প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি বাংলাদেশ বিষয়াবলী

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল । অঙ্গ বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে । মহাভারতে পৌন্ড্র রাজ বাসুদেব এর উল্লেখ পাওয়া যায় । 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#নিচের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে কোনটি প্রাচীন তম?

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

 

#গৌতম বুদ্ধ প্রাচীন ভারতীয় কোন ভাষায় ধর্ম প্রচার করেন?

প্ৰাকৃত

সংস্কৃত

পালি

তামিল

 

#কোনটি প্রাচীনতম?

মহাস্থান ব্রাক্ষ্মীলিপি

চর্যাপদ

রামচরিতম

গীতগোবিন্দ

 

 

 

#প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে গঙ্গা ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের জনপদ কে কি বলা হতো?

সমতট

হরিকে

বরেন্দ্র

পুন্ড্র

 

#প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম-

শকুন্তলা

হংসদূত

রামায়ণ

মহাভারত

 

মৌর্য যুগে বাংলা

৩২৭-৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় থেকে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায়। গ্রিক লেখকদের কথায় বাংলাদেশে 'গঙ্গারিডাই' নামে একটি শক্তিশালী জাতির বাসস্থান ছিল ভাগীরথী ও পদ্মার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। গ্রিক গ্রন্থকারগণ গঙ্গারিডই ছাড়াও প্রাসিতায় নামে অপর এক জাতির উল্লেখ করেছেন। আলেকজান্ডারের আক্রমণের সময় বাংলার রাজা মাধাদি দেশ জয় করে পাঞ্জাব পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। তিনি ছিলেন পাটালিপুত্রের নন্দবংশীয় কোন রাজা।

 

জেনে নিই

প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এটি সর্বভারতীয় প্রথম সাম্রাজ্য।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে বলা হয় ভারতের প্রথম সম্রাট। চন্দ্রতপ্ত মৌর্যের রাজধানী ছিল- পাটালিপুত্র।

মহাস্থানগড়ে মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নন্দবংশকে পরাজিত করে।

আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের পর তার সেনাপতি সেলুকাসকে পরাজিত করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

গ্রিক দূত মেগাস্থিনিসকে দূত হিসেবে চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেন- সেলুকাস।

গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস কয়েক বছর অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে লিপিবন্ধ করেন।

ইন্ডিয়া নামকরণ করেন- প্রাচীন গ্রীকরা।

মৌর্যবংশের মোট শাসক ছিলেন- ৯ জন।

 

 

বিন্দুসার

বিন্দুসার মৌর্য বংশের দ্বিতীয় শাসক এবং রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পুত্র। পিতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে পিতৃ-রাজত্ব লাভ করেন বিন্দুসার। সিংহাসন আরোহণকালে তিনি অমিত্রঘাত' অর্থাৎ শত্রু নিধনকারী উপাধি লাভ করেন। বিন্দুসারের রাজত্বকালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল তক্ষশীলার বিদ্রোহ (পাকিস্তান)। তক্ষশীলার এই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন যুবরাজ অশোক। বিন্দুসারের রাজত্বকালে একমাত্র শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল- কলিঙ্গ জয়। সম্রাট অশোকও উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলেন।

 

 

সম্রাট আশোক

 উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট অশোকের (তৃতীয় শাসক) রাজত্বকালে। এসময় অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। এ প্রদেশের রাজধানী ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রনগর। সম্রাট অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া যায় মহাস্থানগড়ে। সম্রাট অশোক সিংহাসন আরোহনে নিজ ভ্রাতাদের নির্মমভাবে হত্যা করেন ফলে তার উপাধি হয় চণ্ডাশোক। সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বধর্মে পরিণত করেন। এজন্য তাকে বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন (রোমান সম্রাট) বলা হয়।

 

 

চাণক্য

 চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে একজন দিকপাল ছিলেন। চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও বিন্দুসারের প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা। চাণক্যের ছদ্মনাম 'কৌটিল্য' আর উপাধি- ‘বিষ্ণুখণ্ড’। কৌটিল্য রচিত গ্রন্থের নাম- 'অর্থশাস্ত্র' । ভারত চলে চাণক্য নীতিতে।

 

তার একটি উক্তিঃ “যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করাই উচিত।"

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#চাণক্য ছিলেন প্রাচীন ভারতে একজন বিখ্যাত-

ঋষি

অর্থনীতিবিদ

কূটনীতিক

রাজা

 

#চাণক্য ছিলেন প্রাচীর ভারতে একজন বিখ্যাত-

ঋষি

অর্থনীতিবিদ

কূটনীতিক

রাজা

 

#মহাকবি কালিদাস যে যুগের কবি ছিলেন-

পাল

সেন

মৌর্য

গুপ্ত

 

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

 ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় গুপ্ত যুগকে। গুপ্ত বংশের নামমাত্র প্রতিষ্ঠাতা শ্ৰীগুপ্ত। গুপ্ত বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় প্রথম চন্দ্রগুপ্তকে। প্রথম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি মহারাজাধিরাজ। চন্দ্রগুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটালিপুত্রে। গুপ্তদের সময়ে রাজতন্ত্র ছিল সামন্ত নির্ভর। গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসককে বলা হতো মহাসামন্ত। মৌর্যদের মতো এদেশে গুপ্তদের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়ের পুণ্ড্রনগর।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত কে ছিলেন?

ফা-হিয়েন

মেগাস্তিনিস

হিউয়েন সাঙ

সেলুকাস

 

সমুদ্রগুপ্ত

সমুদ্র গুপ্তের শাসনকাল ছিল ৩৪০-৩৮০ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত সমগ্র বাংলা জয় করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের "নেপোলিয়ন" বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট ছিল করদ রাজ্য।

 

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

সমুদ্রতন্ত্রের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। তাঁর উপাধি ছিল 'বিক্রমাদিত্য'। তিনি নবরত্নের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

 

যেমনঃ

কাপিলাস (মেঘনৃত)

অমরসিংহ (অমরকোষ)

বরাহমিহির (বৃহৎ সংহিতা)

 

দ্বিতীয় চন্দ্রখণ্ডের শাসনামলে চৈনিক তীর্থযাত্রী ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে এসেছিলেন। ফা-হিয়েন-ই প্রথম চীনা পরিব্রাজক হিসেবে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। তাঁর ভারত সফরের ৭টি বইয়ের মধ্যে ফো-কুয়ো-কিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

 

 

গৌড় রাজ্য, শশাঙ্ক

 শশাঙ্ক

 শশাঙ্ক প্রথম গৌড়ে রাজ্য স্থাপন করেন। শশাঙ্কের ধর্ম ছিল- শৈব। তিনি ছিলেন প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে প্রথম সার্বভৌম নৃপতি রাজা । গুপ্তদের অধীনে বড় অঞ্চলের শাসকদের পদবি ছিল- মহাসামন্ত। শশাঙ্কের রাজধানীর নাম- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদে অবস্থিত)। শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেনগুপ্তের একজন মহাসামন্ত অথবা ভ্রাতুষ্পুত্র। হিউয়েন সাঙ রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধ ধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। শশাঙ্ক মৃত্যুবরণ করেন- ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#শশাঙ্কের রাজধানী ছিল-

কর্ণসুবর্ণ

গৌড়

নদীয়া

ঢাকা

 

#শশাঙ্কের রাজধানীর নাম কি?

চন্দ্রনগর

পুন্ড

কর্ণসুবর্ণ

গৌড়

 

মাৎস্যন্যায়

 শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে প্রায় ১০০ বছর (সপ্তম-অষ্টম শতক) ধরে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকারময় যুগের সূচনা সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়। বাংলার অরাজকতার সময়কালকে পাল তাম্রশাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে মাৎস্যন্যায়। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে মাৎস্যন্যায়। এ অরাজকতার যুগ চলে একশ বছরব্যাপী। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি এ অরাজকতার অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে। [তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (দশম শ্রেণী)]

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#’মাৎস্যন্যায়’ কোনটির সঙ্গে সম্পর্কিত?

মোছোবাজার

মাছধরার নৌকা

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা

 

#’মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন শতককে নির্দেশ করে?

৭ম-৮ম শতক

৬ষ্ঠ-৭ম শতক

নবম-দশম শতক

অষ্টম-নবম শতক

 

#.'মাৎস্যন্যায় ' ধারনাটি কিসের সাথে সম্পর্কিত?

মাছবাজার

ন্যায় বিচার

মাছ ধরার কৌশল

আইন- শৃঙ্খলাহীন

 

#.'মাৎস্যন্যায়' বাংলার কোন সময়কে নির্দেশ করে?

৫ম - ৬ষ্ঠ শতক

৬ষ্ঠ - ৭ম শতক

৭ম - ৮ম শতক

৮ম - ৯ম শতক

#মাৎস্যন্যায় বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?

৫ম - ৬ষ্ঠ শতক

৬ষ্ঠ - ৭ম শতক

৭ম - ৮ম শতক

৮ম - ৯ম শতক

 

হর্ষবর্ধন ও হিউয়েন সাঙ্গ

হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারত সফরে আসেন। হিউয়েন সাঙ নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষ শীলভদ্রের কাছে ১৪ বছর বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। হিউয়েন সাত সিন্ধি নামে এক গ্রন্থ রচনা করেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক নাগার্জুন, আর্যদেব, শীলভদ্র, ধর্মপাল। হিউয়েন সাত রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধধর্ম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেন। সভাকৰি বানভী হর্ষবর্ধনের জীবনীমূলক গ্রন্থ 'হর্ষচরিত' রচনা করেন।

 

 

উপমহাদেশে আগত পরিব্রাজক

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#চীনা পরিব্রাজক ছিলেন-

শীলভদ্র

অতীশ দীপঙ্কর

ফা-হিয়েন

সন্ধ্যাকর নন্দী

 

#চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ প্রাচীন বাংলার কোন জনপদ ভ্রমণ করেন?

বঙ্গ

গৌড়

সমতট

হরিকেল

#বাংলার প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক কে ছিলেন?

ইউয়েন

ফা হিয়েন

ফু ওয়াং

জেন ডং

 

#চৈনিতক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?

