পুরুষ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? (LEC 20)

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি (BCS) Preliminary Preparation 200 Marks বাংলা ব্যাকরণ


পুরুষ কাকে বলে? কত প্রকার কি কি?

 

 

পুরুষ বলতে বাংলা ব্যাকরণে পুরুষ ( মানুষ ) কে বোঝায় না। যদি শব্দটির উচ্চারণ এবং বানানরীতি উভয় পুরুষকেই নির্দেশ করে। কিন্তু বাংলা ব্যাকরণের পুরুষের একটি আলাদা স্থান রয়েছে। একটা বিশেষ পক্ষকে বোঝাতেই ব্যাকরণে এর ব্যবহার করা রয়েছে। যদি বিষয়টা খুবই দ্বিধাপূর্ণ এবং ফানি। এই অধ্যায় থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রশ্ন এসে থাকে। তাই আজ আমরা এই পুরুষের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেই এই পোস্ট পড়া শেষ করব। চলুন তাহলে আমরা প্রথমেই জেনে নেই- পুরুষ কাকে বলে ?

 

পুরুষ কথাটির অর্থ

বাংলা ব্যাকরণে পুরুষ শব্দটি দ্বারা পুরুষ মানুষকে বোঝায় না অথবা পুংলিঙ্গ জাতীয় কোন কিছুকে নির্দেশ করে না। ক্রিয়াপদের সাথে কর্মের যোগসূত্রকারীই হল পুরুষ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিশেষ্য এবং সর্বনাম পদ কোন না কোন পুরুষের অন্তর্গত।

পুরুষ কাকে বলে?

যে বিশেষ্য এবং সর্বনাম পদ দ্বারা কোন বক্তা.শ্রোতা অথবা অন্য কোন উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝায় তাকে বাংলা ব্যাকরণে পুরুষ বলে। অন্যভাবে বলা যায় ব্যক্তি বা বস্তু নির্দেশক সর্বনামকেই ব্যাকরণে পক্ষ বা পুরুষ বলে। বিশেষ্য বা সর্বনামের বিভিন্ন প্রকৃতিকে ব্যাকরণে পুরুষ বলে।

পুরুষ কত প্রকার কি কি ?

পুরুষ তিন প্রকার যথাঃ

1.    উত্তম পুরুষ

2.    মধ্যম পুরুষ

3.    নাম পুরুষ

 

উত্তম পুরুষ কাকে বলে কি কি ?

বক্তা নিজের নামের পরিবর্তে যে সর্বনাম ব্যবহারে তাকে প্রথম পুরুষ বা উত্তম পুরুষ বলে। এক কথায় স্বয়ং বক্তাই উত্তম পুরুষ। যেমন- আমি, আমার,আমরা,আমাদের,আমাদিগকে,আমাদিগের। এক কথা আমি দিয়ে যত শব্দ তৈরি হয় তার সবকিছুই উত্তম পুরুষের অন্তর্গত।

মধ্যম পুরুষ কাকে বলে?

কাউকে কিছু বলার সময় যখন বক্তা সেই শ্রোতার পরিবর্তে অন্য যে সর্বনাম ব্যবহার করে তাকে মধ্যম পুরুষ বলে। এক কথায় বলা যায় প্রত্যক্ষভাবে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বা শ্রোতাকে মধ্যম পুরুষ বলে। যেমন- তুমি, তোমরা।

মধ্যম পুরুষ কত প্রকার কি কি ?

মধ্যম পুরুষ আবার তিন প্রকার যথাঃ

. সাধারণ মধ্যম পুরুষ
. সম্মানসূচক মধ্যম পুরুষ
. অবজ্ঞাসূচক মধ্যম পুরুষ

 

সাধারণ মধ্যম পুরুষের উদাহরণ দাও

সাধারণ মধ্যম পুরুষের উদাহরণ হল তুমি, তোমরা, তোমাদের, তোমাকে ইত্যাদি। এক কথায় তুমি দিয়ে গঠিত সকল শব্দ।

সম্মানসূচক মধ্যম পুরুষের উদাহরণ দাও

সম্মানসূচক মধ্যম পুরুষের উদাহরণ হল আপনি, আপনারা, আপনাকে, আপনাদের ইত্যাদি। এক কথায় আপনি দিয়ে গঠিত সকল শব্দ।

অবজ্ঞাসূচক মধ্যম পুরুষের উদাহরণ দাও

অবজ্ঞাসূচক মধ্যম পুরুষের উদাহরণ হল তুই, তোরা, তোকে ইত্যাদি। এক কথায় তুই দিয়ে গঠিত সকল শব্দ।

নাম পুরুষ কাকে বলে?

