : বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্রাক। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সংস্থা। ব্রাক বর্তমানে বাংলাদেশের বাহিরে আফগানিস্তান শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের ১৪টি দেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
 প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭২ সাল।
 প্রতিষ্ঠাতা: ফজলে হাসান আবেদ।
 NGO advisor (An independent media organisation based on Geneva) ranked BRAC as Number one NGO in the world.

কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ
Co-operation for Assistance and Relief Everywhere (CARE)

CARE
একটি আমেরিকান এনজিও।

এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন / Acid Survivors Foundation : এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এসিড সহিংসতার শিকার অসহায় মানুষদের চিকিৎসা, পরিচর্যা পুনর্বাসনের জন্য পরিচালিত বাংলাদেশের একটি সামাজিক সংগঠন।
 প্রতিষ্ঠাকাল: ১২ মে, ১৯৯৯
 সদর দপ্তর: বনানী, ঢাকা।

SDF- সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন :
• 
প্রতিষ্ঠাকাল: ২০০০ সাল।
 সদর দপ্তর: ঢাকায়।
এটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন। কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক থেকে অনুদান গ্রহণ করে। SDF- এর বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিপালকের নাম মোঃ নুরুল ইসলাম সরদার।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এনজিও : বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এনজিও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শিশুদের জন্য বিদ্যালয়ের নাম আনন্দ স্কুল।

স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) এবং এর থেকে উত্তরণ

জাতিসংঘ অর্থনৈতিক সামাজিক কাউন্সিল (ECOSOC) তিনটি সূচকের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশসমূহকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে থাকে- স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল উন্নত দেশ। একটি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে ECOSOC' এর অধীন সংস্থা দ্য কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (CDP) LDCs থেকে উত্তরণের জন্য CDP বিবেচনায় নেয় তিনটি সূচক-

1.   অর্থনৈতিক ঝুঁকিপ্রাকৃতিক দুর্যোগ, বাণিজ্য অর্থনৈতিক আঘাত, জনসংখ্যার পরিমাণ এবং বিশ্ববাজার থেকে একটি দেশের দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি আর্থিক ভঙ্গুরতা সূচক (EVI)

2.   মাথাপিছু আয়তিন বছরের গড় মাথাপিছু জাতীয় আয় (GNI)

3.   মানবসম্পদ উন্নয়নপুষ্টি, স্বাস্থ্য, স্কুলে ভর্তি শিক্ষার হারের সমন্বয়ে তৈরি মানব সম্পদ সূচক (HAI)

কোনো দেশ তিনটি সূচকের যে কোনো দুটিতে পর পর দুটি পর্যালাচেনায় ( বছর) উত্তীর্ণ হলে তাকে উন্নয়নশীল দেশ হসেবে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। CDP নির্ধারিত সূচকের মানের ভিত্তিতে প্রতি বছর পর পর LDC থেকে উত্তরণের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে। সর্বশেষ তালিকা করা হয়: ২০১৮ সালে। ১৬ মার্চ ২০১৮ এলডিসি রিপোর্ট অনুযায়ী, এলডিসি মুক্ত (বাংলাদেশ এলডিসি ভুক্ত হয় ১৯৭৫ সালে) হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে যোগ হল . বাংলাদেশ, . মিয়ানমার . লাওস ১৬ মার্চ ২০১৮ জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (CDP) আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনকে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে LDC থেকে উত্তরণের মানদন্ড পূরণ করেছে মর্মে অবহিত করে। বাংলাদেশই প্রথম LDC ভুক্ত দেশ, যে তিনটি সূচকেই জাতিসংঘের শর্তপূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করছে।

মাথাপিছু আয়

মানব সম্পদ

অর্থনৈতিক আয়

উত্তরণের মান

১২৩০ ডলার

৬৬

৩২ বা কম

জাতিসংঘের হিসাবে বাংলাদেশ

১২৭২ ডলার

৭২.

২৫.

বিবিএসের হিসাবে বাংলাদেশ

১২৭১ ডলার

৭২.