অতীশ দীপকঙ্কর

মাহুয়ান

শীলভদ্র

মেগাস্থিনিস

 

#চৈনিক পরিব্রাজক ফা-ইয়েন বাংলায় আসেন যার সময়ে-

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ্

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

হর্যবর্ধন

 

 

মেগাস্থিনিস

 মেগাস্থিনিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রীক ইতিহাসবিদ, কূটনীতিবিদ এবং হেলেনিস্টিক যুগে ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ ও অনুসন্ধানকারী। তিনি প্রাচীন গ্রিস এর একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। সিরিয়ার রাজা প্রথম সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর রাজদরবারে আসেন। তিনি যখন ভারতে আসেন তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে।

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#মেগাস্থিনিস কার রাজসভার গ্রিকদূত ছিলেন?

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

অশোক

ধর্মপাল

সমুদ্রগুপ্ত

#মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?

সেলুকাসের দূত

চন্দ্রগুপ্ত মোর্যের প্রধানমন্ত্রী

গ্রিক পরিব্রাজক

চীনা ভ্রমণকারী

 

ফা-হিয়েন

ফা-হিয়েন চীনের শানসি প্রদেশে আনুমানিক ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল কুঙ্গ। বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার পর ফা-হিয়েন রাখা হয়েছিল। তিনি চীন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন। ৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে চীনের রাজধানী চ্যাংগান থেকে ভারতের দিকে রওনা হয়েছিলেন। চ্যাংগান আর পুরনো নাম ছিল হাইফেং এবং পরবর্তীতে নামকরণ হয় সিয়ান।

 

 

মা হুয়ান

 মা হুয়ান ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তিনি ১৪০৬ সালে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের আমলে উপমহাদেশে আসেন।

 

ইবনে বতুতা

 ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পরিব্রাজক। তিনি ১৩০৪ সালে মরোক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ সালে ভারতবর্ষে আগমণ করেন। তিনি বাংলায় আসেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে। ইবনে বতুতা প্রথমে বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাঙ্গালা শব্দ ব্যবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যের প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এ দেশএর আবহাওয়া তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলার নামকরণ করেন ধনসম্পদপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহালা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ননা পাওয়া যায়।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#ইবনে বতুতা কোন দেশের নাগরিক?

সিরিয়া

মরক্কো

ব্যাবিলন

তিউনিসিয়া

 

#ইবনে বতুতা কোন দেশের পর্যটক?

চীন

ইরাক

মরক্কো

জাপান

আফগানিস্তান

 

#কার রাজত্বকাল ইবনে বতুতা ভারতে এসেছিলেন?

সম্রাট হুমায়ুন

সম্রাট আকবর

মুহম্মদ বিন কাসেম

মুহম্মদ বিন তুঘলক

হোসেন শাহ

 

#কার রাজত্বকাল ইবনে বতুতা ভারতে এসেছিলেন?

সম্রাট হুমায়ুন

সম্রাট আকবর

মুহম্মদ বিন কাসেম

মুহম্মদ বিন তুঘলক

হোসেন শাহ

 

#ইবনে বতুতা কে?

দার্শনিক

ঐতিহাসিক

কবি

ধর্মযাজক

পরিব্রাজক

 

প্রাচীন শাসনামলে বাংলার বংশ ও রাজধানী

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#আব্বাসীয় বংশের পতন ঘটে কত সালে?

১২০০ সালে

১২৫৮ সালে

১৫২৬ সালে

১২৬৮ সালে

 

মৌর্য সাম্রাজ্য - পাটালিপুত্র

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#পাটালিপুত্র রাজধানী ছিল-

গুপ্তদের

সেনদের

পালদের

মৌর্যদের

 

পাল সাম্রাজ্য - রামাবতী

সেন আমল - নবদ্বীপ

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#হোসেনি দালান কার আমলে নির্মিত হয়?

সম্রাট আকবর

সম্রাট শাহজাহান

শায়েস্তা খান

সম্রাট জাহাঙ্গীর

 

রাষ্ট্রকূট - মান্যখেত

প্রতিহার এবং পুষ্যভূতি - কনৌজ

 কুশান - মথুরা

 

 

 

কুষাণ সাম্রাজ্য

কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ সাম্রাজ্যের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর চিকিৎসক ছিলেন চরক।চরক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যা 'চরক সংহিতা' নামে সমাধিক পরিচিত। 

 

 

প্রাচীন বাংলার জনপদ

 

প্রাচীন যুগে বাংলা নামে কোনো অর্থও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলনা। মূলত, বাংলার যাত্রা শুরু হয় বিক্ষিপ্ত জনপদগুলোর মধ্য দিয়ে। গুপ্ত, পাল ও সেন প্রভৃতি আমলের উৎকীর্ণ শিলালিপি ও বিভিন্ন সাহিত্যগ্রন্থে প্রাচীন বাংলায় প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায় (বাংলায় ছিল ১০টি)। জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ হল পুত্র (পুণ্ড্রবর্ধন)। তবে প্রতিটি জনপদের সীমানা সবসময় একইরকম না থাকলেও প্রাচীন বাংলার চিরায়ত আবহ ধারন করে রেখেছে এই শত শত জনপদসমূহ।

 

 

 

 

 

বাংলার প্রাচীন জনপদ সমূহঃ

 প্রাচীন জনপদ       বর্তমান অঞ্চল

গৌড়       ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বঙ্গ  ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ এবং ময়মনসিংহের কিছু অংশ

পুণ্ড্র বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চল

হরিকেল  সিলেট এবং চট্টগ্রামের অংশবিশেষ

সমতট    কুমিল্লা ও নোয়াখালী

বরেন্দ্র     বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী ও পাবনা

চন্দ্রদ্বীপ   বরিশাল

উত্তর রাঢ় মুর্শিদাবাদের পশ্চিমাংশ, বীরভূম, বর্ধমান জেলার কাটোয়া

দক্ষিণ রাঢ়      বর্ধমানের দক্ষিণাংশ, হুগলি ও হাওড়া

তাম্রলিপ্ত হরিকেলের দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুক

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ কোনটি?

হরিকেল

পুন্ড্র

গৌড়

তাম্রলিপি

 

#যেহেতু জয়পুরহাটের জনসংখ্যা কম, সুতরাং এটি বসবাসের জন্য নিরাপদ জায়গা। এই প্রকাশটি নিচের কোন সিদ্ধান্তকে নিঃসৃত করে?

 

(I) যে জনপদে কম জনসংখ্যা রয়েছে, সে জনপদটিই বসবাসের জন্য ভালো জায়গা।

 

(II) ঠাকুরগাঁওয়ের চেয়ে জয়পুরহাটের অপরাধের সংখ্যা কম।

শুধু সিদ্ধান্ত (ও) নিসৃঃত করে

শুধু সিদ্ধান্ত (ও ও) নিসৃঃত করে

শুধু সিদ্ধান্ত (ও) ও (ওও) নিসৃঃত করে

কোন সিদ্ধান্তকেই নিঃসৃত করে না

সাধারণ জ্ঞান প্রাচীন বাংলার জনপদ

 

#বর্তমান রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুর প্রাচীনযুগে কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

বরেন্দ্র

হরিকেল

 

#কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালি প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তর্ভূক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

হরিকেল

পুণ্ড্র

#কুষ্টিয়া, যশোর ও ঢাকা প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তভুর্ক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

হরিকেল

পুণ্ড্র

 

পুণ্ড্র

প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ ছিল- পুন্ড্র। এর রাজধানীর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর/পুণ্ড্রবর্ধন। পরবর্তীকালে এর নাম হয় মহাস্থানগড়। এর সীমানা রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া (শর্টকাট- রংরাদিব)। পাথরের চাকতিতে খোদাই করা লিপি (প্রাচীনতম) পাওয়া যায়- পুণ্ড্রতে। পুন্ড্র জাতির উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্য ও মহাভারতে। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীন সত্তা হারায় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে।

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#প্রাচীন বাংলায় পুন্ড্র নামটি ছিল একটি-

জনপদের

প্রদেশের

গ্রামের

নগরের

 

#প্রাচীন পুন্ড্রুনগর কোথায় ছিল?

কুমিল্লায়

বিক্রমপুরে

পাহাড়পুরে

মহাস্থানগড়ে

 

গৌড়

গৌড় জনপদ গড়ে উঠেছিল ভাগীরথী নদীর তীরে। গৌড়ের রাজধানী ছিল- কর্ণসুবর্ণ। কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়। গৌড় জনপদের একমাত্র বাংলাদেশের জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এর সীমানা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া (শর্টকাট- চাপাই মামুন)। গৌড়ের স্বাধীন নৃপতি ছিলেন গৌড়রাজ শশাংক। শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ তিনটি জনপদে বিভক্ত ছিল। যথা পুণ্ড্র, গৌড়, বঙ্গ রাজাদের গৌড়রাজ উপাধির জন্য গৌড় জনপদটি পরিচিতি লাভ করে। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলায় সৃষ্টি হয়- মাৎস্যন্যায়।

 

আরো কিছু প্রশ্নঃ

প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ অবস্থিত- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

 

শশাঙ্কের রাজধানী মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের অবস্থান ছিল- গৌড় অঞ্চলে ।

 

 → রাজা শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ বিভক্ত ছিল- ৩টি জনপদে (পুণ্ড্র, গৌড় ও বঙ্গ)।

 

গৌড় অঞ্চলের অনেক শিল্প ও কৃষিজাত দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়- 

 

কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র' গ্রন্থে।

 

তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে গৌড়ের নাগরিকদের বিলাস-ব্যসনের পরিচয় পাওয়া যায়- 

 

বাৎসায়নের গ্রন্থে।

 

গৌড় অঞ্চলের সমৃদ্ধি বেশি ছিল- 

 

পাল আমলে।

 

মুসলিম যুগের শুরুতে মালদহ জেলার যে অঞ্চল গৌড় নামে অভিহিত হতো- 

 

লক্ষ্মণাবতী।

 

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#গৌড়ের নাম জান্নাতাবাদ কে রাখেন?

শেরশাহ

হুমায়ুন

জাহাঙ্গীর

আকবর

 

#প্রাচী গৌড় নগরীর অংশ-বিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?