বক্তা যখন অনুপস্থিত কারো সম্পর্কে কোন কিছু বলে তখন অনুপস্থিত ব্যক্তি বা বস্তুর নাম অথবা নামের পরিবর্তে অন্য যে সর্বনাম পদ ব্যবহার করে তখন তাকে প্রথম পুরুষ বা নাম পুরুষ বলে। এক কথায় অনুপস্থিত পরোক্ষভাবে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীই নাম পুরুষ। যেমন- সে, তারা, তিনি।

নাম পুরুষ কত প্রকার কি কি ?

নাম পুরুষ আবার দুই প্রকার যথাঃ

. সাধারণ নাম পুরুষ
. সম্মানসূচক নাম পুরুষ

সাধারণ নাম পুরুষের উদাহরণ দাও

সাধারণ নাম পুরুষের উদাহরণ হল সে, তারা, তাহারা

সম্মানসূচক নাম পুরুষের উদাহরণ দাও

সম্মানসূচক মধ্যম পুরুষের উদাহরণ হল তিনি, তিনার,তারা, তাহারা

Pro Tips: আমি বাচক শব্দ দিয়ে গঠিত সকল শব্দকেই উত্তম পুরুষ, তুমি বাচক শব্দ দিয়ে গঠিত সকল শব্দকেই মধ্যম পুরুষ এবং আমি বাচক তুমি বাচক শব্দ ব্যতীত অন্য সব বিশেষ্য পদ সর্বনাম পদকে নাম পুরুষ বলে।

তিন প্রকার পুরুষের অপর নাম কি ?

উত্তম পুরুষের অপর নাম প্রথম পুরুষ , মধ্যম পুরুষের অপর নাম ২য় পুরুষ এবং নাম পুরুষের অপর নাম তৃতীয় পুরুষ।

পুরুষের বিভিন্ন প্রকৃতি

 .পুরুষভেদে ক্রিয়ার রূপের পার্থক্য হয়, কিন্তু ক্রিয়ার রূপে কোনো পার্থক্য হয় না।
 .সাধারণ, সম্ভ্রমাত্মক তুচ্ছার্থক ভেদে মধ্যম নাম পুরুষের ক্রিয়ার রূপের পার্থক্য হয়ে থাকে কিন্তু উত্তম পুরুষে হয় না।
 . সাধারণ ভবিষ্যৎ কালে নাম পুরুষ মধ্যম পুরুষের ক্রিয়ার রূপ অভিন্ন।
 . করেছে, করেছো, করেছেন- বাংলা ক্রিয়ার তিনটি রূপ মর্যাদা ভেদের কারণে ব্যবহৃত হয়।

 

পুরুষ

একবচন

বহুবচন

উত্তম পুরুষ

আমি (মুই)

আমরা (মোরা)

মধ্যম পুরুষ

তুমি, তুই,আপনি

তোমরা, তোরা

নাম পুরুষ

সে, তিনি, ইনি, উনি

তারা, ওরা, এরা

 

লিঙ্গ পরিবর্তন || সংজ্ঞা,শ্রেণিবিভাগ নিয়ম

 

 

আজকের পাঠে আমরা লিঙ্গ পরিবর্তন  টু জেড জানার চেষ্টা করব।বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাঠ থেকে প্রায়ই প্রশ্ন এসে থাকে। বিষয়টিকে সহজ মনে করে এড়িয়ে গেলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। কারণ লিঙ্গ পরিবর্তনের নিয়মগুলো ভালভাবে জানা না থাকলে ভুল হওয়ার চান্সই বেশি থাকে। অনেক সময় এমসিকিউ প্রশ্নে অনুমানের উপর ভিত্তি করে সঠিক আনসার আমরা করতে পারি। কিন্তু অনুমানের উপর ভিত্তি করে আপনি সব সময় পার পাবেন না। চাকরি প্রস্তুতি সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এক নম্বর কত গুরুত্বপূর্ণ তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। কাজেই প্রস্তুতি যখন নিবেন তা ভালভাবেই নেয়া উচিত। অল্প প্রস্তুতি দিয়ে না পারবেন প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারবেন সময়কে বাঁচাতে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের পাঠ। প্রথমেই আমরা জানার চেষ্টা করব লিঙ্গ কাকে বলে।

