উত্তর আমেরিকা মহাদেশ | North America Continent
উত্তর আমেরিকা মহাদেশ পৃথিবীর উত্তর এবং পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত একটি মহাদেশ। । উত্তরে উত্তর মহাসাগর, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর, পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ দ্বারা এটি বেষ্টিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশে মোট ২৩ টি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং ১৫ টি নির্ভরশীল অঞ্চল রয়েছে। মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র, যার জনসংখ্যা প্রায় ৩৩২ মিলিয়ন। উত্তর আমেরিকা মহাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। মহাদেশের মোট জিডিপি প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং মেক্সিকো মহাদেশের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি।
উত্তর আমেরিকা উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এটি পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ। উত্তর আমেরিকার তিনটি স্বাধীন দেশ রয়েছে:
☞ কানাডা:
·
আয়তনে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের বৃহত্তম দেশ কানাডা।
·
কানাডার অধিকার নিয়ে ফ্রান্স ও ব্রিটেন এর মধ্যে যুদ্ধ হয় ১৭৫৫ সালে, ফ্রান্স পরাজিত হলে কানাডার দখল চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে।
·
কানাডার প্রদেশগুলি হলো আলবার্টা, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, মনিটোবা, নিউ ব্রুনসউইক, নিউফাউল্যান্ড এন্ড ল্যাব্রাডার, নোভা স্কশিয়া, অন্টারিও, কুইবেক, সাসকাচুয়ান।
☞ মেক্সিকো:
·
কানকুন
[Cancun]: বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ৫ম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
·
প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে।
·
প্রেইরি তৃণভূমি অবস্থিত উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে।
উত্তর আমেরিকার ক্যারিবিয়ান সাগরের পূর্ব ও উত্তর উপকূলবর্তী ১৩ টি স্বাধীন রাষ্ট্র, কিছু নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল নিয়ে 'পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ' গঠিত। ১৪৯২ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করে বাহামা দ্বীপ [ পশ্চিমভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপ] অবতরণের মাধ্যমে আমেরিকা মহাদেশ আবিস্কার করেন। কিন্তু কলম্বাস তখন দ্বীপটিকে ভারতীয় উপমহাদেশের পশ্চিম উপকূলের একটি দ্বীপ বলে ধারণা করেন। এজন্য এই দ্বীপগুলোকে 'পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ' বলা হয়। দেশগুলো নিম্নরুপঃ
মধ্য আমেরিকা উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি ভৌগোলিক অঞ্চল। এটি উত্তরে মেক্সিকো, দক্ষিণে কলম্বিয়া এবং পানামা, পূর্বে ক্যারিবিয়ান সাগর এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। মধ্য আমেরিকা ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত। দেশগুলো নিম্নরুপঃ
☞ বেলিজ : বেলিজ এর পূর্ব নাম ব্রিটিশ হন্ডুরাস।
☞ নিকারাগুয়া : এটি মশার উপকূল নামে পরিচিত। নিকারাগুয়ার 'কন্ট্রা' বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুষ্ট বিদ্রোহী।
☞ কোস্টারিকা: নিজস্ব স্থায়ী সেনাবাহিনী নেই।
☞ এল সালভেদর : পপুলার লিবারেশন আর্মি গেরিলা সংগঠন। কানকুন শহরে WTO এর ৫ম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। উত্তরে কানাডা, দক্ষিণে মেক্সিকো, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা এটি বেষ্টিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৯৮.২৬.৬৭৫ বর্গকিলোমিটার বা ৩৭,৯৪,১০১ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি।
·
ব্রিটেনের বণিক সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্যে উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল।
·
১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ শাসনাধীন যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা স্বাধীনতা ঘোষণা করে । এজন্য ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে পালিত হয়।
·
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ফ্রান্স প্রত্যক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য প্রদান করে।
·
১৭৮৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত 'প্যারিস চুক্তি'র মাধ্যমে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান হয় ।