২৪.

বাংলাদেশ প্রাথমিক যোগ্যতার কারন-

এলডিসি থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশ যে তিনটি সুবিধা পাবেনা যথা-

1.   জিএসপি সুবিধা

2.   সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা

3.   কপিরাইট সুবিধা

স্বল্পোন্নত দেশসমূহ (LDC)

·        LDC' পূর্ণরূপ- Least Developed Country

·        জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে নিম্নভাগে অবস্থানকারী (মাথাপিছু আয় ৯০৫ মার্কিন ডলারের কম, দুর্বল মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রভৃতি) দেশসমূহ।

·        সাধারণত যেসব দেশের আর্থ-সামাজিক মানব সম্পদ সূচকে ধীর গতি পরিলক্ষিত হয় সেসব দেশকে বলা হয় স্বল্পোন্নত দেশ (LDC)

·        জ্যতিসংঘ নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ (LDCs) হিসেবে গণ্য করে। স্বল্পোন্নত দেশসমূহ (LDC) ধারণাটি প্রথম আলোচনা হয় ১৯৬০ সালে। তবে প্রথম এলডিসির তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ (জাতিসংঘের ২৭, ৬৮নং রেজুলেশন বা প্রস্তাবের মাধ্যমে)

·        ১৯৭১ সালে বিশ্বের ২৪টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ (IDC)-এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ এলডিসিতে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৭৫ সালে। সর্বশেষ LDC ভুক্ত হয় দক্ষিণ সুদান (২০১২ সালে)

·        স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্নত দেশের কাছ থেকে শুল্ক কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পায়।

·        বর্তমানে এলডিসিতে অন্তর্ভুক্ত দেশ ৪৭টি।

LDC থেকে বেরিয়ে আসার আবেদন: কোনো দেশ শুধু মাথাপিছু জাতীয় আয়ের ভিত্তিতেও LDC থেকে বেরিয়ে আসার আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশটির মাথাপিছু জাতীয় আয় মূল্যায়নের বছরে নির্ধারিত প্রয়োজনীয় আয়ের দ্বিগুণ, অর্থাৎ ,৪৮৪ মার্কিন ডলার বা তার চেয়ে বেশি হতে হবে। LDCs থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: ৫টি দেশ যথাঃ বতসোয়ানা (১৯৯৪) , কেপভার্দে (২০০৭) , মালদ্বীপ (২০১১) , সামোয়া (২০১৪)( , নিরক্ষীয় গিনি (২০১৭)

বিশ্বব্যাংক ক্যাটাগরি

বিশ্বব্যাংক বিশ্বের দেশসমূহকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে থাকে যথাঃ নিম্ন, নিম্ন মধ্যম, উচ্চ মধ্যম উচ্চ আয়ের দেশ। বিশ্বব্যাংক জুলাই ২০১৫ সালে বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাই মাথাপিছু আয়ের দিক বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। ২৬ফেব্রুয়ারি ২০২১ - The United Nations Committee for Development Policy বাংলাদেশের Least Developed Country নামে রূপান্তরিত হয়ে Middle Income Country তে যাওয়ার জন্য সুপারিশ করে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে LDC তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২০৪১ সালে

বিশ্বব্যাংকের শ্রেণিবিন্যাসে বাংলাদেশ (২০২০) :

·        মাথাপিছু আয়: ,৯৪০ মার্কিন ডলার।

·        মাথাপিছু আয়ে বিশ্বে অবস্থান: ১৪৯তম।

·        PPP' ভিত্তিতে মাথাপিছু আয়: ,১৯০ মার্কিন ডলার।

·        PPP' ভিত্তিতে মাথাপিছু আয়ে বিশ্বে: ১৪৫তম।

·        মোট জাতীয় আয়ে বিশ্বে অবস্থান: ৪০তম।

·        GDP-তে বিশ্বে অবস্থান: ৪১তম।

ব্লু ইকোনমি : সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি। অর্থাৎ, সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যে কোন সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তাই ব্লু -ইকোনমির বা সুনীল অর্থনীতির পর্যায়ে পড়বে। সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ।