 

Table of Content 

 

·          লিঙ্গ কাকে বলে

·          লিঙ্গের প্রকারভেদ

·          নিত্য পুরুষবাচক নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ

·          প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন

·          নারী-নির্দেশক শব্দ যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন

·          স্বতন্ত্র শব্দ যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন

·          কিছু শব্দের একাধিক স্ত্রীবাচক শব্দ

·          কিছু পুরুষ বাচক শব্দের দুটি স্ত্রীবাচক শব্দ

·          লিঙ্গ পরিবর্তনের ফলে অবজ্ঞা প্রকাশ

·          লিঙ্গ পরিবর্তনের ফলে অর্থের পার্থক্য

·          লিঙ্গ পরিবর্তনের আরো বিশেষ কিছু নিয়ম

·          সংস্কৃত স্ত্রী প্রত্যয়

·          কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্গ পরিবর্তন

 

লিঙ্গ কাকে বলে

লিঙ্গ শব্দের অর্থ চিহ্ন। বাংলা ভাষায় বহু বিশেষ্য শব্দ  কিছু বিশেষণ শব্দ রয়েছে যা নরবাচক অথবা নারীবাচক বলে ধরা হয়। আবার এমন কিছু বিশেষ্য-বিশেষণ শব্দ রয়েছে যা দিয়ে নর বা নারী উভয়কে বোঝায়। বিশেষ্য বিশেষণের এই নর-নারীভেদের নাম লিঙ্গ। ব্যাকরণে শব্দের নর নারীবাচকতাকে সংক্ষেপেপুং স্ত্রী দিয়ে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। নরবাচক শব্দ পুংলিঙ্গ, যথা: পিতা, পুত্র ইত্যাদি। নারীবাচক শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ, যথা: মাতা, কন্যা ইত্যাদি। নরবাচক নারীবাচক উভয়কে বোঝায় এমন সজীব বিশেষ্য শব্দকে উভলিঙ্গ বলে, যথা: সন্তান, মন্ত্রী ইত্যাদি। আবার নরবাচক বা নারীবাচক কোনোটাকেই বোঝায় না এমন অজীব বিশেষ্য শব্দকে ক্লীবলিঙ্গ বলে, যথা: ঘর, গাড়ি, টেবিল ইত্যাদি। সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের: পত্নীবাচক এবং অপত্নীবাচক। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়। যেমন পিতা-মাতা, চাচা-চাচি, দাদা-দাদি, জেলে-জেলেনি, গুরু-গুরুপত্নী ইত্যাদি। অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়। যেমন খোকা-খুকি, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, নেতা-নেত্রী, - পাগল-পাগলি।

 

লিঙ্গের প্রকারভেদ

লিঙ্গ চার প্রকার যথাঃ

1.    পুংলিঙ্গঃ যে শব্দ দ্বারা পুরুষ জাতি বোঝায় তাই পুংলিঙ্গ। যেমন- বাবা, ভাই ইত্যাদি।

2.    স্ত্রীলিঙ্গঃ যে শব্দ দ্বারা স্ত্রী জাতি বোঝায় তাই স্ত্রীলিঙ্গ। যেমন- মা, বোন ইত্যাদি।

3.    উভয়লিঙ্গঃ যে শব্দ দ্বারা পুরূষ স্ত্রী উভয়কেই বোঝায় তাই উভয়লিঙ্গ। যেমন- সাথী, শিশু ইত্যাদি।

4.    ক্লীবলিঙ্গঃ যে শব্দ দ্বারা পুরূষ স্ত্রী কিছুই না বুঝিয়ে অচেতন পদার্থকে বোঝায় তাই ক্লীবলিঙ্গ যেমন- ফুল,বই,কলম ইত্যাদি।

নিত্য পুরুষবাচক নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ

কিছু শব্দ রয়েছে যা নিত্য পুরুষবাচক নিত্য স্ত্রীবাচক

নিত্য পুরুষবাচককের উদাহরণ: রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কবিরাজ, যোদ্ধা, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, পুরোহিত, কেরানী, সরকার, পীর, দরবেশ, মওলানা, যোদ্ধা, সেনাপতি, দলপতি, বিচারপতি, জ্বীন, জামাতা ইত্যাদি