কুষ্টিয়া

বগুড়া

কুমিল্লা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

#প্রাচীন গৌড়ের রাজধানী ছিল?

পুণ্ড্রনগর

কনৌজ

কৰ্ণাটক

কর্ণসুবর্ণ

 

#প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ রয়েছে কোন জেলায়?

সিলেট

খুলনা

কুষ্টিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

 

 

#প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ কোন জেলায় রয়েছে?

সিলেট

খুলনা

কুষ্টিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

বঙ্গ

 ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দু'টি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়। একটি বিক্রমপুর এবং অন্যটি নাব্য (নিচু জলাভূমি) এর সীমানা ছিল ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট, পটুয়াখালী। দেশবাচক বাংলা শব্দের প্রথম ব্যবহার হয় আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি আছে। গঙ্গা ও ভাগীরথীর মাঝখানের অঞ্চলকে বলা হতো বঙ্গ। প্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমানার উল্লেখ পাওয়া যায় ড. নীহাররঞ্জন রায়ের "বাঙ্গালির ইতিহাস" নামক গ্রন্থে।

 

 

হরিকেল

 হরিকেল জনপদের অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। হরিকেল জনপদের রাজধানী ছিল- শ্রীহট্ট (সিলেট)। সীমানা সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

 

সমতট

বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ হিসেবে সমতটের অবস্থান। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত অঞ্চলকে বলা হতো সমতট। সমতটের রাজধানী- বড় কামতা, কুমিল্লা শহর থেকে দূরত্ব- ১২ মাইল। এর সীমানা বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী। কুমিল্লার ময়নামতিতে শালবন বিহার অবস্থিত। হিউয়েন সাং-এর বিবরণ অনুসারে কামরূপে সমতট নামে জনপদ ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#কোন অঞ্চলটি প্রাচীন সমতট জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বরিশাল

কুমিল্লা

রাজশাহী

রংপুর

 

#সমতট জনপদ কোথায় অবস্থিত?

সিলেট অঞ্চলে

কুমিল্লা অঞ্চলে

খুলনা অঞ্চলে

রংপুর অঞ্চলে

 

#কুমিল্লা জেলার কোন স্থান সমতটের অন্তর্গত ছিল?

মেঘনা

বড় কামতা

বুড়িচং

ইলিয়টগঞ্জ

 

#সমতট জনপদ কোথায় অবস্থিত?

সিলেট অঞ্চলে

কুমিল্লা অঞ্চলে

খুলনা অঞ্চলে

রংপুর অঞ্চলে

 

#বর্তমান বাংলাদেশের কোন অংশকে ‘সমতট বলা হত?

কুমিল্লা ও নোয়াখালী

রাজশাহী ও বগুড়া

দিনাজপুর ও রংপুর

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম

ঢাকা ও ময়মনসিংহ

 

বরেন্দ্র

 বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী উত্তরবঙ্গের একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদটি গঙ্গা ও করতোয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠে। জনপদটির অন্য আরেকটি নাম- বারেন্দ্রী জনপদ। সীমানা ছিল রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও পাবনা জেলা (শর্টকাট- রংয়াদিপ)। পালদের পিতৃভূমি বলা হয়- বরেন্দ্র জনপদকে। বাংলাদেশের প্রথম যাদুঘর “বরেন্দ্র যাদুঘর" রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালে।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#বরেন্দ্রভূমি কোন বিভাগের অন্তর্গত?

খুলনা

রাজশাহী

ঢাকা

সিলেট

বরিশাল

 

#'বরেন্দ্র' বলতে বর্তমানে কোন আঞ্চলকে বুঝায়?

দিনাজপুর

পাবনা

রাজশাহী

খুলনা

 

#'বরেন্দ্র' বলতে বর্তমানে কোন আঞ্চলকে বুঝায়?

দিনাজপুর

পাবনা

রাজশাহী

খুলনা

 

#বরেন্দ্রভূমির সাথে নিচের কোনটি সম্পকৃক্ত?

সোপানভূমি

সমভূমি

সাম্প্র্রতিক কালের পাহাড়

টারশিয়ারি যুগের পাহাড়

 

#বরেন্দ্র বলতে কোন এলাকাকে বোঝায়?

উত্তরবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গ

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গ

দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গ

 

তাম্রলিপ্ত

হরিকেলের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদ । সপ্তম শতক থেকে এটি দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। গ্রিব বীর টলেমির মানচিত্রে বাংলায় 'তমলিটিস' নামে বন্দরনগরীর উল্লেখ পাও যায়, যা বাংলার প্রাচীনতম বন্দর।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#তাম্রলিপ্ত কী?

তামার পাতে শাসনাদেশ

প্রাচীন জনপদ

প্রাচীন গ্রন্থ

প্রাচীন ভাষা

 

চন্দ্রদ্বীপ

বরিশাল জেলার পূর্ব নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনপদ চন্দ্রদ্বীপ। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। বর্তমান বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূ-খণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চন্দ্রদ্বীপের বর্তমান নাম কী

বরিশাল।

সেন্ট মার্টিন।

সন্দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী

#চন্দ্রদ্বীপ কোন অঞ্চলের পুরাতন নাম?

কক্সবাজার

সেন্টমার্টিন

চট্টগ্রাম

বরিশাল

 

রাঢ়

রাঢ় জনপদের অপর নাম সূক্ষ্ম (রহস্যময়ী) জনপদ । রাঢ়ের রাজধানী কোটিবর্ষ। সীমানা ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#নিচের কোনটি যোগরাঢ় শব্দ?

রাজপুত

খাঁশি

প্রবিন

গায়ক

 

 

বাকেরগঞ্জ

 বাকেরগঞ্জের সীমানা খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট। (শর্টকাট- বাকের খুবহাটে)

সপ্তগাও

 সপ্তগাও এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল ও খুলনা। (শর্টকাট-বঙ্গখুল)

কামরূপ

 কামরূপ জনপদ রংপুর, ভারতের জলপাইগুড়ি ও আসামের কামরূপ জেলা নিয়ে বিস্তৃত ছিল।

 

 

 প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল । অঙ্গ বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে । মহাভারতে পৌন্ড্র রাজ বাসুদেব এর উল্লেখ পাওয়া যায় । 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#নিচের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে কোনটি প্রাচীন তম?

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

 

#গৌতম বুদ্ধ প্রাচীন ভারতীয় কোন ভাষায় ধর্ম প্রচার করেন?

প্ৰাকৃত

সংস্কৃত

পালি

তামিল

 

#কোনটি প্রাচীনতম?

মহাস্থান ব্রাক্ষ্মীলিপি

চর্যাপদ

রামচরিতম

গীতগোবিন্দ

 

 

 

#প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে গঙ্গা ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের জনপদ কে কি বলা হতো?

সমতট

হরিকে

বরেন্দ্র

পুন্ড্র

 

#প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম-

শকুন্তলা

হংসদূত

রামায়ণ

মহাভারত

 

মৌর্য যুগে বাংলা

৩২৭-৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় থেকে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায়। গ্রিক লেখকদের কথায় বাংলাদেশে 'গঙ্গারিডাই' নামে একটি শক্তিশালী জাতির বাসস্থান ছিল ভাগীরথী ও পদ্মার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। গ্রিক গ্রন্থকারগণ গঙ্গারিডই ছাড়াও প্রাসিতায় নামে অপর এক জাতির উল্লেখ করেছেন। আলেকজান্ডারের আক্রমণের সময় বাংলার রাজা মাধাদি দেশ জয় করে পাঞ্জাব পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। তিনি ছিলেন পাটালিপুত্রের নন্দবংশীয় কোন রাজা।

 

জেনে নিই

প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এটি সর্বভারতীয় প্রথম সাম্রাজ্য।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে বলা হয় ভারতের প্রথম সম্রাট। চন্দ্রতপ্ত মৌর্যের রাজধানী ছিল- পাটালিপুত্র।

মহাস্থানগড়ে মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নন্দবংশকে পরাজিত করে।

আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের পর তার সেনাপতি সেলুকাসকে পরাজিত করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

গ্রিক দূত মেগাস্থিনিসকে দূত হিসেবে চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেন- সেলুকাস।

গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস কয়েক বছর অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে লিপিবন্ধ করেন।

ইন্ডিয়া নামকরণ করেন- প্রাচীন গ্রীকরা।

মৌর্যবংশের মোট শাসক ছিলেন- ৯ জন।

 

 

বিন্দুসার

বিন্দুসার মৌর্য বংশের দ্বিতীয় শাসক এবং রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পুত্র। পিতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে পিতৃ-রাজত্ব লাভ করেন বিন্দুসার। সিংহাসন আরোহণকালে তিনি অমিত্রঘাত' অর্থাৎ শত্রু নিধনকারী উপাধি লাভ করেন। বিন্দুসারের রাজত্বকালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল তক্ষশীলার বিদ্রোহ (পাকিস্তান)। তক্ষশীলার এই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন যুবরাজ অশোক। বিন্দুসারের রাজত্বকালে একমাত্র শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল- কলিঙ্গ জয়। সম্রাট অশোকও উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলেন।

 

 

সম্রাট আশোক

 উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট অশোকের (তৃতীয় শাসক) রাজত্বকালে। এসময় অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। এ প্রদেশের রাজধানী ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রনগর। সম্রাট অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া যায় মহাস্থানগড়ে। সম্রাট অশোক সিংহাসন আরোহনে নিজ ভ্রাতাদের নির্মমভাবে হত্যা করেন ফলে তার উপাধি হয় চণ্ডাশোক। সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বধর্মে পরিণত করেন। এজন্য তাকে বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন (রোমান সম্রাট) বলা হয়।

 

 

চাণক্য

 চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে একজন দিকপাল ছিলেন। চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও বিন্দুসারের প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা। চাণক্যের ছদ্মনাম 'কৌটিল্য' আর উপাধি- ‘বিষ্ণুখণ্ড’। কৌটিল্য রচিত গ্রন্থের নাম- 'অর্থশাস্ত্র' । ভারত চলে চাণক্য নীতিতে।

 

তার একটি উক্তিঃ “যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করাই উচিত।"

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#চাণক্য ছিলেন প্রাচীন ভারতে একজন বিখ্যাত-

ঋষি

অর্থনীতিবিদ

কূটনীতিক

রাজা

 

#চাণক্য ছিলেন প্রাচীর ভারতে একজন বিখ্যাত-

ঋষি

অর্থনীতিবিদ

কূটনীতিক

রাজা

 

#মহাকবি কালিদাস যে যুগের কবি ছিলেন-

পাল

সেন

মৌর্য

গুপ্ত

 

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

 ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় গুপ্ত যুগকে। গুপ্ত বংশের নামমাত্র প্রতিষ্ঠাতা শ্ৰীগুপ্ত। গুপ্ত বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় প্রথম চন্দ্রগুপ্তকে। প্রথম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি মহারাজাধিরাজ। চন্দ্রগুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটালিপুত্রে। গুপ্তদের সময়ে রাজতন্ত্র ছিল সামন্ত নির্ভর। গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসককে বলা হতো মহাসামন্ত। মৌর্যদের মতো এদেশে গুপ্তদের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়ের পুণ্ড্রনগর।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত কে ছিলেন?