·
আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সমরনায়ক:
ক) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র : জর্জ ওয়াশিংটন।
খ। ব্রিটেন: স্যার উইলিয়াম হোয়ে, লর্ড কর্নওয়ালিস।
·
১৮৮৬ সালের ২৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লিবার্টি দ্বীপে স্থাপন করা হয়েছিল ফরাসি উপহার 'স্ট্যাচু অব লিবার্টি' । যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ১২ তলা বেসের উপর এই মুর্তিটি স্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ১৯২৪ সালে স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে জাতীয় সৌধ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
·
স্থপতি
: ফ্রেডেরিক অগাস্ট বার্থোন্ডি
·
উচ্চতা
: ৩০৫ ফুট
·
যুক্তরাষ্ট্র ১৮০৩ সালে ফ্রান্সের নিকট হতে লুইসিয়ানা
[Louisiana] স্টেটটি ক্রয় করে নেয়।
·
যুক্তরাষ্ট্র ১৮৬৭ সালে রাশিয়ার নিকট হতে আলাস্কা
[Alaska] স্টেটটি ক্রয় করে নেয়।
·
১৯৫৯ সালের ২১ আগস্ট 'হাওয়াই' সর্বশেষ স্টেট হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউনিয়নে যোগ দেয় ।
·
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ৫০টি স্টেট এবং একটি ফেডারেল জেলা-District
of Columbia নিয়ে গঠিত ।
·
জনসংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া ।
·
জনসংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য উওমিং ।
·
আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য আলাস্কা
(Alaska)
·
আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোডস দ্বীপপুঞ্জ
[Rhode Island]
সংবিধান : যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পৃথিবীর প্রাচীনতম ও ক্ষুদ্রতম লিখিত সংবিধান। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রচনার কাজ সমাপ্ত হয়। ১৭৮৮ সালে ২১ জুন তা অনুসমর্থন লাভ করে । এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৭ বার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধিত হয়। এর মধ্যে নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত প্রথম ১০ সংশোধনীকে Bill
of Rights বলে।
পতাকা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা, যা
"স্টার-স্প্যাঙ্গল্ড ব্যানার"
নামেও পরিচিত । পতাকাটি [ ৭টি লাল ও ৬টি সাদা ] তেরটি আড়াআড়ি দাগ দিয়ে তৈরি। এই ১৩ টি আড়াআড়ী দাগ কাটা দিয়ে ১৩টি কলোনিকে নির্দেশ করে । যে কলোনিগুলোতে ব্রিটিশরা উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল । পরবর্তীতে স্বাধীনতা লাভের পর এই ১৩ টি কলোনি একত্রিত হয়ে একটি দেশ গঠন করেছিলো। তাই আমেরিকাকে যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়ে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে আরও ৩৭ টি প্রদেশ আমেরিকার সাথে যুক্ত হয়ে যায়। যার দরুণ পতাকার উপরের বাম কোণে নীল আয়তক্ষেত্রে ৫০ টি সাদা তারকা রয়েছে, যা মোট ৫০ টি রাজ্যকে নির্দেশ করে।
আইনসভা : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কংগ্রেস এবং এটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট:
হাউস অব রিপ্রেজেন্টটেটিভ : এটি আইনসভার নিম্নকক্ষ। এতে মোট ৪৩৫ জন সদস্য রয়েছেন, যারা প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে নির্বাচিত হন। প্রতিনিধিদের মেয়াদ ২ বছর।
সিনেট: এটি আইনসভার উচ্চকক্ষ। এতে প্রতিটি রাজ্য থেকে ২ জন করে মোট ১০০ জন সদস্য রয়েছেন । সিনেটরদের মেয়াদ ৬ বছর।
·
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হলেন প্রেসিডেন্ট।
·
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নের জন্য নূন্যতম ১৯৯১ জন ডেলিগেটর সমর্থন প্রয়োজন ।
·
ইলেকটোরাল কলেজ
[Electoral College]: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইলেকটোরাল কলেজ কর্তৃক নির্বাচিত হন। সর্বমোট ৫৩৮ জন ইলেকটোরাল থাকেন। তারা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন । ৫৩৮ জন ইলেকটোরালের মধ্যে ৪৩৫ জন হাউস অব রিপ্রেজেন্টটেটিভ সদস্য , ১০০ জন সিনেটর সদস্য এবং ৩ জন ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার সদস্য ।
·
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৪ বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখের মধ্যবর্তী মঙ্গলবার দিন। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।
·
Bradley effect: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সম্পর্কিত শব্দ।