নিত্য স্ত্রীবাচকের উদাহরণ: সতীন, সপত্নী, সধবা, সত্মা, ডাইনি, অর্ধাঙ্গিনী, বাইজী, কুলটা, এয়ো, দাই, বিধবা, অসূর্যস্পর্শ, অরক্ষণীয়া, কলঙ্কিনী, পেত্নী, শাকচুন্নি, অপ্সরা,পরী ইত্যাদি।

প্রত্যয় যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন

নরবাচক শব্দকে নারীবাচক শব্দে পরিবর্তন করতে সাধারণত কিছু প্রত্যয় যোগ করতে হয়। রকম কয়েকটি প্রত্যয়ের প্রয়োগ দেখানো হলো:

-
 প্রত্যয়: বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রিয়-প্রিয়া, কনিষ্ঠ-কনিষ্ঠা।
-
আনী প্রত্যয়: ঠাকুর-ঠাকুরানী,নাপিত-নাপিতানী,মেথর-মেথরানী,চাকর-চাকরানী।
-
 প্রত্যয়: দাদা-দাদি, জেঠা-জেঠি, পাগল-পাগলি।
-
ইনি প্রত্যয়: কাঙাল-কাঙালিনি, বাঘ-বাঘিনি।
-
ইনী প্রত্যয়: বিজয়ী-বিজয়িনী, যোগী-যোগিনী, তেজস্বী-তেজস্বিনী।
-
উন প্রত্যয় : ঠাকুর-ঠাকুরুন/ ঠাকুরানী।
-
আইন প্রত্যয় : ঠাকুর-ঠাকুরাইন
 প্রত্যয়: কিশোর-কিশোরী, নর-নারী, সুন্দর সুন্দরী।
-
নি প্রত্যয়: জেলে-জেলেনি, বেদে-বেদেনি, ধোপা-ধোপানি।
-
নী প্রত্যয়: কামার-কামারনী,জেলে-জেলেনী,কুমার-কুমারনী,ধোপা-ধোপানী,মজুর-মজুরানী।
-
বতী প্রত্যয়: গুণবান-গুণবতী, পুণ্যবান-পুণ্যবতী।
-
মতী প্রত্যয়: বুদ্ধিমান-বুদ্ধিমতী, শ্ৰীমান-শ্ৰীমতী।

এছাড়া -অক’ প্রত্যয় দিয়ে গঠিত নরবাচক শব্দকে নারীবাচক করার সময়ে 'অক'-এর জায়গায় ইকা হয়। যেমন পাঠক-পাঠিকা, লেখক-লেখিকা, গায়ক-গায়িকা। ক্ষুদ্রার্থে ইকা হয় যেমন- নাটক-নাটিকা,মালা-মালিকা,পুস্তক-পুস্তিকা।আবার পুরুষবাচক শব্দের শেষে থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে নী হয় এবং পূর্বের হয়। যেমন: ভিখারী-ভিখারীনী,গুণি-গুণিনী,অভিসারী-অভিসারিণী,রোগী-রোগীনী।

 

নারী-নির্দেশক শব্দ যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন

কিছু ক্ষেত্রে নারী-নির্দেশক শব্দ যোগ করে নারীবাচক শব্দ তৈরি করা হয়। যেমন লোক-স্ত্রীলোক, শ্রমিক-নারী শ্রমিক, ছেলে-ছেলে বউ। কিছু ক্ষেত্রে নর-নির্দেশক শব্দের বদলে নারী-নির্দেশক শব্দ যোগ করে নারীবাচক শব্দ তৈরি করা হয়। যেমন মদ্দা বিড়াল-মাদি বিড়াল, ভাইপো - ভাইঝি।

 

স্বতন্ত্র শব্দ যোগে লিঙ্গ পরিবর্তন

কিছু নারীবাচক শব্দের সঙ্গে নরবাচক শব্দের গঠনগত মিল থাকে না। যেমন ভাই-বোন, পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, বর-কনে, বাদশা-বেগম। কতকগুলো শব্দের শেষে পুরুষ স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে পুরুষ  স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন করা হয়।যেমন-বোন-পো---বোন-ঝি,ঠাকুর-পো---ঠাকুর-ঝি,ঠাকুরদা ঠাকুরমা,গয়লা-গয়লা-বউ,জেলে-জেলে-বউ।

 