ফা-হিয়েন

মেগাস্তিনিস

হিউয়েন সাঙ

সেলুকাস

 

সমুদ্রগুপ্ত

সমুদ্র গুপ্তের শাসনকাল ছিল ৩৪০-৩৮০ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত সমগ্র বাংলা জয় করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের "নেপোলিয়ন" বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট ছিল করদ রাজ্য।

 

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

সমুদ্রতন্ত্রের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। তাঁর উপাধি ছিল 'বিক্রমাদিত্য'। তিনি নবরত্নের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

 

যেমনঃ

কাপিলাস (মেঘনৃত)

অমরসিংহ (অমরকোষ)

বরাহমিহির (বৃহৎ সংহিতা)

 

দ্বিতীয় চন্দ্রখণ্ডের শাসনামলে চৈনিক তীর্থযাত্রী ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে এসেছিলেন। ফা-হিয়েন-ই প্রথম চীনা পরিব্রাজক হিসেবে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। তাঁর ভারত সফরের ৭টি বইয়ের মধ্যে ফো-কুয়ো-কিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

 

 

গৌড় রাজ্য, শশাঙ্ক

 শশাঙ্ক

 শশাঙ্ক প্রথম গৌড়ে রাজ্য স্থাপন করেন। শশাঙ্কের ধর্ম ছিল- শৈব। তিনি ছিলেন প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে প্রথম সার্বভৌম নৃপতি রাজা । গুপ্তদের অধীনে বড় অঞ্চলের শাসকদের পদবি ছিল- মহাসামন্ত। শশাঙ্কের রাজধানীর নাম- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদে অবস্থিত)। শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেনগুপ্তের একজন মহাসামন্ত অথবা ভ্রাতুষ্পুত্র। হিউয়েন সাঙ রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধ ধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। শশাঙ্ক মৃত্যুবরণ করেন- ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#শশাঙ্কের রাজধানী ছিল-

কর্ণসুবর্ণ

গৌড়

নদীয়া

ঢাকা

 

#শশাঙ্কের রাজধানীর নাম কি?

চন্দ্রনগর

পুন্ড

কর্ণসুবর্ণ

গৌড়

 

মাৎস্যন্যায়

 শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে প্রায় ১০০ বছর (সপ্তম-অষ্টম শতক) ধরে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকারময় যুগের সূচনা সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়। বাংলার অরাজকতার সময়কালকে পাল তাম্রশাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে মাৎস্যন্যায়। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে মাৎস্যন্যায়। এ অরাজকতার যুগ চলে একশ বছরব্যাপী। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি এ অরাজকতার অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে। [তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (দশম শ্রেণী)]

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#’মাৎস্যন্যায়’ কোনটির সঙ্গে সম্পর্কিত?

মোছোবাজার

মাছধরার নৌকা

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা

 

#’মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন শতককে নির্দেশ করে?

৭ম-৮ম শতক

৬ষ্ঠ-৭ম শতক

নবম-দশম শতক

অষ্টম-নবম শতক

 

#.'মাৎস্যন্যায় ' ধারনাটি কিসের সাথে সম্পর্কিত?

মাছবাজার

ন্যায় বিচার

মাছ ধরার কৌশল

আইন- শৃঙ্খলাহীন

 

#.'মাৎস্যন্যায়' বাংলার কোন সময়কে নির্দেশ করে?

৫ম - ৬ষ্ঠ শতক

৬ষ্ঠ - ৭ম শতক

৭ম - ৮ম শতক

৮ম - ৯ম শতক

#মাৎস্যন্যায় বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?

৫ম - ৬ষ্ঠ শতক

৬ষ্ঠ - ৭ম শতক

৭ম - ৮ম শতক

৮ম - ৯ম শতক

 

হর্ষবর্ধন ও হিউয়েন সাঙ্গ

হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারত সফরে আসেন। হিউয়েন সাঙ নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষ শীলভদ্রের কাছে ১৪ বছর বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। হিউয়েন সাত সিন্ধি নামে এক গ্রন্থ রচনা করেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক নাগার্জুন, আর্যদেব, শীলভদ্র, ধর্মপাল। হিউয়েন সাত রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধধর্ম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেন। সভাকৰি বানভী হর্ষবর্ধনের জীবনীমূলক গ্রন্থ 'হর্ষচরিত' রচনা করেন।

 

 

উপমহাদেশে আগত পরিব্রাজক

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#চীনা পরিব্রাজক ছিলেন-

শীলভদ্র

অতীশ দীপঙ্কর

ফা-হিয়েন

সন্ধ্যাকর নন্দী

 

#চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ প্রাচীন বাংলার কোন জনপদ ভ্রমণ করেন?

বঙ্গ

গৌড়

সমতট

হরিকেল

#বাংলার প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক কে ছিলেন?

ইউয়েন

ফা হিয়েন

ফু ওয়াং

জেন ডং

 

#চৈনিতক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?

অতীশ দীপকঙ্কর

মাহুয়ান

শীলভদ্র

মেগাস্থিনিস

 

#চৈনিক পরিব্রাজক ফা-ইয়েন বাংলায় আসেন যার সময়ে-

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ্

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

হর্যবর্ধন

 

 

মেগাস্থিনিস

 মেগাস্থিনিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রীক ইতিহাসবিদ, কূটনীতিবিদ এবং হেলেনিস্টিক যুগে ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ ও অনুসন্ধানকারী। তিনি প্রাচীন গ্রিস এর একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। সিরিয়ার রাজা প্রথম সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর রাজদরবারে আসেন। তিনি যখন ভারতে আসেন তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে।

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#মেগাস্থিনিস কার রাজসভার গ্রিকদূত ছিলেন?

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

অশোক

ধর্মপাল

সমুদ্রগুপ্ত

#মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?

সেলুকাসের দূত

চন্দ্রগুপ্ত মোর্যের প্রধানমন্ত্রী

গ্রিক পরিব্রাজক

চীনা ভ্রমণকারী

 

ফা-হিয়েন

ফা-হিয়েন চীনের শানসি প্রদেশে আনুমানিক ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল কুঙ্গ। বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার পর ফা-হিয়েন রাখা হয়েছিল। তিনি চীন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন। ৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে চীনের রাজধানী চ্যাংগান থেকে ভারতের দিকে রওনা হয়েছিলেন। চ্যাংগান আর পুরনো নাম ছিল হাইফেং এবং পরবর্তীতে নামকরণ হয় সিয়ান।

 

 

মা হুয়ান

 মা হুয়ান ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তিনি ১৪০৬ সালে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের আমলে উপমহাদেশে আসেন।

 

ইবনে বতুতা

 ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পরিব্রাজক। তিনি ১৩০৪ সালে মরোক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ সালে ভারতবর্ষে আগমণ করেন। তিনি বাংলায় আসেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে। ইবনে বতুতা প্রথমে বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাঙ্গালা শব্দ ব্যবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যের প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এ দেশএর আবহাওয়া তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলার নামকরণ করেন ধনসম্পদপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহালা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ননা পাওয়া যায়।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#ইবনে বতুতা কোন দেশের নাগরিক?

সিরিয়া

মরক্কো

ব্যাবিলন

তিউনিসিয়া

 

#ইবনে বতুতা কোন দেশের পর্যটক?

চীন

ইরাক

মরক্কো

জাপান

আফগানিস্তান

 

#কার রাজত্বকাল ইবনে বতুতা ভারতে এসেছিলেন?

সম্রাট হুমায়ুন

সম্রাট আকবর

মুহম্মদ বিন কাসেম

মুহম্মদ বিন তুঘলক

হোসেন শাহ

 

#কার রাজত্বকাল ইবনে বতুতা ভারতে এসেছিলেন?

সম্রাট হুমায়ুন

সম্রাট আকবর

মুহম্মদ বিন কাসেম

মুহম্মদ বিন তুঘলক

হোসেন শাহ

 

#ইবনে বতুতা কে?

দার্শনিক

ঐতিহাসিক

কবি

ধর্মযাজক

পরিব্রাজক

 

প্রাচীন শাসনামলে বাংলার বংশ ও রাজধানী

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#আব্বাসীয় বংশের পতন ঘটে কত সালে?

১২০০ সালে

১২৫৮ সালে

১৫২৬ সালে

১২৬৮ সালে

 

মৌর্য সাম্রাজ্য - পাটালিপুত্র

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#পাটালিপুত্র রাজধানী ছিল-

গুপ্তদের

সেনদের

পালদের

মৌর্যদের

 

পাল সাম্রাজ্য - রামাবতী

সেন আমল - নবদ্বীপ

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#হোসেনি দালান কার আমলে নির্মিত হয়?