জাতিসংঘের সহস্রাব্দ ঘোষণাপত্র ( United Nations Millennium Declaration )

·        পটভূমি২০০০ সালের সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে 'মিলেনিয়াম শীর্ষ সম্মেলন' অনুষ্ঠিত হয়।

·        MDG এর পূর্ণরূপMillennium Development Goal

·        লক্ষ্য ( Goals ) :  টি লক্ষ্য স্থির করা হয় এবং লক্ষ্যসমূহের সময়সীমা ২০১৫ সাল নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যসমূহ হলো-
) চরম দারিদ্র ক্ষুধা নির্মূল করা
) সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন
) লিঙ্গ সমতা নারীর ক্ষমতায়ন এর উন্নয়ন
) শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করা
) মায়ের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
) এইচ.আই.ভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে সংগ্রাম
) পরিবেশগত সহনশীলতা নিশ্চিতকরণ
) উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টি

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ( SDG )

SDG গঠনের প্রেক্ষাপট: -১৪ জুন ১৯৯২ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনের ২০ বছর পূর্তি হয় ২০১২ সালের জুনে। লক্ষ্যে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে ২০-২২ জুন ২০১২ অনুষ্ঠিত হয় 'রিও +২০' (Rio+20) বা 'আর্থ সামিট ২০১২' (Earth Summit 2012) সম্মেলন, যার আনুষ্ঠানিক নাম ছিল বিশ্ব টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন' বা World Sustainable Development Conference (WSDC) সম্মেলনে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDGs)' ওপর ভিত্তি করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা Sustainable Development Goals (SDGs) গ্রহণ করা হয়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) এর লক্ষ্যগুলো হলোঃ . দারিদ্রদ্র্য নির্মূল; . ক্ষুধামুক্তি; . সুস্বাস্থ্য; . মানসম্পন্ন শিক্ষা; . লিঙ্গ সমতা: . বিশুদ্ধ পানি পয়ঃনিষ্কাশন; . সাশ্রয়ী নবায়নযোগ্য জ্বালালি; . উপযুক্ত কাজ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিঃ .শিল্প, উদ্ভাবন অবকাঠামো: ১০. বৈষম্য হ্রাস: ১১. টেকসই শহর জনগণ: ১২. পরিমিত ভোগ: ১৩, জলবায়ুবিষয়ক পদক্ষেপ; ১৪. পানির নিচে প্রাণ: ১৫. স্থলভাগের জীবন; ১৬. শান্তি ন্যায়বিচার এবং ১৭. লক্ষ্য অর্জনে অংশীদারত্ব।

·        SDG এর পূর্ণরুপ Sustainable Development Goal .

·        টেকসই উন্নয়নভবিষ্যৎ প্রজন্যের ক্ষতি না করে বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করার মাধ্যমে যে উন্নয়ন, তাই টেকসই উন্নয়ন। অর্থাৎ, পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে উন্নয়নই টেকসই উন্নয়ন।

·        ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট - ২০৩০ এজেন্ডা গৃহীত হয়।

·        ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য লক্ষ্যমাত্রাগুলি পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘভূক্ত, ১৯৩ টি দেশ The Sustainable Development Goals (SDGs) এর এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

·        টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অফিসিয়াল নাম হলো Transforming our world.

·        জাতিসংঘ উন্নয়ন লক্ষ্যে (MDG)-এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নির্ধারণ করা হয় নতুন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG)

·        SDGs এর মেয়াদ( জানু, ২০১৬ থেকে ৩১ ডিসে. ২০৩০)

·        প্রধান লক্ষ্য : ১৭টি (বাংলাদেশের দেয়া ১৫টি)

·        সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য (টার্গেট) : ১৬৯টি।

·        সূচক২৩০টি

·        টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম (২০২০ সাল)

-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০

ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ (Delta Plan-2100): নেদারল্যান্ডসের (Nederlands) এর বদ্বীপ পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বদ্বীপ পরিকল্পনা করা হয়েছে। "বাংলাদেশ -দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০" প্রণয়নের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে।

বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে আলোচিত 'বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০' 'ডেল্টা প্ল্যান' নামে পরিচিত শত বছরের মহাপরিকল্পনার অধীনে আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট - ২০৩০ সাল নাগাদ . শতাংশ থেকে . শতাংশ। ফলাফল মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত হবে। বন্যা আক্রান্ত ৫০-৬০ হাজার মানুষকে এই বন্যা পরিস্থিতি থেকে চূড়ান্ত মুক্তি।

হটস্পট: এই পরিকল্পনায় ছয়টি হটস্পটের কথা বলা হয়েছে। -দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে ছয় ধরনের জায়গাকে বাংলাদেশ বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, সেগুলোকেই 'হটস্পট' বলা হচ্ছে। সমগ্র দেশকে মোট ৬টি হটস্পটে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হল- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা।

মুদ্রানীতি মুদ্রাব্যবস্থাপনা

মুদ্রা হল বিনিময়ের মাধ্যম। বাংলাদেশে মুদ্রার নাম টাকা। ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশগণ প্রথম উপমহাদেশে মুদ্রা আইন চালু করে। লর্ড ক্যানিং ১৮৫৭ সালে প্রথম ভারতবর্ষে কাগজের মুদ্রা প্রচলন করেন। বাংলাদেশে দশমিক মুদ্রা চালু হয় ১৯৬১ সালে। স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম , ১০, ২৫ এবং ৫০ পয়সা মূল্যের ধাতব মুদ্রা চালু হয় ১৯৭৩ সালে এবং প্রথম নোট চালু হয় মার্চ, ১৯৭২। প্রথম নোট হিসেবে বাজারে ছাড়া হয় ১০০ টাকার নোট। এরপর ১৯৭৪ সালে পয়সা এবং তারও পরে ১৯৭৫ সালে মূল্যের ধাতব মুদ্রা প্রবর্তন করা হয়। অত:পর মূল্যের ধাতব মুদ্রা প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে মূল্যমানের ধাতব মুদ্রাও প্রচলিত আছে। টাকার ধাতব মুদ্রা তৈরি করা হয় কানাডায় ১০ টাকার পলিমার নোটটি ছাপানো হয় অস্ট্রেলিয়ায় ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয় জার্মানিতে বাংলাদেশে মুদ্রার অবাধ বিনিময় ব্যবস্থা বা মুদ্রার ভাসমান বিনিময় হার চালু হয় জুন, ২০০৩

বাংলাদেশে কাগজের মুদ্রা মুদ্রণের একমাত্র প্রেস হল দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লি. এটি টাকশাল নামে পরিচিত। ঢাকার অদূরে গাজীপুরে ১৯৮৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসে মুদ্রণের জন্য কাগজ আমদানি করা হয় সুইজারল্যান্ড থেকে। প্রেস থেকে মুদ্রিত প্রথম নোট হল ১০ টাকার নোট। বাংলাদেশের মুদ্রা ব্যবস্থায় কাগুজে নোটের সংখ্যা ১০টি। যথা-, ,, ১০, ২০,৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট এর মধ্যে টাকা , টাকার নোট ব্যাংক নোট নয়। তিনটি নোট সরকারি নোট সরকারী নোটের মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের (অর্থ মন্ত্রণালয়ের) নোটগুলোতে অর্থসচিবের স্বাক্ষর থাকে। নোটগুলো ইস্যু করে অর্থ মন্ত্রণালয়। অন্য ৭টি নোট ব্যাংক নোট ব্যাংক নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।

মুদ্রার প্রকারভেদ :
) ব্যবহারের দৃষ্টিকোণ হতে
হিসাবী মুদ্রা
প্রকৃত মুদ্রা
) গ্রহণের বাধ্যবাধকতার দিক হতে
বিহিত মুদ্রা
ঐচ্ছিক মুদ্রা
) তৈরি উপকরণের দিক হতে
ধাতব মুদ্রা
কাগজী মুদ্রা