কিছু শব্দের একাধিক স্ত্রীবাচক শব্দ

যেমন-অভাগা-অভাগী / অভাগিনী, মৃগনয়ন-মৃগনয়নী/ মৃগনয়না সুকেশ -সুকেশা/সুকেশী, শ্বশুর- স্বশ্রু/শাশুড়ি ,দুলহা-দুলাইন / দুলহিন, রজক-রজকী/রজকিনী, সুনয়ন-সুনয়নী/সুনয়না,চন্দ্ৰমুখ-চন্দ্ৰমুখী / চন্দ্ৰমুখা, মাতঙ্গ-মাতঙ্গী / মাতঙ্গিনী, সিংহ-সিংহী/ সিংহিনী,কৃশোদর-কৃশোদরী/কৃশোদরা,সুকণ্ঠ-সুকণ্ঠী / সুকণ্ঠা নন্দাই-ননদিনী/ ননদী, চন্দ্ৰবদন-চন্দ্ৰবদনী/চন্দ্রবদনা,গোপ-গোপী/গোপিনী,বিহঙ্গ-বিহঙ্গী/বিহঙ্গিনী,ঠাকুর-ঠাকুরুন/ঠাকুরা/ঠাকুরাইন,হেমাঙ্গ-হেমাঙ্গী হেমাঙ্গা/হেমাঙ্গিনী।

কিছু পুরুষ বাচক শব্দের দুটি স্ত্রীবাচক শব্দ

যেমন-আচার্য-আচার্যা (আচার্যার কর্মে নিয়োজিত) আচার্যানী (আচার্যের স্ত্রী),শূদ্র-শূদ্রা (শূদ্র জাতীয় স্ত্রীলোক) শূদ্রাণী (শূদ্রের স্ত্রী ), ঘোষ-ঘোষজা (কন্যা),ঘোষজায়া (স্ত্রী), বর-বধূ / বউ (বিবাহিত ) কনে (অবিবাহিত),দেবর -ননদ (দেবরের বোন);জা (দেবরের স্ত্রী), বন্ধু-বান্ধবী (মেয়ে বন্ধু) বন্ধুপত্নী (বন্ধুর স্ত্রী), ভাই -বোন ভাবি (ভাইয়ের স্ত্রী)

লিঙ্গ পরিবর্তনের ফলে অবজ্ঞা প্রকাশ

যেমন-ডাক্তার-ডাক্তারনী, মাস্টার- মাস্টারনী,কুহক- কুহকিনী,মালী-মালিনী,মায়াবী মায়াবিনী,যোগী যোগিনী।

লিঙ্গ পরিবর্তনের ফলে অর্থের পার্থক্য

যেমন- অরণ্য-অরণ্যানী (বৃহৎ অরণ্য ), হিম-হিমানী (জমানো বরফ),বন -বনানী (বৃহৎ বন )  বাংলা ভাষায় প্রাতিষ্ঠানিক পদমর্যাদাকে নারীবাচক করা হয় না। যেমন নার্গিস আখতার একজন সহকারী শিক্ষক। নমিতা রায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি।

লিঙ্গ পরিবর্তনের আরো বিশেষ কিছু নিয়ম

. কতকগুলো শব্দের আগে স্ত্রীবাচক শব্দ নর,মদ্দা ইত্যাদি পুরুষবাচক শব্দ এবং স্ত্রী,মাদী,মাদা ইত্যাদি স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে পুরুষবাচক স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে পুরুষবাচক স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন করা হয়। যেমনঃ

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

নর/মদ্দা/হুলো বিড়াল

মেনি বিড়াল

পুরুষ লোক

মেয়েলোক/স্ত্রীলোক

পুরুষ কয়েদি

স্ত্রী/মেয়ে কয়েদি

এঁড়ে বাছুর

বকনা বাছুর

বলদ গরু

গাই গরু

মদ্দা হাঁস

মাদী হাঁস

মদ্দা ঘোড়া

মাদী ঘোড়া

বেটাছেলে

মেয়েছেলে

. কতকগুলো পুরুষবাচক শব্দের আগে স্ত্রীবাচক শব্দ প্রয়োগ করে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়।যেমনঃ

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

কবি

মহিলা কবি

সভ্য

মহিলা সভ্য

শিল্পী

মহিলা/নারী শিল্পী

ডাক্তার

মহিলা ডাক্তার

কর্মী

মহিলা/নারী কর্মী

পুলিশ

মহিলা পুলিশ

. কতকগুলো শব্দের শেষে পুরুষ  স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে পুরুষ  স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়। যেমনঃ