·
১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২২ তম সংশোধনী গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, 'কোন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।'
·
চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আততায়ীর হাতে নিহত হন। তাঁরা হলেন- আব্রাহাম লিঙ্কন (প্রথম), জেমস এ গারফিল্ড, উইলিয়াম ম্যাককিনলে এবং জন, এফ কেনেডি (সর্বশেষ ।
·
অভিশংসন: ৪৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে অভিশংসিত হয়। তার আগে আরো দুজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়। ১৭তম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্র জনসন ১৮৬৮ সালে এবং ৩৭তম প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ১৯৭৪ সালে অভিশংসিত হন।
·
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন।
·
স্থপতি
: জেমস হোবান।
·
অবস্থান
: ওয়াশিংটন ডিসি
·
নির্মাণকাল: ১৭৯২-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ।
·
হোয়াইট হাউসে প্রথম বসবাস করেছিলেন দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এডামস। প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের সময় হোয়াইট হাউজের নির্মাণ কাজ হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন কখনো হোয়াইট হাউসে বসবাস করেন নি।
·
ওভাল অফিস
Oval Office: মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারী কার্যালয়। হোয়াইট হাউসের অংশবিশেষ।
·
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
·
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
·
৩৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। [১৯৬১-১৯৬৩]
·
কেনেডি তাঁর অভিষেক ভাষণে বলেন, 'Ask not what your country can do for you, Ask you can do for
your country' তিনি আরও বলেন, 'Let us never negotiate out of fear. But let us never fear to
negotiate'
·
'কিউবার ক্ষেপনাস্ত্র সঙ্কট' [
Cuban Missile Crisis] তাঁর সময়কালের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
·
পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
·
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন।
·
৩৭ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। [১৯৬৯-১৯৭৪]
·
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারী
Watergate scandal]: ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কিত একটি রাজনৈতিক কেলেঙ্কারী। ওয়াটারগেট হোটেল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি.সি তে ডেমোক্রেট জাতীয় কমিটির সদর দপ্তর। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ছিলেন রিপাবলিক দলের প্রার্থী। তিনি টেপ রেকর্ডারের মাধ্যমে ডেমোক্রেটদের সদর দপ্তরে আড়ি পাতেন। ১৯৭২ সালের ১৭ জুন ওয়াটার গেটে ৫ জন লোক ধরা পড়লে এই ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। এই ঘটনার জন্য তিনি ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন। রিচার্ড নিক্সন একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি পদত্যাগ করেছিলেন।
·
১৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। [১৮৬১-১৮৬৫]
·
আমেরিকার গৃহযুদ্ধের [ American Civil War, 1861-1865] সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে দেশটির ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব হয়।
·
১৮৬৩ সালে দাসত্ব-মোচন ঘোষণার মাধ্যমে [ Emancipation Proclamation ] যুক্তরাষ্ট্রে ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ করেন। ১৮৬৫ সালের ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দাসত্ব প্রথার বিলুপ্ত হয়।
·
১৮৬৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট লিঙ্কন গেটিসবার্গে দুই মিনিট ক্ষণস্থায়ী ভাষণ দেন যা গেটিসবার্গ ভাষণ
[Gettysburg Address] নামে পরিচিত। তিনি বলেন, 'জনসাধারণের জন্য, জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনসাধারণের সরকারই হলো গণতন্ত্র। (Democracy is a government of the people, by the people, for
the people)
·
আব্রাহাম লিঙ্কনের বিখ্যাত উক্তি 'বুলেটের চাইতে ব্যালট শক্তিশালী' [The ballot is stronger than bullet] .
·
লিংকন তাঁর দ্বিতীয় অভিষেক ভাষণে বলেন, 'With malice toward none, with charity for all; with firmness
in the right, as God gives us to see the right .