·        আন্তর্জাতিক লেনদেনে বাংলাদেশী টাকার কোডBDT ()

·        মুদ্রার অবমূল্যায়নের উদ্দেশ্যমুদ্রার অবমূল্যায়নের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রপ্তানি বৃদ্ধি করা। মুদ্রাস্ফীতির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের রপ্তানি বৃদ্ধিকরণে উৎসাহ প্রদান করা হয়

·        বাংলাদেশে টাকার ধাতব মুদ্রা চালু হয়১৯৯৩ সালে
শ্লোগানপরিকল্পিত পরিবার, সবার জন্য খাদ্য

·        বাংলাদেশে টাকার ধাতব মুদ্রা চালু হয়২০০৪ সালে
শ্লোগানসব্যর জন্য শিক্ষা

·        বাংলাদেশে টাকার ধাতব মুদ্রা চালু হয়১৯৯৫ সালে
ছবি আছেবঙ্গবন্ধু সেতুর

·        বাংলাদেশে টাকার নোট চালু হয়১৯৮৮ সালে
ছবি আছেকেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় পাখি দোয়েল

·        বাংলাদেশে ৫০ টাকার নোট চালু হয়১৯৭৫ সালে
ছবি আছেরাজশাহীর বাঘা মসজিদ জাতীয় সংসদ

·        বাংলাদেশে ২০ টাকার নোট চালু হয়১৯৮০ সালে
ছবি আছেছোট সোনা মসজিদ

·        বাংলাদেশে ১০ টাকার পলিমার নোট চালু হয়২০০০ সালে
ছবি আছেটাঙ্গাইলের আতিয়া জামে মসজিদের

·        বাংলাদেশে ১০০ টাকার নোট চালু হয়১৯৭২ সালে
ছবি আছেজাতীয় স্মৃতিসৌধ বঙ্গবন্ধু সেতু

·        বাংলাদেশে ২০০ টাকার নোট চালু হয়: ২০২০ সালে

·        বাংলাদেশে ৫০০ টাকার নোট চালু হয়১৯৭৭ সালে
ছবি আছেজাতীয় স্মৃতিসৌধ সুপ্রীম কোর্ট

·        বাংলাদেশে ১০০০ টাকার নোট চালু হয়২৭ অক্টোবর, ২০০৮
ছবি আছে: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কার্জন হল

ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড হচ্ছে এমন একটি কারেন্সি কার্ড যা একই সাথে দুইটি মুদ্রাকে সমর্থন করে। দ্বৈত মুদ্রার কার্ড দেশে বিদেশে যেকোনো এটিএম বিক্রয়ন্দ্রেসহ (পয়েন্ট অব সেল টার্মিনাল) বিভিন্ন -কমার্সে লেনদেনে ব্যবহার করা যায়। ১৯ মার্চ, ২০১৮ আরব বাংলাদেশ ব্যাংক সর্ব প্রথম বাংলাদেশে দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড চালু করে।

·        NGO খাতে প্রথম ব্যাংক - ব্র্যাক ব্যাংক।

·        মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে - ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০১৯।

·        শীর্ষ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান - বিকাশ, ব্র্যাক ব্যাংক।

·        প্রথম ATM কার্ড চালু করে - Standard Chartered Bank

·        প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করে - Standard Chartered Bank

·        প্রথম বেসরকারি ব্যাংক - আরব বাংলাদেশ ব্যাংক।

·        বিশ্বের প্রাচীনতম ব্যাংক - চীনের সানশী ব্যাংক

·        সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস চালু হয় - ১৯৮৯ সালে। এটি গাজীপুরে অবস্থিত।

·        টাকা ছাপানোর কাগজ আমদানি হয় - সুইজারল্যান্ড থেকে।

·        প্রথম নোট হিসেবে বাজারে ছাড়া হয় - এক এবং ১০০ টাকার নোট।

·        কয়েন আমদানি করা হয় - কানাডা থেকে।

·        ভারতবর্ষে মুঘল আমলে প্রথম ব্যাংক চালু হয় - কলকাতার হিন্দুস্তান ব্যাংক।

·        বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক - ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালে।