সম্রাট আকবর

সম্রাট শাহজাহান

শায়েস্তা খান

সম্রাট জাহাঙ্গীর

 

রাষ্ট্রকূট - মান্যখেত

প্রতিহার এবং পুষ্যভূতি - কনৌজ

 কুশান - মথুরা

 

 

 

কুষাণ সাম্রাজ্য

কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ সাম্রাজ্যের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর চিকিৎসক ছিলেন চরক।চরক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যা 'চরক সংহিতা' নামে সমাধিক পরিচিত। 

 

 

প্রাচীন বাংলার জনপদ

 

প্রাচীন যুগে বাংলা নামে কোনো অর্থও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলনা। মূলত, বাংলার যাত্রা শুরু হয় বিক্ষিপ্ত জনপদগুলোর মধ্য দিয়ে। গুপ্ত, পাল ও সেন প্রভৃতি আমলের উৎকীর্ণ শিলালিপি ও বিভিন্ন সাহিত্যগ্রন্থে প্রাচীন বাংলায় প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায় (বাংলায় ছিল ১০টি)। জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ হল পুত্র (পুণ্ড্রবর্ধন)। তবে প্রতিটি জনপদের সীমানা সবসময় একইরকম না থাকলেও প্রাচীন বাংলার চিরায়ত আবহ ধারন করে রেখেছে এই শত শত জনপদসমূহ।

 

 

 

 

 

বাংলার প্রাচীন জনপদ সমূহঃ

 প্রাচীন জনপদ       বর্তমান অঞ্চল

গৌড়       ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বঙ্গ  ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ এবং ময়মনসিংহের কিছু অংশ

পুণ্ড্র বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চল

হরিকেল  সিলেট এবং চট্টগ্রামের অংশবিশেষ

সমতট    কুমিল্লা ও নোয়াখালী

বরেন্দ্র     বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী ও পাবনা

চন্দ্রদ্বীপ   বরিশাল

উত্তর রাঢ় মুর্শিদাবাদের পশ্চিমাংশ, বীরভূম, বর্ধমান জেলার কাটোয়া

দক্ষিণ রাঢ়      বর্ধমানের দক্ষিণাংশ, হুগলি ও হাওড়া

তাম্রলিপ্ত হরিকেলের দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুক

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ কোনটি?

হরিকেল

পুন্ড্র

গৌড়

তাম্রলিপি

 

#যেহেতু জয়পুরহাটের জনসংখ্যা কম, সুতরাং এটি বসবাসের জন্য নিরাপদ জায়গা। এই প্রকাশটি নিচের কোন সিদ্ধান্তকে নিঃসৃত করে?

 

(I) যে জনপদে কম জনসংখ্যা রয়েছে, সে জনপদটিই বসবাসের জন্য ভালো জায়গা।

 

(II) ঠাকুরগাঁওয়ের চেয়ে জয়পুরহাটের অপরাধের সংখ্যা কম।

শুধু সিদ্ধান্ত (ও) নিসৃঃত করে

শুধু সিদ্ধান্ত (ও ও) নিসৃঃত করে

শুধু সিদ্ধান্ত (ও) ও (ওও) নিসৃঃত করে

কোন সিদ্ধান্তকেই নিঃসৃত করে না

সাধারণ জ্ঞান প্রাচীন বাংলার জনপদ

 

#বর্তমান রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুর প্রাচীনযুগে কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

বরেন্দ্র

হরিকেল

 

#কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালি প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তর্ভূক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

হরিকেল

পুণ্ড্র

#কুষ্টিয়া, যশোর ও ঢাকা প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তভুর্ক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

হরিকেল

পুণ্ড্র

 

পুণ্ড্র

প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ ছিল- পুন্ড্র। এর রাজধানীর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর/পুণ্ড্রবর্ধন। পরবর্তীকালে এর নাম হয় মহাস্থানগড়। এর সীমানা রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া (শর্টকাট- রংরাদিব)। পাথরের চাকতিতে খোদাই করা লিপি (প্রাচীনতম) পাওয়া যায়- পুণ্ড্রতে। পুন্ড্র জাতির উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্য ও মহাভারতে। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীন সত্তা হারায় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে।

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#প্রাচীন বাংলায় পুন্ড্র নামটি ছিল একটি-

জনপদের

প্রদেশের

গ্রামের

নগরের

 

#প্রাচীন পুন্ড্রুনগর কোথায় ছিল?

কুমিল্লায়

বিক্রমপুরে

পাহাড়পুরে

মহাস্থানগড়ে

 

গৌড়

গৌড় জনপদ গড়ে উঠেছিল ভাগীরথী নদীর তীরে। গৌড়ের রাজধানী ছিল- কর্ণসুবর্ণ। কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়। গৌড় জনপদের একমাত্র বাংলাদেশের জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এর সীমানা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া (শর্টকাট- চাপাই মামুন)। গৌড়ের স্বাধীন নৃপতি ছিলেন গৌড়রাজ শশাংক। শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ তিনটি জনপদে বিভক্ত ছিল। যথা পুণ্ড্র, গৌড়, বঙ্গ রাজাদের গৌড়রাজ উপাধির জন্য গৌড় জনপদটি পরিচিতি লাভ করে। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলায় সৃষ্টি হয়- মাৎস্যন্যায়।

 

আরো কিছু প্রশ্নঃ

প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ অবস্থিত- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

 

শশাঙ্কের রাজধানী মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের অবস্থান ছিল- গৌড় অঞ্চলে ।

 

 → রাজা শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ বিভক্ত ছিল- ৩টি জনপদে (পুণ্ড্র, গৌড় ও বঙ্গ)।

 

গৌড় অঞ্চলের অনেক শিল্প ও কৃষিজাত দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়- 

 

কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র' গ্রন্থে।

 

তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে গৌড়ের নাগরিকদের বিলাস-ব্যসনের পরিচয় পাওয়া যায়- 

 

বাৎসায়নের গ্রন্থে।

 

গৌড় অঞ্চলের সমৃদ্ধি বেশি ছিল- 

 

পাল আমলে।

 

মুসলিম যুগের শুরুতে মালদহ জেলার যে অঞ্চল গৌড় নামে অভিহিত হতো- 

 

লক্ষ্মণাবতী।

 

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#গৌড়ের নাম জান্নাতাবাদ কে রাখেন?

শেরশাহ

হুমায়ুন

জাহাঙ্গীর

আকবর

 

#প্রাচী গৌড় নগরীর অংশ-বিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?

কুষ্টিয়া

বগুড়া

কুমিল্লা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

#প্রাচীন গৌড়ের রাজধানী ছিল?

পুণ্ড্রনগর

কনৌজ

কৰ্ণাটক

কর্ণসুবর্ণ

 

#প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ রয়েছে কোন জেলায়?

সিলেট

খুলনা

কুষ্টিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

 

 

#প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ কোন জেলায় রয়েছে?

সিলেট

খুলনা

কুষ্টিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

বঙ্গ

 ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দু'টি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়। একটি বিক্রমপুর এবং অন্যটি নাব্য (নিচু জলাভূমি) এর সীমানা ছিল ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট, পটুয়াখালী। দেশবাচক বাংলা শব্দের প্রথম ব্যবহার হয় আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি আছে। গঙ্গা ও ভাগীরথীর মাঝখানের অঞ্চলকে বলা হতো বঙ্গ। প্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমানার উল্লেখ পাওয়া যায় ড. নীহাররঞ্জন রায়ের "বাঙ্গালির ইতিহাস" নামক গ্রন্থে।

 

 

হরিকেল

 হরিকেল জনপদের অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। হরিকেল জনপদের রাজধানী ছিল- শ্রীহট্ট (সিলেট)। সীমানা সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

 

সমতট

বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ হিসেবে সমতটের অবস্থান। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত অঞ্চলকে বলা হতো সমতট। সমতটের রাজধানী- বড় কামতা, কুমিল্লা শহর থেকে দূরত্ব- ১২ মাইল। এর সীমানা বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী। কুমিল্লার ময়নামতিতে শালবন বিহার অবস্থিত। হিউয়েন সাং-এর বিবরণ অনুসারে কামরূপে সমতট নামে জনপদ ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#কোন অঞ্চলটি প্রাচীন সমতট জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বরিশাল

কুমিল্লা

রাজশাহী

রংপুর

 

#সমতট জনপদ কোথায় অবস্থিত?

সিলেট অঞ্চলে

কুমিল্লা অঞ্চলে

খুলনা অঞ্চলে

রংপুর অঞ্চলে

 

#কুমিল্লা জেলার কোন স্থান সমতটের অন্তর্গত ছিল?

মেঘনা

বড় কামতা

বুড়িচং

ইলিয়টগঞ্জ

 

#সমতট জনপদ কোথায় অবস্থিত?

সিলেট অঞ্চলে

কুমিল্লা অঞ্চলে

খুলনা অঞ্চলে

রংপুর অঞ্চলে

 

#বর্তমান বাংলাদেশের কোন অংশকে ‘সমতট বলা হত?

কুমিল্লা ও নোয়াখালী

রাজশাহী ও বগুড়া

দিনাজপুর ও রংপুর

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম

ঢাকা ও ময়মনসিংহ

 

বরেন্দ্র

 বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী উত্তরবঙ্গের একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদটি গঙ্গা ও করতোয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠে। জনপদটির অন্য আরেকটি নাম- বারেন্দ্রী জনপদ। সীমানা ছিল রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও পাবনা জেলা (শর্টকাট- রংয়াদিপ)। পালদের পিতৃভূমি বলা হয়- বরেন্দ্র জনপদকে। বাংলাদেশের প্রথম যাদুঘর “বরেন্দ্র যাদুঘর" রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালে।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#বরেন্দ্রভূমি কোন বিভাগের অন্তর্গত?

খুলনা

রাজশাহী

ঢাকা

সিলেট

বরিশাল

 

#'বরেন্দ্র' বলতে বর্তমানে কোন আঞ্চলকে বুঝায়?

দিনাজপুর

পাবনা

রাজশাহী

খুলনা

 

#'বরেন্দ্র' বলতে বর্তমানে কোন আঞ্চলকে বুঝায়?

দিনাজপুর

পাবনা

রাজশাহী

খুলনা

 

#বরেন্দ্রভূমির সাথে নিচের কোনটি সম্পকৃক্ত?

সোপানভূমি

সমভূমি

সাম্প্র্রতিক কালের পাহাড়

টারশিয়ারি যুগের পাহাড়

 

#বরেন্দ্র বলতে কোন এলাকাকে বোঝায়?