·
১৮৬৫ সালের ১৫ এপ্রিল আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
·
৩২ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। [১৯৩৩-১৯৪৫]
·
টানা চারবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি দুইবারের অধিক সময়ের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
·
অর্থনৈতিক মন্দা ও নিউ ডিল: ১৯২৯ সালের ২৯ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধ্বসের মাধ্যমে [ব্লাক টুইসডে] বিশ্বব্যাপী চরম অর্থনৈতিক মন্দা [
Great Depression ] শুরু হয়। এই মন্দা ১৯৪০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয় । এই মন্দা মোকাবেলার জন্য প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ১৯৩৩ নিউ ডিল [New
Deal] ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন।
·
৩৩ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট
·
তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আনবিক বোমা ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
·
১৯৪৭ সালের ১২ মার্চ কমিউনিজম প্রতিরোধের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে ট্রম্যান একটি নীতি প্রকাশ করেন, যা 'টুম্যান ডকট্রিন' [Truman Doctrine) নামে পরিচিত।
·
৪০ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। [১৯৮১-১৯৮৯]
·
একজন চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা ছিলেন।
·
১৯৮৩ সালে ভূমি ও মহাকাশে পরমাণু ক্ষেপনাস্ত্রের আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেন, যা SDI
[Strategic Defense Initiative) নামে পরিচিত। সমালোচকেরা একে নক্ষত্র যুদ্ধ (Star
War)- এর পরিকল্পনা হিসাবেও অভিহিত করেন।
·
১৯৮৩ সালে গ্রানাডায় সামরিক আগ্রাসন চালান।
·
৪৩ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। [ ২০০১-২০০৯ ]
·
৯/১১
[Nine-eleven): ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়েদার কতিপয় সদস্য বিমান ছিনতাই করে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন-টাওয়ার, পেন্টাগনসহ বিভিন্ন স্থানে নজিরবিহীন আত্মঘাতী বিমান হামলা চালায়। এই ঘটনা ৯/১১ নামে পরিচিত।
·
বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র [
World Trade Centre ] : ১১০ তলা বিশিষ্ট বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র নিউইয়র্কে অবস্থিত ছিল। ৯/১১ এর সন্ত্রাসী বিমান হামলায় এটি পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তুপ অঞ্চলটি এখন 'গ্রাউন্ড জিরো'
[Ground Zero] নামে রচিত। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের স্থানে নির্মিতব্য টাওয়ারের নাম 'ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার-১' । ৫৪১ মিটার উচু এ ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১১ সালে।
·
পেন্টাগন
[Pentagon]: ভার্জিনিয়ার আরলিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর।
·
Department of Homeland
Security: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধের জন্য ২০০২ সালে গঠন করা হয়।
·
অপারেশন এনডুরিং ফ্রিডম
[Operation Enduring Freedom]: সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসাবে ২০০১। সালে আফগানিস্তানে পরিচালিত মার্কিন অভিযান।
·
অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম [
Operation Iraqi Freedom ] : সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাক আক্রমণ করে ।
·
আবু গারিব
[Abu Gharib]: ইরাকের একটি কারাগার। এই কারাগারে মার্কিন সৈন্যরা ইরাকি মুসলিম কয়েদিদের অমানবিক নির্যাতন করে ।
·
গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা
[Guantenemo Jaill ] : কিউবায় অবস্থিত কুখ্যাত মার্কিন সামরিক বন্দীশালা।
·
৪৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কেনীয় বংশোদ্ভূত। ৩৬৫ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
·
২০ জানুয়ারি, ২০০৯ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
·
২২ জানুয়ারি, ২০০৯ গুয়ান্তানামো বে বন্ধ ঘোষণা করেন।
·
প্রেসিডেন্টে বারাক হোসাইন ওবামা মিশরের কায়রোর আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম বিশ্বের প্রতি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। ২০০৯ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
·
ইলিনয় রাজ্যের সিনেটর ছিলেন ।
·
২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত হবে ৪৪তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে নানা স্মৃতি নিয়ে লেখা বইয়ের প্রথম খণ্ড। 'A
Promised Land" নামের ৭৬৮ পৃষ্ঠার ঐ স্মৃতিকথা প্রকাশিত হয় ২৫টি ভাষায়। বারাক ওবামার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো:
'Dreams from My Father', 'The Audacity of Hope', "Change we can Believe
in' এবং শিশুদের জন্য লেখা 'Of the Eye Sing'
·
৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৩০৪ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে রিপাবলিক দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