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

বোন-পো

বোন-ঝি

ঠাকুরদা

ঠাকুর মা

জেলে

জেলে বউ

ঠাকুর-পো

ঠাকুর-ঝি

গয়লা

গয়লা বউ

. অনেক সময় আলাদা আলাদা শব্দে পুরুষবাচক স্ত্রীবাচক বোঝায়। যেমনঃ

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

বাবা

মা

ছেলে

মেয়ে

কর্তা

গিন্নী

জামাই

মেয়ে

দুলহা

দুলাইন/দুলহিন

বাদশা

বেগম

কুলি

কামিন

ভাই

বোন

সাহেব

বিবি

বর

কনে

তাঐ

মাঐ

বেয়াই

বেয়াইন

শুক

সারী

খানসামা

আয়া

সংস্কৃত স্ত্রী প্রত্যয়

তৎসম বা সংস্কৃত পুরুষবাচক শব্দের পরে ,,আনী,নী,ইকা প্রভৃতি প্রত্যয়যোগে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়।
. -যোগে :
. সাধারণ অর্থে:

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

মৃত

মৃতা

মাননীয়

মাননীয়া

প্রিয়

প্রিয়া

নবীন

নবীনা

চতুর

চতুরা

মলিন

মলিনা

বিবাহিত

বিবাহিতা

বৃদ্ধ

বৃদ্ধা

চতুর

চতুরা

প্রথম

প্রথমা

কনিষ্ঠ

কনিষ্ঠা

চপল

চপলা

. জাতি বা শ্রেণিবাচক অর্থে:

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

অজ

অজা

শিষ্য

শিষ্যা

শুদ্র

শুদ্রা

ক্ষত্রিয়

ক্ষত্রিয়া

. -প্রত্যয়যোগে:
. সাধারণ অর্থে:

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

নিশাচর

নিশাচরী

রজক

রজকী

সুন্দর

সুন্দরী

চতুর্দশ

চতুর্দশী

ভয়ংকর

ভয়ংকরী

ষোড়শা

ষোড়শী

কিশোর

কিশোরী

. জাতি বা শ্রেণিবাচক অর্থে:

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

সিংহ

সিংহী

মানব

মানবী

সুন্দর

সুন্দরী

কুমার

কুমারী

ব্রাহ্মণ

ব্রাহ্মণী

বৈষ্ঞব

বৈষ্ঞবী

ময়ূর

ময়ূরী

. ইকা-প্রত্যয়যোগে:
. যেসব শব্দের শেষে অক রয়েছে সে সব শব্দে ;অক স্থলে ইকা হয়। যেমন:

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

বালক

বালিকা

সেবক

সেবিকা

গায়ক

গায়িকা

নায়ক

নায়িকা

অধ্যাপক

অধ্যাপিকা

ব্যতিক্রমঃ গণক-গণকী,নর্তক-নর্তকী,চাতক-চাতকী,রজক-রজকী/রজকিনী

. ক্ষুদ্রার্থে ইকা যোগ হয়। যেমন-

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

নাটক

নাটিকা

পুস্তক

পুস্তিকা

গীত

গীতিকা

মালা

মালিকা

একাঙ্ক

একাঙ্কিকা

ঘট

ঘটী

. পুরুষবাচক শব্দের শেষে থাকলে স্ত্রীবাচক শব্দে নী হয় এবং পূর্বের হয় যেমন: অভিসারী-অভিসারিণী,রোগী-রোগিনী

কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্গ পরিবর্তন

পুংলিঙ্গ

স্ত্রীলিঙ্গ

কল্যাণীয়েষু

কল্যাণীয়াসু

শ্রদ্ধাস্পদেষু

শ্রদ্ধাস্পদাসু

কল্যাণীরেষু

কল্যাণীবরাসু

মনুষ্য

মনুষী

সিংহ

সিংহী

জরত

জরতী

সৎ

সতী

গুণবান

গুণবতী

বীর

বীরাঙ্গনা

মুহতারিম

মুহতারিমা

কর্তা

কর্ত্রী

শ্রোতা

শ্রোত্রী

নেতা

নেত্রী

অধ্যাপক

অধ্যাপিকা

নায়ক

নায়িকা

সেবক

সেবিকা

মহৎ

মহতী

বুদ্ধিমান

বুদ্ধিমতী

শূর্পণখ

শূর্পণখা

সুলতান

সুলতানা