উত্তরবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গ

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গ

দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গ

 

তাম্রলিপ্ত

হরিকেলের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদ । সপ্তম শতক থেকে এটি দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। গ্রিব বীর টলেমির মানচিত্রে বাংলায় 'তমলিটিস' নামে বন্দরনগরীর উল্লেখ পাও যায়, যা বাংলার প্রাচীনতম বন্দর।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#তাম্রলিপ্ত কী?

তামার পাতে শাসনাদেশ

প্রাচীন জনপদ

প্রাচীন গ্রন্থ

প্রাচীন ভাষা

 

চন্দ্রদ্বীপ

বরিশাল জেলার পূর্ব নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনপদ চন্দ্রদ্বীপ। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। বর্তমান বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূ-খণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চন্দ্রদ্বীপের বর্তমান নাম কী

বরিশাল।

সেন্ট মার্টিন।

সন্দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী

#চন্দ্রদ্বীপ কোন অঞ্চলের পুরাতন নাম?

কক্সবাজার

সেন্টমার্টিন

চট্টগ্রাম

বরিশাল

 

রাঢ়

রাঢ় জনপদের অপর নাম সূক্ষ্ম (রহস্যময়ী) জনপদ । রাঢ়ের রাজধানী কোটিবর্ষ। সীমানা ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#নিচের কোনটি যোগরাঢ় শব্দ?

রাজপুত

খাঁশি

প্রবিন

গায়ক

 

 

বাকেরগঞ্জ

 বাকেরগঞ্জের সীমানা খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট। (শর্টকাট- বাকের খুবহাটে)

সপ্তগাও

 সপ্তগাও এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল ও খুলনা। (শর্টকাট-বঙ্গখুল)

কামরূপ

 কামরূপ জনপদ রংপুর, ভারতের জলপাইগুড়ি ও আসামের কামরূপ জেলা নিয়ে বিস্তৃত ছিল।প্রাচীন বাংলার ইতিহাস

ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল । অঙ্গ বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে । মহাভারতে পৌন্ড্র রাজ বাসুদেব এর উল্লেখ পাওয়া যায় । 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#নিচের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে কোনটি প্রাচীন তম?

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়

 

#গৌতম বুদ্ধ প্রাচীন ভারতীয় কোন ভাষায় ধর্ম প্রচার করেন?

প্ৰাকৃত

সংস্কৃত

পালি

তামিল

 

#কোনটি প্রাচীনতম?

মহাস্থান ব্রাক্ষ্মীলিপি

চর্যাপদ

রামচরিতম

গীতগোবিন্দ

 

 

 

#প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে গঙ্গা ও করতোয়া নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের জনপদ কে কি বলা হতো?

সমতট

হরিকে

বরেন্দ্র

পুন্ড্র

 

#প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম-

শকুন্তলা

হংসদূত

রামায়ণ

মহাভারত

 

মৌর্য যুগে বাংলা

৩২৭-৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় থেকে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায়। গ্রিক লেখকদের কথায় বাংলাদেশে 'গঙ্গারিডাই' নামে একটি শক্তিশালী জাতির বাসস্থান ছিল ভাগীরথী ও পদ্মার মধ্যবর্তী অঞ্চলে। গ্রিক গ্রন্থকারগণ গঙ্গারিডই ছাড়াও প্রাসিতায় নামে অপর এক জাতির উল্লেখ করেছেন। আলেকজান্ডারের আক্রমণের সময় বাংলার রাজা মাধাদি দেশ জয় করে পাঞ্জাব পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। তিনি ছিলেন পাটালিপুত্রের নন্দবংশীয় কোন রাজা।

 

জেনে নিই

প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য। এটি সর্বভারতীয় প্রথম সাম্রাজ্য।

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে বলা হয় ভারতের প্রথম সম্রাট। চন্দ্রতপ্ত মৌর্যের রাজধানী ছিল- পাটালিপুত্র।

মহাস্থানগড়ে মৌর্য বংশ প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নন্দবংশকে পরাজিত করে।

আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের পর তার সেনাপতি সেলুকাসকে পরাজিত করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

গ্রিক দূত মেগাস্থিনিসকে দূত হিসেবে চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবারে প্রেরণ করেন- সেলুকাস।

গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস কয়েক বছর অবস্থান করে মৌর্য শাসন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা ইন্ডিকা নামক গ্রন্থে লিপিবন্ধ করেন।

ইন্ডিয়া নামকরণ করেন- প্রাচীন গ্রীকরা।

মৌর্যবংশের মোট শাসক ছিলেন- ৯ জন।

 

 

বিন্দুসার

বিন্দুসার মৌর্য বংশের দ্বিতীয় শাসক এবং রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পুত্র। পিতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে পিতৃ-রাজত্ব লাভ করেন বিন্দুসার। সিংহাসন আরোহণকালে তিনি অমিত্রঘাত' অর্থাৎ শত্রু নিধনকারী উপাধি লাভ করেন। বিন্দুসারের রাজত্বকালের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল তক্ষশীলার বিদ্রোহ (পাকিস্তান)। তক্ষশীলার এই বিদ্রোহ দমন করেছিলেন যুবরাজ অশোক। বিন্দুসারের রাজত্বকালে একমাত্র শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল- কলিঙ্গ জয়। সম্রাট অশোকও উত্তরাধিকার সূত্রে সিংহাসনের অধিকারী হয়েছিলেন।

 

 

সম্রাট আশোক

 উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট অশোকের (তৃতীয় শাসক) রাজত্বকালে। এসময় অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। এ প্রদেশের রাজধানী ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রনগর। সম্রাট অশোকের একটি শিলালিপি পাওয়া যায় মহাস্থানগড়ে। সম্রাট অশোক সিংহাসন আরোহনে নিজ ভ্রাতাদের নির্মমভাবে হত্যা করেন ফলে তার উপাধি হয় চণ্ডাশোক। সম্রাট অশোক কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বধর্মে পরিণত করেন। এজন্য তাকে বৌদ্ধ ধর্মের কনস্ট্যানটাইন (রোমান সম্রাট) বলা হয়।

 

 

চাণক্য

 চাণক্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে একজন দিকপাল ছিলেন। চাণক্য ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও বিন্দুসারের প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা। চাণক্যের ছদ্মনাম 'কৌটিল্য' আর উপাধি- ‘বিষ্ণুখণ্ড’। কৌটিল্য রচিত গ্রন্থের নাম- 'অর্থশাস্ত্র' । ভারত চলে চাণক্য নীতিতে।

 

তার একটি উক্তিঃ “যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করাই উচিত।"

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#চাণক্য ছিলেন প্রাচীন ভারতে একজন বিখ্যাত-

ঋষি

অর্থনীতিবিদ

কূটনীতিক

রাজা

 

#চাণক্য ছিলেন প্রাচীর ভারতে একজন বিখ্যাত-

ঋষি

অর্থনীতিবিদ

কূটনীতিক

রাজা

 

#মহাকবি কালিদাস যে যুগের কবি ছিলেন-

পাল

সেন

মৌর্য

গুপ্ত

 

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

 ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় গুপ্ত যুগকে। গুপ্ত বংশের নামমাত্র প্রতিষ্ঠাতা শ্ৰীগুপ্ত। গুপ্ত বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয় প্রথম চন্দ্রগুপ্তকে। প্রথম চন্দ্রগুপ্তের উপাধি মহারাজাধিরাজ। চন্দ্রগুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটালিপুত্রে। গুপ্তদের সময়ে রাজতন্ত্র ছিল সামন্ত নির্ভর। গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসককে বলা হতো মহাসামন্ত। মৌর্যদের মতো এদেশে গুপ্তদের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়ের পুণ্ড্রনগর।

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত কে ছিলেন?

ফা-হিয়েন

মেগাস্তিনিস

হিউয়েন সাঙ

সেলুকাস

 

সমুদ্রগুপ্ত

সমুদ্র গুপ্তের শাসনকাল ছিল ৩৪০-৩৮০ খ্রিস্টাব্দ। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত সমগ্র বাংলা জয় করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের "নেপোলিয়ন" বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট ছিল করদ রাজ্য।

 

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

সমুদ্রতন্ত্রের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত। তাঁর উপাধি ছিল 'বিক্রমাদিত্য'। তিনি নবরত্নের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

 

যেমনঃ

কাপিলাস (মেঘনৃত)

অমরসিংহ (অমরকোষ)

বরাহমিহির (বৃহৎ সংহিতা)

 

দ্বিতীয় চন্দ্রখণ্ডের শাসনামলে চৈনিক তীর্থযাত্রী ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে এসেছিলেন। ফা-হিয়েন-ই প্রথম চীনা পরিব্রাজক হিসেবে ভারতবর্ষে এসেছিলেন। তাঁর ভারত সফরের ৭টি বইয়ের মধ্যে ফো-কুয়ো-কিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

 

 

গৌড় রাজ্য, শশাঙ্ক

 শশাঙ্ক

 শশাঙ্ক প্রথম গৌড়ে রাজ্য স্থাপন করেন। শশাঙ্কের ধর্ম ছিল- শৈব। তিনি ছিলেন প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে প্রথম সার্বভৌম নৃপতি রাজা । গুপ্তদের অধীনে বড় অঞ্চলের শাসকদের পদবি ছিল- মহাসামন্ত। শশাঙ্কের রাজধানীর নাম- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদে অবস্থিত)। শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেনগুপ্তের একজন মহাসামন্ত অথবা ভ্রাতুষ্পুত্র। হিউয়েন সাঙ রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধ ধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন। শশাঙ্ক মৃত্যুবরণ করেন- ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের দিকে ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#শশাঙ্কের রাজধানী ছিল-

কর্ণসুবর্ণ

গৌড়

নদীয়া

ঢাকা

 

#শশাঙ্কের রাজধানীর নাম কি?

চন্দ্রনগর

পুন্ড

কর্ণসুবর্ণ

গৌড়

 

মাৎস্যন্যায়

 শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে প্রায় ১০০ বছর (সপ্তম-অষ্টম শতক) ধরে এক দুর্যোগপূর্ণ অন্ধকারময় যুগের সূচনা সময়কালকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়। বাংলার অরাজকতার সময়কালকে পাল তাম্রশাসনে আখ্যায়িত করা হয়েছে মাৎস্যন্যায়। পুকুরে বড় মাছ ছোট মাছকে ধরে গিলে ফেলার মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিকে বলে মাৎস্যন্যায়। এ অরাজকতার যুগ চলে একশ বছরব্যাপী। অষ্টম শতকের মাঝামাঝি এ অরাজকতার অবসান ঘটে পাল রাজত্বের উত্থানের মধ্য দিয়ে। [তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (দশম শ্রেণী)]

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#’মাৎস্যন্যায়’ কোনটির সঙ্গে সম্পর্কিত?