·
২০ জানুয়ারি, ২০১৭ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
·
৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ৩০৬ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে রিপাবলিক দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
·
২০ জানুয়ারি, ২০২১ প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
জো বাইডেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের ব্যক্তিগণ :
·
ভাইস প্রেসিডেন্ট : কমলা হ্যারিস
·
হাউস অব রিপ্রেজেন্টটেটিভের স্পিকার : ন্যান্সি প্যালোসি
·
প্রধান বিচারপতি : জন জি রবার্টস
·
পররাষ্ট্রমন্ত্রী : অ্যান্টনি ব্লিনেকেন
·
অর্থমন্ত্রী : জ্যানেট ইয়েলেন
·
প্রতিরক্ষামন্ত্রী : লয়েড অস্টিন
দক্ষিণ আমেরিকা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ। এটি উত্তরে পানামা স্থলযোট দ্বারা উত্তর আমেরিকা থেকে আলাদা এবং দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ বিভিন্ন ধরণের জলবায়ু এবং ভূখণ্ডের আবাসস্থল। বিশ্বের দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণী আন্দিজ পর্বতমালা মহাদেশের পশ্চিম অংশে অবস্থিত । অ্যামাজন রেইনফরেস্ট মহাদেশের উত্তর-মধ্য অংশে অবস্থিত যা বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে ১২টি দেশ রয়েছে: আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, প্যারাগুয়ে, পেরু, সুরিনাম, উরুগুয়ে এবং ভেনিজুয়েলা। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ, যেটি মহাদেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল ঘিরে রয়েছে। মহাদেশের জনসংখ্যা ৪২২.৫ মিলিয়ন।
·
আয়তনে দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ
·
দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র ব্রাজিলের ভাষা পর্তুগিজ।
·
ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দিলমা রউসেফ।
·
সুরিনাম' বা 'সুরিনাম প্রজাতন্ত্র' আটলান্টিক মহাসগরের তীরে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এই দেশটি ১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত নেদারল্যান্ডের একটি উপনিবেশ ছিল এবং তখন এর নাম ছিল 'ওলন্দাজ গায়ানা' বা 'ডাচ গায়ানা'। সুরিনামের আয়তন ১,৬৩,২৬৫ বর্গকিলোমিটার। এটি দক্ষিণ আমেরিকার একটি ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র। সুরিনামের একমাত্র নগর এলাকা ও রাজধানীর নাম পারামারিবো। দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র সুরিনাম দেশটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশ।
·
লাতিন আমেরিকার বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারার জন্ম আর্জেন্টিনায়।
·
বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট ইসাবেলা ডি পেরন [আর্জেন্টিনা]।
·
২০০৬ সাল থেকে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইভো মোরালেস বলিভিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি প্রেসিডেন্ট পদ হতে পদত্যাগ করেন।
·
·
২০১৮ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।
·
আমাজন বন: দক্ষিণ আমেরিকার ৮টি দেশের [ব্রাজিল (৬০%), পেরু (১৩%), কলম্বিয়া (১০%), বলিভিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম এবং গায়ানা] এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানার প্রায় ৫৫ লাখ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে গড়ে উঠেছে আমাজন বন, যা আয়তনে যুক্তরাষ্ট্রের আয়তনের প্রায় অর্ধেক। পৃথিবীর ২০% অক্সিজেনের যোগান দেয় এ অরণ্য। একে 'পৃথিবীর ফুসফুস' নামে ডাকা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এক ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে যায় আমাজনের বিরাট একটা অংশ। ২২ আগস্ট ২০১৯ সাড়ে ৯ হাজারের বেশি জায়গায় আগুনের শিখা দেখার কথা জানায় [ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ], ব্রাজিল।
ওশেনিয়া মহাদেশ প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত জলরাশির মধ্যে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত। অস্ট্রেলিয়া, মেলানেশিয়া, পলিনেশিয়া এবং মাইক্রোনেশিয়া - এই চারটি প্রধান অঞ্চল মিলে ওশেনিয়া তৈরি করে। ৮,৫২৫,৯৮৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মহাদেশে মোট ১৪ টি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং ৬ টি অধীনস্থ অঞ্চল রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাদ দিলে, ওশেনিয়ার অধিকাংশ অংশই আগ্নেয়গিরি ও প্রবাল প্রাচীর দ্বারা গঠিত দ্বীপ দ্বারা পরিবেষ্টিত। ওশেনিয়া মহাদেশ, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ নামে ও পরিচিত, যা পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাদেশ।
·
'অস্ট্রেলিয়া' একটি ল্যাটিন শব্দ- যার অর্থ দক্ষিণাঞ্চল। অস্ট্রেলিয়া এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত দক্ষিণ গোলার্ধের একটি দেশ।
·
সিডনি