·        বাংলাদেশের IFIC ব্যাংক দীর্ঘদিন মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কাজ করে।

·        বাংলাদেশে Floating Exchange Rate of Money (ভাসমান মুদ্রা বিনিময়) হার ব্যবস্থা প্রচলন করা হয় ৩১ মে ২০১৩ তারিখ হতে।

·        ডিজিটাল মুদ্রার উদাহরণ- বিটকয়েন

মুদ্রাস্ফীতি

মুদ্রাস্ফীতিএকই পরিমাণ অর্থে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী পাওয়ার অর্থ মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতির কারণ হলো মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি করা। বাজার মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি।

মুদ্রাস্ফীতির কারণ : মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি কিন্তু জাতীয় উৎপাদন হ্রাস যেসব কারণে এরূপ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় তা হল:

1.   আয় বৃদ্ধি

2.   সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি

3.   কর হার হ্রাস

4.   অর্থের যোগান বৃদ্ধি

5.   সম্প্রসারণমূলক ঋণ নীতি

6.   বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, সাহায্য বৃদ্ধি

7.   ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধির সম্ভাবনা

8.   দামস্তর আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা

9.   রেমিট্যান্স বৃদ্ধি

10.                  ভোগপ্রবণতা বৃদ্ধি

11.                  বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি

·        সাময়িকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বন্ধ করা যায়মুদ্রার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে

·        মূল্যস্ফীতি ফলাফল) প্রকৃত আয়কে হ্রাস পায়। ) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়।

·        উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ফলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীসীমিত আয়ের জনগোষ্ঠী

·        মুদ্রাস্ফীতির বিপরীত ঘটনামুদ্রা সংকোচন

·        মুদ্রাসংকোচনের কারণমুদ্রার সরবরাহ হ্রাস কিন্তু জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি

·        মুদ্রা সংকোচনের ফলাফল) মূলধন যোগান হ্রাস পায়। ) উৎপাদন হ্রাস পায়।

·        চাহিদাবৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফিীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নিম্নরূপ সংকোচনমূলক রাজস্ব নীতির প্রয়োগ করতে পারে। যেমন:
. সরকারের ব্যয় হ্রাস
. প্রত্যক্ষ কর হার বৃদ্ধি
. ভর্তুকি বৃদ্ধি
. পরোক্ষ কর হার হ্রাস
. অভ্যন্তরীণ ঋণ

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনে সরকার রাজস্ব নীতির পাশাপাশি সংকোচনমূলক আর্থিক নীতি (Contractionary Monetary Policy) গ্রহন করতে পারে।

1.   খোলাবাজার নীতি

2.   ব্যাংক হার বৃদ্ধি

3.   সংরক্ষণের হার বৃদ্ধি

4.   মুদ্রা অবৈধ বা অচল ঘোষনা নতুন নোট প্রচলন না করা।

পুঁজিবাজার (Capital Market)