মোছোবাজার

মাছধরার নৌকা

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা

 

#’মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন শতককে নির্দেশ করে?

৭ম-৮ম শতক

৬ষ্ঠ-৭ম শতক

নবম-দশম শতক

অষ্টম-নবম শতক

 

#.'মাৎস্যন্যায় ' ধারনাটি কিসের সাথে সম্পর্কিত?

মাছবাজার

ন্যায় বিচার

মাছ ধরার কৌশল

আইন- শৃঙ্খলাহীন

 

#.'মাৎস্যন্যায়' বাংলার কোন সময়কে নির্দেশ করে?

৫ম - ৬ষ্ঠ শতক

৬ষ্ঠ - ৭ম শতক

৭ম - ৮ম শতক

৮ম - ৯ম শতক

#মাৎস্যন্যায় বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?

৫ম - ৬ষ্ঠ শতক

৬ষ্ঠ - ৭ম শতক

৭ম - ৮ম শতক

৮ম - ৯ম শতক

 

হর্ষবর্ধন ও হিউয়েন সাঙ্গ

হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালের চীনা বৌদ্ধ পণ্ডিত হিউয়েন সাঙ ভারত সফরে আসেন। হিউয়েন সাঙ নালন্দা মহাবিহারের অধ্যক্ষ শীলভদ্রের কাছে ১৪ বছর বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। হিউয়েন সাত সিন্ধি নামে এক গ্রন্থ রচনা করেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক নাগার্জুন, আর্যদেব, শীলভদ্র, ধর্মপাল। হিউয়েন সাত রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধধর্ম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেন। সভাকৰি বানভী হর্ষবর্ধনের জীবনীমূলক গ্রন্থ 'হর্ষচরিত' রচনা করেন।

 

 

উপমহাদেশে আগত পরিব্রাজক

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#চীনা পরিব্রাজক ছিলেন-

শীলভদ্র

অতীশ দীপঙ্কর

ফা-হিয়েন

সন্ধ্যাকর নন্দী

 

#চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ প্রাচীন বাংলার কোন জনপদ ভ্রমণ করেন?

বঙ্গ

গৌড়

সমতট

হরিকেল

#বাংলার প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক কে ছিলেন?

ইউয়েন

ফা হিয়েন

ফু ওয়াং

জেন ডং

 

#চৈনিতক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?

অতীশ দীপকঙ্কর

মাহুয়ান

শীলভদ্র

মেগাস্থিনিস

 

#চৈনিক পরিব্রাজক ফা-ইয়েন বাংলায় আসেন যার সময়ে-

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ্

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত

হর্যবর্ধন

 

 

মেগাস্থিনিস

 মেগাস্থিনিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রীক ইতিহাসবিদ, কূটনীতিবিদ এবং হেলেনিস্টিক যুগে ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ ও অনুসন্ধানকারী। তিনি প্রাচীন গ্রিস এর একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। সিরিয়ার রাজা প্রথম সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর রাজদরবারে আসেন। তিনি যখন ভারতে আসেন তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে।

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#মেগাস্থিনিস কার রাজসভার গ্রিকদূত ছিলেন?

চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য

অশোক

ধর্মপাল

সমুদ্রগুপ্ত

#মেগাস্থিনিস কে ছিলেন?

সেলুকাসের দূত

চন্দ্রগুপ্ত মোর্যের প্রধানমন্ত্রী

গ্রিক পরিব্রাজক

চীনা ভ্রমণকারী

 

ফা-হিয়েন

ফা-হিয়েন চীনের শানসি প্রদেশে আনুমানিক ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল কুঙ্গ। বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেওয়ার পর ফা-হিয়েন রাখা হয়েছিল। তিনি চীন দেশের পরিব্রাজক ছিলেন। ৩৯৯ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিকে চীনের রাজধানী চ্যাংগান থেকে ভারতের দিকে রওনা হয়েছিলেন। চ্যাংগান আর পুরনো নাম ছিল হাইফেং এবং পরবর্তীতে নামকরণ হয় সিয়ান।

 

 

মা হুয়ান

 মা হুয়ান ছিলেন চীনা পরিব্রাজক। তিনি ১৪০৬ সালে গিয়াসউদ্দিন আযম শাহের আমলে উপমহাদেশে আসেন।

 

ইবনে বতুতা

 ইবনে বতুতা ছিলেন মুসলিম পরিব্রাজক। তিনি ১৩০৪ সালে মরোক্কোয় জন্মগ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ১৩৩৩ সালে ভারতবর্ষে আগমণ করেন। তিনি বাংলায় আসেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের আমলে। ইবনে বতুতা প্রথমে বিদেশি পর্যটক হিসেবে বাঙ্গালা শব্দ ব্যবহার করেন। জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যের প্রাচুর্য ও স্বল্পমূল্য আর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বতুতাকে আকৃষ্ট করলেও এ দেশএর আবহাওয়া তার পছন্দ হয়নি। এজন্য তিনি বাংলার নামকরণ করেন ধনসম্পদপূর্ণ নরক। ইবনে বতুতার কিতাবুল রেহালা নামক গ্রন্থে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ননা পাওয়া যায়।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#ইবনে বতুতা কোন দেশের নাগরিক?

সিরিয়া

মরক্কো

ব্যাবিলন

তিউনিসিয়া

 

#ইবনে বতুতা কোন দেশের পর্যটক?

চীন

ইরাক

মরক্কো

জাপান

আফগানিস্তান

 

#কার রাজত্বকাল ইবনে বতুতা ভারতে এসেছিলেন?

সম্রাট হুমায়ুন

সম্রাট আকবর

মুহম্মদ বিন কাসেম

মুহম্মদ বিন তুঘলক

হোসেন শাহ

 

#কার রাজত্বকাল ইবনে বতুতা ভারতে এসেছিলেন?

সম্রাট হুমায়ুন

সম্রাট আকবর

মুহম্মদ বিন কাসেম

মুহম্মদ বিন তুঘলক

হোসেন শাহ

 

#ইবনে বতুতা কে?

দার্শনিক

ঐতিহাসিক

কবি

ধর্মযাজক

পরিব্রাজক

 

প্রাচীন শাসনামলে বাংলার বংশ ও রাজধানী

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#আব্বাসীয় বংশের পতন ঘটে কত সালে?

১২০০ সালে

১২৫৮ সালে

১৫২৬ সালে

১২৬৮ সালে

 

মৌর্য সাম্রাজ্য - পাটালিপুত্র

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#পাটালিপুত্র রাজধানী ছিল-

গুপ্তদের

সেনদের

পালদের

মৌর্যদের

 

পাল সাম্রাজ্য - রামাবতী

সেন আমল - নবদ্বীপ

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#হোসেনি দালান কার আমলে নির্মিত হয়?

সম্রাট আকবর

সম্রাট শাহজাহান

শায়েস্তা খান

সম্রাট জাহাঙ্গীর

 

রাষ্ট্রকূট - মান্যখেত

প্রতিহার এবং পুষ্যভূতি - কনৌজ

 কুশান - মথুরা

 

 

 

কুষাণ সাম্রাজ্য

কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ সাম্রাজ্যের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। তাঁর চিকিৎসক ছিলেন চরক।চরক আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতির সংকলনগ্রন্থ রচনা করেন, যা 'চরক সংহিতা' নামে সমাধিক পরিচিত। 

 

 

প্রাচীন বাংলার জনপদ

 

প্রাচীন যুগে বাংলা নামে কোনো অর্থও রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলনা। মূলত, বাংলার যাত্রা শুরু হয় বিক্ষিপ্ত জনপদগুলোর মধ্য দিয়ে। গুপ্ত, পাল ও সেন প্রভৃতি আমলের উৎকীর্ণ শিলালিপি ও বিভিন্ন সাহিত্যগ্রন্থে প্রাচীন বাংলায় প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায় (বাংলায় ছিল ১০টি)। জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ হল পুত্র (পুণ্ড্রবর্ধন)। তবে প্রতিটি জনপদের সীমানা সবসময় একইরকম না থাকলেও প্রাচীন বাংলার চিরায়ত আবহ ধারন করে রেখেছে এই শত শত জনপদসমূহ।

 

 

 

 

 

বাংলার প্রাচীন জনপদ সমূহঃ

 প্রাচীন জনপদ       বর্তমান অঞ্চল

গৌড়       ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বঙ্গ  ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বগুড়া, পাবনা, ঢাকা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর কিছু অংশ এবং ময়মনসিংহের কিছু অংশ

পুণ্ড্র বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চল

হরিকেল  সিলেট এবং চট্টগ্রামের অংশবিশেষ

সমতট    কুমিল্লা ও নোয়াখালী

বরেন্দ্র     বগুড়া, দিনাজপুর, রাজশাহী ও পাবনা

চন্দ্রদ্বীপ   বরিশাল

উত্তর রাঢ় মুর্শিদাবাদের পশ্চিমাংশ, বীরভূম, বর্ধমান জেলার কাটোয়া

দক্ষিণ রাঢ়      বর্ধমানের দক্ষিণাংশ, হুগলি ও হাওড়া

তাম্রলিপ্ত হরিকেলের দক্ষিণে বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুক

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ কোনটি?

হরিকেল

পুন্ড্র

গৌড়

তাম্রলিপি

 

#যেহেতু জয়পুরহাটের জনসংখ্যা কম, সুতরাং এটি বসবাসের জন্য নিরাপদ জায়গা। এই প্রকাশটি নিচের কোন সিদ্ধান্তকে নিঃসৃত করে?

 

(I) যে জনপদে কম জনসংখ্যা রয়েছে, সে জনপদটিই বসবাসের জন্য ভালো জায়গা।

 

(II) ঠাকুরগাঁওয়ের চেয়ে জয়পুরহাটের অপরাধের সংখ্যা কম।

শুধু সিদ্ধান্ত (ও) নিসৃঃত করে

শুধু সিদ্ধান্ত (ও ও) নিসৃঃত করে

শুধু সিদ্ধান্ত (ও) ও (ওও) নিসৃঃত করে

কোন সিদ্ধান্তকেই নিঃসৃত করে না

সাধারণ জ্ঞান প্রাচীন বাংলার জনপদ

 

#বর্তমান রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুর প্রাচীনযুগে কোন জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

বরেন্দ্র

হরিকেল

 

#কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নোয়াখালি প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তর্ভূক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

হরিকেল

পুণ্ড্র

#কুষ্টিয়া, যশোর ও ঢাকা প্রাচীন বাংলার কোন জনপদের অন্তভুর্ক্ত ছিল?

বঙ্গ

সমতট

হরিকেল

পুণ্ড্র

 

পুণ্ড্র

প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ ছিল- পুন্ড্র। এর রাজধানীর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর/পুণ্ড্রবর্ধন। পরবর্তীকালে এর নাম হয় মহাস্থানগড়। এর সীমানা রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া (শর্টকাট- রংরাদিব)। পাথরের চাকতিতে খোদাই করা লিপি (প্রাচীনতম) পাওয়া যায়- পুণ্ড্রতে। পুন্ড্র জাতির উল্লেখ পাওয়া যায় বৈদিক সাহিত্য ও মহাভারতে। প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীন সত্তা হারায় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে।

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#প্রাচীন বাংলায় পুন্ড্র নামটি ছিল একটি-

জনপদের

প্রদেশের

গ্রামের

নগরের

 

#প্রাচীন পুন্ড্রুনগর কোথায় ছিল?

কুমিল্লায়

বিক্রমপুরে

পাহাড়পুরে

মহাস্থানগড়ে

 

গৌড়

গৌড় জনপদ গড়ে উঠেছিল ভাগীরথী নদীর তীরে। গৌড়ের রাজধানী ছিল- কর্ণসুবর্ণ। কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলায়। গৌড় জনপদের একমাত্র বাংলাদেশের জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এর সীমানা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া (শর্টকাট- চাপাই মামুন)। গৌড়ের স্বাধীন নৃপতি ছিলেন গৌড়রাজ শশাংক। শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ তিনটি জনপদে বিভক্ত ছিল। যথা পুণ্ড্র, গৌড়, বঙ্গ রাজাদের গৌড়রাজ উপাধির জন্য গৌড় জনপদটি পরিচিতি লাভ করে। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলায় সৃষ্টি হয়- মাৎস্যন্যায়।

 

আরো কিছু প্রশ্নঃ

প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ অবস্থিত- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।

 

শশাঙ্কের রাজধানী মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের অবস্থান ছিল- গৌড় অঞ্চলে ।

 

 → রাজা শশাঙ্কের শাসনামলের পরে বঙ্গদেশ বিভক্ত ছিল- ৩টি জনপদে (পুণ্ড্র, গৌড় ও বঙ্গ)।

 

গৌড় অঞ্চলের অনেক শিল্প ও কৃষিজাত দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়- 

 

কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র' গ্রন্থে।

 

তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে গৌড়ের নাগরিকদের বিলাস-ব্যসনের পরিচয় পাওয়া যায়- 

 

বাৎসায়নের গ্রন্থে।

 

গৌড় অঞ্চলের সমৃদ্ধি বেশি ছিল- 

 

পাল আমলে।

 

মুসলিম যুগের শুরুতে মালদহ জেলার যে অঞ্চল গৌড় নামে অভিহিত হতো- 

 

লক্ষ্মণাবতী।

 

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#গৌড়ের নাম জান্নাতাবাদ কে রাখেন?

শেরশাহ

হুমায়ুন

জাহাঙ্গীর

আকবর

 

#প্রাচী গৌড় নগরীর অংশ-বিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?

কুষ্টিয়া

বগুড়া

কুমিল্লা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

#প্রাচীন গৌড়ের রাজধানী ছিল?

পুণ্ড্রনগর

কনৌজ

কৰ্ণাটক

কর্ণসুবর্ণ

 

#প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ রয়েছে কোন জেলায়?

সিলেট

খুলনা

কুষ্টিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

 

 

#প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ কোন জেলায় রয়েছে?

সিলেট

খুলনা

কুষ্টিয়া

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 

বঙ্গ

 ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দু'টি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়। একটি বিক্রমপুর এবং অন্যটি নাব্য (নিচু জলাভূমি) এর সীমানা ছিল ঢাকা, গাজীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট, পটুয়াখালী। দেশবাচক বাংলা শব্দের প্রথম ব্যবহার হয় আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরি আছে। গঙ্গা ও ভাগীরথীর মাঝখানের অঞ্চলকে বলা হতো বঙ্গ। প্রাচীন বঙ্গ দেশের সীমানার উল্লেখ পাওয়া যায় ড. নীহাররঞ্জন রায়ের "বাঙ্গালির ইতিহাস" নামক গ্রন্থে।

 

 

হরিকেল

 হরিকেল জনপদের অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। হরিকেল জনপদের রাজধানী ছিল- শ্রীহট্ট (সিলেট)। সীমানা সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

 

সমতট

বঙ্গের প্রতিবেশী জনপদ হিসেবে সমতটের অবস্থান। গঙ্গা-ভাগীরথীর পূর্ব তীর থেকে মেঘনার মোহনা পর্যন্ত অঞ্চলকে বলা হতো সমতট। সমতটের রাজধানী- বড় কামতা, কুমিল্লা শহর থেকে দূরত্ব- ১২ মাইল। এর সীমানা বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী। কুমিল্লার ময়নামতিতে শালবন বিহার অবস্থিত। হিউয়েন সাং-এর বিবরণ অনুসারে কামরূপে সমতট নামে জনপদ ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#কোন অঞ্চলটি প্রাচীন সমতট জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

বরিশাল

কুমিল্লা

রাজশাহী

রংপুর

 

#সমতট জনপদ কোথায় অবস্থিত?

সিলেট অঞ্চলে

কুমিল্লা অঞ্চলে

খুলনা অঞ্চলে

রংপুর অঞ্চলে

 

#কুমিল্লা জেলার কোন স্থান সমতটের অন্তর্গত ছিল?

মেঘনা

বড় কামতা

বুড়িচং

ইলিয়টগঞ্জ

 

#সমতট জনপদ কোথায় অবস্থিত?

সিলেট অঞ্চলে

কুমিল্লা অঞ্চলে

খুলনা অঞ্চলে

রংপুর অঞ্চলে

 

#বর্তমান বাংলাদেশের কোন অংশকে ‘সমতট বলা হত?

কুমিল্লা ও নোয়াখালী

রাজশাহী ও বগুড়া

দিনাজপুর ও রংপুর

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম

ঢাকা ও ময়মনসিংহ

 

বরেন্দ্র

 বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী উত্তরবঙ্গের একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদটি গঙ্গা ও করতোয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠে। জনপদটির অন্য আরেকটি নাম- বারেন্দ্রী জনপদ। সীমানা ছিল রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও পাবনা জেলা (শর্টকাট- রংয়াদিপ)। পালদের পিতৃভূমি বলা হয়- বরেন্দ্র জনপদকে। বাংলাদেশের প্রথম যাদুঘর “বরেন্দ্র যাদুঘর" রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালে।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

 

#বরেন্দ্রভূমি কোন বিভাগের অন্তর্গত?

খুলনা

রাজশাহী

ঢাকা

সিলেট

বরিশাল

 

#'বরেন্দ্র' বলতে বর্তমানে কোন আঞ্চলকে বুঝায়?

দিনাজপুর

পাবনা

রাজশাহী

খুলনা

 

#'বরেন্দ্র' বলতে বর্তমানে কোন আঞ্চলকে বুঝায়?

দিনাজপুর

পাবনা

রাজশাহী

খুলনা

 

#বরেন্দ্রভূমির সাথে নিচের কোনটি সম্পকৃক্ত?

সোপানভূমি

সমভূমি

সাম্প্র্রতিক কালের পাহাড়

টারশিয়ারি যুগের পাহাড়

 

#বরেন্দ্র বলতে কোন এলাকাকে বোঝায়?

উত্তরবঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গ

উত্তর- পশ্চিমবঙ্গ

দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গ

 

তাম্রলিপ্ত

হরিকেলের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদ । সপ্তম শতক থেকে এটি দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। গ্রিব বীর টলেমির মানচিত্রে বাংলায় 'তমলিটিস' নামে বন্দরনগরীর উল্লেখ পাও যায়, যা বাংলার প্রাচীনতম বন্দর।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#তাম্রলিপ্ত কী?

তামার পাতে শাসনাদেশ

প্রাচীন জনপদ

প্রাচীন গ্রন্থ

প্রাচীন ভাষা

 

চন্দ্রদ্বীপ

বরিশাল জেলার পূর্ব নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র জনপদ চন্দ্রদ্বীপ। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। বর্তমান বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূ-খণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#চন্দ্রদ্বীপের বর্তমান নাম কী

বরিশাল।

সেন্ট মার্টিন।

সন্দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী

#চন্দ্রদ্বীপ কোন অঞ্চলের পুরাতন নাম?

কক্সবাজার

সেন্টমার্টিন

চট্টগ্রাম

বরিশাল

 

রাঢ়

রাঢ় জনপদের অপর নাম সূক্ষ্ম (রহস্যময়ী) জনপদ । রাঢ়ের রাজধানী কোটিবর্ষ। সীমানা ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল ।

 

 

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

#নিচের কোনটি যোগরাঢ় শব্দ?

রাজপুত

খাঁশি

প্রবিন

গায়ক

 

 

বাকেরগঞ্জ

 বাকেরগঞ্জের সীমানা খুলনা, বরিশাল, বাগেরহাট। (শর্টকাট- বাকের খুবহাটে)

সপ্তগাও

 সপ্তগাও এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল ও খুলনা। (শর্টকাট-বঙ্গখুল)

কামরূপ

 কামরূপ জনপদ রংপুর, ভারতের জলপাইগুড়ি ও আসামের কামরূপ জেলা নিয়ে বিস্তৃত ছিল।