[Sydney]: জনসংখ্যা ও আয়তনে ওশেনিয়া মহাদেশের বৃহত্তম নগরী। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী 'সিডনি'কে দক্ষিণের রানি বলা হয়।
·
মেলবোর্ন: অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
·
এডিলেড: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া প্রদেশের রাজধানী ।
·
Ayers Rock অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ায়।
·
বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়র রিফ যা অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত।
·
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রতীক ক্যাঙ্গারু।
·
এদেশে ভোট দেয়া বাধ্যতামূলক।
·
জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণতম মাস এবং জুলাই অস্ট্রেলিয়ার শীতলতম মাস।
·
বিশ্বের সর্বপ্রথম নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে ১৮৯৩ সালে।
·
নিউজিল্যান্ডের অধিবাসীদের 'কিউ' বলা হয় আর আদিবাসীদের বলা হয় 'মাউরি'।
·
সম্প্রতি [১৫.০৩.২০১৯] নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর ও লিনউড মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা করে - ব্রেন্টন টারান্ট [অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক]
·
নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত আদিবাসী গোষ্ঠী- মাউরি ।
·
দক্ষিণের গ্রেট ব্রিটেন বলা হয়- নিউজিল্যান্ডকে।
·
বিশ্বের যে দেশে নারীরা সর্বপ্রথম ভোটাধিকার লাভ করে- নিউজিল্যান্ড, ১৮৯৩ সালে ।
পলি অর্থ- অনেক এবং নেশিয়া অর্থ দ্বীপ অর্থাৎ মধ্য ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ত্রিকোণাকার অঞ্চলে অবস্থিত অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে পলিনেশিয়া গঠিত। এদের মধ্যে তিনটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র, বাকীগুলো বিভিন্ন দেশের অধীনে শাসিত। স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে টোঙ্গা, সামোয়া এবং টুভ্যালু।
☞ পলিনেশিয়ার দেশসমূহ মনে রাখার কৌশল : টোনা-টুনি ইসহাক স্যারের কুকুর নিয়ে হাওয়ায় ভেসে বেড়ায়। এখানে-
·
টোনা = টোঙ্গা
·
টুনি = টুভ্যালু
·
ইসহাক = ইস্টার দ্বীপপুঞ্জ
·
স্যারের = সামোয়া
·
কুকুর = কুক দ্বীপপুঞ্জ
·
নিয়ে = নিও
·
হাওয়ায় = হাওয়াই
মেলানেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম-মধ্য অংশে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জের একটি বিশাল ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক অঞ্চল। 'মেলানেশিয়া' [ মেলা = কৃষ্ণ এবং নেশিয়া = দ্বীপ ] অর্থ কৃষ্ণদ্বীপ। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর এবং উত্তরপূর্বে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের অবস্থিত দ্বীপগুলোকে মেলানেশিয়া বলে। সিংহভাগই দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত, কেবল পশ্চিম নিউ গিনির উত্তর পশ্চিমভাগের কয়েকটি দ্বীপ উত্তর গোলার্ধে পড়েছে । এদের মধ্যে চারটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র, বাকীগুলো বিভিন্ন দেশের অধীনে শাসিত। স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ফিজি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ , ভানুয়াতু এবং পাপুয়া নিউগিনি ।
☞ মেলানেশিয়ার দেশসমূহ মনে রাখার কৌশল : বিশ্ব পপুলার সালমান-খানের নিউকালেকশন ফিরোজা ভানু। এখানে-
·
বিশ্ব = বিসমার্ক
·
পপুলার = পাপুয়া নিউগিনি
·
সালমান খান = সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
·
নিউকালেকশন = নিউক্যালডোনিয়া
·
ফিরোজা = ফিজি
·
ভানু = ভানুয়াতু
মাইক্রোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত ছোট দ্বীপপুঞ্জের একটি বিশাল ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক অঞ্চল। 'মাইক্রোনেশিয়া' [ মাইক্রো = ক্ষুদ্র এবং নেশিয়া = দ্বীপ ] অর্থ ক্ষুদ্রদ্বীপ। অর্থাৎ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত হাজার দ্বীপের সমষ্টি মাইক্রোনেশিয়া । এর মধ্যে পাঁচটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র, বাকীগুলো বিভিন্ন দেশের অধীনে শাসিত। স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ফেডারেল স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া , কিরিবাতি , মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ , পালাউ এবং নাউরু ।
☞ মাইক্রোনেশিয়ার দেশসমূহ মনে রাখার কৌশল : নাউরুর ফিল্ড মার্শাল কিবরিয়া ওয়ার
[War] থেকে পালাতে গিয়ে মারা গেল। এখানে-
·
নাউরুর = নাউরু
·
ফিল্ড = ফেডারেল স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া
·
মার্শাল = মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
·
কিবরিয়া = কিরিবাতি
·
ওয়ার = ওয়াক দ্বীপপুঞ্জ
·
পালাতে = পালাউ
·
গিয়ে = গুয়াম
·
মারা = উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ
·
☞ নাউরু : পৃথিবীর একমাত্র দেশ এটিই, যার কোনো সরকারি রাজধানী নেই। দেশটির নিজস্ব কোনো সামরিক বাহিনীও নেই। নাউরুর প্রতিরক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার উপর নির্ভরশীল।