পুঁজিবাজার : বিনিয়োগের জন্য যে বাজারের মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহ করা হয়, তাকে পুঁজিবাজার বলে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC) : বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নাম হলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (Bangladesh Securities and Exchange Commission) বা সংক্ষেপে BSEC, এটি জুলাই ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। BSEC এর পূর্বনাম ছিল SEC, ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর বর্তমান নাম করণ করা হয়। যে স্থানে শেয়ার সিকিউরিটিজ ক্রয় ক্রিয় হয় তাকে স্টক এক্সচেঞ্জ বলে বাংলাদেশে বর্তমানে তিনটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে - ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ , চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং খুলনা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ , চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং খুলনা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার মূল্যসমূহের গতিপ্রকৃতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা করে। কমিশন বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সংগঠন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো : বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বেও পরিসংখ্যান ব্যবস্থা চালু ছিল, কিন্তু সেগুলোর পরিসংখ্যানে প্রায়ই ভুল- ত্রুটি পরিলক্ষিত হত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে পূর্ববর্তী বৃহত্তর চারটি পরিসংখ্যান সংস্থার (পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি শুমারি কমিশন এবং আদমশুমারি কমিশন) অবলুপ্তি ঘটিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (Dhaka Stock Exchange) : এটি বাংলাদেশের প্রধান প্রথম শেয়ার বাজার। দ্বিতীয় শেয়ার বাজার হচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। ডিএসই-এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। পূর্বে মতিঝিল ছিল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল লাখ টাকা অনুমোদিত মূলধন নিয়ে এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৬ সালে নারায়নগঞ্জে প্রথম এর কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৫৮ সালে এটি ঢাকায় স্থানান্তরিত হয় ১৮ আগস্ট, ২০১০ তারিখ পর্যন্ত এতে ৭৫০ টিরও অধিক তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে পুঁজিবাজারে ৫০.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ : এটি বাংলাদেশের ২য় শেয়ার বাজার। ১৯৯৫ সালের এপ্রিল এটি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছর ১০ অক্টোবর এর কার্যক্রম শুরু হয় এটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৩৮ টি

·        শেয়ারকোম্পানির মালিকানার ক্ষুদ্র অংশ

·        শেয়ার বাজারযে বাজারে সিকিউরিটিজ (সেকেন্ডারি শেয়ার, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রেজারি বন্ড) কেনাবেচা হয়, তাকে শেয়ার বাজার বলে

·        'সেকেন্ডারী মার্কেট' শব্দটি ব্যবহৃত হয়স্টক মার্কেটে/ শেয়ার বাজারে।

·        বাংলাদেশে শেয়ার বাজার২টি। যথা-
) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE)
Dhaka Stock Exchange
) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ((CSE)
Chittagong Stock Exchange

·        ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়১৯৫৪ সালে (সিকিউরিটিজ ৫২২টি)

·        চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়১৯৯৫ সালে (সিকিউরিটিজ ২৫৫টি)

·        De-mat (ডিম্যাট) : এটি শেয়ার লেনদেনের ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা। বাংলাদেশের স্টক শেয়ারে এই পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে।

·        Initial Public Offerings (IPO) : শেয়ারবাজারে জনসাধারণের জন্য কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার বা ডিবেঞ্চার বিক্রির নাম IPO বা গণবিক্রয়।

·        বাংলাদেশের তৃতীয় স্টক এক্সচেঞ্জখুলনায়

·        বুক বিল্ডিং পদ্ধতিIPO এর মূল্য নির্ণয়ের একটি পদ্ধতি

·        প্রসপেক্টাসকোম্পানির শেয়ার ডিবেঞ্চার ক্রয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে সাধারণ জনগণের নিকট প্রচার করে

·        কোম্পানির লভ্যাংশকে বলেডিভিডেন্ড (Dividened) প্রকার-
) স্টক ডিভিডেন্ট (Stoch dividened)
) নগদ ডিভিডেন্ট (Cash dividened)

·        বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সর্বপ্রথম লন্ডন স্টক মার্কেটে লেনদেন শুরু হয়বেক্সিমকো ফার্মা

·        Blue Chip : যে সকল কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খুবই ভালো এবং সুসংহত, ব্যবস্থাপনা পরিচালনার মান প্রশ্নাতীত এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজারও নিরাপদ এবং সর্বপরি কোম্পানির লভ্যাংশের হারও খুব আকর্ষণীয়, সে সকল কোম্পারি শেয়ার Blue Chip শেয়ার নামে পরিচিত।

·        ওভার দ্য কাউন্টার (OTC) বা বিকল্প বাজারশেয়ার বাজারে তালিকাচ্যুত স্টকের ক্রয়-বিক্রয়ের মার্কেট

·        বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ওভার দ্য কাউন্টার (OTC) বা বিকল্প বাজার চালু হয় :
*
জুলাই, ২০০৪; চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে
*
সেপ্টেম্বর ২০০৯; ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে